পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भघरौँ - ১ । ১৯৪ ) সমুদ্রোস্তুৰ জন্তু বিশেষ, চলিত শাখ। পৰ্যায় কয়ু ( अभन्न ), कtत्रांछ, अख, छलण, ( *कन्न" ) अt*ििख्र, *विनश्वान অন্তঃকুটিল, মহানাদ, শ্বেত, পূত, মুখর, দীর্ঘনাদ, বহুনাদ, হরিপ্রিয়। গুণ-কটুরস, পুষ্টিবৰ্দ্ধক,বীৰ্য্য ও বলপ্রদ, গুল্ম, শূল, কফ, শ্বাস ও বিশ্বদোষনাশক । ভাবপ্রকাশে লিখিত আছে-শঙ্খ, নাভিশঙ্খ, ঝিনুক, শম্বুক ওঁ কাকড়া প্রভৃতি কোষস্থ জgধুৰ, স্নিগ্ধ, বাতপিত্তস্থর, ছিম, পুষ্টিদ, মলকারক, শুক্রল ও বলবৰ্দ্ধক । রাজবল্লভে উল্লিখিত হইয়াছে যে শঙ্খ ও সমুদ্রফেন শীতবীৰ্য্য, কষায়রুসবিশিষ্ট ও অতি বহিম লনিঃসারক । ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্তপুরাণে শস্থোৎপত্তিবিবরণ এইরূপ লিখিত আছে— দেবাদিদেব মহাদেবের মধ্যাহ্নমার্কও সদৃশ দীপ্যমান শূল দামবপ্রবীর শঙ্খচূড়ের উপর নিক্ষিপ্ত হইয়। তদীয় দেহ ভস্মসাৎ করিলে শিব সানন্দে উক্ত দানবের অস্থিসমূহ লবণাস্তু মধ্যে নিক্ষেপ করায় ঐ সকল অস্থি হইতে নানাপ্রকার শঙ্খের উৎপত্তি হয়। ( ব্রহ্মবৈ” প্রকৃতিখ” ১৮ অ: ) শখের মাহাত্ম্য-দেবতাদির পুজায় শস্থ অতি পবিত্র পদার্থ; শঙ্খের জল তীর্থবারি তুল্য এবং দেবতাদিগের সাতিশয় প্রীতিপ্রদ, শখের ধ্বনি যতদূর পর্য্যস্ত সমুথিত হয়, তথায় লক্ষ্মীদেবী স্থিরভাবে অবস্থান করেন। শঙ্খে সৰ্ব্বদাই হরির অধিষ্ঠান, অতএব যেখানে শঙ্খ থাকে, লক্ষ্মীজনাৰ্দ্দন তথাকার সমস্ত অমঙ্গল দূর করিয়া নিয়ত সেই স্থানে অবস্থিতি করেন । কিন্তু যদি কথন স্ত্রীশূদ্র কর্তৃক ঐ শঙ্খ ধ্বনিত হয় তাহ হইলে লক্ষ্মী , ও রুষ্ট হইয়া অবিলম্বে তথা হইতে স্থানাস্তরে প্রস্থান করেন। (ব্রহ্মবৈ” । শস্থে কপিলী গাভীর দুগ্ধ পুরিয়া তদ্ধার [ ১৫৫ ] •jরায়ণকে স্নান করাইলে অযুত সহস্ৰ যজ্ঞের ফল লাভ হয়।. যে কোন গাভীর দুগ্ধ শঙ্খে পূর্ণ করিয়া নারায়ণের স্নান করাইলে লোক ব্ৰহ্মপদ লাভ করে । শঙ্খস্থ গঙ্গাজল দ্বারা ‘নমো নারায়শায় বলিয়া বিষ্ণুকে স্নান করাইলে জীব যোনিসঙ্কট হইতে মুক্ত হয়। শঙ্খসংলগ্ন বিষ্ণুপাদোদক তিল বা তুলসী সংমিশ্রিত করিয়া ভক্ত বৈষ্ণবকে প্রদান করিলে, লোক চান্দ্রায়ণ ত্রতের ফললাভ কুরে । নদী, তড়াগ, কুপ, সরোবর, হ্রদ প্রভূতি যে কোন জলাশয়ের জল হউক না কেন তাহ শখস্থ হইলে উহা গঙ্গাজলের তুল্য হয়। যে বৈষ্ণব শঙ্খস্থ বিষ্ণুপাদায়ু মস্তকে ধারণপূর্বক নিত্য বহন করে সে তাপসশ্রেষ্ঠ মধ্যে পরিগণিত হয়। ত্রিভুবনে যতগুলি তীর্থ আছে বাস্থদেবের আজ্ঞায় তৎসমস্তই শস্থের ভিতর অধিষ্ঠিত; এ কারণ”ত্বং পুরা সাগল্পোৎপয়ে বিষ্ণুনা বিধৃত করে । নমিতঃ সৰ্ব্বদেবৈশ্চ পাঞ্চজন্ত নমোইস্ক তে ॥* এই ময়ে সৰ্ব্বদা শম্বের অর্চনা কল্প কর্তব্য। ফলপুষ্প চন্দনাদি זרי স্বারা ধিীন বাসুদেবের সমক্ষে শখের অর্চনা করেন, লক্ষ্মী সতত তাহার প্রতি সদয় থাকেন। শখের অর্জন করা দূরে থাকুক শখ দৰ্শন মাত্রেই হুর্য্যোদয়ে শিশিরবিন্দুসমূহের ষ্ঠায় পাপরাশি বিলয় প্রাপ্ত হয়। পাঞ্চজন্ত শঙ্খের নাদে অনুরূপীদিগের গঞ্জসমূহ সহস্রধ বিভক্ত হইয়া বিনষ্ট হয় । যমদূত, পিশাচ, উন্নগ, রাক্ষস প্রভৃতি, মস্তকে শঙ্খোদক ধারণশীল ব্যক্তিকে দেখিয়৷ ভাণ্ডচিত্তে দূরে পলায়ন করে। নিত্য, নৈমিত্তিক ও কাম্য স্নানার্চন বিলেপনাদিতে যিনি শঙ্খের অর্চনা করেন, শ্বেতদ্বীপে তাহলে গতি হয়। ( পাদ্মো গুল্লখ° ১২৯ অঃ ) দক্ষিণাবর্তশখমহাত্ম্য-পূৰ্ব্বদিগগামিনী নদী সমীপে গিয়া দক্ষিণাবর্তশঙ্খ দ্বারা বিধিবৎ অভিষেক করিলে অশেষ পাপ হইতে মুক্ত হওয়া যায়। তিল ও জল সংগৃষ্ট দক্ষিণাবর্ষ শঙ্খ দ্বারা উক্তরূপ পুৰ্ব্বদিগগামিনী নদীর গর্ডে নাভি পর্যাপ্ত নিমজ্জিত করিয়া,যথাবিধি অভিষেক করিলে যাবজ্জীবনের পাপরাশি ক্ষণ মধ্যেই দূরীভূত হয়। দক্ষিণাবর্তশঙ্খ দ্বারা পরিশোধিত জল হৃষ্টচিত্তে মস্তকে ধারণ করিলে জন্মার্জিত পাপনিচয় সন্তোবিনষ্ট হয়। ইহাদ্বারা কখনও মৎস্ত কিম্বা শূকর হনন কারবে না। এই শখে করিয়া জলপান করা সৰ্ব্বদাই নিষিদ্ধ। ( বরাহপু” ) দক্ষিণাবত্তশঙ্খ সাধারণতঃ দুষ্প্রাপ্য। এই কারণে উহার মুল্যও অধিক। একটা দক্ষিণাবৰ্ত্ত শঙ্খ গুণানুসারে ৪০০- ৫০০২ টাকা মূল্যে বিক্রত হয় । বামাবৰ্ত্তশঙ্খের যে স্থলে মুখসংযোগ করিয়া আমরা শঙ্খনাদ উচ্চারণ করি, দক্ষিণাবর্তের সেই মুখ কৰ্ণে লাগাইলে এক অজ্ঞতপুৰ্ব্ব মধুরধ্বনি কর্ণকুহরে প্রবেশ করে । এই মহার্যতা নিবন্ধন ইহা একটী রত্ন বলিয়া গণ্য । আহ্নিকাচরতত্ত্বে উল্লিখিত হইয়াছে যে দক্ষিণাবর্তশঙ্খ দ্বারা হরির আর্টন কারণে সপ্তজন্মঙ্কত পাপ একেবারে দূরীভূত হয়। যুক্তিকল্পতরু প্রভৃতিতে শঙ্খকে রত্নবিশেষের মধ্যে পরিগণিত করা হইয়াছে। এই শঙ্খ ক্ষীরোদোপকুলে স্বরাষ্ট্রদেশে বা তঞ্জি অষ্ঠাষ্ঠ স্থানেও পাওয়া যায়। ইহার বর্ণ তরুণারুণসঙ্কুশ বা শশিশুত্র, মুখ সাতিশয় স্বস্ব, ইহা অতিশয় গুর ও বৃহৎ ; বাম ও দক্ষিণাবত্তভেদে ইহাও দ্বিবিধ। তন্মধ্যে দক্ষিণাবর্তগুলি আয়ু, যশঃ ও ধনবদ্ধক ; যিনি এই শঙ্খ দ্বারা শ্রদ্ধার সাংত বারি গ্রহণ করেন, তিনি সৰ্ব্বপাপবিনিম্মু ও হইয়া পুণ্যলোক প্রাপ্ত হন। বৃত্তাকার ভাব, স্নিগ্ধতা ও নিৰ্ম্মলতা এই তিনটা শখের গুণ। এই শঙ্খে যদি আবর্তভঙ্গরূপ কোন দোষ ঘটে, তচ্ছ। হইলে সুবর্ণসংযোগ দ্বারা সেই দোষের শাস্তি হইতে পারে । এই শঙ্খগুলি আবার ব্রাহ্মণক্ষত্রিয়াদিভেদে চারিবর্ণে বিভক্ত । •ক্ষীরোদকুলেছপি স্বরাষ্ট্রদেশে তদন্ততোহপি প্রভবত্তি শঙ্খাঃ । অরুন্ধবর্ণাঃ শশিশুভ্রভাস: মুম্বক্ষবস্তু, গুল্পবো মহামুঃ ॥