অৰ্ধজরতীয়ম্যায় [ હ૭૦ ] অৰ্দ্ধনারীশ অৰ্দ্ধচন্দ্র (পুং ) অৰ্দ্ধং চজস্ত। একদেশী তৎ। চন্ত্রের অৰ্দ্ধভাগ। নখ দ্বার ক্ষতচিহ্ন। গলহস্ত। গলাটিপিয়া কাহাকেও বহিষ্কৃত করিবার সময়ে অঙ্গুলিতে ঠিক অৰ্দ্ধচন্দ্রের আকৃতি হয়, তজ্জন্ত গলাটিপুনীকে অৰ্দ্ধচন্দ্র কহে। ‘তাহাকে অৰ্দ্ধচজ দিয়া বিদায় কর’। অর্থাৎ গল| টিপিয়া তাছাকে দূরীভূত কর। বাশবিশেষ। অৰ্দ্ধচন্ত্রবাণের ফলাও ঠিক আধখানি চাদের মত । চলিত ভাষায় সঙ্কেতে কোন কথা বলিতে ৰইলে অর্ধেক টাকা অর্থাৎ আধুলীকেও অৰ্দ্ধচন্দ্ৰ কহে। অৰ্দ্ধচন্দ্রক (পুং ) অৰ্দ্ধচন্দ্র ইব কস্ত ময়ুরস্ত। সুপ্ৰস্থ স০। ময়ূরপুচ্ছের চাদ । অৰ্দ্ধচন্দ্র-স্বার্থে কন্। হ্রশ্বে অত ইত্ত্বে অৰ্দ্ধচজিক-কর্ণস্ফোটক লতা । চিত্রপণী । অৰ্দ্ধচন্দ্র। ( স্ত্রী ) কাল তেউড়ী । অৰ্দ্ধচন্দ্রাকৃতি ( স্ত্রী ) অৰ্দ্ধচন্দ্রস্ত আকৃতিরিব আকৃতির্যন্ত । গলহস্ত । অৰ্দ্ধচোলক (ক্লী ) অৰ্দ্ধং চোলস্ত। একদেশী তৎ সংজ্ঞায়াং কন্। কাচুলী। অৰ্দ্ধজরতীয়স্যায় ( পুং ) ইহার তাৎপৰ্য্য এই যে, এক বস্তু এককালে ছুই বিপরীত ধৰ্ম্মযুক্ত হইতে পারে না। যাহা বৃদ্ধ তাহাই আবার তরুণ হওয়া অসম্ভব। কুকুটার কিয়দংশ রন্ধন করা হইতেছে, আবার সেই কুকুট কিয়দংশে অণ্ড প্রসব করিতেছে, ইহা কথন ঘটিতে পারে না । ‘অৰ্দ্ধজরতীয়স্তায়”—এই বাক্যের ব্যুৎপত্তি সম্বন্ধে একটা গল্প আছে। কোন বৃদ্ধ লৈয়ায়িকের একটী গোরু हिण । ङिनि शz cज३ c*ांङ्गप्रैौ लहेब्र ८*ांटलन । ক্রেতারা আসিয়া, গোরুর বয়স কত এই কথা জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল। ব্রাহ্মণ মনে মনে এই বিচার করিলেন যে,—‘বৃদ্ধেরই অধিক অাদর। নিমন্ত্রণে গমন করিলে সভায় আমার সকলেই সন্মান করিয়া থাকেন এবং সৰ্ব্বত্র আমি অধিক বিদায় পাইয়া থাকি । এই ভাবিয়া তিনি বলিলেন,—“গোরুটার বয়স অনেক হইরাছে । বৃদ্ধ গোর কোন কাজে আসিবে ? স্বতরাং কেহই তাহা ক্রয় করিল না। - নৈয়ারিক গোর লইয়া বাটতে আসিয়া ব্রাহ্মণীকে সমস্ত বৃত্তান্ত কছিলেন। ব্রাহ্মণী তথম ভংগন করিয়া বলিলেন,—“তোমার ৰেমৰ বুদ্ধি ? তুমি এমন গোরুকে বৃদ্ধ বলিলে কেন ? বৃদ্ধ বলিলে কে গোরু কিনিৰে । ব্ৰাহ্মণ পুনৰ্ব্বার পর দিন হাটে গেলেন। এবার ক্রেতার গোরুর বয়স জিজ্ঞাসা করিলে, তিনি বলিগেন—“বাপু ? এটা সে দিনের বাছুর। কেবল একবার বৈ প্রসব করে নাই’ । এই কথা- শুনিয়া সকলেই হালিতে হাসিতে কহিল, আপনি ইহাকে কল্য বৃদ্ধ । বলিরাছেন, আজ আবার তরুণ বলিলেন,--ইহাও কি হইতে পারে ? ব্রাহ্মণ উত্তর করিলেন,—‘একথা অসম্ভব নয়। আমার গোরুট বৃদ্ধ এবং তরুণও বটে। শাস্ত্রকারের আত্মাকে পুরাতন কছেন। অতএব এই গোরুর নূতন দেহে পুরাতন আত্মা আছে। সুতরাং গো শব্দ বলিলে এই গোদেহাবচ্ছিন্ন পুরাতন আত্মা এবং তরুণ গোরুকে বুঝাইতেছে। অৰ্দ্ধজাহ্নবী ( স্ত্রী ) অৰ্দ্ধং জাহ্নব্যাঃ । একদেশী তৎ। অৰ্দ্ধগঙ্গা । কাবেরী নদী। কাবেরী নদীতে স্নান করিলে গঙ্গাস্নানের অৰ্দ্ধেক ফললাভ হয়, তজ্জন্ত ইহাকে অৰ্দ্ধজাহ্নবী ও অৰ্দ্ধগঙ্গা কহে। অৰ্দ্ধতিক্ত (পুং ) অসম্পূর্ণ; তিক্তঃ । নেপাল নিম্ব। অৰ্দ্ধদিন (ক্লী) অৰ্দ্ধং দিনস্ত। একদেশী তৎ। সাড়ে সাত মুহূৰ্ত্তকাল । অৰ্দ্ধদেব (পুং ) অৰ্দ্ধে সমীপে দেবানাম্। দেবতায় সমীপে বৰ্ত্তমান । অৰ্দ্ধদ্রোণিক। আৰ্দ্ধদ্রোণিক (ত্রি) অৰ্দ্ধস্রোণেন ক্রীতম ঠঞ । অৰ্দ্ধ দ্রোণ পরিমিত দ্রব্যদ্বারা ক্রীত বস্তু। এখানে প্রথম পদের আদ্যস্বরের বিকল্পে বৃদ্ধি হইয়াছে এবং পর পদের আদ্যস্বরের নিত্য বৃদ্ধি হইয়াছে। * । অৰ্দ্ধাৎ পরিমাণস্ত পূৰ্ব্বস্ত তু বা । প। ৭। ৩। ২৬। অৰ্দ্ধ শব্দের পর পরিমাণবাচী শব্দ থাকিলে তদ্ধিতের এঃ, ৭ ও ক, ইং প্রত্যয় পরে উত্তর পদের আদ্য অচের নিত্য বৃদ্ধি হর, এবং পূৰ্ব্ব পদের আদ্য অচের বিকল্পে বৃদ্ধি হইয়া থাকে । অৰ্দ্ধধার ( ক্লী ) অৰ্দ্ধে ধারা অস্ত। বৈদ্যোশাস্ত্রোক্ত অস্ত্র বিশেষ । অৰ্দ্ধনারায়ণ (ক্লী ) অৰ্দ্ধম্ অর্ধপরিমিতং স্থানং যন্ত তাদৃশে। নারায়ণো ষত্র। গঙ্গার প্রবাহ হইতে চারি হস্ত পরিমিত নারায়ণ স্বামিক স্থান । অৰ্দ্ধনারীশ (পুং ) অৰ্দ্ধাঙ্গে যা নারী তন্ত ঈশঃ স্বামী । মহাদেব। শিবেয় যে মূৰ্ত্তিতে অর্ধেক নারী ও অর্ধেক পুরুষ। তন্ত্রসারে মহাদেবের অৰ্দ্ধনারীশ মূৰ্ত্তির এই রূপ ধ্যান লিখিত হইয়াছে,— নীল প্রবাল রুচিয়ং বিলসজিনেত্ৰং
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৫৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।