পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- কস্ নামক জনৈক ব্যক্তি ঐ অস্ত্র আবিষ্কার করেন। } অগ্ন্য --- বোধ করি, তিনি ভারতবর্ষের কল্যাণাক্ষ নামে কোন ৷ ব্রাহ্মণ হইবেন। ৬৭৩ সালে রুম ( Constantinople ) { নগর অবরুদ্ধ হইলে, নগরবাসীরা কেবল এই অব্যর্থ অগ্ন্যস্ত্রের প্রভাবে শক্ৰদের হাত হইতে নিস্তার পাইয়। ছিলেন । ইতিবৃত্ত-লেখক গিবন সাহেব ঐ মহাস্ত্রকে গ্রিস্দেশের অগ্নি বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন। পূৰ্ব্বে | মুসলমানের অগ্ন্যস্ত্রের বিষয় জ্ঞাত ছিলেন না, তাহারা রোমকদিগের নিকট উহার নিৰ্ম্মাণ কৗশল শিখিয়া লন। যতকালে জেরুজুলাম লইয়। খৃষ্টান মুসলমানের মধ্যে তুমুল সমর হয় (Crusades), তাহাতে অগ্নিবাণে বিস্তর লোক হত হইয়াছিল। স্তর দে জৈনুডিল (Sir de Joinville) নামক জনৈক ফরাসিস্ স্বচক্ষে ঐ যুদ্ধ দেখিয়া অগ্নিবাণ সম্বন্ধে এইরূপ লিখিয়াছেন,— “La manière du feu grégois estoit tele que il venoit bien devant aussi gros comme un tonnel de verjus, et la queue du feu qui partoit de li, estoit bien aussi grant comme un grant glaive. Il faisoit tele noise au venir, que il sembloit que ce feust la foudre du ciel ; il sembloit un dragon qui volast par l'air. Tant getoit grant clarté que l'on véoit parmi l’ost comme se il feust jour, pour la grant foison du feu qui getoit la grant clarté.” JR ওয়ালটার झछे (Sir Walter Scott ) štara se vra izgr( Waworly Novels, ) ইহার এই রূপ সংক্ষেপ অনুবাদ করি: attoos, -“It came flying through the air, like a winged dragon, about the thickness of a hogshead, with the report of thunder and the speed of lightning, and the darkness of night was dispelled by this horrible illumination zests ঐ অগ্ন্যস্ত্র পক্ষবান অজাগরের ন্তায় আকাশে উড়িয়া আসিতে লাগিল । তাহ মদের পিপার মত স্কুল, বিদ্যুতের মত বেগবান এবং তাহার শব্দ বজ্ৰতুল্য। ঐ ভয়ানক জ্যোতিঃপুঞ্জ অস্ত্রে রাত্রির অন্ধকার পর্য্যস্ত দূর হইয়া গেল। " দ্রে,ণাচাৰ্য্য হত হইলে অশ্বথাম নারায়ণাস্ত্রের স্বষ্টি করিয়াছিলেন । সেই বিখ্যবাণের প্রভাব ঠিক ঐ রকম । প্রাঙ্কুশচক্রে ততো ঘোঁশিরস্ত্ৰং নারায়ণং তা ।

[৫৬] অগ্ন্য অভিসন্ধায় পাঞ্জুনং পঞ্চালামাঞ্চ বাহিনীম। ১৫ প্রাণ্ডুরাসংস্ততে বাণার্দীপ্তাগ্ৰা: খে সহস্রশঃ । পাণ্ডবা ক্ষপয়িষ্যস্তে দীপ্তাস্যা পয়গা ইব । ১৬ তাহার পর দ্রোণপুত্র পাণ্ডবদের এবং পঞ্চালের সৈন্যকে লক্ষ্য করিয়৷ নারায়ণাস্ত্রের স্বষ্টি করিলেন । সেই বাণ পাগুবদিগকে ক্ষয় করিবার জন্ত জলস্তমুখ বৃহৎ সৰ্পের ন্যায়ু আকাশে সহস্ৰ সহস্ৰ তেজঃপুঞ্জ বাণের স্বষ্টি করিল। অশ্বথামার অগ্ন্যস্ত্র এবং জৈনভিল বর্ণিত গ্রিকাগ্নিতে অনেক সাদৃশু দেখিতে পাওয়া যাইতেছে । তাই বোধ হয়, নিশ্চিত সে কালে কোন প্রকার ভয়ানক অগ্নিবাণ প্রচলিত ছিল । অগ্নিবাণ সম্বন্ধে অম্বুমান দ্বারা যতটুকু সিদ্ধান্ত কর। যাইতে পারে, তাহ ফুরাইল । এখন প্রমাণ । সংস্কৃত শবে শ্লোক সাজাইয়া কোন কথা লিখিতে পারিলে যদি তাহা গ্রামাণিক হয়, তবে আর্য্যদের হাতগড় কামান বন্দুকের বেশ ভাল প্রমাণ আছে। শুক্রনীতি পড়িলে জানা যায়— - নালিকং দ্বিবিধং জ্ঞেয়ং বৃহৎ ক্ষুদ্রবিভেদত:'। ১৯৫ তিৰ্য্যগৃদ্ধচ্ছিদ্রমূলং নালং পঞ্চবিতস্তিকম্। মূলাগ্রয়োলক্ষ্যভেদিতিলবিন্দুযুতং সদা। ১৯৬ যন্ত্রাঘাতাগ্নিক গ্রাবটুর্ণধুক্ষণমুলকম্। মুবর্তিলবণাং পঞ্চপলানি গন্ধকাং পলম। অন্তধূমবিপকার্ক হাদ্যঙ্গারত; পলম্। ২০১ শুদ্ধাতসংগ্রাহ সংচূর্ণ সন্মীলা প্রপুটেদ্রসৈ: | স্থ হকাণাং রসোনন্ত শোষয়েদাতপেন চ। পিষ্ট শর্করবচ্চৈতদগ্নিচুৰ্ণং ভবেৎ থলু। ২০২ ৷ ছোট এবং বড় এই আকার ভেদে নালিক দুই প্রকার। ছোট নালিকের ছিদ্র বক্র ও উপর দিকে এবং তাহা আড়াই হাত লম্বা । তাহার অগায় ও গোড়ায় নিশান করিবার ক্ষুদ্রমাছী আছে। যন্ত্রের আঘাত করিলে যেন আগুন উঠে, সে জন্য প্রস্তর চুর্ণ পড়িবার রজনের ঘর আছে | 米 崇 崇 藥 举 সোরা ৪০ তোলা ; গন্ধক ৮ তোলা । গুমে গুমে পোড়ানো আকন্দ সিজাদির খাটি কয়লা ৮ তোলা । এই সকল দ্রব্য পৃথক্ পৃথক্ মাড়িয়া পরে একত্র মিশাইবে । তাহার পর আকদের আটায় ও রস্থনের রমে ভাবনা ৷ দিবে। শেষে জয় রোত্রে শুকাইয চিনিয়মত চূর্ণ করিয়া