অপরাজিত৷ নাম আছে, তাহার সঙ্গে কণী যোগ করিলে অপরা জিতাকে বুঝায় )। অশ্বাহাদি भूर्न्नौ । অপরাজিতার নীল ও শ্বেতবর্ণ ফুল হয়। ইহার মধ্যে শ্বেত অপরাজিতাই ঔষধে ব্যবহৃত হইয় থাকে। বৈদ্য শাস্ত্র মতে, ইহা হিম, তিক্ত, চক্ষুর হিতকর ও. ত্রিদোষশমতাকারী । ইহা সেবন করিলে পিত্ত, বিযদোষ, শোথ এবং কণ্ঠরোগ নষ্ট হয় । ইউরোপীয় চিকিৎসকের নানাপ্রকার পীড়ায় অপরাজিত প্রয়োগ করিয়াছেন । তাহার মতে ইহার মূল অত্যন্ত বিরেচক, মূত্রকর ও বমনকারক। বিলাতী ঔষধ জেলাপ চুর্ণের পরিবর্তে ইহা ব্যবহার করা যাইতে পারে। উদরী ও শোথ রোগে ইহার পাতার কিম্ব। মূলের ফান্ট সেবন করিলে মুত্রবৃদ্ধি হয়, সুতরাং অচিরে শোথ কমিয়া যায়। ডাক্তার এন্সিলি বমন করাইবার নিমিত্ত ইহা ক্রুপ, রোগে প্রয়োগ করিতে ব্যবস্থা দেন। ডাক্তার ওয়াসানসী, বেঙ্গল ডিসপেন্সেটী নামক ঔযধ গ্রন্থে লিখিয়াছেন যে, বমন করাইবার নিমিত্ত অনেকস্থলে অপরাজিত প্রয়োগ করা হইয়াছিল, কিন্তু কোন রোগীর বমন অথবা বমনোদ্বেগ হয় নাই । ডাক্তার | মুদিন সেরিফ বলেন যে, মূত্রাশয়ে উগ্ৰত জন্মিলে অপরাজিতার ফাণ্ট সেবনে বিশেষ উপপার দশে । ইউরোপে অপরাজিতার বীজেরই বিশেষ আদর । ইহার চূর্ণ মৃদ্ধবিরেচক ; সুতরাং শিশুদিগকেও নিৰ্ব্বিয়ে প্রয়োগ করা যায়। খোস্ পাচড়া প্রভৃতি চৰ্ম্মরোগে অপরাজিতার ফাণ্ট মাথাইলে উপকার করে । আমাদেয় দেশে নানা রূপ পীড়ায় যোগী, সন্ন্যাসী এবং অন্যান্ত লোকে অনেক প্রকার অবধৌত মতের ঔষধ দিয়া থাকেন । নাসা রোগের পক্ষে অপরাজিত৷ একটা বিশেষ হিতকর টোটক৷ ঔষধ । আশ্বিন মাস শেষ হইলে ডাক সংক্রাস্তির দিন অতি প্রত্যুষে ধান্তের ক্ষেত্রে গিয়া যে ধানের ফুল হইয়াছে তাহার ৯ নয়টা ছোট ছোট মূল তুলিয়া আনিবে এবং সেই ক্ষেত্র হইতে এক ঘটা পরিষ্কার জলও আনিবে। পরে সেই মূল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র করিয়া ছিড়িয়া কিঞ্চিৎ পাকা রপ্তার ভিতরে পুরিয়া রোগীকে খাইতে দিবে। ঔষধ খাওয়া হইলে রোগী উক্ত ঘটার তিন গঙুষ জল থাইবেন এবং মস্তকের উপর বাকি জল ঢালিয়া দিবেন। রোগী যে রম্ভার ভিতরে করিয়া ঔষধ সেবন করিবেন, জন্মবচ্ছিল্পে সে রম্ভ আর কখন খাইবেন না । তাহার পর [ ه نظى .] অপরাধ ঔষধ সেবন করা হইলে, শ্বেত অপরাজিতার পাতার রস উপরি উপরি তিন দিন নাকে টানিয়া লইবেন । ইহাতে প্রায় সমস্ত রোগীই নিশ্চিত আরোগ্য লাভ করেন। । সপাঘাতেও অপরাজিত বিস্তর উপকার করে । অন্যান্ত প্রকরণের সঙ্গে ইহার অৰ্দ্ধপোয়। স্লস সেবন করাইলে রোগী বমন করিতে থাকে, তাহাতে খিয নষ্ট হয়। { সর্পাঘাত দেখ ] । অপরাদ্ধ (ত্রি) অপ-রাধ-কর্তরি ক্ত। অপরাধী। স্ব কার্য্যে অক্ষম । স্থলিত । 攤 অপরাদ্ধপুষৎক (পুং ) অপরাদ্ধে লক্ষ্যাৎ স্থলিত: পৃষৎকে বাণে যন্ত। ঠিক লক্ষ্য বিধিতে অসমর্থ। যাহার বাণ লক্ষ্যে লাগে না। যে নিশান করিয়া বাণ মারিতে পারে না। ‘অপরাদ্ধ পৃষংকোংসে লক্ষ্যাদ যশ্চ্যুত সায়কঃ (অমর) অপরাদ্ধ (ত্রি) অপরাধ-তৃচ। অপরাধ কর্তা। নিজের উচিত কার্য্যে অক্ষম। (স্ত্রী) উীপ্ত অপরাদ্ধা। অপরাধ (পুং ) অপরাধ-ঘঞ । নিজের উচিত কার্যের অকরণ । আগস্। দণ্ডযোগ্য কৰ্ম্ম করা । মন্তু । ‘আগোহপরাধোমন্তুশ । ( অমর ) । 象 চলিত ধৰ্ম্মশাস্ত্র নিয়মের, সামাজিক নিয়মের এবং রাজনিয়মের অন্যথাচরণ করিলে তাহাকেই আমরা অপরাধ বলি। কিন্তু ঠিক বুঝিয়া দেখিলে অপরাধ শব্দের প্রকৃত তাৎপৰ্য্য প্রকাশ করা মুকঠিন। এক দেশে যে কাজ অপরাধ বলিয়। গণ্য হয়, অন্যত্র সেই কাজের লোকে নিন্দ করে না, তাহাকে দোয বলিয়া ধরে না । পূৰ্ব্বে আমাদের দেশে সহমরণ, নরবলি প্রভৃতি অনেক কুপ্রথা চলিত ছিল। তখন লোকে তাহা সৎকৰ্ম্ম বলিয়া জানিত, কিন্তু এখন সেই সকল কাজ ভাবিলে আমাদের শরীর শিহরিয়া উঠে। আজি কালি বালিকার অল্পবয়সে বিধবা হইলে চিরকাল বৈধব্য যন্ত্রণা ভোগ করে ; অশীতিপর বুদ্ধা নারী এক{দশীর দিন নির্জল উপবাস করিয়া থাকেন। পীড়ায় কণ্ঠ শুকাইলে, হৃদয় ফাটিয়া গেলেও তাহার মুথে এক গঙুষ জল দিবার উপায় নাই। এই নিষ্ঠুর কাজের আজি আমরা আদর করি, ইহাকে ভদ্র বংশের অবগু. কর্তব্য কৰ্ম্ম বলিয়া জ্ঞান করিয়া থাকি। কিন্তু অদ্যদেশের লোক আমাদের এই নির্দয় আচরণের কথা শুনিলে চমকিয় উঠেন,—আমরাও আবার এক দিন চমকিয়!
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৪০৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।