অহিফেম ঘণ্টার পর ঘুম ভাঙ্গে। তখন দেহ অবসর, মন উদ্যমশূন্ত ; শরীর গ্লানিযুক্ত এবং কোন কাজ করিতে ইচ্ছ। হয় না। মাত্রা অধিক হইলে সৰ্ব্বাঙ্গ চুল কাইতে থাকে এবং শীঘ্ৰ নিদ্রা আসে না। আফিমের মাত্র কম হইলে উত্তম নিদ্র হওয়া দুর্ঘট। যাহার। নিত্য আফিম সেবন করে, ঠিক নিয়মিত সময়ে মেীতাত ন পাইলে ঘন ঘন হাই উঠে, গা-ভাঙ্গে, চক্ষু দিরা জল পড়ে এবং অন্তান্ত অনেক উপসর্গ ঘটে। আফিম থাইলে স্পর্শশক্তি কমিয়া আসে, তাই উহাতে বেদন নিবারণ হয় । কিন্তু অধিকমাত্রায় আফিম সেবনে বিষাক্ত না হইলে জ্ঞানের বৈলক্ষণ্য ঘটে না । রক্তসঞ্চালন যন্ত্র --আফিম সেবন করিলে ১০ । ১৫ মিনিট পরে নাড়ী পুষ্ট ও চঞ্চল হইয়৷ উঠে ; শরীর উষ্ণ এবং মুখ উজ্জ্বল হয়। ক্রমে নেস। কমিয়া আসিলে নাড়ী ক্ষীণ ও মৃদুগামিনী হইয় পড়ে। শ্বাসযন্ত্র –আফিম সেবনের পর নাড়ী চঞ্চল হইলে সেই সঙ্গে সঙ্গে নিশ্বাস প্রশ্বাসও কিছু ঘন ঘন বহিতে থাকে। মুখমণ্ডল প্রথমে উজ্জ্বল থাকে, পরে শ্বাসক্রিয়া মৃদু হইয়া পড়িলে মুখ মলিন হয়। আফিম সেবনে শ্বাসযন্ত্রের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির স্পর্শশক্তিরও লাঘব হইয়। থাকে । স্রাবণক্রিয়া।—আফিম সেবন করিলে শরীরের সকল স্রাবণ ক্রিয়ার লাঘব হয় । মুখের গ্রন্থি হইতে ভালরূপ রস বাহির হয় না, তজ্জন্ত মুখ শুকাইতে থাকে। পাকাশয়ে আমরস সুচারু রূপে নিঃস্থত হয় না, তাই ক্ষুধামান্দ্য ও অজীর্ণরোগ উপস্থিত হয়। পিত্ত, প্যাংক্রিয়সের রস, অস্ত্রের রস প্রভৃতি কিছুই যথেষ্ট মাত্রার বাহির হয় না, সেকারণ কোষ্ঠবদ্ধ ও মল কঠিন হইয়া থাকে। অনেক স্থলেই প্রস্রাব পরিমাণে অল্প হয়। কিন্তু কাহারও কাহারও অধিক মূত্র হইতে দেখা যায়। আফিম থাইলে সকল শ্রাবণ ক্রিয়াই কমিয়া যায়, কিন্তু ইহাতে বিলক্ষণ ঘৰ্ম্ম নির্গত হয়। আফিম থাইলে পোষণক্রিয়া কমিয়া আসে ; কিন্তু তাহাতে শরীর কৃশ হইতে পায় না, কারণ আফিমে দেহের পেশীস্থত্রের ক্ষয় হইতে দেয় না। যৌবনকালের পর স্বভাবতই শরীরের বিধানোপাদানের ক্ষয় হইতে আরম্ভ হয় । আফিমে সেই ক্ষয় নিবারণ করে। তজ্জন্ত অনেকেই বলেন যে, চল্লিশ বৎসরের পর সকলেরই [ ৬৯১ ] অহিফেন আফিম খাওয়া উচিত। উদরাময়, কাশী, বাত প্রভৃতি নানা প্রকায় পীড়ার উপলক্ষে অনেকে আফিম খাইতে ধরেন। প্রথম প্রথম তাহাতে বিলক্ষণ উপকারও হর । কিন্তু ক্রমশঃ মাত্রা বৃদ্ধি না করিলে আফিমে আর উপকার দর্শে না । অনেক আফিমখোর প্রত্যহ এক ভরিরও অধিক আফিম সেবন করেন। বিলাতেও অনেক ব্যক্তি পীড়ার দায়ে প্রত্যহ দেড় বোতল আফিমের অরিষ্ট সেবন করিয়৷ থাকে। ক্রমে ক্রমে অভ্যাস না করিলে ১৫-২০ গ্রেণ আফিম সেবন করিলেই মানুষের মৃত্যু হয়। অধিক মাত্রায় আফিম থাইলে রোগী শীঘ্রই অজ্ঞান হইয়া পড়ে ; ধীরে ধীরে শ্বাস প্রশ্বাস বহে ; গলা ঘড়ঘড়, করে ; মুখ মলিন ; চক্ষু রক্তবর্ণ ও মুদিত ; কনীনিক কুঞ্চিত ; প্রথম অবস্থায় নাড়ী স্থল ও ধীরে ধীরে বঙ্কিতে থাকে ; রোগীকে ডাকিলে সে চক্ষু মেলিয়া চাহিয়া দেখে, কিন্তু ইঙ্গিত করিতে বড়ই বিরক্ত श्छ। शॉटदः । তাহার পর ক্রমশঃ নাড়ী আরও ক্ষীণ হয় এবং অনেকক্ষণ পরে এক এক বার উহার স্পনান হইতে থাকে। শ্বাস প্রশ্বাসের অতিশয় বিশৃঙ্খল ঘটে। শরীর শীতল এবং ঘৰ্ম্মাক্ত হয়। অচৈতন্ত্যাবস্থায় অনেকের মুখ হইতে ফেন নির্গত হইতে দেখা যায়। আফিম সেবনের ৬ ঘণ্টা হইতে ২০ ঘণ্টার মধ্যে রোগীর মৃত্যু इंग्र! १f८क । আফিম থাইয়া মৃত্যু ঘটিলে মৃতদেহে এই সকল লক্ষণ দেথা যায়,—মস্তিষ্কে রক্তাধিক্য ; মস্তিষ্কোদরে রস সঞ্চয় ; ফুসফুসে রক্তাধিক্য ; রক্ত পাতলা ও মলিন এবং মস্তিষ্ক মধ্যে রক্ত বাহির হইতে দেখা যায়। চিকিৎসা —আফিমদ্বারা বিষাক্ত হইলে আমাদের দেশে কলমী ও গুগুনী শাকের রস, পুরাতন কাগজতিজানো জল প্রভৃতি অনেকে অনেক প্রকায় দ্রব্য খাওয়াইয়া থাকেন। কিন্তু তাহাতে কিছুই উপকার হয় नः ।। ७४शामहे शांशंद्दछ तभरनद्र गtन्न चांकिभ फेठिंब्रा যায় এরূপ ঔষধ প্রয়োগ করা কর্তব্য। সলফেট, অব ঞ্জির ৩০ গ্রেণ, কিম্বা ইপেকাকুয়ানা এক ড্রাম সেবন कब्राहेग्ना छेक्ष छल थfहेtछ निटर । दमन कग्निष्ठ कब्रिाउ যখন আঙ্কিমের গন্ধহীন পরিষ্কার জল উঠিতে থাকিবে फु१न छांमिtर cष, फेमप्ङ्ग चांद्र श्रांकिम नाँहै । हैभांक
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৭১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।