অর্জুন তাহার অন্ত কেহ অধিকারী না থাকে,তবে তাদৃশ গচ্ছিত ধন ; বন্ধুবান্ধব কর্তৃক দত্ত ধন, এবং মূল্য দিয়া যাহা ক্রয় করা যায়, ব্রাহ্মণ প্রভৃতি চারি বর্ণের পক্ষে ইহাদিগকে ধৰ্ম্মসঙ্গত অর্জন কহে । অন্তকে জয় করিয়া যে ধন লাভ হয়, ক্ষত্রিয়ের পক্ষে তাহাও ধৰ্ম্ম সঙ্গত অজ্জন। সুদ খাটাইয়া এবং কৃষি ও বাণিজ্য প্রভৃতি দ্বারা যে ধন লাভ হয়, বৈশ্বের পক্ষে তাহা ও ধৰ্ম্মামুগত অজ্জন। সৎপ্রতিগ্রহও ব্রাহ্মণের পক্ষে ধৰ্ম্ম जत्रङ अर्जुड़न। 影 ব্রাহ্মণের যাজন দ্বারা এবং শিষ্যকে বিদ্যাধ্যয়ন করাইয়া যে দক্ষিণ পাইয়া থাকেন, তাহাকেও ধৰ্ম্ম সন্মত অজ্জন বলা যায়। শূদ্র এবং সঙ্কর জাতি দাস্তবৃত্তি দ্বারা যে ধন লাভ করে, ইহা তাহাদের ধৰ্ম্ম সঙ্গত অজ্জন । - অৰ্জুন (পুং ) অর্জয়তি যশঃ অর্জ-ণিচ ( অর্জের্ণিলুক্চ । উণ ৩ ৫৮) ইতি উন শিচ লোপশ্চঃ। পার্থ। পাণ্ডুপুত্র। অর্জুন তৃণ হৈহয় কাৰ্ত্তবীৰ্য্য। করবীয়। ময়ুর । শ্বেতবর্ণ। রূপ । ( ত্রি ) শুভ্ৰগুণ বিশিষ্ট । নেত্র রোগ بیبی=e - বিশেষ। চলিত বাঙ্গালায় ইহাকে আঞ্জুনে ও আজনাই | কহে । পুত্র। ইন্দ্র। অর্জুন বৃক্ষ । (তৃণাখ্যায়াং চিৎ। উ৭, ৩ ৫৯। চিত্ত্বাদস্তোদাত্তঃ অর্জুনতৃণে৷ উজ্জ্বলদত্ত) অর্জুন শব্দে পার্থ প্রভৃতি অন্তান্ত অর্থ বুঝাইলে ইহা আদ্যোদাত্ত হয় । কিন্তু অর্জুন নামক তৃণকে বুঝাইলে ইহা অস্তোদাত্ত হইয়া থাকে। (তথাচ শাস্তনবঃ– অৰ্জ্জুনস্ত তৃণাখ্যা চেৎ। ফিট ১ । ১৭ উনৰ্বল্পস্তানামিত্যাহ্ব্যদাত্তস্তাপবাদ: ) । wśRȚw (Terminalia Arjuna) i orgog অৰ্জুমের নামের পর্য্যায়ও অর্জুন বৃক্ষে প্রযুক্ত হয়। তদ্ভিন্ন অন্যান্য আরও পর্য্যায় আছে। নদীসর্জ । বীরতরু। ইন্দ্রব্রু। ককুভ। শম্বর। পার্থ। চিত্রযোধী। ধনপ্রয়। বৈরাতঙ্ক। কিরাটা। গাওঁীবী। শিবমল্লক। সব্যসাচী। কর্ণারি। করবীরক। কোন্তেয়। ইন্দ্রস্বনু বীরত্র কৃষ্ণসারথি । পৃথাজ। ফাল্গুন। ধন্বী । এই গুলি অর্জুন বৃক্ষের পর্য্যায়। ইহা অযোধ্যায়, বাঙ্গালায়, মধ্যভারতে এবং দক্ষিণ অঞ্চলে প্রচুর জন্মে। এই গাছ দেখিতে অনেকটা পেয়ায়! গাছের মত। পাতা এবং ছাল প্রায় খেয়ার গাছের তুল্য বলিলে হয়। কিন্তু ইহা পেস্কার গাছের চেয়েও অধিক বড় হইয়া থাকে। বর্ষাকালে ইহার ফুল ফুটে । ফুল ক্ষুদ্র ও অল্প শ্বেতবর্ণ এবং তাহ | [ હ8t ] অর্জুন হইতে অত্যন্ত উগ্র মিষ্ট গন্ধ বাহির হয় । ইহার ছাল রক্তবর্ণ, অত্যন্ত সংঙ্কোচক এবং বলকর । চৰ্ম্মে কষ করিতে এবং বস্ত্র রঙ্গাইতে ইহা ব্যবহৃত হয়। বৈদ্যশাস্ত্রমতে ইহা হৃদরোগের মহৌষধ। হৃৎপিণ্ডের সকল পীড়াতেই বৈদ্যের ইহা ব্যবহার করিয়া থাকেন। ইহার কাথ দ্বারা দুষ্ট ক্ষত স্থান ধৌত করিলে আর পূয় ও রস নির্গত হয় না এবং ক্ষতস্থান শীঘ্ৰ শুকাইয়া যায়। অস্থি ভাঙ্গিলে ইহায় কাথ কিম্ব চূৰ্ণ সেবন করিতে হয় । তাহাতে বেদনা কমিয়া আসে এবং অস্থি ষোড়া লাগে। অৰ্জুন স্থত। মূচ্ছিত গব্য ঘৃত ৪ সের। কাথার্থ অৰ্জুন ছাল ৮ সের, জল ৬৪ সের, শেষ ১৬ সের। ইহা স্কৃতের সঙ্গে পাক করিবে। কন্ধাৰ্থ অৰ্জুন ছাল ১ সের, ইহা স্কৃতের সঙ্গে পাক করিবে। মাত্রা ১ তোলা হইতে ২ তোলা। ইহা সকল প্রকার হৃদ্রোগে বিশেষ উপকার করে। zosta czts (Stye or hardeolum) অর্থাৎ আঞ্জুনে বা আজনাই। ইহা সামান্ত স্ফোটক রোগ ভিন্ন আর কিছুই নহে। দুৰ্ব্বল ব্যক্তির চক্ষের পাতার ধারে এই ফোড় হইয়া থাকে। উষ্ণ জলের স্বেদ ও মসিনার প্রলেপ দিলে ফোড়া পরিপক্ক হয় । তাহার পর উপরি ভাগ একটু কাটিয়া দিলে পুজ নির্গত হইয়া যায়। আমাদের দেশে আঞ্জুনে হইলে সচরাচর লোকে তাহাতে অঙ্গার ঘসিয়৷ দেয় এবং আম্রের পাতায়, আটা প্রয়োগ করে। একটা আঞ্জুনে হইলে তাহায় সঙ্গে আরও ৩ । ৪টা বা অধিক আঞ্জুনে হইতে পারে। অৰ্জুন পাণ্ডুরাজের তৃতীয় পুত্র। ইন্দ্রের ঔরসে এবং কুন্তীর গর্ভে তাহার জন্ম হয়। ইনি পূৰ্ব্বে একজন ইন্দ্র ছিলেন। পরে রাজ্যভ্রষ্ট ও হীনবল হইয়া হিমালয়ের একটা গৰ্ত্তের ভিতরে বাস করিতেন । তবশেযে মহাদেবের আজ্ঞানুসারে মর্ত্যে আসিয়া জন্মগ্রহণ করেন । অৰ্জুন দ্রোণাচার্যের প্রিয় শিষ্য। তিনি মহা ধনুদ্বর ও মহাযোদ্ধা ছিলেন। ইহার অক্ষয় তুণীর, গাওঁীব ধনুক, এবং কপিধ্বজ রথ ছিল। স্বয়ং শ্ৰীকৃষ্ণ ইহার সারথি ছিলেন। অর্জুনের বীরত্ব পৃথিবীবিখ্যাভ। তিনি লক্ষ্য বিধিয়া দ্রৌপদীকে লাভ করেন। খাওব বন দগ্ধ. করিয়া অগ্নিকে তুষ্ট করিয়াছিলেন। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে ইষ্ঠার বীরত্ব অপরিসীম। তিনি, দ্রৌপদীর, সুভদ্রার এবং চিত্রাঙ্গদার পাণিগ্রহণ করেন। অভিমস্থ্য অর্জুনেয় পুত্ৰ
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৫৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।