অমরাবতী [ 8ઝર ] অমরাবতী । ইন্দ্রপুরের ভিতর দিয়। প্রবাহিত হইতেছে। দেবরাজ ইন্দ্র এখানকার অধীশ্বর । বোথর প্রভৃতি স্থানের মিকটে ‘ইন্দরালয়’ নামে একটা স্থান আছে। কেহ কেহ অনুমান করেন যে, তাহাই প্রাচীন ইন্দ্ৰালয় বা অমরাবতী এবং অলকাননার আধুনিক নাম অক্ষস । বেদ ও পুরাণাদিতে দেখিতে পাওয়া যায়, পূৰ্ব্বে অসুরের ইন্দ্রের সঙ্গে অনেক বার বিরোধ করিয়াছিল। বোধ হয় ইন্দ্রের রাজধানী প্রভৃতি কড়িয়া লইবার নিমিত্তই তাহারা পুনঃ পুনঃ বিরোধ করিয়া থাকিবে । কৃষ্ণানদীর কলে অমরাবতী নামক একটা প্রাচীন রাজধানীর ভগ্নাবশেষ এখনও বিদ্যমান আছে। উড়িষ্যার বিবরণে দেখা যায় যে, তথাকার রাজা সূৰ্য্যদেব খৃষ্টের দ্বাদশ শতাব্দীতে অমরাবতী নগর স্থাপন করিয়াছিলেন। কেহ কেহ অনুমান করেন, দ্বাদশ লিঙ্গের মধ্যে অনরনাথ বা অমরেশ্বর মহাদেবের লিঙ্গ এই খানে প্রতিষ্ঠিত ছিল; তাহার পর এখানে বৌদ্ধ মন্দির ও গুফী প্রভৃতি নিৰ্ম্মিত হয়। এখনও বৌদ্ধদের অনেক মন্দিরাদি ভাঙ্গিয় স্ত,পাকার হইয়া আছে। কোন কোন দেব লয়াদির প্রস্তরে নানা প্রকার বিবরণ থোদিত ছিল । তাহার ভাষা সংস্কৃত, কিন্তু বিশুদ্ধ নহে। অক্ষর সিংহল সিওনী এবং অন্ধের মত। কেহ কেহ বলেন যে, ৬০০ এবং ১০০০ খৃষ্টাদের মধ্যে ঐ সকল বৌদ্ধ মন্দির নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। কিন্তু এ কথা স্বীকার কয়িলে উড়িষ্যার বিবরণের সঙ্গে অনেক বিরোধ ঘটে। এখানে অমরাবতীর একটা টোপের চিত্র দেওয়া হইল। খৃষ্ট অনুমান ৩০০ বা ৪০০ বৎসরে বৌদ্ধের নাগ, চক্র এবং বৃক্ষের পূজা করিতেন । এই তিনটা 1 * বুদ্ধ, ধৰ্ম্ম এবং সঙ্গ ইহাদের বিভূতি। কিন্তু এ সম্বন্ধে অনেক মতান্তরও দেখা যায়। এই চিত্রের মধ্যস্থলে একটা মূৰ্ত্তি রহিয়াছে। তাহার মস্তক নাগফণায় সুশোভিত। সম্মুখে চারিজন ভক্ত প্রণাম করিতেছে। নিয়ের দুই পার্শ্বে কয়েক জন ব্যক্তি মাথায় করিয়া কি লইয়। যাইতেছে। উপরের দুই পার্থে সিংহ এবং আরও কতকগুলি প্রতিমূৰ্বি রহিয়াছে। চুড়ার উপরে চক্র । অমরাবতীর আরও করেকটা স্থলে নাগ, চক্র এবং বৃক্ষের প্রতিমূৰ্ত্তি দেখিতে পাওয়া যায়। এক স্থানের
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৫০৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।