অঙ্ক জাস্ক্রিয় নগরীতে আনিয়াছিলেন । তদ্ভিন্ন, প্লাটিনস্, নিউমারিনো প্রভৃতি পণ্ডিতগণ উজ্জয়িনীর বণিকদের কাছে অঙ্কশাস্ত্র শিখিয়াছিলেন। পরিশেষে মিশরবাসিদের নিকট ইহুদী ও রোমকের গণিত বিদ্যা শিক্ষা করেন। এতদ্বারা বুঝিতে পারা যাইতেছে, ভারতবর্ষেই প্রথমে অঙ্কশাস্ত্রের স্বষ্টি হইয়াছিল। পূৰ্ব্বকালের ব্রাহ্মণের অঙ্কবিদ্যার গুরু। আরবী, মিশরী, ইহুদী এবং রোমকেরা সেই গুরুর শিষ্য। অামাদের বিশ্বাস, এদেশে প্রথম প্রথম ১, ২, ৩, ইত্যাদি সাঙ্কেতিক চিহ্নদ্বারা অঙ্কপাত করা হইত না । তখন বর্ণমালার ক, খ প্রভৃতি কোন বিশেষ বিশেষ বর্ণদ্বারা সংখ্যা লিখিত হইত। এই অনুমান সত্য কি না, তাহা নিশ্চিত করিতে পারিলে, রূঢ় অঙ্ক নয়ট হইল কেন তাহাও নিশ্চিত করা যাইবে। ইহুদী এবং রোমকের ব্রাহ্মণদের শিয্য, তাহারা আর্য্যজাতির কাছে গণিতশাস্ত্র শিখিয়াছিলেন । শিষ্যের কাজ দেখিলে, গুরু তাহাকে কি প্রকার পাঠ দিয়াছিলেন তাহ বুঝিতে পারা যায় । প্রাচীন ইহুদীরা বর্ণমালার প্রথম নয়ট বর্ণ (অর্থাৎ আলেফ বেত, গিমেল, দালেথ, হে, ভাউ, জৈন, চেত এবং টেত ) দ্বারা এক হইতে নয় সংখ্যা পর্য্যন্ত লিখিতেন। তাহার পরবর্তী আর নয়টা বর্ণদ্বারা তাহারা দশ হইতে নববই পর্য্যন্ত লিখিতেন । বর্ণমালার শেষ চরিটী বর্ণদ্বারা যথাক্রমে এক শত্ব হইতে চারিশত পৰ্য্যন্ত লিখিত হইত। গ্রিকরাও ইহুদীদের মত অলঙ্কা, বেটা প্রভৃতি বর্ণমালার বর্ণদ্বার ১, ২ ইত্যাদি অঙ্ক লিখিতেন । গ্রিক ভাষার দশ, এ (D ) অর্থাৎ ডেকা বা দশের আদ্যক্ষর দিয়া লিখিত হইত। রোমকের এক লিখিতে হইলে ( I ) এক দাড়ীর মত একটা আঁক কাটিতেন । দুই লিখিতে श्हेप्श (II) झुद्दे मार्चुकी हेठानि । झर्श्व शिथि८ङ हद्देश তাহারা ( x ) ঢেরার মত একটা চিহ্ন করিতেন। ঐ রূপ ছুইটী ঢের দ্বারা বিশ ( ২০ ), তিনটী ঢের দ্বারা ত্রিশ ইত্যাদি অঙ্ক লিখিত হইত। ( ) এই রূপ তিনটা রেখা দ্বারা (১০ •) লিখিত হইত { (M) অথবা (Clo) চিহ্ন সহস্র সংখ্যার বোধক। উপরে লিখিত প্রমাণদ্বারা বুঝিতে পারা গেল, প্রাচীণ ইহুদী, গ্রিক এবং রোমকের ১, ২, ৩ ইত্যাদি সাঙ্কেতিক চিহ্নস্বার অঙ্কপাত করিতেন না এবং তাহা দের সংখ্য লিখিবার অক্ষর কেবল নয়টামাত্র নহে। [ ও৫ ] [*] অঙ্ক তাহারা বড় বড় রাশি লিখিবার সময় বর্ণমালার অনেকগুলি বর্ণের প্রয়োগ করিতেন । ভারতবর্ষের ব্রাহ্মণের। ঐ সকল জাতির অন্ধবিদ্যার গুরু, তবেসে কালের ব্রাহ্মণেরা কি করিতেন? এ দেশে ভাল ইতিহাস নাই, তজ্জন্তু কোন কঠিন বিষয়ের মীমাংসা করা দুর্ঘট হইয়া পড়ে। কিন্তু পুরাতন আচার ব্যবহার এখনও যাহা কিছু বিদ্যমান আছে, তাহাতেই আমাদের এ উদ্দেশুসিদ্ধি হইবে । বোধ হইতেছে, পূৰ্ব্বে ব্রাহ্মণেরাও বর্ণমালার অঙ্কবিশেষ দ্বারা ১, ২ ইত্যাদি অঙ্কগুলি লিখিতেন । কারণ, পঞ্জাবের উত্তরে টাকরী ভাষায় অদ্যাপি এক, দুই, তিন ইত্যাদি সংখ্যা বোধক শব্দের আদ্যক্ষর দ্বারা (এ, দ্বি, ত্রি ইত্যাদি ) ১, ২, ৩ প্রভৃতি অঙ্কগুলি লিখিত হয়। ( Cunningham ) । ঐ স্থানের লোকেরা আজও প্রাচীন পদ্ধতি ত্যাগ করে নাই, ইহাই অনুমান হইতেছে। এক্ষণে তাহারা যে প্রথানুসারে অঙ্কপাত করিতেছে, তাহ আর্য্যজাতির পুরাতন প্রথা, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। সংস্কৃত ভাষার সংখ্যা গুলির নাম বিবেচনা করিয়া দেখিলে বুঝিতে পারা যায় যে, আর্য্যেরা গণিত বিদ্যা ভালরূপ শিখিলে দশমিক অঙ্কপাতপদ্ধতির সৃষ্টি হইয়াছিল। রূঢ়সংখ্যা নয়পৰ্য্যন্ত লইয়া তাহার পর কেবল এক একটা শূন্যের আশ্রয়ে উত্তরোত্তর দশগুণ করিয়া সংখ্যাবৃদ্ধি করা, এ মুঢ় লোকের অন্ধ বুদ্ধিতে ঘটে নাই। কারণ অঙ্কপাতের মধ্যে সঙ্কলন, ব্যবকলন ও গুণের নিয়ম রহিয়াছে। পঞ্চদশ বলিলে, দশ এবং পঞ্চ (১০+ ৫ ) বুঝাইতেছে, সুতরাং সঙ্কলন দ্বারা এই রাশি লিখিত হইল। একোনবিংশতি বলিলে, (২৪-১ ) বিংশতির এক কম বুঝাইতেছে। সুতরাং ইহাতে ব্যবকলন রহিয়াছে। ত্রিংশংবলিলে ( ১০ ×৩) তিন গুণ দশ বুঝাইতেছে, অতএব এখানে গুণের নিয়ম রহিয়াছে। ঋগ্বেদ সংসারের সকল পুস্তকের চেয়ে প্রাচীন। সেই খেদে লিখিত আছে,— স্বমেতাঞ্জনরাজ্ঞে দ্বিদশ বন্ধুনা স্বপ্রবসোপজগষঃ। যষ্টিং সহস্রা নবতিং নবশ্রাতাণি চক্রেণ রথ্যা পদ বৃণকৃ। ১। ১• । ৫৩। ৯ । হে ইন্দ্র ? আপনি লোকবিশ্রত সহায়রহিত হইয়। সুশ্রব রাজকর্তৃক আক্রান্ত বিংশতি সংখ্যক (ৰিদৰ্শ ) छनश्रमाथिश्रठि ७य१ फोशत्रुङ्ग वाग्ने शंखाङ्ग निग्रामक्हे সংখ্যক (৬•••• +৯•+৯) অক্ষচরগণকে শক্রমাশক
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৮৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।