অশ্ব [ ৬৩৭ ] অশ্ব মুখ দেখিতে নাই, তজ্জন্ত ঐ নক্ষত্রের নাম অশ্লেষ। অশ্লেষাজ (পুং) অশ্লেষা নক্ষত্রে জায়তে জন্ড। ৭-তৎ। কেতুগ্রহ। ‘অশ্লেষাভব’ শব্দেও কেতুগ্রহকে বুঝায়। অশ্লেষাশান্তি (স্ত্রী) অশ্লেষায়াং জনননিমিত্ত। শাস্তি: । শাক০ তৎ। অশ্লেষা নক্ষত্রে জন্ম নিমিত্ত শাস্তিকৰ্ম্ম । অশ্ব (পুং অণুতে ব্যাপ্নোতি অধ্বান অশ-(অণুপ্ৰষিলট কণিখটিবিশিভ্য: কন্। উ৭, ১ । ১৪৯) ইতি কন্। অশ্ন।তৃের্ব বাহুলকাং। অশ্বতে ইন্ধানং মহাশনা ভবন্তীতি চ। ( নির ) । ঘোটক। অশ্বশন্ধের এই কয়েকট পর্য্যায় দেখা যায়,–পীতি, পীতী, বীতি, ঘোট, ঘোটক, তুরগ, তুরঙ্গ, তুরঙ্গম, বাজী, বাহ, অৰ্ব্বা, গন্ধৰ্ব্ব, হয়, সৈন্ধব, সপ্তি। নিরুক্তে অশ্বশব্দের এই ২৬টা নাম লিখিত হইয়াছে--অত্যঃ, হয়, অৰ্ব্ব, বাজী, সঞ্চিঃ, বহিঃ, দধিক্রাঃ, দধিক্রাবা, এতস্থা, এতশঃ, পৈদ্বঃ, দেীর্গাহঃ, ওঁচ্চৈঃশ্রবসঃ, তাক্ষ্যঃ, আগুঃ, ব্রন্ধুঃ, অরুষঃ, মাংশ্চত্বঃ, অব্যথয়:, শ্বেনাসঃ, স্বপণা:, পতঙ্গ, নরঃ, হাৰ্য্যাণাম্, হংসাস:, অশ্বা: | কোন অশ্ব কোন দেবতার, নিরুক্তে তাহারও নির্দেশ করা হইয়াছে। ১—হরী ইন্দ্রস্ত। ২—রোহিতোইগ্নেঃ । ৩-হরিত আদিত্যস্ত। ৪—রাসভাবশ্বিনেঃ । ৫—অজাঃ পৃষ্ণঃ ৬–পৃষত্যে মরুতাম্।। ৭–অরণ্যে গাব উষসী । ৮—তাবা; সবিতু: ৯–বিশ্বরূপা বৃহস্পতেঃ।। ১০—নিযুতো বায়োঃ । ( ১ ) ইন্দ্রের অশ্বের নাম হরি। ( সোমপানাদিক্রিয়ায়াঃ সাধনাত্বাৎ ) । (২) অগ্নির রোহিত । (নিত্যপক্ষে জালা অশ্ব৷ ব্যাপ্তিমত্য: ) । (৩) আদিত্বের হরিত। (হরিতবর্ণ রশ্ময়ঃ প্রতিরদিত্যস্ত )। (৪ ) অশ্বিনীকুমারের রাসভ। (অশ্বিভোগ কালে রাসভবর্ণ, তৎকালোচিতেন শুামলেন বর্ণেনায়ং ব্যপদেশ: ) { (৫) পূষার অজ। ( অজা অজনাৎ। পৃষ্ণঃ কালে রশ্নয়ো গচ্ছত্তি ) ৷ (৬) মরুতের পৃষর্তীগণ। (প্রাবৃমি সৰ্ব্বত: পৃষত্যে! বিচিত্র মেঘমালা মরুতাম্) । (৭) উষসের অরুণী গো । (উৎসঃ কালে তমোহুভিভবে অরুশিমায়ামাগস্ত্র্য: ) । [ هما لا ] (৮) সবিতার খাম। (সবিতুঃ কালে খামবর্ণ। ভবস্তি ) ৷ (৯) বৃহস্পতিয় বিশ্বরূপ। (ছন্দাংসি বৈ বিশ্বরূপাণি)। (১০) বায়ুর নিযুত। ( অপপ্রবৃত্তে তৃণপৰ্ণানামবাদে সশ্চরণান্মিশ্রণাল্লিযুত: )। অমৃতাদি সপ্তস্থান হইতে ঘোড়ার উৎপত্তি হইয়াছে, তজন্ত অশ্বোৎপত্তিস্থান বলিলে সপ্তসংখ্যাকে বুঝায়। রতিশাস্ত্রানুসারে অশ্বজাতীয় পুরুষ । তাহার লক্ষণ,— কাঠতুল্য দেহ, ধৃষ্ট, নির্ভয়, মিথ্যাবাদী, দরিদ্র এবং দ্বাদশাঙ্গুল মেঢ়যুক্ত। ঘোড়া কোন স্থানের আদিম জন্তু সে বিষয়ে অনেক মতভেদ দেখা যায় । বেদে ঘোড়ার কথা উল্লিখিত আছে। অতএব পূৰ্ব্ব হইতেই আসিয়ার নানা স্থানে ঘোড় পাওয়া যাইত এবং আর্য্যের রথা দিতে ঘোড়৷ যুতিতেন সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। কেহ কেহ বলেন, আফ্রিকা ঘোড়ার আদিম বাসস্থান এবং মিশরের লোক প্রখম ঘোড়া পুষিতে আরস্ত করিয়াছিলেন। আসিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা এবং আমেরিকায় বহুকালের মৃত ম্যামথ এবং গণ্ডারের অস্থির সঙ্গে ঘোড়ার অস্থিও দেখিতে পাওয়া যায়। কলম্বস যে সময়ে আমেরিকা আবিষ্কার করেন, তখন সেখানে ঘোড়া ছিল না । তাই অস্থি দেখিয়া বোধ হয়, অতি পূৰ্ব্বকালে আমেরিকায় ঘোড়া ছিল, পরে কলম্বসের সময়ে তথাকার অশ্বজাতি বিনষ্ট হুইয়া থাকিবে। ইউরোপায়ের আমেরিকায় ঘোড়া ছাড়িয়া দিলে এখন সেখানে বিস্তর বন্ত ঘোড়া জন্মিয়াছে। স্থানভেদে ঘোড়ার আকৃতি ও বর্ণ নানা প্রকার । কোন কোন ঘোড়া বড়, আবার কোন কোন ঘোড়ার আকার ছোট। সচরাচর অল্প রক্তবর্ণ, এবং শ্বেত ও কৃষ্ণবর্ণের ঘোড়া দেখিতে পাওয়া যায়। অষ্ট্রেলিয়া, আরব, এবং বাৰ্ব্বারির ঘোড়াই অধিক প্রসিদ্ধ। কচ, দেশের ঘোড়া মধ্যমাকার। ব্রহ্মদেশের ঘোড়া খৰ্ব্ব । অশ্বজাতি মাত্রেই বলবান, কষ্টসহিষ্ণু, বুদ্ধিমান এবং প্রভূভক্ত। আরবের ঘোড়া এই সকল গুণের জন্ত অধিক বিখ্যাত । পূৰ্ব্বে আর্য্যের ঘোড়া কাটিয়া যজ্ঞ করিতেন। উহার নাম অশ্বমেধ যজ্ঞ সমাপ্ত হইলে যাঞ্জিকের। উহার হৃদয়ের বসা এবং মাংস দিয়া হোম করিতেন ও কিয়দংশ মাংস ভক্ষণও করিতেন। এখন কোন কোন
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৬৬১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।