পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৫৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- আসিয়া পত্রের কথা ব্যক্ত করিয়া দিল ; কিন্তু পরে কি লেখা হইয়াছে, তাহা বলিতে পারিল না । ইতি পূৰ্ব্বে সম্রাট, শায়াস্তা খার প্রাণদণ্ডের আজ্ঞা দিয়াছিলেন। সেই রাগে তিনি কয়েক জন ঘোড়সোয়ার পাঠাইয়া গোপনে নছিরিদিলকে ধরিয়া আনাইলেন। পত্র পড়িয়া দেখেন তাহাতে আরঙ্গজিবের কথা । তৎক্ষণাৎ তাহার তাম্বুতে গিয়া পত্র খানি দিলেন। অরঙ্গজিব স্থিরচিত্তে আদ্যোপাস্ত পড়িলেন, কিন্তু কিছুই বলিলেন না । কেবল মহিরিদিলকে একটা গুপ্তস্থানে লুকাইয়। রাখিলেন। সাক্ষাৎ করিবার দিন আসিল। সসৈন্তে দারা আসিয়৷ পৌছিবেন,—কৈ তিনি আসিলেন না। আরঙ্গজিবও সাক্ষাৎ করিতে গেলেন না । তিনি এই বলিয়া সম্রাটকে এক খানি পত্র লিখিলেন,-“আপনি জানেন, আমি অপরাধী। অপরাধীর মনে সৰ্ব্বদ। ভয় ও সন্দেহ হইয়৷ থাকে। সে জন্য সহসা আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে আমার আশঙ্কা হইতেছে। অতএব প্রথমে কতকগুলি দেহরক্ষকের সঙ্গে আপনার কাছে আমার সন্তান মহ্মদকে পাঠাইব । মঙ্গদ যদি সে খানে গিয়া এমন কথা আমাকে বলিয়। পাঠায় যে, কেল্লার ভিতরে অস্ত্রধারী সিপাহী কেহই নাই, তবে আমি আপনার কাছে যাইতে সাহস করিতে পারি’ { পত্র পাইয়া শাজেহান অনেকক্ষণ ভাবিলেন। ভাবিয়া শেষে অরঙ্গজিবের প্রস্তাবেই সম্মত হইলেন। কিন্তু হরক্ত সস্তানকে গ্রেপ্তার করা চাই। সেজন্ত কেল্লার স্থানে স্থানে কয়েক জন অন্তধারী লোক লুকাইয়। রাখিলেন। তদ্ভিন্ন তাহার অন্তঃপুরে তাতার দেশীয় অনেক পরিচারিক ছিল । তাছার বীর মহিলা । সম্রাট, তাহাদিগকেও অস্ত্রশস্ত্র দিয়া সাজাইয়া রাখিলেন । এখানে অরঙ্গজিব, পুত্রকে সকল কথা শিখাইয়া শাজেহানের কাছে পঠাইয়া দিলেন। মঙ্গদ কেল্লায় প্রবেশ করিয়া একবার চারিদিক ঘুরিয়া আসিলেন, কোথাও কেহ নাই। হারামের কাছে গিয়া দেখেন, সেখানে অনেক গুলি অস্তুধারী লোক লুকাইয়া আছে। তিনি সম্রাটকে স্পষ্টই বলিলেন,—‘এই সকল লোক দেখিয়া আমার সন্দেহ হইতেছে। ইহারাকেল্লায় থাকিলে পিতা আসিবেন না"। শাজেহানের হবুদ্ধি বটল, তিনি लाशश्रिहक७ वाशि रुद्विग्ना निगन। मकन দেখিলেন চারদিক পরিষ্কার হইয়াছে, এখন সম্রাটের চেয়ে | [હર૧] ख्रिशं কেল্লার ভিতরে তাহার নিজের লোকই অধিক । অরঙ্গজিবের কাছে সংবাদ গেল। তৎক্ষণাৎ লোক আসিয়া বলিল যে, যুবরাজ প্রস্তুত হইয়াছেন, এখনিই আসিয়া সাক্ষাৎ করিবেন। সম্রাট, তাহার প্রতীক্ষায় বসিয়া থাকিলেন। আরঙ্গজিব, আপনার দেহরক্ষক ও পরিষদদিগকে লইয়া অশ্বারোহণে একবার কেল্লার দিকে আসিলেন। কিঞ্চি দূর জাসিয়া আকবরের কবরের দিকে চলিয়া গেলেন। শাঞ্জেস্থান এই সংবাদ পাইয়া ক্রোধভরে মক্ষদকে বলিলেন,— ‘তোমার পিতা যদি এখানে আসিবে না, তবে তুমি কি করিতে আসিয়াছ’ ? মক্ষদ বিনীতভাবে উত্তর করিলেন,-“মহাশয়! আমি কেল্লার ভার বুধিয়া লইতে আসিয়াছি। আমাকে ভাণ্ডারের চাৰি দিউন’ । সম্রাট তখন আপনার ফালে আপনি পড়িয়াছেন, আর উপায় নাই। কাজেই মন্ধদের হাভে সমস্ত চাবি ফেলিয়া দিতে হইল । পিতাকে কারারুদ্ধ করিয়া আরঙ্গজিব মুরাদকে কহিলেন,-“ভাই ! এত দিনে আমার অভিলাষ পূর্ণ হইল। আজি হইতে তুমি দিল্লির সম্রাট। এখন আমার একটা ভিক্ষা আছে, তুমি আমাকে কিঞ্চিৎ অর্থ দাও। আমি মেক্কাতে গিয়া মুখস্বচ্ছন্দে কালস্থাপন করি’ । মুরাদ সেই প্রস্তাবে সম্মত হইলেন। অরঙ্গজিবের বাহিরে এই রূপ ধৰ্ম্মনিষ্ঠতা, কিন্তু অন্ত:করণে হলাহল; তিনি মনে মনে মুরাদের প্রাণবিনষ্ট করিবার চেষ্টা দেখিতে লাগিলেন । ইতি মধ্যে সংবাদ আসিল যে, দারা দিল্লিতে অনেক সৈন্য সংগ্ৰহ করিয়াছেন। শীঘ্র আগরাতে আসিয়া শাজেহানকে মুক্ত করিবেন। অরঙ্গজিব তৎক্ষণাৎ মুরাদকে লইয়া দিল্লির অভিমুথে ছুটিলেন। দুই জনে মথুরায় উপস্থিত। এইখানে মুরাদের পারিষদের কছিলেন,—আপনি কদাচ আর অরঙ্গজিবের সঙ্গে থাকিবেন না। শঠ বড় কঠিন সামগ্ৰী, সে আপনার প্রাণবিনাশের চেষ্টায় আছে। অামাদের পরামর্শ এই, আপনি পূৰ্ব্বাহুেই তাহাকে বিনষ্ট করুন। নতুব। আর নিষ্কৃতি নাই । কাজেই অরঙ্গজিবকে বধ করিতে হইবে, এই যুক্তি স্থির হইল। মুরাদ জ্যেষ্ঠকে নিমন্ত্ৰণ করিলেন। এখানে । পাশের. তালুতে কয়েকজন অস্ত্রধারী লোক লুকাইল *. থাকিল, ইতি পাইলেই তাহারা মাসিং জঙ্গविश्वब्र मण्कण्ष्णन कविप्र । त्रशबच्","श्रवाद भक-,