অমাবস্যা তাহার কারণ এই, এই চিত্রে পৃথিবীর এবং চন্দ্রের ভ্রমণপথ যে প্রকার সমতলক্ষেত্রে দর্শিত হইয়াছে, বস্তুতঃ আকাশে ইহাদের পথ এরূপ সমতল নহে । সমতল হইলে প্রতি মাসেই একবার করিয়া স্বৰ্য্যগ্রহণ হইত। চন্দ্রের ভ্রমণ পথ, পৃথিবীর ভ্রমণ পথের দিকে একটু হেলিয়া আছে। স্বক্ষ হিসাব করিলে ঐ বক্রতার কোণের পরিমাণ ৫° ৮ +, হয় ; কাজেই চন্দ্রমণ্ডল ঘুরিতে ঘুরিতে কখন পৃথিবীর ভ্রমণ পথের উদ্ধে কখন অধোদিকে আসিয়া পড়ে, তাই যে সময়ে চন্দ্র, পৃথিবীর ভ্রমণপথের উপর দিয়া আড়াআড়ি পার হইয়া যায় সেই দিন অমাবস্ত্যা হইলে সূৰ্য্যগ্রহণ ঘটে। চন্দ্রের আকর্ষণে সমুদ্রের জল স্ফীত হইয়া উঠে, তাই গঙ্গা প্রভৃতি নদীতে সে সময়ে জোয়ার হয়। অমাবস্তা এবং পূর্ণিমার কোটালে সমুদ্রের জল অত্যন্ত স্ফীত হইয় উঠে, তজ্জন্ত সে সময়ে বান ডাকে । কোন স্থানের দ্রাঘিমার উপরে চন্দ্র উপস্থিত হইলে তাহার তিন ঘণ্ট। পরে জোয়ার হয়। চন্দ্রের দিকের দ্রাঘিমায় এবং তাহার বিপরীত দিকেও জোয়ার হইয় থাকে। চন্দ্র, একবার ঘুরিয়া পুনৰ্ব্বার আপনার দ্রাঘিমাতে আসিয়া পৌছিতে ২৪ ঘণ্টা ৫০ মিনিট লাগে, সুতরাং ১২ ঘণ্টা ২৫ মিনিট অন্তর অহোরাত্রের মধ্যে হুইবার জোয়ার হয় ।
- । অমাবস্তাদহুতরস্তাম্। পা ৩। ১ । ১২২। অম! এই উপপদের পরস্থিত বস ধাতুর উত্তর অধিকরণ বাচ্যে শ্যৎ প্রত্যয় হয়। বৃদ্ধি হইলে নিপাতনে বিকল্পে হ্রস্বও হইয়া থাকে। বৃদ্ধে সত্যাং পাক্ষিকো হ্রস্বশ নিপাত্যতে। অমা সহ বসতোহস্তাঞ্চন্দ্রার্কেী অমাবাস্ত অমাবস্তা । (সি• কেী) । ‘অমাবস্ত গুরুং হস্তি শিষ্যং হস্তি চতুর্দশী’ । (মন্ত্র ৪ । ১১৪ ) অমাবস্তায় ছাত্র অধ্যয়ন করিলে গুরুকে হনন করে এবং চতুর্দশীতে অধ্যয়ন করিলে শিষ্যকে হনন কয়ে।
শাস্ত্রকারের বিশেষ বিশেষ কর্তব্য কৰ্ম্মের জন্ত অমাবস্তাকে কয়েক প্রকারে বিভক্ত করিয়াছেন । চতুর্দশীযুক্ত অমাবস্তার নাম সিনীবালী এবং ক্ষয়যুক্ত অমাবস্তার নাম কুছ । অমাবস্তাতে তৈল মাখিতে নাই, ক্ষৌরকর্ণ, মৎস্ত মাংস ভোজন এবং স্ত্রীসম্ভোগও নিষিদ্ধ। এই তিথিতে ধাস্ত বা তৃণাদি ছেদন করিতে নাই। পুষ্য নক্ষত্রে বা জন্ম নক্ষত্রে, ব্যতীপাত বা বৈধৃতি যোগে অমাবস্ত হইলে সেদিন মদী মান করিলে [ ৪৮৬ ] অমিতাশন সপ্তকুল পবিত্র হয়। মঙ্গলবারে অমাবস্যা হইলে সেদিন নদীমানে সহস্ৰ গোদানের ফল হইয়া থাকে। সোমবারে সিনীবালী বা কুহু অমাবস্ত হইলে, তাহাতে মেীন হইয়া স্নান করিলে সহস্ৰ গোদানের ফল হয়। মুখ্য চান্দ্র পৌষের অমাবস্তায় যদি রবিবার এবং ব্যতীপাত যোগ ও শ্রবণা নক্ষত্র হয়, তবে তাহার নাম অৰ্দ্ধোদয় যোগ। এই যোগ কচিৎ কথনও ঘটিয়া থাকে। ১২৭০ সালের ২৬ মাঘ এই যোগ ঘটিয়াছিল, হিন্দুরা বহু দুরতর স্থান হইতে গঙ্গা স্নান করিতে আসিয়াছিলেন। অমাবস্তাই শ্রাদ্ধের প্রশস্ত কাল, সে জন্ত প্রতিমাসের কৃষ্ণপক্ষ নিমিত্তক পাৰ্ব্বণ শ্ৰাদ্ধ অমাবস্তাতেই করিতে হয় । অমাবস্তা শ্রাদ্ধের প্রশস্ত কাল অপরাহু । দিনকে পাচ ভাগ করিলে তাহার চতুর্থ ভাগের নাম অপরাহু, সেই সময়ে পাৰ্ব্বণ শ্ৰাদ্ধ করণ কর্তব্য । উভয় দিনে মুখ্য অপরাহ্ল না পাইলে পরদিন অষ্টম ও নবম মুহূৰ্ত্তরূপ গৌণ অপরাত্ত্বেও শ্রাদ্ধের বিধান আছে। সোঁর আশ্বিন মাসের অমাবস্যাকে মহালয়া কহে। মহালয়ায় শ্ৰাদ্ধ করিলে উনিশটা পিণ্ডদান করিতে হয় । তাহার নাম ষোড়শ পিণ্ডদান । কাৰ্ত্তিক মাসের অমাবস্যার নাম দীপাম্বিত । দীপান্বিতায় শ্রান্ধের পরে উল্কাদান করিতে হয়। প্রতিমাসে অমাবস্যার এক একটা ব্ৰতও প্রচলিত আছে । অমাবসু (পুং ) উৰ্ব্বশীর গর্ভজাত পুরুরবার পুত্র। ইহারা সাত ভাই। যথা—আয়ু, অমাবস্থ, বিশ্বায়ু, শ্রতায়ু, দৃঢ়ায়ু, বনায়ু, এবং শতায় । (হরিবংশ )। চন্দ্রবংশীয় কুশের চতুর্থ পুত্রের নামও অমাবস্ব। ইনি বস্ব এবং কুশিক নামেও প্রসিদ্ধ। (বিষ্ণুপুরাণ)। অমিত (ত্রি) ন মিতম্। নঞ তৎ। পরিমিত নহে। অপরিচ্ছিন্ন। ইয়ত্তা রহিত । অজ্ঞাত । অমিতধ্বজ (পুং ) চন্দ্রবংশীয় ধৰ্ম্মধ্বজের পুত্র। অমিতবিক্রম (পুং ) অমিতা অপরিচ্ছিন্না বিক্রমন্ত্রয়ঃ পাদনিঃক্ষেপরুপ যন্ত। অমিত: বিক্রম: শৌর্য্যমস্তেতি বা বহুব্রী। বিষ্ণু। (ত্রি ) বহু বিক্রমশালী। অধিক শৌর্য্য সম্পন্ন। অমিতাভ (পুং ) সাবর্ণ মন্বন্তরের দ্বিতীয় শ্রেণীর এবং রৈবত মস্বস্তরের প্রথম শ্রেণীর দেবতা । অমিতাশন (পুং) অমিতম্ অশ্নাতি প্রলয় সময়ে অমিতঅশ-লু। সৰ্ব্বভক্ষক পরমেশ্বর। বিষ্ণু। ( छि) अभिज्रम् অশনং যন্ত। বহুত্ৰী। অপরিমিতভোজী। অতিভোজী। χ T