- অর্থবিজ্ঞান যথা,-বিধি, অর্থবাদ এবং অনুবাদ । ( বিধ্যর্থবাদামু.बान्नबध्न विनिप्प्राशा९ । cश्रो० १ २ । ७०)। 33 যে বাক্য স্বারা কোন ব্যবস্থা করা হয়, সেই বিধায়ুক বাক্যের নাম বিধি । ( বিধিবিধায়কঃ । গেী, স্ব০ ২ । ৬২ )। যেমন, “যে ব্যক্তি স্বৰ্গ লাভ করিতে ইচ্ছ। করেন তিনি অগ্নিহোত্র যাগ করিবেন । এখানে স্বর্ণলাভেচ্ছুক ব্যক্তিদের পক্ষে অগ্নিহোত্র যাগের বিধি করা হইল । 尊 অর্থবাদ চারি প্রকার,—স্তুত্যর্থবাদ, নিন্দার্থবাদ, পরকৃত্যর্থবাদ এবং পুরাকল্পার্থবাদ। ( স্তুতিনিন্দ পরকৃতিঃ পুরাকল্প ইত্যর্থবাদ: গেীত স্থ০ ২। ৬৩ ) । যে কার্য্যের বিধি করা হইয়াছে, সেই বিহিত কার্য্যের ফল দেখাইয় প্রশংসা করাকে স্তুত্যর্থবাদ কহে। যেমম, সন্ধ্যাবনানাদি করিলে দৈনিক পাপ ক্ষয় হয় এবং নিরাপদ ব্রহ্মলোক প্রাপ্তি হইয়া থাকে। কোন কার্য্যে অনিষ্ট দেখাইয়া বিস্থিত কার্য্যে প্ৰবৰ্ত্ত করাকে নিন্দ কহে । যেমন, ‘অমাবস্তা প্রভৃতি পৰ্ব্বদিনে স্ত্রীতৈলাদি ব্যবহার করিলে লোকে নরকগামী হয়’। এখানে পৰ্ব্বদিনে স্ত্রীতৈলাদি ব্যবহারের নিন্দ করিয়া তাহ নিবারণের বিধি করা হইল। যাহা কোন ব্যক্তির পক্ষে কৰ্ত্তব্য, আবার কোন ব্যক্তির পক্ষে কর্তব্য নহে, এই রূপ পরস্পর বিরুদ্ধ বাক্যের নাম পরকৃতি। যেমন, শাক্তের পক্ষে মদ্যমাংস দ্বারা পূজার ব্যবস্থা আছে, আবার বৈষ্ণবের পক্ষে তাহা নিষিদ্ধ। - পূর্কের আচরিত বাক্যের নাম পুরাকয়। স্মার্ত লিখিয়াছেন, বিধিবাক্যও কোন স্থলে অবসর হইয় পড়ে। তেমন স্থলে স্বত্যথবাদ দ্বারা কাৰ্য্য করিতে হয়। আবার কোন স্থলে বিধিবাক্যের সঙ্গে একত্র পাঠ থাকায় অর্থবাদ গ্রামাণ্য হয়। শ্ৰীকৃষ্ণ তর্কালঙ্কার কহেন, বিধির সঙ্গে অসমভিব্যাহৃত বাক্যের নাম অর্থবাদ। [ অনুবাদ দেখ }। গ্রন্থের তাৎপৰ্য্য অবধারণের নিমিত্ত উপক্রম এবং উপসংহারাদি চিহ্ন ঘটকের অন্তর্গত চিহ্ন বিশেষকেও অর্থবাদ কহে । अर्थदिङझॉन (क्लौ) अशश दिछनम् ।। ७-७९ ।। গুশ্রুষাদি অষ্টবিধ ধী গুণাস্তর্গত গুণবিশেষ । গুশ্ৰষ শ্রবণঞ্চৈব গ্রহণং ধারণং তথা । উহোইপোহৰবিজ্ঞানস্তত্বজ্ঞানঞ্চ ধীগুণীঃ | হেম” ৷ [ (૯૭ I অর্থাৰপ্রকর্ষ গুরু যে শাস্ত্রোপদেশ করেন তাহা শুনিবার ইচ্ছা, তাহা শ্রবণ করা, তাহ স্বীকার করা, তাহা মনে করিয়া রাখা, তর্ক করা, তর্কপরিত্যাগপূর্বক তাহ বুঝিয়া লওয়া, পরে নিশ্চিত করা, এই আট প্রকার বুদ্ধিয় গুণ। অর্থবিদ (ত্রি) অথং কাৰ্য্যং প্রয়োজনাদি বা বেত্তি অথ বিদ-কিপ। কাৰ্য্যজ্ঞ। প্রয়োজনাভিজ্ঞ । ধিনি কাৰ্য্যাদি বুঝিতে পারেন। অর্থ বিপ্রকর্ষ (পুং ) অথন্ত অথ বোধস্ত বিপ্রকর্ষ দূরত্বং বিলম্ব ইতি যাবৎ । ৬-তৎ । বিলম্বে অর্থবোধ । निज অর্থবোধ না হওয়া। পূৰ্ব্ব পুৰ্ব্ব অপেক্ষ উত্তর উত্তরের বিলম্বে অর্থবোধ । বাক্যের মধ্যে যে সকল পদ থাকে, স্থল বিশেষে সেই সকল পদের মধ্যে প্রথমে কারকের অর্থ বুঝিতে পারা যায়, তাহার পর লিঙ্গাদির অর্থ বোধ হইয়৷ থাকে, সেই জন্য কারক অপেক্ষা লিঙ্গ ও বাক্যাদির অর্থ বুঝিতে বিলম্ব হইয়া পড়ে। শ্ৰাদ্ধবিবেকের টীকায় শ্ৰীকৃষ্ণ তর্কালঙ্কায় লিখিয়াছেন,—অত্র জৈমিনি-সুত্ৰং শ্রতিলিঙ্গ বাক্য প্রকরণ স্তান সমাখ্যানং সমবারে পারদেীৰ্ব্বল্যমর্থবিপ্রকর্ষাৎ। শ্রীতি,লিঙ্গ, বাক্য, প্রকরণ,স্থান,সমাখা,এই সমস্ত দ্যায় গুলিই যদি এক স্থানে উপস্থিত হয়, তবে পর পর দ্যায়ের দৌৰ্ব্বল্য ঘটে, অর্থাৎ অর্থবোধের বিলম্ব হয় । ইহার ভাষ্যে এই রূপ লিখিত হইয়াছে— শ্রীতি দ্বিতীয়া, ক্ষমতা চ লিঙ্গং, বাক্যং পদান্তেব চ সংহতানি । সা প্রক্রিয়া যা কথমিত্যপেক্ষা স্থানং ক্রমে যোগবলং সমাখ্যা । দ্বিতীয় প্রভৃতি কারকের নাম শ্রুতি। অনেক । স্থলে প্রকৃত ভাব প্রকাশ করিবার জন্য বিশেষ শব্দের প্রয়োজন করে না, কেবল দ্বিতীয়দি বিভক্তি স্বারাই সে উদ্দেশু সিদ্ধি হয় । যেমন,—‘অল্পং পচতি’ । অল্প পাক করিতেছে। এখানে ‘অন্ন’ শম্বে কেবল দ্বিতীয় বিভক্তি দেখিয়াই পচ ধাতুর কৰ্ম্মবোধ হইতেছে ; এই কৰ্ম্ম বুঝিবার নিমিষ্ট অন্ত পদের প্রয়োজন নাই । আবার উপপদেও দ্বিতীয়া স্বারা এই রূপ অর্থ বোধ হয় । যেমন,~~মাসমধীতে’,—এক মাস পড়িতেছেন। এখানে সমস্ত কথা ঠিক প্রকাশ করিয়া বলিতে হইলে,—“মাসং ব্যাপ্য অধীতে । এক মাস কাল ব্যাপিয়া পড়িতেছেন, এই রূপ খুলিয়া ৰল চাই। (లిపి )
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৫৭৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।