পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*[ २७ ] ব্যাকরণ" . ব্যাকরণ " পরোক্ষবৃত্তয়শ্চ ! তত্রোক্তক্রিয়া—প্রত্যক্ষবৃত্তয়, অস্তলীনক্রিয়াপরোক্ষবৃত্তয় অতি পরোক্ষবৃত্তিষু শব্বেষু নির্বাচনাভ্যপায়স্তন্মাৎ পরোক্ষবৃত্তিতামাপদ্ধ প্রত্যক্ষ বৃত্তিন শব্দেন নিবক্তিব্যঃ । बोक्रण &ltइब्र गमtग्न cष बाॉकब्रह१ब्र शंउँौब्रङङ्ग-निबदृश्ब्र আলোচনা হইয়াছিল, এইরূপ এক একটী শাৰিকশাস্ত্র ব্যবহৃত গভীরার্থ মূলক শব্দের প্রয়োগ দেখিয় আমরা এইরূপ সিদ্ধাত্ত স্থির করিতে পারি। ফলতঃ পাণিনির পূৰ্ব্বে ব্যাকরণের বিপুল উন্নতি সাধিত ন হইলে কখনই সহসা পাণিনীয় ব্যাকরণের ন্যায় একখান সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর ব্যাকরণ রচিত হইত না । শাস্ত্র মাত্রেরই প্রয়োজনীয়তা আছে । প্রাচীনের एjकिद्भt१ङ्गे سسـة اacة প্রয়োজনীয়তা “সৰ্ব্বস্তৈব হি শাস্ত্রস্ত কৰ্ম্মণে বাপি ফন্তচিৎ। যাবৎ প্রয়োজনং নোক্তং তাবৎ তৎ কেন গৃহতে ॥ সুতরাং ব্যাকরণ শাস্ত্র প্রণয়নের অবশুই প্রয়োজন ছিল। বৈদিক সময়ে ব্যাকরণের যথেষ্ট প্রয়োজন অনুভূত হইত। আমরা মহাভাষ্য পাঠে এই সকল প্রয়োজনের সংক্ষিপ্ত মৰ্ম্ম জানিতে পাই । ভাষ্যকার বলেন— “রক্ষোহাগমলঘূসন্দেহ প্রয়োজনম্” অর্থাৎ রক্ষার্থ, উছার্থ, আগমার্থ, লঘুর্থ এবং অমনোহার্থ ব্যাকরণ শাস্ত্রের প্রয়োজন। ভগবান পতঞ্জলি উক্ত বাক্যের প্রত্যেক পদের ব্যাখ্যা করিয়াছেন ; সেই সকল ব্যাখ্যার মৰ্ম্ম এইরূপঃ বেদরক্ষার্থ ব্যাকরণ অধ্যেয় । ব্যক্তিই সম্যকৃরূপে বেদ পরিপালনে সমর্থ। ২ । ডহ অর্থে অনুসন্ধান পুৰ্ব্বক বেদার্থতাৎপৰ্য্য পরিগ্রহণ। বৈদিক মন্ত্রসমূহ সকল স্থলে সৰ্ব্বলিঙ্গ ও সৰ্ব্ববিভক্তি স্থার অভিব্যক্ত হয় না। যাজ্ঞিকগণ ভিন্ন ভিন্ন স্থলে উহার ভিন্ন ভিন্ন অর্থ তাৎপর্য ওহণ করেন। ব্যাকরণ না জানিলে এইরূপ স্থলের অর্থ তাৎপৰ্য্য গ্রহণ করা অসম্ভব হইয়া পড়ে, সুতরাং ব্যাকরণ অবহু অধ্যেয় । q : ৩। আগম-ব্যাকরণ ষড়ঙ্গের প্রধান অঙ্গ। প্রধান বিষয়ে যত্ন করিলে সে যত্ন অবতই ফলবান হয় । বিশেষতঃ ব্রাহ্মণদের পক্ষে ষড়ঙ্গ অবত অধ্যয় ও জ্ঞেয় । সুতরাং ব্যাকরণ অবশু অধ্যেয় । ৪। লঘু উপায়ে শব্দ জ্ঞানের নিমিত্ত ব্যাকরণ অধোয় । ব্রাহ্মণের পক্ষে শর্থশাস্ত্র অবগু জ্ঞেয়। কিন্তু ব্যাকরণ ব্যতীত’ অপার শহ্ম সমুদ্রের অভিজ্ঞতা লাভ একবারেই অসম্ভব। ব্যাকরণ লঘু উপায়ে শব্বজ্ঞান সম্বন্ধে শিক্ষা প্রদান করে, যোগাগমবর্ণ বিকারজ্ঞ o: I স্বতরাং ব্যাকরণ অবশ্য অধোয়। f ৫ । অসন্দেহাৰ্থ ব্যাকরণ অধোয়। ব্যাকরণ না পড়িলে বেদার্থজ্ঞানে সদেহের নিরাস হয় না। যাজিকগুণ পাঠ করেন— “স্থলপৃষীমাবারুশীমনড্রাহীমালভেত" এই স্থলে “স্থলপৃষর্তী” শব্দ কি প্রকার স্বরে পাঠ করিতে হইবে, ব্যাকরণ জান না থাকিলে তাহাতে স্বভাভতঃ সন্দেহ জন্মে। "স্থলপৃষভী" পদটা সমাস-নিবন্ধ। তৎপুরুষ ও বহুব্রীহি উভয় প্রকারেই এই পদটা সমাস-বন্ধ হইতে পারে, তদযথা (ক)—স্থলা চালীে পৃষত চ-স্থল পৃষর্তী (তৎপুরুষ ) (খ )—স্থলানি বা পৃষন্তি যন্তাঃ সেয়ং স্থলপুষতী। বহুত্রীহি সমাস নিম্পন্ন হইলে, পূৰ্ব্বপদ’ প্রকৃত স্বরত্বে উচ্চারিত হইবে। তৎপুরুষ সমাসে নিম্পন্ন হইলে অস্ত্যপদ উদাত্ত স্বরে উচ্চারিত হইবে। বৈয়াকরণ ভিন্ন অপরের পক্ষে স্বর বিচারে বেদপাঠ অসম্ভব । ৬ । দুষ্ট শব্দ পরিহার করার নিমিত্তও ব্যাকরণ অধ্যেয় । তুষ্ট শব্দ ব্যবহারে স্লেচ্ছত্ব জন্মে। স্লেচ্ছ না হওয়ার নিমিত্তও ব্যাকরণ অধ্যেয় । * e ৭। যজ্ঞাদির মন্ত্রে দুই শব্দ ব্যবহারে বিপরীত ফল উৎপন্ন হয়। সুতরাং তাদৃশ বিপদ না ঘটতে পারে এই নিমিত্ত্বও ব্যাকরণ অধ্যেয় । স্বরবর্ণ ব্যতিক্রমে শব্দ দুষ্ট হইয়া থাকে, তদ্ব্যথা – “দুষ্টঃ শব্দঃ স্বল্পতে বর্ণতে বা মিথ্যা প্ৰযুক্তো ন তমর্থমাহ স বাগ বজো যজমানং হিনস্তি যথেন্দ্রশক্রঃ স্বরতোইপরাধাৎ ।” স্বরবৈষম্য বা বর্ণ বৈষম্য নিবন্ধন শব্দ দুষ্ট হইয়া অথবা মিথ্য প্রযুক্ত হইয়া যে উদ্দেতে ব্যবহৃত হয় উহা আর সে অর্থ প্রকাশ করে না। সেই দুষ্টশন্স-রচিত বাক্য বজের স্থায় হিংসক হইয় যজমানকে বিনষ্ট করে। স্বরবৈষম্য “ইন্দ্র শত্রু" শব্দ বৃত্রের হত্যার কারণ হইয়াছিল। অর্থাৎ কোনও সময়ে ইন্দ্রের বিনাশের নিমিত্ত বৃত্ৰান্থর অভিচার আরম্ভ করেন। এই অভিচারে “ইন্দ্রশত্রুর্বধস্ব” এই মন্ত্র উহিত হইয়াছিল। এস্থলে “ইন্দ্রস্ত শময়িত শাতরিত বা ভব” ইহাই ক্রিয়াশক । এখানে শত্রু শহা আশ্রিত উহা কুঢ়ি শৰ নহে। এই আশ্রয় হেতু বহুব্রীহি ও তৎপুরুষের অর্থাভেদ । “ইন্দ্রশত্রুর্বধস্ব” এই বাক্য ইঙ্গ-শাতনের নিমিত্ত ব্যবহৃত হইলে অস্ত্যপদ উদাত্ত স্বরে উচ্চারিত হওয়া উচিত । কিন্তু অজ্ঞ ঋত্বিক আস্তপদ উদাত্ত স্বরে উচ্চারণ করিয়াছিলেন। তাহাতে ইন্দ্র আমন্ত্রিত (সম্বোধনে বিহিত ) হইয়া বৃত্রের শাতয়িত হওয়ার প্রার্থনাই স্বচিত হইয়াছিল। সুতরাং বৃত্রের অমুঠিত অভিচার বিপরীত ফল প্ৰদান করিয়া বৃত্রেরই নাশের হেতু }