জগন্মার স্নায়ুর আক্ষেপ হয়, কখন বা দেহের সমস্ত স্নায়ুমণ্ডলে আক্ষেপ হইতে থাকে। ডাক্তার নাইমিরার কহেন যে, এক হাজার লোকের মধ্যে গড়ে ৬ জনের মৃগী রোগ হইতে দেখা যায়। কিন্তু ডাক্তার রেনল ডস এ কথা স্বীকার করেন না । তিনি বলেন, অন্তান্ত স্নায়ুবীয় পীড়ার সঙ্গে তুলনা করিলে মৃগী রোগ শতকরা প্রায় ৭ জনের হইতে দেখা যায়। কারণতত্ত্ব—পিতামাতার মৃগী রোগ থাকিলে সন্তানেরও প্রায় এই রোগ জন্মিতে পারে । পিতা মাতার পুৰ্ব্ব পুরুষের মধ্যে অন্ত কোন স্নায়বীয় রোগ থাকিলেও সন্তানের মৃগী রোগ জন্মিবার সম্ভাবনা। ডাক্তার ফিলস্ট কহেন যে, মৃগী রোগীর সস্তানদেরও মৃগী রোগ জন্মিতে পারে, তালিকা দেখিয়া এ কথা সপ্রমাণ করা কঠিন। স্ত্রীপুরুষের মধ্যে কোন জাতির অধিক মৃগীরোগ হয়, তাহ ঠিক নিশ্চিত হয় নাই। অধিকাংশ লোকের ১০ বৎসর হইতে ১২ । ১৩ বৎসর বয়সের সময় যৌবনবস্থার প্রাক্কালে মৃগী রোগ আরম্ভ হয়। তদ্ভিন্ন, দুধেদাত পড়িলে পুনৰ্ব্বার দন্ত বাহির হইবার সময়েও অনেকের অপস্মার হইয়া থাকে । বৃদ্ধাবস্থায় এ রোগ কচিৎ আরম্ভ হইতে দেখা যায়। মস্তিষ্কে আঘাত লাগিলে চৰ্ম্মের নিম্নে কিম্বা আভ্যস্তরিক যন্ত্রে কোন পদার্থ প্রবেশ করিলে; অন্ত্রে টিনিয়া কিম্বা অন্ত কোন প্রকার কৃমি থাকিলে ; মস্তকের অপরিমিত গঠন অর্থাৎ মাথার এক দিকের চেয়ে অপর দিকের গঠন বিভিন্ন প্রকার হইলে ; মস্তকের ভিতরে অৰ্ব্বদ, কীটাদি পরাঙ্গপুষ্ট কিম্বা প্রদাহাদি বিদ্যমান থাকিলে, অথবা ভিতরে অস্থিকৃদ্ধি হইলে মৃগীরোগ জন্মিতে পারে। অতিশয় বা অস্বাভাবিক রতিক্রিয়া; মৃচ্ছারোগ ; উন্মাদাদি অন্য প্রকার স্বায়বীয় পীড়া ; স্কোফিউল ; প্রস্রাবের পীড়া ; উপদংশ ; হঠাৎ অত্যস্ত ভয়; অত্যন্ত ক্রোধ ; অত্যন্ত মানসিক চিন্তা বা মনস্তাপ, সীস ধাতু বা সিমুলক্ষার দ্বারা বিষাক্ততা প্রভৃতি নানা কারণে অপস্মার রোগ জন্মিতে পারে । পূৰ্ব্বকালে কোন কোন জাতির এই রূপ বিশ্বাস fছল যে, দেবতারা রুষ্ট হইলে মানুষকে শাপ দেন ; মৃগী রোগ সেই অভিসম্পাতের ফল। ইহুদী, গ্রিক এরং রোমক পণ্ডিতরা অপস্মার রোগকে "ভূতে পাওয়া’ বলিয়। মানিতেন । নিদান তত্ত্ব—অপস্মার রোগের নিদানতত্ত্ব অতি [ w ] [ sبنایا ] অপস্মার শর কঠিন। মৃত্যুর পর শারীরিক নিৰ্ম্মাণের প্রায় কোন প্রকার ব্যতিক্রম দেখিতে পাওয়া যায় না । তজ্জন্ত এখন সকলেই ইহাকে ক্রিয়াধিকার জনিত ব্যাধি বগিয়া স্বীকার করেন। ওয়েঞ্ছেল, বচেট কজভেল, স্কোভার ভ্যাণ্ডার কন্ধ প্রভৃতি চিকিৎসকগণ বলেন যে, মস্তিষ্কের পিটুইটারি বডির, মস্তিষ্কের শ্বেতাংশের এবং মেডিউল অব লঙ্গেটা প্রভৃতি স্থানের বিকৃতি জন্য মৃগীরোগ জন্মে। কিন্তু এই সকল স্থানের পরিবর্তন সৰ্ব্বত্র দেখা যায় মা। যাহা হউক, অপৰ্ম্মারের লক্ষণ দেখিলে কশেরু মজ্জা এবং লম্ব মজ্জা এই পীড়ার প্রকৃত স্থান বলিয়া স্বীকার করিতে হইবে । লক্ষণ। পূৰ্ব্বাবস্থা—অজ্ঞান হইবার আগে রোগী কতকগুলি পূৰ্ব্ব লক্ষণ জানিতে পারে। এই সকল পূৰ্ব্ব লক্ষণ সৰ্ব্বত্র সমান নহে। কাহার ও মস্তক বেজন৷ করিয়া উঠে, কিম্বা হঠাৎ মস্তক ঘুরিতে থাকে। তখন রোগী চারিদিকে নানা প্রকার বর্ণ দেখিতে পায় । আমাদের বৈদ্যশাস্ত্রে লিখিত আছে যে, বায়ুজনিত অপস্মার রোগে রোগী অরুণ ও কৃষ্ণ প্রভৃতি নানা বর্ণের রূপ দেখিতে পায় । ‘পরুবারুণ কৃষ্ণানি পণ্ডোরূপাণি চানিলাৎ’ । পৈত্তিক অপম্মারে রোগী হরিদ্রা ও রক্ত বর্ণ দেখে। পীতামৃগ রূপ দৰ্শনঃ । শ্নৈগ্নিক অপস্মারে রোগী শুক্লবৰ্ণ রূপ দেখিতে পায়। পশুন্ শুক্লানি রূপাণি গ্নৈগ্নিকমুচ্যতে চিরাং । কখন বা সম্মুখে আগুন জলিতেছে বলিয়া ভ্ৰম জন্মে । কোন কোন স্থলে মুচ্ছ হুইবার পূর্ব রাত্রিতে রোগী পুনঃ পুনঃ অগ্নির স্বপ্ন দেখে । এই রূপ অবস্থা কিঞ্চিৎ কাল থাকিলে তাহার পর কাণের ভিতরে নানা প্রকার শব্দ হয়, রোগী চক্ষে আর স্পষ্ট দেখিতে পায় না । নাসিকার সকল প্রকার আস্ত্রাণ অত্যন্ত উগ্র বলিয়া বোধ হয়, পুনঃ পুনঃ হাচি হইতে থাকে । ক্রমে মুখঞ্জ বিরূপ হইয়া আসে, কোন দ্রব্য খাইলে হয় ত তাহার ঠিক আস্বাদ বুঝিতে পারা যায় না । তাছার পর শ্বাসনলীতে ঘড়ঘড় শব্দ হইতে থাকে এবং রোগী সন্মুখে নানা প্রকার কাল্পনিক দৃপ্ত স্পষ্ট দেখিতে পায়। মুচ্ছ হইবার অল্প বা অধিক ক্ষণ পূৰ্ব্বে এই সমস্ত লক্ষণের মধ্যে কোন না কোনটী অতি অল্প ব্যক্তিরই ঘটিয়া থাকে। কিন্তু মৃগীরোগের আর একটা প্রধান गक५ श्रादह ।। ८ब्राश्री शठझॉन इद्देवाब्र अदादश्ठि भूप्é এই রূপ বোধ করে, যেন কটিদেশ হইতে একটা কমি
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৪১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।