অব্যবস্থার্য্য مساحة শয়ে স্নান করিয়া জলপূর্ণ নূতন ঘট প্রক্ষেপ করিবেন। এবং কুটুম্বর তাহাকে গৃহে লইবেন । তখন তাহার যাজন, তাহার সঙ্গে বেদপাঠ ও পূৰ্ব্বের মত ভোজনাদি সকলি করিতে থাকিবেন। কেষ্ট কদাচ তাহার নিন্দ করিবেন না। কিন্তু প্রায়শ্চিত্ত না করিলে তাহার সঙ্গে ব্যবহার করা কর্তব্য নহে। প্রায়শ্চিত্তে তু চরিতে পূর্ণকুম্ভমপাং নবম্। তেনৈব সাৰ্দ্ধং প্রস্তেয়ুঃ স্বাত্বা পুণ্যে জলাশয়ে। মমু ১১। ১৮৭। এনস্বিডিরনিৰ্ণি ক্তৈন্নাথং কিঞ্চিৎ সহাচরেং। কৃতনির্ণের্জনাংশ্চৈব ন জুগুঙ্গেত কহিঁচিৎ। - মন্টু ১১ । ১৯০ | প্রায়শ্চিত্তের পর ব্যবহার সম্বন্ধে যাজ্ঞবল্ক্য সংহিতায় এই রূপ প্রমাণ বাক্য লিখিত আছে যে— প্রায়শ্চিত্তৈরপৈত্যেনো যদজ্ঞানকুতং ভবেৎ। কামতো ব্যবহার্য্যস্ত বচনাদিহ জায়তে । ৫ । ২২৬ যোগিবিজ্ঞানেশ্বর এই শ্লোকের এই রূপ ব্যাখ্যা করিয়াছেন যে,--প্রায়শ্চিত্ত করিলে অজ্ঞানকৃত পাপ দূর হয় ; আর জ্ঞানকৃত ও কামকৃত পাপে দোষী ব্যক্তি উপযুক্ত প্রায়শ্চিত্তের অনুষ্ঠান করিলে এই সংসারে সে ব্যবহার্য্য হয়, কিন্তু তাহার পাপ যায় না। প্রায়শ্চিত্ত বিধায়ক শ্রীতিবচন দ্বারা ইহাই নিশ্চিত হইতেছে। পরস্তু শূলপাণি, ‘কামতে ব্যবহার্যস্ত’ এখানে ‘ব্যবহার্য্যস্ত’ ইহার পূৰ্ব্বে একটা অকার প্রশ্লেষ করিয়া ‘অব্যবহার্য্য' এই প্রকার পদ গ্রহণ করিয়াছেন। কাজেই তিনি বলেন যে, প্রায়শ্চিত্ত করিলে পাপ যায় কিন্তু অপরাধী ব্যক্তি সমাজে ব্যবহার্য হয় না। রঘুনন্দন এবং ভবদেব, শূলপাণির মত গ্রহণ করিয়াছেন। ‘কামতে ব্যবহার্য্যস্ত’—বাস্তবিক এখানে অকার আছে কি না, তাহা বিষম সন্দেহস্থল। কাশীর স্বৰ্গীয় বালশাস্ত্রী একজন অদ্বিতীয় পণ্ডিত ছিলেন। তাহার তুল্য ধৰ্ম্মশাঙ্গে প্রবীণ ব্যক্তি আজি কালি প্রায় দেখিতে পgয়। মায় না। তিনি বলেন, ধৰ্ম্মশাস্ত্র কাব্য নছে । কাব্যে দুই তিন প্রকার অর্থ হইলে তাহাতে কবির গুণগন প্রকাশিত হয়। কিন্তু ধৰ্ম্মশাস্ত্রে দুই অর্থ ঘটিলে মহাবিপদ। এ পর্য্যন্ত কোন পুস্তকে ব্যবহার্য্যত্ব ইহার পূৰ্ব্বে লুপ্ত অকাবের চিহ্ন দেখিতে পাওয়া যায় নাই । অতএব অব্যবহার্যাঃ’ এ প্রকার পদ স্বীকার করা সঙ্গত নহে। তদ্ভিন্ন মনুসংহিতায় মহাপাতকাদি জনিত পতিত [ ৬২৩ ] অব্যবহার্ষ্য ব্যক্তির প্রায়শ্চিত্তের পর ব্যবহার্য্য সম্বন্ধে যে রূপ ব্যবস্থা করা হইয়াছে তাছার শ্লোকগুলি ঠিক পরে পরে পাঠ করিয়া আসিলে কোন কোন পাপে পতিত ব্যক্তি প্রায়শ্চিত্ত করিলেও অব্যবহার্য্য হয় তাহ নিশ্চিত করা যায়। তাই কোন ব্রাহ্মণ, জ্ঞানকৃত ব্ৰহ্মহত্যাপাপে অপরাধী হইলে ( আমার স্মরণ হইতেছে ইন্দোর রাজ্যে) সে প্রায়শ্চিত্তের পর সমাজে ব্যবহার্য্য হইতে পারিবে, মহাত্মা বালশাস্ত্রী এই রূপ ব্যবস্থা দিয়াছিলেন। ফলতঃ মিতাক্ষর, মদনপারিজাত, জিকন, নৃসিংহপ্রসাদ, অপরার্ক প্রভৃতি বহুমান্ত প্রাচীন মতানুসারে মহাপাতকাদির প্রায়শ্চিত্তের পর দোষী ব্যক্তি সমাজে ব্যবহার্য্য হইয়া থাকে। কেবল যে ব্যক্তি, বালক স্ত্রী এবং শরণাগত ব্যক্তির প্রাণনষ্ট করে এবং উপকার করিলে ষে উপকার মানে না, প্রায়শ্চিত্ত করিলে তাছায়াই ব্যবহার্য্য হয় না । বালক্সাংশ্চ কৃতঘ্নাংশ্চ বিশুদ্ধানপি ধৰ্ম্মতঃ । শরণাগতহস্তু,ংশ স্ত্রীহস্ত,ংশ ন সংবসেৎ | মঃ ১১ । ১৯১ । আমরা কাশী, মিথিলা, গোয়ালিয়র, কৰ্শ্বীয়, মহারাষ্ট্র, তৈলঙ্গ প্রভৃতি নানা স্থানেয় প্রসিদ্ধ প্রসিদ্ধ পণ্ডিতগণের সঙ্গে পরামর্শ করিয়াছিলাম। র্তাহারাও কুত্ৰাপি কামতে ব্যবহার্য্যস্ত’ ইত্যাদি বচনে লুপ্ত অকার দেখেন নাই। জয়পুরাধিপতির পুস্তকালয়ে চারিশত বৎসরের পুরাতন একখান্ত্রি হস্তলিখিত পুস্তক অাছে। তাছাতেও ব্যবহার্য্যঃ এই প্রকার পদ দৃষ্ট হইল। কলিকাতায় স্বৰ্গীয় তারানাথ তর্কবাচস্পতি মহাশয় যে ধৰ্ম্মশাস্ত্র সংগ্ৰহ পুস্তক মুদ্রিত করেন, ঐযুক্ত ভবানীচরণ বন্দ্যো পাধ্যায় যে ধৰ্ম্মশাস্ত্র প্রকাশিত করিয়াছিলেন, এবং বোম্বাই নগরে যে যাজ্ঞবল্ক্য সংহিতা প্রকাশিত হইয়াছে, তাহাদের কোন খানিতেই অব্যবহার্য্যঃ পদ গৃহীত হয় নাই। তদ্ভিন্ন যাজ্ঞবল্ক্যসংষ্ঠিতার চারি পাঁচখানি বহুমাহু টকা আছে । টকাকারেরাও ব্যবহার্য্য পদ ধরিয়া ব্যাখ্যা করিয়াছেন। অতএব এস্থলে অকার প্রশ্লেষ করা কতদূর বিবেচনাসঙ্গত বলা যায় না। ইতঃপূৰ্ব্বে মিশন্তরীরা এদেশের অনেককেই খৃষ্টান করিয়া দিয়াছেন। আমাদের দেশে এই রূপ প্রথা চলিত আছে যে, হিন্দুরা একবার যবন হইলে পুনৰ্ব্বার তাহাদিগকে পুৰ্ব্বসমাজে গ্রহণ করা যায় না। তজ্জন্ত কেহ বুঝিতে না পায়িয়া একবার খৃষ্টধৰ্ম্ম অবলম্বন
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৬৪৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।