- অতি প্রাচীন কালেই ভারতবর্ষে নানা প্রকার বহুমূল্য অলঙ্কার চলিত হইয়াছিল। এ দেশ উষ্ণপ্রধান, তাই সৰ্ব্বাঙ্গ বস্ত্রে ঢাকিয়া রাখা আবশুক হয় না, কাজেই ভারতবর্ষে সৰ্ব্বাঙ্গে অলঙ্কার পরিবার বিশেষ সুবিধা । পুরাতন দেব মন্দিরে যে সকল মূৰ্ত্তি ক্ষোদিত আছে, তাহাতে অনেক প্রকার অলঙ্কার দেখা যায়। অঙ্গুলিতে অঙ্গুরীয়ক, গলায় মুক্তামালা, হাতে কঙ্কণ, কানে কুণ্ডল, —আর কত নাম করিব ? প্রাচীন সংস্কৃত পুস্তকে বিবিধ অলঙ্কারের নাম আছে । দৈত্যবধের সময়ে দেবতার দেবীকে নানা প্রকার অলঙ্কারে বিভূষিত করেন। শকুন্তলা পতি গৃহে যাইবেন ; পতিগৃহে যাইবার সময়ে উত্তম উত্তম বেশভূষা পর চাই। কিন্তু অনস্বয়া ও প্রিয়ম্বদা বনবাসিনী ; তাহারা চিরকাল বনে রহিয়াছে, কাজেই ভূষণ পরাইবার কি জানে ? সে জন্য চিত্রপটের কোথায় কোন অলঙ্কার আছে তাছাই দেখিয়া সখীরা শকুন্তলাকে সাজাইয়া দিল। সংস্কৃত ভাষায় মানসোল্লাস, অমর, হেমচন্দ্র প্রভৃতি পুস্তকেও অলঙ্কারের বিশেষ বিবরণ অাছে। তাই বুঝিতে পার। যাইতেছে, অতি পুৰ্ব্বকালেও এদেশে বহুমূল্য রত্নালঙ্কারের বিশেষ চলন ছিল। সংস্কৃত পুস্তকে ষে সকল অলঙ্কারের বিবরণ আছে তাহা এই,-- (১) মস্তকের অলঙ্কার-মাল্য, গর্ডক, ললামক, আপীড়, বালপাত, পারিতথ্যা, হংসতিলক, দণ্ডক, চূড়ামওন, চুড়িকা, লম্বন, মুকুট । মাল্য । ইহার অপর পর্যায় মালা ও শক । স্ত্রীলোকেরা ফুলে মালা গাথিয়া খোপায় পরিয়া থাকেন । श्रॐद । इहींद्र अश्रब्र नाभ cडठेद । cब* *** বলেন ইহা খোপার মালা বিশেষ। কাহারও মতে ইহা এখনকার গুজিকাটার মত এক প্রকার কাটা । স্ত্রীলোকেরা উহা খোপার ভিতরে গুজিয়া দিতেন। অমরের টীকায় মহেশ্বর লিখিয়াছেন যে, চুলের মধ্যে যে মালা পরিতে হয় তাহার নাম গর্ডক এবং শিখায় যে মাল্য লম্বমান থাকে তাহাকে প্রভ্রষ্টক কহে । ( কেশমধ্যে ধৃত মালা গর্তক ইত্যুচ্যতে । ষন্মাল্যং শিথায়াং লম্বमान१ ऊ९७वंडळेकम्) । ললামক । অমরকোষে এই অলঙ্কার এক প্রকার মালায় মধ্যে পরিগণিত হইয়াছে। ইহার জমিতে সোজা ( • ) हेशद्र अश्रूिश्न इण, कृङशिश वैजूड फाउनि ब्रीमननि <गन भtशशरद्रब्र ब्रङ्गब्रह्छ इश्ऊ शृशैठ श्ञाcश्। - | >8s J [ (૧૭ ] অলঙ্কার তিন সারি সোনার পাত খাকিত, মধ্যস্থলে মণিময় টাদ ७रु९ छैशंग्न झहे श्रीरश्न ब्रङ्गधष्ठेिउ, निरब्र भङिब्र काशग्न । দেখিতে অনেকটা সীথির মত। স্ত্রীলোকেরা ইহা মঞ্চকের সম্মুখে পরিতেন । ঐ অলঙ্কারেয় দুই পাখ এবং মধ্যস্থলের চাদের উপরিভাগ খোপায় লাগান থাকিত । ইহার মুক্তাঝালর ললাটের উপর ঝুলিত বলিয়৷ ইহার নাম ললামক হইয়াছে । ( পুরো গুস্তং ললাটপর্য্যস্তং ক্ষিপ্তং ললামকম। ইতি মহেশ্বর) । অণপীড়। ইহার অপর নাম শেখর । শিখায় পরিবার মাল্যকে আপীড় বা শেখর কহে । বালপাশু । মহেশ্বরের মতে ইহ সঁ7থার অলঙ্কার। কিন্তু স্বামী কহেন যে, চুলে জড়াইবার মুক্তামালাকে । বালপাখ্যা কহে । ( স্বামী তু প্রথমং বালং বন্ধনং মুক্তবলী মামিত্যাহ। মহেশ্বর ধৃত ) ৷ পারিতথ্য । এই অলঙ্কার এখনকার স*ীথি । ইহা স্বর্ণ নিৰ্ম্মিত এবং প্রস্তরাদি জড়িত। অমরসিংহের মতে, বালপাণ্ডা এবং পারিতথ্য একই অলঙ্কার। ছংসতিলক । ইহা স্বর্ণে নিৰ্ম্মিত, দেখিতে অশ্বথপত্রের মত। ইহার মধ্যে মণিমুক্ত জড়িত থাকিত। স্ত্রীলোকের। ইহা সীমস্তের উপরে পরিতেন । দণ্ডক । এই অলঙ্কার বালার মত । ইহা সোনার পাতে গাথা, ইছার উপরে মুক্ত বসান থাকে। এই অলঙ্কার হইতে ঝুম্ ঝুন্ শব্দ হয় । চূড়ামগুন । দণ্ডকের উপরিভাগের শোভার নিমিত্ত সেকালে চূড়ামগুনের চলন ছিল । এই অলঙ্কারের আকৃতি কেতকীদলের স্থায় । ইহা সুবর্ণ নিৰ্ম্মিত । চুড়িকী । ইহা সুবর্ণে নিৰ্ম্মিত এবং ইহার আকৃতি পদ্মের দ্যায় । ইহা খোপার পশ্চাতে পরিতে হয় । লম্বন। এই অলঙ্কার চুড়িকা হইতে ঝুলিয়া থাকিত বলিয়া ইহার লম্বন নাম হইয়াছে। ইহাকে পশ্চিমাঞ্চলে এখন ঝাল কহে । ছোট ছোট সোনার ফুল, তাহার দুই ধারে মুক্ত ঝুলান এবং মধ্যস্থলে ইঙ্গনীল প্রভৃতি মণিখচিত। এই অলঙ্কার এখন অনেক প্রকার হইয়াছে। মুকুট । ইহা সুবর্ণ ও মণিমুক্তায় রচিত। ইহায় ছুই পাশে কাঙ্গর উঠান এবং মধ্যস্থলে উচ্চ চুড় । চূড়াতে পার্থীর স্বস্তৃপ্ত পালক লাগান। মুকুট অনেক প্রকার। পূৰ্ব্বে এ দেশের রাজা ও রাজমহিষীরাই মুকুট পরিতেন। এখনও ব্রহ্ম প্রভৃতি দেশের সন্ত্রান্তৰংশের প্রায় সকল । भहिणाब्राहे भूकूt *ब्रिब्राथtरकन । . . . .
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৫৯৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।