অযোধ্য। - শ্রাবন্ত রাজা এই নগর স্থাপন করেন। অনেক দিন পৰ্য্যন্ত এখানে বৌদ্ধ ধর্মের অনুশীলন হইয়াছিল । কপিলবস্তিতে শাক্য মুনি জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন । তাহার পর অযোধ্যায় আসিয়া তিনি ধৰ্ম্ম প্রচার করিতে লাগিলেন। খৃষ্ট ৫৫ বৎসর পূৰ্ব্বে কাশীনগরে তিনি নিৰ্ব্বাণ মুক্তি লাভ করেন। ৪০০ খৃঃ অব্দে চীন পরিব্রাজক ফা-হিয়ান শ্রাবস্তীতে আসিয়াছিলেন। তখন নগরের প্রাচীর ভাঙ্গিয়া গিয়াছে, প্রাচীরের ভিতরে তাঙ্গা মন্দির ও অট্টালিকা রাশি হইয়া পড়িয়া আছে। কয়েক জন দরিদ্র সন্ন্যাসী ভিন্ন নগরে আর কেহই নাই। তাহার পর সপ্তম শতাদীতে হুয়েঙ-সিয়াঙ অযোধ্যায় আসিয়াছিলেন। আসিয়া দেখেন, তখনও প্রায় বিশট বৌদ্ধ মন্দির আছে। সেই মন্দিরে প্রায় তিন হাজার মহাস্ত বাস করেন । সে সময়ে ব্রাহ্মণদেরও প্রায় বিশটা মন্দির বিদ্যমান ছিল । হুয়াঙ সিয়াঙ অযোধ্যাকে অযুত বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন । অযোধ্যায় ছয়ট জৈন মন্দির আছে । আদিনাথ জৈনদিগের প্রথম তীর্থঙ্কর। এই অযোধ্যা নগরীই র্তাহার জন্ম স্থান। ৯৬০ খৃঃ অব্দে আবু পৰ্ব্বতে তিনি প্রাণত্যাগ করিয়াছিলেন। স্বৰ্গদ্বারের কাছে মুরইতোলায় একটা সুপের উপরে তাহার মন্দির আছে। মন্দিরের কাছে মুসলমানদের অনেকগুলি কবর এবং একটা মসিদও আছে। দ্বিতীয় তীর্থাঙ্কর অজিতনাখ । ইনিও অযোধ্যায় জন্ম গ্রহণ করিয়া পারখানাথে প্রাণত্যাগ করিয়াছিলেন। ইতোর সরোবরের পশ্চিম ধারে ইষ্ঠার মন্দির স্থাপিত আছে। অভিননীননাথ জৈনদিগের চতুর্থ তীর্থঙ্কর। ইনিও অযোধ্যায় জন্ম গ্রহণ করিয়া পায়শ্বনাথে দেহত্যাগ করেন। অযোধ্যার সরাইয়ের নিকটে ইষ্ঠার মন্দির আছে। ষষ্ঠ তীর্থাঙ্করের নাম স্বমস্তনাথ। চতুর্দশ অনস্তনাথ। অযোধ্যানগর ইহঁাদের সকলেরই জন্মস্থান এবং ইহারা সকলেই পারশ্বনাখে প্রাণত্যাগ করিয়াছিলেন। রামকোটের ভিতরে স্বমস্তনাখের মন্দির। অনন্তনাথের মন্দির গোলাঘাট নালার ধারে স্থাপিত আছে। এই পাঁচটা দিগম্বর জৈনদিগের মন্দির। এতদ্ভিন্ন শেতাম্বর জৈনनिरशद्र७ ५कणै भमिब्र श्राद्वह ।। ८अन भनिब ७णि অধিক প্রাচীন দয়। झल् िशिक्षrइङ्ग भ्रंक्षिप्ह् ५झॉन ब्रख्व{*tषंतःि मश [ ৫২১ ] অযোধ্য{ দেব আছেন । নৰ্ম্মদ মদীর প্রস্তর দিয়া সেই দেৰমূৰ্ত্তি খোদিত করা হইয়াছে। মলিয়ট চুণারের পাথরে নিৰ্ম্মিত। এইখানে একটী বৃহদাকায় ঘণ্ট আছে । সেই ঘণ্টা বাজাইলে তাহার গম্ভীর নাদে চারিদিকে প্রতিধ্বনি হইতে থাকে। রাজা দশম সিংহ এই রূপ একটা ধড় ঘণ্ট প্রস্তুত করিবার জন্য নেপালের কারিকরদের কাছে লোক পাঠাইয় দেন। ঘণ্ট। প্রস্তুত হইল। কিন্তু নেপাল হইতে অযোধ্যায় আনিবার সময়ে পথে তাহা ভাঙ্গিয়া যায়। সুতরাং নেপালের নমুন। দেখিয়া বর্তমান ঘণ্টাট অযোধ্যাতেই ঢালাই করা হয়। মণিপৰ্ব্বতের কাছে দুইটা কৰয় আছে। মুসলমামের বলেন যে, ঐ কবরে সেথ এবং জব পৈগম্বর সমাহিত আছেন। পূৰ্ব্বে এইখানে গণেশ কুও নামে একটা কুপ ছিল। এখানে সোমগিরি নামে ছুইটী ছোট ছোট স্তুপ আছে। সোমগিরি কি, ইহার বিশেষ বৃত্তান্ত । কিছুই জানিবার উপায় নাই। এখান হইতে অৰ্দ্ধ ক্রোশ দূরে আর একটা কবর দেখিতে পাওয়া যায়। এই খানে এক জন দরবেশী সন্ন্যাসী থাকেন । তিনি বলেন যে, ইহাই বাইবলের উল্লিখিত নোয়ার সমাধিস্থান । মহাবীর সিকন্যর রূমী (আলেক্জান্ধায় ) এই কবয় নিৰ্ম্মাণ করাইয়। দিয়াছিলেন। বহু বেগমের কবরও একটী উৎকৃষ্ট স্থান। যন্থ বেগম এবং অযোধ্যার নবাব ইংরাজ গভর্ণমেণ্টের সঙ্গে এই রূপ বন্দবস্ত করিয়াছিলেন যে, তাহার সম্পত্তি হইতে তিন লক্ষ টাকা কবর নিৰ্ম্মাণ করাইবার নিমিত্ত্ব পৃথক্ রাখা হইবে। তদ্ভিন্ন ঐ গোরস্থানে যে সকল দাস দাসী থাকিবে ও অতিথি ফকির আসিবে, তাহদের ব্যয় নিৰ্ব্বাহের নিমিত্ত র্তাহার জমিদারী হইতে বার্ষিক দশ হাজার টাকা নির্দিষ্ট থাকিল। ১৮১৬ খৃঃ অন্ধে বেগমের মৃত্যু হয়। কবরের কার্য্য জায়গু হইল। কিন্তু মধ্যে মধ্যে অমেক বিস্ত্র বিপত্তি ঘটিয়াছিল। শেষে ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দের সিপাহী বিদ্রোহের পর কবয় সম্পূর্ণ হয়। সম্প্রতি এখানকার ব্যয় নিৰ্ব্বাহের নিমিত্ত্ব গভর্ণমেণ্ট বার্ষিক ৪৮৩৩ টাকা দেন এবং কৱয়ের সংস্কায়ের নিমিত্ত ১••• টাকা গচ্ছিত রাখেন। । অযোধ্যায় এখন সৰ্ব্বসমেত ৯৬ টা মন্দির আছে ; তাহার মধ্যে ৬৩টা বিষ্ণুমশিল্প এবং ৩৩টি শিব মঙ্গিয় । ७उडिङ्ग भूगगशनरनङ्ग ७ी बनिब जाम्झुछि द६गद्र ब्राममरशैछ यषरह ५षाम्ब cनग:इंग्लश: अस्ति । [29,
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৫৪৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।