অভাব [880 J. অভি নহে । অবিদ্যমান। না থাকা । বৈশেষিকদের মতে সাত প্রকার পদার্থ আছে, ‘অভাব তাহার মধ্যে একটী পদার্থ। ইহাই সকলের শেষে পরিগণিত হইয়াছে। নৈয়ারিকেরাও ইহাকে সাত প্রকার পদার্থের মধ্যে সৰ্ব্বশেষে গণনা করিয়াছেন। ভাষা পরিচ্ছেদে লিখিত আছে,— দ্রব্যং গুণাস্তথা কৰ্ম্ম সামান্তং সবিশেষ কম। সমবায়স্তথাভাবঃ পদার্থাঃ সপ্তকীৰ্ত্তিতাঃ । দ্রব্য, গুণ, কৰ্ম্ম, সামান্ত, বিশেষ, সমবায় এবং অভাব এই সাত প্রকার পদার্থ, পদার্থবিৎপণ্ডিতেরা স্বীকার করেন। অনেকে বলিয়া থাকেন যে, ভাব না থাকিলে তাহাকেই অভাব বলা যায়। কিন্তু এরূপ ব্যাখ্য' স্পষ্ট মহে। বিশেষত:, অভাব বুঝিতে হইলে ভাব কি তাহা বুঝা আবশ্যক। সুতরাং ইহাতে অন্তোন্তাশ্রয় দোষ ঘটে । { অন্তোন্তাশ্রয় শব্দ দেথ ]। তজ্জন্ত আধুনিক পণ্ডিতের অভাবত্বকে অখণ্ডোপাধি বলেন । ( লক্ষণ শূন্ত জাতি বিশেষকে অখণ্ডোপাধি কহে )। ভাব এবং অভাব এই উভয়েই অভাব পদার্থ থাকে। যেমন, যদ্যপি বলা যায়,—“ইহ ঘট নহে— কিন্তু পট’। এথানে ঘটের অভাব, ভাব পদার্থ পটে যে রূপ থাকে, সেই রূপ পটের অভাবেও থাকে। সাংথ্যসূত্রকার ছয় প্রকার পদার্থের উল্লেখ করিয়াছেন । কিন্তু ছয় প্রকারের উল্লেখ করিলেও শেষে লিথিয়াছেন যে, ‘ন বয়ং ষট, পদার্থবাদিন: । আমরা যট পদার্থবাদী নই অর্থাৎ আমরাও সাত প্রকার পদার্থ স্বীকার করি । অভাবকে পদার্থ বলিয়া না মানিলে, ‘ঘট নাই’ এ প্রতীতি আর অন্ত কোন রূপে হইতে পারে না। সে কারণ আধুনিক পণ্ডিতের অভাবকে পদার্থ কহেন। মীমাংসকের অভাবকে অধিকরণ স্বরূপ কহেন। বৌদ্ধদের অন্ত মত । তাছার অভাবকে শূন্ত, আকাশ, নিরাবরণ বা নিরুপাথ্য রূপে ব্যবহার করেন। গীতার মতে, যাহা নাই, তাহা কখনই নাই। আর যে বস্তু আছে, তাহার অভাব কখনই হয় না। অর্থাৎ এক্ষণে যে জীবাদি অাছে তাহারা মহাপ্রলয়কালে পরমেশ্বরে লীন হইয়া থাকে। পরে মহাপ্রলয় শেষ হইলে, পুনৰ্ব্বার তাহারা জীবরূপে প্রকাশ পায়। এবং এখন যে সকল বস্তু স্থল রূপে দেখা যাইতেছে কালক্রমে তাহাদের নাশ হইলে তাহার। পরমাণুরূপে পরিণত হয়। অতঃপর তাহারাই আবার সময় বিশেষে স্থল রূপ ধারণ করিয়া ধাকে । ন্যায়াদির মতে অভাব প্রথমতঃ দুই ভাগে বিভক্ত হইয়াছে। যথা—সংসৰ্গাতাব ও অন্তোন্তাভাব। তাহার পর, সংসর্গাভাব আবার ধ্বংসাভাব, প্রাগভাব এবং অত্যন্তাভাব এই তিন প্রকারে বিভক্ত। সাংখ্য মতে প্রাগভাব, উৎপত্তির পূৰ্ব্বস্থিত কারণের স্বাক্ষাবস্থা বিশেষ। উৎপত্তি অর্থাৎ আবির্ভাব, এবং ধ্বংস অর্থাৎ তিরোভাব । অভাব শব্দে মরণকেও ৰুঝায়। (অভাবঃ স্তাদ সত্তায়ামভাবে নিধনেইপি চ । বিশ্বপ্রকাশ ) । রিকৃথং মৃতায়াঃ কন্যায়ী গৃহীয়ু সোদরাঃ স্বয়ম্। তদভাবে ভবেন্মাতুস্তদভাবে ভবেৎ পিতুঃ। (বৌধায়ন) কন্যা মরিলে তাহার ধন ভ্রাতারা পাইবে ; ভ্রাতারা মরিলে সেই ধন মাতার হইবে, এবং মাতার মরণের পর তাহা পিতা পাইবেন । o (ত্রি ) অলঙ্কার শাস্ত্রমতে, রত্যাদি স্থায়িভাব শূন্ত । অনুরাগরহিত। মীমাংসক প্রভৃতির মতে, অভাবের গ্রাহক যোগ্য বিষয়ের অনুপলব্ধি রূপ প্রমাণ বিশেষ । নাস্তি ভাবঃ সত্ত্বং যন্ত । নঞ বহুব্রী। মিথ্যাভূত । অভাবনীয় (ত্রি ) ভূ-শিচ-অনীয়র। নঞ তৎ। অচিস্তনীয়। অনুৎপাদনীয়। যে বিষয় চিন্তা করা যায় না। যাহা উৎপাদন করা যায় না। অভাবসম্পত্তি (স্ত্রী) অভাবন্ত মিথ্যাভূতন্ত সম্পত্তি । ৬-তৎ । মিথ্যাভূত পদার্থ জ্ঞান। অধ্যাস । যেমন শুক্তি দেখিয়া রজত ভ্ৰম । [ বিবরণ অধ্যাস শব্দে দেখ }। অভাষণ (ক্লী) অভাবে নঞ তৎ। ভাষণাভাব। মৌনভাব। অভি (অব্য ) ন ভাতি স্বয়ং শব্দান্তর যোগং বিন ভাবাহুলকাং কি। সমস্তাং অর্থ। সকলfদকৃ। উভয়ার্থ। লক্ষণ । বীপ । ইখম্ভাব। ধর্ষণ । (অভির এই ছয়টা অর্থ পুরুষোত্তম দেব লিখিয়াছেন)। পূজা। ভূশার্থ ( অতিশয়ার্থ )। ইচ্ছা। সৌম্য (মাধুর্য্য)। আভিমুখ্য (সান্মুখ্য )। সৌরূপ্য (স্বরূপতা )। বচন। আহার। স্বাধ্যায়। ( অডির এই নয়ট অর্থ গণরত্নে দুষ্ট হয় )। পূজায়,—ত্বামহমডিবলে। তোমাকে আমি বন্দনাকরি। ভূশার্থে,—পরদ্রব্যেস্বভিধানং। পরের দ্রব্যে অতিশয় অভিনিবেশ । ইচ্ছায়,—কামোইভিলাষ । কামতোইভিঙ্ক: । সৌম্যে,—অভিজাতবাচি । মধুর t
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৪৬৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।