, শম্বর [ মধ্য। আজমী রাজ্য হইতে ৪• মাইল উত্তরপশ্চিমে যেখানে আরাবল্লী গিরিশ্রেণীর উত্তরশ্বিাহিনী শাখা গুলি আপনাপনি নিমজ্জিত হইয়া একটা সুবৃহৎ অববাহিকার সৃষ্টি করিয়াছে, ঠিক্ সেই ভূগর্ভেই এই হ্রদের উৎপত্তি। এখান হইতে জল নিষ্কাশিত श्ध्न शाझेदांग्न *५ नॉरें । cगहे छछ श्रार्कण्ठा zरम*विtशोङ অববাহিকা বাহিয়া নিম্নস্থ খাতে আলিয়া উপস্থিত হয়। খাতটা গভীর না হইলেও বহুদূরব্যাপী। বর্ষা ঋতুর অব্যবহিত পরেই যখন উচা পূর্ণাবয়বে থাকে, তখন উহার পরিসর লম্বে ২• মাইল এবং গ্রন্থে ৩ হইতে ১০ মাইল পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত হয়। তৎকালে জুল পরিমাণ স্থানবিশেষে ১ হইতে ৪ ফিট গভীর দেখা যায়। বর্ষাপগমে ভাদ্র ও আশ্বিন মাস হইতেই হ্রদের জল শুকাইতে আরম্ভ কৰুে এবং কাৰ্ত্তিক তইতে বৈশাখ পৰ্য্যন্ত উত্তরোত্তর শুকাইয়া হ্রদটি একবারে মরিয়া যায়। কেবল কিঞ্চিদধিক এক মাইল দৈৰ্ঘ্য এবং অৰ্দ্ধমাইল প্রস্থ স্থানে জল থাকে। হ্রদের মধ্যস্থল পাশ্ববর্তী স্থানসমূহ অপেক্ষ কিছু অধিক গভীর, এই জন্য এখানকার জল কখনও শুকায় না । স্থানীয় লোকে উহাকে "ধনভা গুর” বলিয়া জানে। ইহারাই বিপরীত দিকে মা ? -কি দেবী নামীয় একটা পৰ্ব্বতশিখর দক্ষিণকুল ভেদ করিয়া হ্রদগর্ভের অভিমুখে মাথা বাড়াইয়াছে। এই ধনভাণ্ডার থাত পূৰ্ব্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত। ছদটার চতুষ্পাশ্ব চুণাপাথর ও লবণপৰ্ব্বত দ্বারা পরিবৃত হওয়ায় ঐ স্থানের ভূমি সকল অমুর্বর এবং বৃক্ষলতাদি পরিশূন্ত মত দী সদৃশ। ইহার মধ্যে মধ্যে পাম্মায় স্তরের (Permian system) প্রস্তর দৃষ্টিগোচর হয়। সাধারণের বিশ্বাস, প্ৰণয় প্রস্তরস্তর জলপ্রবাহে বিধৌত হইয়া হ্রদের জলকে লৱণাক্ত করে। হ্রদতলের মৃত্তিক কৃষ্ণবর্ণ ও আটাল। গ্রীষ্ম ঋতুতে হ্রদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য বড়ই মনোহর ও বিস্ময়োদ্দীপক । দক্ষিণদিকের অববাহিকা দেশে যে সকল ক্ষুদ্রাকার বালিয়াড়ী দৃষ্ট হয়, তাহার একটার উপর দাড়াইয়া চতুৰ্দ্ধিকে নিরীক্ষণ করিলে সম্মুখে ও পাশ্বদেশ যেন বিস্তীর্ণ তুষারাবৃত বলির অনুমান হয়। কেবল খও খও জলরাশি এবং ততং স্থলে নামিবার রাস্ত ব্যতীত আর কিছুই সেই রজতধবণ এাত্তরের একাগ্রতা ভঙ্গ করিতে সমর্থ হয় না । বাস্তবিক ঐ স্থান তুষারমণ্ডিত নহে, মাটার উগ্র মুন ফুটিয়া ঐন্ধপ সাধা ফুল বিছােনর মত দেখাইতেছে। হ্রদের জলে মিশ্রিত ভাবে এবং কৃষ্ণু বর্ণমৃত্তিকার উপর কলম ও ঘানাকার লবণ পাওয়া যায়। এই স্থানে হইতে লৱণ উৎপন্ন হয় বলিয়া বহু পূৰ্ব্বকাল | হুইতেই হিন্দু ও মুসলমানরাজগণ এই মূল্যবান সম্পত্তি অধিকা ব প্রয়াস পাইয়াছিলেন। মোগলসম্রাট, অকবরশাহ ও তাছার २०9 l শম্বর o বংশধরগণের শাসনকাল হইতে আক্ষদশাহের দিল্লী সিংহাসনধিকার পর্য্যস্ত দিল্লী রাজসরকারের তত্ত্বাবধানে এখানে লবণ প্রস্তুতের কারখানা স্থাপিত হয়। অবশেষে উছ জয়পুর ও যোধপুরের রাজপুত রাজগণের করায়ত্ত হইয়াছিল। হষ্টতে ১৮৪৪ খৃষ্টা পুর্যস্ত রাজপুতগণ ইংরাজ রাজ্যসীমা অতিক্রম করিয়া নানা স্থান উপদ্রণে আরম্ভ করে । দম্বদিগের অত্যাচার দমনের জন্য ঐ সময়ে ইংরাজ গবমেটিকে বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হইতে হয় ; সেই ক্ষতিপূরণের জন্য ভারত গবৰ্ণমেণ্ট স্বহস্তে লবণ প্রস্তুত করিবার ভার গ্রন্থখ করেন। কিন্তু খৃষ্টীয় ১৭শ শতাব্দী হষ্টতে জয়পুর ও যোধপুর রাজসরকার যে ভাবে লবণ প্রস্তুত করিয়া আসিতেছিলেন, ১৮৭• খৃষ্টা পৰ্য্যন্ত র্তাহারা সেই ভাবেষ্ট লবণ উৎপন্ন করিয়াছিলেন । ইহার পর ইংরাজ গরমেন্ট উক্ত রাজয়ের নিকট স্বতন্ত্ৰ সন্ধিসৰ্বে আবদ্ধ হয়ে ঐ স্থান ইজারা করিয়া লন । এষ্ট হ্রদের পুৰ্ব্ব কুল এবং দক্ষিণের কতকাংশ জয়পুর ও যোধপুররাজের মিলিত সম্পত্তি, কিন্তু অবশিষ্ট সমুদায়ই জয়পুরাধিপের অধিকৃত। মাটির উপর মুন ফুটিয়া উঠিলেই, মজুরের ঝুড়ি হাতে হ্রদের তীরে নামিয়া আইসে এবং মুনের চাঙ্গড় ঝোড় ভরিয়া কারখানায় লইয়া যায়। ঐ লবণ স্থানের গুণানুসারে এবং দ্রব্যবিশেষের আণবিক সংমিশ্রণহেতু লাগ নীলবর্ণ ধারণ করে। কপন চেপ্টা কটাহে লবণাম্বু রাখিয়া, কখন বা হ্রদগর্ভ পৰ্য্যন্ত গভীর চৌবাচ্ছায় লবণজল পুরিয়া লবণ প্রস্তুত করা হয়। ইহাকে সাধারণে শম্বর বা শাস্তুর লবণ বলে। পঞ্জাব, যুক্তপ্রদেশ এবং মধ্যভারতের হিন্দুপ্রধান জনপদসমূহে এই লবণ প্রধানতঃ প্রচলিত । জয়পুর ও যোধপুরের মিলিত শাসনাধিকারে স্থাপিত শস্বরনগর এবং হ্রদের অপরপারস্থিত যোধপুরাধিকৃত নব ও গুধা নগরের সহিত রাজপুতনা-মালব-রেলপথের সংযোগ হওয়ায় এখানকার লবণ দুরাস্তরে লইবার বিশেষ সুযোগ ঘটিয়াছে । খৃষ্টায় ১৮শ শতাব্দীর প্রারম্ভে যে সকল বিদেশ ভ্রমণকারী এবং দেশীয় তীর্থযাত্রী শম্বর হ্রদ দেখিয়া গিয়াছিলেন, তাছাদের বিবরণীতে প্রকাশ যে ঐ হ্রদ্ধ লম্বে • মাইল এবং প্রন্থে ১• মাইল ছিল । বর্তমানে উহা ক্রমে শুকাইয়া আসিয়াছে এবং কালে উছার গর্ডও মজিয়া উঠিতেছে। *১৮৭৯ খৃষ্টাব্দে ইংরাঞ্জগবমেণ্টের ইজারার পর ১৮৮৩-৮৪ খৃষ্টাব্দ , পৰ্য্যন্ত ১৫ বৎসরে বার্ষিক প্রায় ২৮• • • • • মণ লবণ উৎপন্ন হয়। একমাত্র শেষোক্ত বর্ষেই প্রায় ৭১১১৩৫৩ মণ লবণ পাওয়া যায়। শম্বর, রাজপুতুমার শম্বরভূদতীরবর্তী একটী নগর । জয়পুর ও যোধপুর-রাজের শাসনাধীন। ইহা জয়পুর নগর হইতে 〉br○総
পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/২০৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।