পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৫০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তামরজ করিয়াছেন । তািমম (পুং ) ভাবী জিন বিশেষ। (ত্রি ) নাস্তি মম ইত্যভিমাম: গৃহাদিষু যন্ত। বল্পী। মমতাশূন্ত । গঙ্গাদির প্রতি যাহার মায়া নাই । উদাসীন। অমর (পুং ) মৃ-অচ মরং ততো নঞ তৎ । দেবতা । কুলিশ বৃক্ষ। পারদ। অস্তি সংঙ্গার বৃক্ষ। মরুদগণ বিশেষ। জরায়ু। সিজ বৃক্ষ। বিবাহের জোটক নক্ষত্র বিশেষ । (ত্রি ) নএ বচ্চত্রী। মরণশূন্ত । (পুং) অমরকোষ অভিধানের রচয়িত। লোকে ইহঁাকে অমরসিংহ কহেন। তিনি বৌদ্ধ ধৰ্ম্মাবলম্বী ছিলেন এবং মহারাজ বিক্রমাদিতোর সভায় থাকিতেন । সোমগিরির অন্তর্গত সরোবর বিশেষ । ইহাকে অমর বা দেবসরোবরও কহে । অমরকণ্টক। ছত্রিশগড়ের উত্তরে রতনপুরের অন্তর্গত পৰ্ব্বতবিশেষ। বোধ হয়, ইহাই মেঘদূতের আম্রকুট পৰ্ব্বত। বক্ষ্যত্যধ্বশ্ৰমপরিগতং সাল্লমানসকট:’। পূ০১৭। মালবের মধ্যে জব্বলপুরের প্রায় ৮০ ক্রোশ পূৰ্ব্বে অমর কণ্টক অবস্থিত। ইহার অন্তর্গত বিষ্ণুপুর ৩,৫৯৬ किं উচ্চ। পাচ কুণ্ড দ্ভদ হইতে নৰ্ম্মদ নদী অবতীর্ণ झझेয়াছে। এখানকার উচ্চতা প্রায় ৩,৫০৪ ফিট্র। অমরকোট। সিন্ধুনদের পরপারে একটা প্রসিদ্ধ স্থানের নাম। এই থানে প্রসিদ্ধ পাদশা আকবরের জন্ম হইয়াছিল । [ আকবর দেখ ] । অমরকোষ (পুং ) অমরসিংহেন প্রণীতঃ কোষোইভিধানয়। অমরসিংহ প্রণীত অভিধান বিশেষ । ইহা তিন কাণ্ডে ও অষ্টাদশবর্গে বিভক্ত। কেহ কেহ ट्रेङाद ত্রিকাগু বা লিঙ্গাতুশাসনও কহেন। চতুষ্পাঠীর ছাত্রের এই অভিধান আদ্যোপান্ত কণ্ঠস্থ করিয়া রাখেন। ইহার বর্গগুলি যথাক্রমে এই রূপে বিভক্ত করা হইয়াছে—১—স্বৰ্গবর্গ। ২–পাতালবৰ্গ । ৩–ভূমিবৰ্গ । s—পুরবর্গ । ৫—শৈলবর্গ ৬- বনৌষধিবৰ্গ । ৭– সিংহ দিবর্গ। ৮—মমুষ্যবৰ্গ। ৯–ব্রহ্মবর্গ। ১০—ক্ষত্রিয়বর্গ। ১১—বৈশ্ববৰ্গ । ১২-খুদ্রবর্গ। ১৩–প্রাণিবর্গ। ১৪—বিশেষ্য নিম্নবর্গ। ১৫–সংকীর্ণবর্গ। ১৬—নানার্থস্বর্গ। ১৭—অব্যয়বর্গ। ১৮–লিঙ্গাদি সংগ্রহবর্গ। মহেস্বর, মল্লিনাথ, নীলকণ্ঠ, ভোজরাজ, রাজদেব, তপত মরিক, রামতর্কবাগীশ, রঘুনাথ চক্রবর্তী প্রভৃতি অনেকে ইছার টীকা করিয়াছেন । অমরজ (পুং ) অমরঃ হুর্মর ইব জায়তে অমর জন-ড। ছু খদির বৃক্ষ। কালম্বন খদির। [ ৪৭৯ ] জামরনাথ অমরদারু (পুং-ক্লী) অমরাণং প্রিয়ং দারু । শাক--তৎ। দেবদারু বৃক্ষ । অমরদ্বিজ (পুং ) অমরাণাং দেবানাং পুজকঃ দ্বিজ: | শাক তৎ। দেবল ব্রাহ্মণ। পূজারী ব্রাহ্মণ । অমরনাথ (পুং ) কশ্মীরের অন্তর্গত প্রসিদ্ধ তীর্থ বিশেষ । এখানে মহাদেবের ষে স্বয়ম্ভু তুষারলিঙ্গ আছে তাহার নাম অমরনাথ বা অমরেশ্বর। প্রতি বৎসর ভাদ্রমাসের রাকী পূর্ণিমাতে ভারত বর্ষের নানা দেশের যাত্রিগণ এই তীর্থস্থানে গমন করিয়া থাকেন। অমরনাথ কশ্মীরের পূর্বদিকে অবস্থিত। ইহার উত্তরে তিববৎ দেশ। এখানকার পর্বতমালা অতিশয় উচ্চ নীচ ; উদ্ধে প্রায় ১৫,০০০। ১৬,০০০ ফিট হইবে। শীত নাই, গ্রীষ্ম নাই,--চারিদিক বারমাস তুষারে আবৃত। পথ দুর্গম; প্রাণিশল্প, তৃণশূন্ত; আবার সহস্ৰ সহস্র প্রস্তর থগু ও হিমশিলা পতনোয়ুখ হইয়া রচিয়াছে। ছাটিবার সময়ে যাত্রীরা একটু উচ্চস্বরে কথা কহিলে কিম্বা জোরে পায়ের শব্দ করিলে তাঙ্গার প্রতিঘাতে সেই সকল শিলা খসিয়া আসিয়া মাথার উপরে পড়ে। এদিকে আবার ভাদ্রমাস, রাত্রিদিন বৃষ্টি হইতে থাকে ; কখন কথন বরফও পড়ে। এত বিঘ্ন বিপত্তি, তবু এষ্ট স্বয়স্কৃলিঙ্গ দর্শন করিবার নিমিত্ত প্রতিবৎসর প্রায় দুই হাজার ষাত্রী অমর নাথে গিয়া থাকেন। পথ এত দুর্গম বলিয়া কশ্মীরের মহারাজ যাত্রীদের বিশেষ সহায়তা করেন । এই মহাতীর্থ দৰ্শন করিবার নিমিত্ত ভারতবর্ষের অতি দূরতর স্থান হষ্টতে যাত্রী আসে। তাছার মধ্যে ধনী দরিদ্র, যোগী সন্ন্যাসী, সকল সম্প্রদায়ের লোক দেখা যায়। দরিদ্র লোককে মাহারাজ নিজে পাথেয় দিয়া থাকেন। রাকী পূর্ণিমার চৌদ্ধ পনর দিন পূৰ্ব্বে শ্ৰীনগরের নিকটে রামবাগে রাজ-ঝাওঁ উড়াইয়। দেওয়া হয়। এই পতাকা দেখিয় যাত্রীরা ক্রমশ: একত্রিত হইতে থাকে। তাহার পর পূর্ণিমার আট দিন থাকিতে সকলে শ্ৰীনগর হইতে যাত্রা করে। অনন্তনাগে রাজ-ছটা পৌছিলে যাত্রীরা তার কেহ কোথাও থাকে না, সকলে জাসিয়া একত্র মিলিত হয়। এখান হইতে অমরনাথ ২৮ ক্রোশ দূর ; পাচ আড্ডা হইয়া তাহার পর তীর্থস্থানে পৌছিতে হয়। পথে কিছুই পাওয়া যায় না ; অমরনাথেও হাট বাজার নাই, লোকের বসতি নাই ; তজন্ত যাত্রীর অনন্তনাগ হইতে দ্রব্য সামগ্রী কিনিয়া