সেই মেলায় অনুমে ৫••,••• লোকের সমাগম হয় । অতুি প্রাচীন কাল হইতে অনেক রাজবিপ্লবের পর ১৮৪৬ খৃঃ অঙ্গে অযোধ্য। ইংরাজ অধিকৃত হইয়াছে। সৰ্ব্ব প্রথমে স্বৰ্য্যৰংশীয় রাজার। এই খানে রাজত্ব করিতেন। তাহার পর শ্রাবস্তীর রাজার। অনেক দিন পর্য্যন্ত এই নগরে রাজত্ব করিয়াছিলেন। বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের প্রাদু র্তাব কালে রাজা অশোকের এখানে বিশেষ আধিপত্য | ছিল। কঙ্গীরের রাজা মেঘবাহনের সময়ে অযোধ্য তাহার অধীনে ছিল, এ রূপ অনেক জনপ্রবাদ আছে। বিক্রমাজিং মেঘবাহনকে যুদ্ধে পরাস্ত করিয়া রামচরিতের লুপ্তকৃতি উদ্ধার করেন। বিক্রমাজিতের পরে সমুদ্র পালবংশীয়ের ৬৪৩ বৎসর এখানে রাজত্ব করিয়াছিলেন। তাছার পর অযোধ্যা নগরী পুনৰ্ব্বার জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়। *. খৃষ্ট অষ্টম শতাব্দীতে থারু নামে এক অসভ্যজাতি হিমালয় পৰ্ব্বত হইতে আসিয়া অযোধ্যায় জঙ্গল পরিস্কার করিতে লাগিল । কিন্তু বোধ হয়, কৃষিকাৰ্য্য ভিন্ন ইহাদের অন্য উদ্যে ছিল না । তাই রাজ্য বিস্তার করিবার নিমিত্ত তাহার কখন যত্ন করে নাই। এক শত বৎসর সুখে স্বচ্ছন্দে চলিয়া গেল। তাহার পর উত্তর পশ্চিম দিক হইতে সোমবংশের রাজারা আসিয়৷ থায় দিগকে অযোধ্যা হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দিয়াছিলেন । সোমবংশীয়ের জৈন মতাবলম্বী। একাদশ শতাব্দীর শেষে কশোজের রাজা চন্দ্রদেব, চন্দ্রবংশীয় রাজাদিগকে দূরীভূত করিয়া অযোধ্যা ও উত্তর কোশল অধিকার করিলেন। তাহার পর অযোধ্যাপুরী ভড় নামক এক অসভ্য জাতির হাতে আসিয়া পড়ে। ভড়েরাও জৈনমতাবলম্বী ছিল। ১১৯৪ খৃঃ অন্ধে শাহ-উদ্দিন ঘোরী কণেজ জয় করিয়া অযোধ্যা লুঠ করিয়াছিলেন। এই সময় হইতে বহুকালের প্রাচীন আর্য রাজধানী যবন অধিকার ভুক্ত হয় । [ অযোধ্যার মুসলমান রাজাদের বিবরণ লল্পেী পৰে দেখ। অযোধ্য প্রদেশের মধ্যে গঙ্গা, গোমতী, ঘর্ঘরা এবং রাপ্তি এই চারিট নদীই প্রসিদ্ধ। এখানে অনেক গুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হ্রদ আছে। এখানকার মৃত্তিক বিলক্ষণ फेर्सब्र। किरु श्राणि काणि अन्नक शॉन उरुद्रजूमि | श्हेब्रा बाँहेख्दछ। बरु, अझ, cशण, ड्रग्ने, ठिण, जषि, বঙ্গা, নানাবিধ উব, ইঙ্গ-তামাকু,নীল, কার্শাল, পরিমাণে উৎপন্ন হইয়া থাকে। পূৰ্ব্বে এখানে অপৰ্য্যাপ্ত লবণ প্রস্তুত হইত। এখন গভর্ণমেণ্ট কর্তৃক তাহ বন্ধ করিয়া দেওয়া হইয়াছে। পূৰ্ব্বে এখানে বনহস্তী, মহিষ, বাঘ, শূকর প্রভৃতি বস্ত পণ্ড অত্যস্ত উপত্রব করিত। এখন আর প্রায় তাহাদিগকে দেখিতে পাওয়া যায় না। কিন্তু নীলগাই, হরিণ এবং ময়ুর উষর ভূমিতে পালে পালে চরিয়া বেড়ায় এবং মধ্যে মধ্যে কৃষকের ক্ষেত্রে আসিয়া উপদ্রব করে। বৃন্দাবনের মত অযোধ্যাপুরীর ভিতরেও অসংখ্য বানর। যাত্রীরা তাহাদিগকে ছোলা ও লাড়, থাইতে দেন। অযোধ্যার অন্তর্গত খয়রাগড়ের সালকাঠ অত্যস্ত বিখ্যাত। ঐ সালবন গভর্ণমেণ্টের অধিকারে আছে। গভর্ণমেণ্টের লোকে সাল গাছ কাটিয়া ঘর্ঘর নদীতে মাড় বাধে। তাহার পর জল দিয়া ভাসাইয়া বাহারামঘাটে লইয়া আসে। এইখানে সেই সকল কাঠ কলে চেরাই করা হয়। অযোধ্যার মধ্যে বিস্তর মৌল ও শিশম বৃক্ষও জন্মে। অযোধ্যারাম (আজু গোসাই)। অযোধ্যারাম গোস্বা মীর নিযাস হালিসহরে। তাহার পিতার নাম রামরাম গোস্বামী । তিনি সংস্কৃত শাস্ত্রে বিলক্ষণ পণ্ডিত ছিলেন। আজু গোসাঁই তেমন প্রসিদ্ধ লোক নহেন, কিন্তু তাহার চরিত্র একটু কৌতু কাবহ বটে। তিনি কতকটা পাগলের মত ছিলেন ; কিন্তু সেই পাগলামীর ভিতরে একটু কবিত্বশক্তি ছিল। কবিরঞ্জন রামপ্রসাদ সেনও হালিসহর নিবাসী ; অতএব উভয়েই এক গ্রামের লোক। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র হালিসহরে আলিলে দুই জনকে আপনার কাছে ডাকাইয়। কৌতুক দেখিতেন। রামপ্রসাদ কোন গান রচনা করিলে আজু গোসাঁই বিক্রপ করিয়৷ সেই গানের উত্তর দিতেন। রামপ্রসাদের একটী গানে আছে— গুণমা ভাব সাগরে ডোব নারে মন, কেন আর বেড়াও ভেসে ৷ ইত্যাদি। আজু গোসাঁই কৃষ্ণচন্দ্র রাজার সম্মুখে উত্তর দিলেন,— · একে তোমার কোপে মাড়ী, पूर नि७ ना बाष्प्लांबांज़ि, হলে পরে জরজাড়ি, যেতে হবে যমের বাড়ী। রামপ্রদাদের কালীঙ্কীর্তনে লিখিত আছে,-r
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৫৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।