रुद्भिश्नद्धितःि [ ৫২৬ o \. সে পতি নও, কোন প্রতারক,-ছল করিয়া দ্বারের কাছে ডাকিতেছ। আমার যিনি পতি, আজি তিনি সমরক্ষেত্রে বীরশয্যায় গুইয়া আছেন। দুৰ্ম্মতি দ্বায় ছাড়িয়া দে, আমি চিত সাজাইয়া পতির অনুগমন করিব । রাজপুত বীরমহিলাদের এত স্পৰ্দ্ধা, বীরত্বের এত আদর! তাহীদের শিরায় শিরায় তপ্ত শোণিত স্রোত; চুটিয়া বেড়াইত ; রণোন্মত্ত গ্রাণপুত্তলী যুদ্ধের নাম শুনিলে নাচিয়া উঠিত। আজি কালের গতিতে সকলি নিৰ্ব্বাণ হইয়া যাইতেছে । অরঙ্গজিবের জ্যেষ্ঠভ্রাতারা যাহা হউক এক প্রকার নিরস্ত হইয়াছেন। জয়সিংহ প্রভৃতি যে সকল মহাবীর দারার প্রধান সেনাপতি,আরঙ্গজিব পুনঃপুনঃ পত্র লিথিয় এবং চর পাঠাইয় তাহাদের মন ভাঙ্গিয়া দিলেন । সেনাপতিরাও ভাবিলেন, দারার আর কল্যাণ নাই । শাজেহানেরও দিন ফুরাইয়াছে ; বুঝিতে গেলে এই বিশাল রাজ্য অরঙ্গজিবের হাতে। তাই সেনাপতির। ও সিপাহীর দারার অবাধ্য হইয়। পড়িলেন। সম্প্রতি সিংহাসনের প্রধান কণ্টক নিজে সম্রাট । মুরাদ অার এক জন প্রতিযোগী। এই দুই জনকে নিরস্ত করিতে পারিলে মনোরথ পূর্ণ হয়। শঠের অসাধ্য কিছুই নাই। অরঙ্গজিব বুঝিয়া দেখিলেন, এখনও বল প্রকাশের সময় আসে নাই, তাহার অতীঃসিদ্ধির জন্ত কৌশল এক মাত্র উপায়। সে জন্ত মুরাদকে সঙ্গে লইয়া তিনি আগরার কাছে আসিয়া ছাউনী করিলেন, কেল্লায় সম্রাট । অরঙ্গজিব এক জন বিশ্বাসী চর দ্বারা সম্রাটকে এই কথা বলিয়া পাঠাইলেন,—তুমি মাট চুইয়া পিতাকে বলিবে, আমি যে কাজ করিয়াছি তাহা সস্তানের অযোগ্য। কিন্তু তাহাতে আমার দোষ নাই, সে দোয দারার। যাহা হউক, তিনি যে কঠিন পীড়া হইতে আরোগ্যলাভ করিয়াছেন, তাহাই মঙ্গল । এখন পুত্র বলিয়া এ দাসকে ক্ষমা করিলে আমার হৃদয় শীতল হয় । চর আসিয়া সম্রাটকে অরঙ্গজিবের নিবেদন জানাইল । বৃদ্ধ বয়সে বুদ্ধি যায়; যাহা হউক, তবু পিতা,— শাজেহান নিজ পুত্রকে ভাল করিয়াই চিনিতেন। "অবসর পাইলে মোগলরাজ্যের সম্রাট হইতে হইবে, অরঙ্গজিবের এ সাধ, বালক কাল হইতে । অন্তে না বুকুৰু, শাজেহান সে দুরভিসন্ধি অনেক দিন হইতে বুৰিয়া রাখিয়াছিলেন। কিন্তু ভিতরের কথাটা কি ! - - -- _ তাহা ঠিক জানিবার জন্য আপনার কস্তা জাহামায়াকে পুত্রদের তাম্বুতে পাঠাইয়া দিলেন। জাহানার প্রথমে মুরাদের তাতে গেলেন। গত যুদ্ধে তাহার সর্বাঙ্গ অস্ত্রাঘাতে ক্ষত বিক্ষত হইয়াছিল। তিনি কাতর হইয়া গুইয়া ছিলেন। এমন সময়ে জাহমারা উপস্থিত। মুরাদ জানিতেন, তাহার সম্পূর্ণ মনের টান দারার প্রতি। সে কারণ তিনি কিছুই সমাদর করিলেন না, বরং অনেক কটু কথা বলিয়া ভগিনীর অপমান করিলেন । চর গিয়া আরঙ্গজিবকে গোপনে এই সকল বৃত্তান্ত জানাইল । w কুচক্র অরঙ্গজিবের সকল কাজের বীজম , জাহানারা ক্রোধ করিয়া উঠিয়া যাইতেছেন আরঙ্গজিব দৌড়াদড়ী সেই খানে আসিলেন। খলে হৃদয়ে বিষ, মুখে মধুবৃষ্টি ; তিনি জাহানারার হাতে ধরির বলিলেন,—‘ভগিনি ! সে কি ? আমি কি কেহই নই ? আসিয়াছ যদি, ভাই বলিয়। একবার ত তত্ব লইতে হয়। এত দিন বিদেশে ছিলাম বলিয়া কি ভুলিয়। গিয়াছ ? পিতা এত পীড়িত হইয়াছিলেন, লোক পাঠাইয়াও ত সংবাদ দিতে হইত। এই রূপ তোষামোদ করিয়া তিনি জাহানারাকে আপনার তাম্বুতে লইয়া গেলেন । লইয়া গির বলিলেন,–“ভগিনি । বলিব কি, লোকের ভাবগতি দেখিয়া সংসারে আমার বিতৃষ্ণ জন্মিয়াছে। তুমি পিতার কাছে আমার এই সামুনয় নিবেদন জানাইবে, আমি একবার তাহায় শ্ৰীপাদপদ্ম দর্শন করিয়া সংসার পরিত্যাগ করিব । অতএব আর বিলম্বে কাজ নাই, পরশ্ব তাহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে ইচ্ছা করি’ । জাহানার। চলির গেলে অরঙ্গজিব পিতাকে কারারুদ্ধ করিবার চেষ্টায় থাকিলেন। শাজেহানও বুঝিতে পারিলেন যে, শঠের এত ভক্তি সুলক্ষণ নয় । তিনি দারাকে লিখিয়া পাঠাইলেন যে,--“তুই দিন পরে অরঙ্গজিব আমার কাছে আসিয়া শরণ লইবে । মুরাদের প্রতি সে বিরক্ত হইয়াছে । যাহা হউক, খলকে বিশ্বাস নাই । তুমি সৈন্ত সামন্ত লইয়া শীঘ্ৰ আগরায় আসিবে। আরঙ্গজিবকে গ্রেপ্তার করিতে হইবে । ” नाद्रा उशन निहिएउ हिरणम । जजा ब्राजि श्हे প্রহরের সময়ে নছিরিদিল নামক জনৈক বিশ্বাসী চাকরের হাতে পত্ৰখানি দিয়া বিদায় করিলেন। সেই খানে শায়ান্ত ধার গুপ্তচর উপস্থিত ছিল। সে ব্যক্তি
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৫৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।