ज्रक्ष { ৪৩০ যুগ হইয় থাকে। তিন সহস্র দৈব বৎসরে ত্রেত যুগ । দুই সহস্ৰ দৈব বৎসরে দ্বাপর যুগ এবং এক সহস্ৰ দৈব বৎসরে কলি যুগ। এই চারি যুগের দ্বাদশ সহস্র গুণে দেবতাদের এক যুগ হয় । দৈব যুগের দুই সহস্র গুণে ব্ৰহ্মার অহোরাত্র ছইরা থাকে। রাজতরঙ্গিণীর মতে কলিযুগের ৬৫৩ বৎসর গত হইলে কুরু পাণ্ডবেরা প্রাচুর্ভূত হইয়াছিলেন। অতএব ৪৯৮৭-৬৫৩= ৪৩৩৪ বৎসর গত হইল যুধিষ্ঠিরা প্রচ লিত হয়। পূৰ্ব্বে এই অব ইন্দ্রপ্রস্থ এবং কশ্বির প্রভৃতি অনেক স্থানে চলিত ছিল । মালবাধিপতি বিক্রমাদিত্য দিল্লির শকরাজকে যুদ্ধে পরাজিত করিলে সম্বং শকা আরম্ভ হর। ইতিহাসে অনেক বিক্রমাদিত্যের নাম দেখা যায়। যাচার নামে সম্বৎ চলিয়া আসিতেছে তিনি কোন বিক্রমাদিত্য, সে বিষরে সময়ে সময়ে অনেক বিরোধ ঘটিয়া থাকে। কিন্তু বোধ হয় তিনিই মালবাধিপতি প্রথম বিক্রমাদিত্য রাজা । সম্বৎ অব চাঞ্জ মাসের হিসাবে গণিত হইয়া থাকে। খৃষ্ট জন্মের ৫৭ বৎসর পূৰ্ব্বে এবং কলির ৩০৪৪ বৎসর গত হইলে এই অঙ্গ স্থাপিত হয়। আজি ১২৯৩ সালে, ১৮৮৬ খৃঃ অব্দে, ১৯৪৩ সম্বং চলিতেছে। কেহ কেহ খৃষ্ট ৫৬ বৎসর পূৰ্ব্বে সম্বং অব্দের আরম্ভ গণনা করেন। কিন্তু তাহাতে এক বৎসরের ভুল হয় । সম্বৎ এবং বর্তমান চলিত সালে ৬৫০ বৎসরের প্রভেদ। গুজরাটে, উত্তরভারতে ও রাজপুতান। প্রভৃতি স্থানে ইহা অধিক চলিত। শালিবাহন নরসিংহের রাজা ছিলেন। র্তাহার সমর হইতে শকাব্দ প্রচলিত হইয়াছে। কেহ কেহু বলেন, শালিবাহনের মৃত্যুর পরে শকান্ধ আরম্ভ হয় । কিন্তু এ বিষয়ের নিশ্চিত মীমাংসা করা সুকঠিন । কলির ৩১৭৯ বৎসর গত হইলে, ১৩৫ সদ্বং অকে, খৃষ্ট ৭৮ বৎসরে শকাব্দের আরম্ভ হইয়াছে। এখন ১৮০৮ শকাব চলিতেছে। শকাব এবং চলিত সালে ৫১৫ ৰৎসরের প্রভেদ। দাক্ষিণাত্য প্রদেশে শকাব্দ অধিক চলিত। মুসলমান সম্রাটদিগের কর্তৃক তিন প্রকার অন্ম চলিত হইয়াছে। যথা, ১–বাঙ্গালার সাল। ২—বিলাभूऊि ।। ७-रुम्ज्ञैौ। বাঙ্গালার প্রচলিত সাল মুসলমানী হিজির হইতে উৎপন্ন হইয়াছে। এখন বাঙ্গালা সাল ১২৯৩ এবং f j * অবদ হিজিরা ১৩০৩ । এ প্রকার প্রভেদ হইবার কারণ এই, মুসলমান বৎসর চান্দ্র মাসে গণিত, কিন্তু এখনকার *সাল সৌরমাসে গণিত হইতেছে। তাই হিজির। হইতে আমাদের বাঙ্গালা সাল প্রায় ৯ বৎসর অগ্রবর্তী হইয় পড়িয়াছে। চান্দ্র বৎসর অপেক্ষা সৌর বৎসর প্রায় ১০ দিন ২১ ঘণ্ট। ৩০ মিনিট অধিক। সুতরাং পশ্চাদ দিকে গণনা করিয়া আসিলে বাঙ্গাল সাল এবং হিজিরা ইংরাজি ষোড়শ শতাব্দীতে সমান ছিল। কেহ কেহু অমুমান করেন যে, হোসেন শী নামক বাঙ্গালার জনৈক রাজা বাঙ্গাল সাল প্রচলিত করিয়া গিয়াছেন । বায়াণশীতে পারসী ভাষায় লিখিত এক খালি সরকারী কাগজ পাওয়া যায়। তাহাতে এই রূপ লিথিত ছিল যে, আমির তৈমুরের সময় হইতে আকবরের রাজ্যভার গ্রহণের পূর্ব পর্য্যন্ত এ দেশে তিন প্রকার অন্ধ প্রচলিত ছিল—হিজিরা, তুর্কী এবং জেলালী । মুসলমানদের মতানুসারে তুর্কী অব স্বষ্টির পর হইতে আরম্ভ হইয়াছে। এই অব দ্বাদশ বর্ষাবৃতিতে গণিত হয় অর্থাৎ ১২ বার বৎসর অন্তর অন্তর ইহর এক একটা অন্ধ হইয়া থাকে। ৪৬৪ হিজিরার ৫ ই শ্রাবণ হইতে জেলালী অব্দের আরম্ভ হইয়াছে । ভারতবর্ষের স্থানে স্থানে নানাপ্রকার অন্ধ প্রচ. লিত । আবার কোন বৎসর চান্দ্র মাসে গণিত হয়, কোন বৎসর সৌর মাসে গণিত হয়। ইহাতে রাজস্ব আদায়ের অনেক বিশৃঙ্খলা ঘটিত । তজ্জন্ত আকবরের কৰ্ম্মচারীরা সম্রাটুকে এ বিষয় জ্ঞাত করিলেন। সম্রাট এই বিশৃঙ্খলার প্রতীকারের নিমিত্ত ভারতবর্ষের উত্তরে যে সকল স্থানে সম্বং অব প্রচলিত ছিল সেখানে ফসলী অর্থাৎ ফসলের অন্ধ চলিত করিলেন। কেহ কেহ অমুমান করেন এই অব্দ ৯৬৩ হিজির আশ্বিন মাস (১৪ই ফেব্রুয়ারি ১৫৫৬ খৃঃ অঞ্চ ) হইতে অকবরের রাজত্বের দুই বৎসর পরে আরম্ভ হইয়াছিল। এখন ফসলী অন্ধ ১২৯২ । ৯৩ বৎসর। সেই সময়ে দক্ষিণ প্রদেশে ১২ই ভাদ্র হইতে বিলায়তি অন্ধ প্রচলিত করা হইয়াছিল । এখন বিলায়তি অন্ধ ১২৯২ । ৯৩ ৷ উড়িষ্যা অঞ্চলে এই বিলায়তি অন্ধকে উন্নী কহে। মহ্মদ ৬২২ খৃঃ অবে মেক্কা হইতে মদিনায় পলায়ন করেন। সেই সময় হইতে হিজির অন্ধ আরম্ভ হইয়াছে। এই অব চান্দ্র মাসে গণিত হইয়া থাকে।
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৪৫৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।