অশ্ব [ ৬৩৮ ] অশ্বগন্ধ৷ দেশের লোক ঘোড়ার মাংস খাইয়া থাকে। ফ্রান্স দেশে ইহার বিলক্ষণ চলন হইয়াছে। লণ্ডনে বিড়াল এবং কুকুরের খাদ্যের জন্ত ইহার মাংস বিক্রীত হয়। অনেক জাতি ঘোড়ায় দুগ্ধও থাইয়া থাকে। ক্যালুকের ঘোড়ার দুগ্ধ হইতে এক প্রকার সুর প্রস্তুত করে। ঘোড়ার কেশর ও বালাঞ্চিতে পার্থী ধরিবার ফাস, ছাকন, পাপোষ এবং এক প্রকার কাপড় প্রস্তুত হয়। ইহার চৰ্ম্ম দ্বারা মেজ আবৃত করা হইয়া থাকে। অশ্বশাল শুষ্ক ও পরিষ্কার পরিচ্ছন হওয়া আবশুক । ঘরের মধ্যে যাহাতে উত্তম রূপে বায়ু খেলিতে পারে এ রূপ ব্যবস্থা করিবে । ছোলা, যব, গম, যবের ও গমের ভূযি এবং শুষ্ক ঘাস ঘোড়ার প্রধান খাদ্য। আমাদের দেশের ধনী লোকেরা ঘৃত, চিনি এবং গুড়ও ঘোড়াকে থাইতে দেন। ডাকপুরুষের বচনামুসারে ঘোড়া ৬০ বৎসর বাচিয়া থাকে। পোবা ঘোড়া ৩০, ৩৫ এবং ৪০ বৎসর জীবিত থাকিতে দেখা যায়। ঘোড়া চতুষ্পদ জন্তু। শরীরের পরিমাণায়ুসারে গাধার চেয়ে ইহার কান ছোট। ঘাড়ে এবং লাস্কুলে পুচ্ছ আছে। ইহাদের খুর যোড়া। চারি পায়েরই হাটুর উপরে ভিতর দিকে অস্তিময় চিহ্ন আছে। তাই লোকে এই রূপ বিশ্বাস করে যে, পুৰ্ব্বে ঘোড়ার পক্ষ ছিল। সেই পক্ষ এখন ছিন্ন হইয়া গিরাছে, কেবল তাহার স্থানে কটাবর্ণ দাগ আছে। প্রাচীন লোকে পক্ষিরজি ঘোড়ার গল্পও করিয়া থাকেন। পক্ষীরাজ ঘোড়ার পালক আছে, উহার শূন্তে উড়িতে পারে। অশ্বজাতি দাড়াইয়া ঘুমাইয়া থাকে। আইন আকবরীতে ঘোড়াকে সাত শ্রেণীতে বিভক্ত করা হইয়াছে;—আরবী, পারসী, মুক্তরসী, তুর্কী, যাবু, তাজী এবং জংলা । ছোট ছোট ঘোড়াকে সচরাচর আমরা টাট টু বলিয়া থাকি। ঘোড়া, পা উচ করিয়া দীর্ঘভাবে চলিলে তাহার নাম টাপ। প। গুটাইয়া ধীরে ধীরে চলিলে তাহাকে কদম কহে। পিঠ ফুলাইয়। ছুটিলে তাহার নাম দুম্বী। লোহার ব্রুস দিয়া ঘোড়ার গ৷ পরিষ্কার করিতে হয়। ঘোড়ার খুরে লৌহমর নাল বাধাম থাকে, তাহাতে ছুটিবার সময়ে পায়ে আঘাত লাগে না । ঘোড়ার পিঠে বসিবার যে আসন থাকে তাহার নাম জিন । জিন চৰ্ম্ম বা বস্ত্রে নিৰ্ম্মিত। জিনের দুই পাশ্বে পা রাখিবার রেকাপ বুলিয়। থাকে। ঘোড়ার মুথের লাগাম টানিয়া ইঙ্গিত করিলে উহাকে ইচ্ছামত চালান যায়। পূৰ্ব্বে স্থতজাতিরাই রখের অশ্ব চালাইত। নলরাজ অশ্ববিদ্যায় বিশেষ দক্ষ ছিলেন। (মহ০ বন•)। ‘অশ্বের শিক্ষায় নল বিপক্ষে অনল’ । ( ভারতচন্দ্র ) । অশ্নতি সৰ্ব্বম্ অশ-কন। অগ্নি বিশেষ । অশ্লতে ব্যাপ্নোতি (ত্রি )। ব্যাপক । ( পুং) যদুবংশীয় চিত্রকের পুত্র। *
- । অশ্বাদিভ্য: ফএ পা ৪ । ১ । ১০০ । গোত্র ও অপত্য অর্থে অশ্বাদি শব্যের উত্তর ফঞ হয়। আশ্বায়ন।
অশ্বের গোত্রাপত্য । कूभूझाडिा% %कू छ। (wil 8 । २ । ४० ग्रूप्ख) । অশ্বিক। আশ্বিক। ঘোড়ার নিকটস্থ দেশাদি । অশ্বেন চরতি পপা, ঠুন। অশ্বিক। ঘোড়ার দ্বার গমনকারী। কুৎসিতোহশ্ব: কঃ। অশ্বক। ইব প্রতিকৃতে) ক। অশ্বানাং সমূহঃ ছ। অশ্বীয়। অশ্বস্ত পাদ ইব পাদৌ অস্ত অশ্বপাদ । এখানে অশ্ব শব্দ হস্ত্যাদি জন্ত পাদ শব্দের অস্তু লোপ হয় নাই। অশ্বকদ । অশ্বকন্দিক (স্ত্রী) অশ্বস্ত গন্ধঃ ইব গন্ধ; কন্দে যস্তাঃ। বহুব্রী বা ক্যপ, অশ্বগন্ধ বৃক্ষ। অশ্বকৰ্ণ (পুং) অশ্বস্ত কর্ণ ইব পত্ৰং যস্ত। শাল বৃক্ষবিশেষ। লতাশাল । ইহার অপর পর্য্যায় জরণক্রম, তাক্ষাপ্রসব, শস্তসম্বরণ, ধন্ত, দীর্ঘপর্ণ, কুশিক, কৌশিক। ‘অশ্বকৰ্ণক’ শব্দও উক্ত অর্থে প্রযুক্ত হয়। ৬ তৎ। ঘোড়ার কাম । অশ্বকিনী (স্ত্রী) অশ্বস্ত কং মুখং তৎসদৃশাকারোংস্ত্যন্ত ইনি স্ত্রীত্বাৎ ডীপ। অশ্বিনী নক্ষত্র। অশ্বক্ৰদ (পুং ) দেবসেনাপতি বিশেষ। অশ্বখরজ (পুং) ভশ্বশ খরী চ, অশ্ব চ খরশ্চ বা, তাত্যাং জায়তে পুংবত্বাব: থচর । । অশ্বখুর (পুং) অশ্বস্ত খুরমিব অকৃতিরস্ত। নর্থী। অশ্বগন্ধ (স্ত্রী) অশ্বস্ত গন্ধ ইব গন্ধে মূলে যন্তাঃ। বৃক্ষ fŲog 1 ( Withania somnifera) i zvof FTF wiosz পৰ্য্যায়,—হয়গন্ধা, বাজিগন্ধা, অশ্বগন্ধিক, বল্য, তুরগগন্ধ, কম্বুকা, অশ্বাবরোহিকা, কম্বুকাষ্ঠ, অবরোহিকা, বারাহকণী, বাতন্ত্রী, শুামলা, কামরূপিণী, কালা, প্রিয়করী, গন্ধপত্নী, হয়প্রিয়া, বরাহপত্রী। বৈদ্যশাস্ত্রমতে ইহা কটু, উষ্ণ, তিক্ত, ৰলকর, শুক্রবৃদ্ধিকারী ; ইহাতে বায়ু, কাশ, শ্বাস, ক্ষয়, ব্রণ, জর প্রভৃতি নষ্ট হর । এই গাছ ভারতবর্ষের উষ্ণ ও শুষ্ক স্থানে জন্মে । ইহা বাঙ্গালায় কচিৎ দেখিতে পাওয়া যায়। সচরাচর