শাক্য __ প্ৰণাম ও গুঞ্চপূজাদি করবেন। গুরুর অগ্ৰে পৃথক পূজা ও ঔদ্ধত্য,ধীক্ষা, ব্যাখ্যা ও প্রভুত্ব পরিত্যাগ করা বিধেয়, গুরুর শষ্যা, আসন, যান, পাছকা, জানোদক, ও ছায়। এই সকল লঙ্ঘন করিবে না। গুরুর নাম ধরিবে না । কায়মনোবাক্যে গুরুর অনুগামী হইয়া গুরুর প্রতি ভক্তি রাখিয়া সাধক সাধনা করিবেন। শাক্সগণ সকলই শrিরুপে অবলোকন করিবেন । শক্তিই শিষ, শিবই শক্তি, ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু ইক্স রবি চন্দ্র ও গ্ৰহগণ প্রভৃতি সকলই শক্তি স্বরূপ, অধিক কি এই নিখিল ব্ৰহ্মাও সকলষ্ট শক্তি স্বরূপ,যিনি এই নিখিল জগৎ শক্তিরূপে দর্শন করিতে না পারেন, তিনি নিরয়গামী হইয়া থাকেন। ( শুমারহস্ত ) বর্তমান শাক্তাচায় সম্বন্ধে অসংখ্য তান্ত্রিক নিবন্ধ আছে, তন্মধ্যে লক্ষ্মণ দেশিকের শারদাঙিলক, রাঘবভট্টকৃত শারদাতিলকের টাকা, ব্ৰহ্মানন্দ গিরির শাক্তানন্দতরঙ্গণী, গৌড়ীয় শঙ্করাচার্য্যের তারারহস্য, জ্ঞানানন্দের কেীলাবলীতন্ত্র, ও কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের তন্ত্রসার এই কয়ুখানি গ্রন্থে মোটামুটী সকল কথাই বর্ণিত হইয়াছে। ২ শক্তিমান। “বাচং পাঞ্জস্তেব বদতি শিক্ষমাণঃ” ( ঋক, ৭৷১০৩৷s ) “শাক্তস্তেব শক্তিমতঃ শিক্ষকস্ত’ ( সায়ণ ) শাক্তানন্দতরঙ্গিণী ( স্ত্রী) তন্ত্রভেদ। শক্তিক (ত্রি ) শক্ত্য জীবতি শক্তি ( বেতনাদিভো জীবতি । প৷ ৪i৪৷১২ ) ইতি-ঠক, আস্কচে বৃদ্ধিঃ । যিনি শক্তি দ্বারা জীষ্টিপ, 'পূৰ্বাহ করেন। শক্তিজীবী। শাক্তীক ( পুং ) শক্তিপ্রহরণমস্ত শক্তি ( শক্তিযষ্ট্যে রীকক্ । প৷ ৪৪৫৯ ) ইতি ঈকক। শক্তিধারক । পৰ্য্যায়—শ৫িিৈতক। ( অমর ) শাক্তেয় (ত্রি) ১ শক্তিসম্বন্ধীয়। (পুং) ২ পাঞ্জ, শঙ্কুপাসক । ৩ শক্তির পুত্র পরাশর । পাক্ত্য (পুং) শক্তি-ধ্য। ১ শক্ত,পাসক, শাক্ত। ই বৈদিক গৌরিধীতি ঋষির গোত্রাপত্য। ৩ পরাশর । শাক্ত্যায়ন (পুং ) শাক্যথবির গোত্রাপত্য । श्राङ्गन्। (गै) दण । “শাক্সন শাকোহরুণং" ( ঋক ১•।৫৬৬ | পাল্পনা বলেন শাক শৰঃ স্বৰ্ণক্ত্যৈৰ সৰ্ব্বং কৰ্ত্তং শক্ত, ইত্যর্থঃ’ ( সারণ ) পাক্য (পুং ) শকোহভিধানমস্তেতি (শক্তিকাদিভ্যোঞঃ। প৷ se৯৩) ইতি এp্য । বুদ্ধদেব । ( হলায়ুধ ) একটা প্রাচীন কৰি ৰাতি। ইহা হৰিশ কুকু [ ২৭৯ ] শাক্য বংশোদ্ভব বলিয়। কথিত । এক সময়ে শাক্যগণ বলবীৰ্য্যপ্রভাবে বিশেষ প্রতিষ্ঠা লাভ করেন এবং স্বয়ং ভগবানূ বুদ্ধ এই ৰংশে অবতীর্ণ হইয়া শাক্যজাতির গৌরব বৃদ্ধি করেন। যে সময়ে মগধাধিপ বিৰিলার রাজগৃহের, অঙ্গাধিপতি চম্পা নগরে, লিচ্ছৰীগণ ৰৈশালীতে এবং সাকেতপুরী পরিত্যাগের পর যখন কোশলপতি প্রসেনজিৎ উত্তরে শ্রাবস্তিসগরে বিশেষ গৌরবের সহিত রাজ্যশালন করিতেছিলেন, সেই সময়ে কোশল রাজ্যের পূর্বভাগে aোহণী নদীতটে শাক্য ও কোলি নামে দুইট ক্ষত্রিয় শাখা ধীরে ধীরে মস্তকোত্তোলন করিতে প্রয়াস পাছতে ছিলেন। এই সময়ে মগধাধীশ্বর ও কোশণপতি পরম্পরের বিরুদ্ধাচারী হইয়া রাজ্যসীমা বৃদ্ধিমানলে যুদ্ধবিগ্ৰছে লিপ্ত হইয়াছিলেন, সেই সুযোগে রোহিণী নদীর একপারে শাক্যগণ এবং অপর পারে কোলিগণ স্বাধীনতাধবজ ডডডান কাপ্পতে সমর্থ হল এবং কপিলবা স্তুতে শাক্য রাজধানী প্রতিষ্ঠিত হয় । শক্য ওঁ কোলিগণ পরম্পরে আত্মীয়ত স্থত্রে আবদ্ধ হইয়। পরম আনণে কিছুকাল শাস্তি মুখভোগ করিয়াছিলেন । শাক্যপতি শুদ্ধোধন দুইটা কোণীয় প্লাজকুমারীর পাণিগ্রহণ করেন। এই হই রাজকুমারীর গর্ভে বহুকাল কোন পুত্র সস্তান না হওয়ায় রাজা শুদ্ধোদন বিশেষ চিন্তাকুল হইলেন এবং রাজবংশধরের আশা একরূপ পরিত্যাগ করিলেন। কিছুকাল পরে, জ্যেষ্ঠারাজমহিষীর গর্ভলক্ষণ প্রকাশ পাইল । প্রাচীন প্রথাঃসারে রাজনন্দিনী স্থতিকাগারে আবদ্ধ হইতে পিত্রালয়ে চলিলেন। কিন্তু পথে যাইতেই তিন খুম্বিনী উষ্ঠানে একটা পুত্র সন্তান প্রসব করিলেন । নবজাত কুমার ও প্রস্থতিকে তখনই কপিলবাস্তুতে ফরাইয়া আনা ইহল । সাতদিন পরে স্থতকাগারেই মাতার বিয়োগ ঘটিল, মাতৃত্বস কনিষ্ঠ মহিষীই রাজকুমারের পালনভার গ্রহণ করেন। ঐ বাণক শাক্যবংশকেতু বলিয়া শাক্যসিংহ নামে বিদিত হন। তিনি কোলিমূ-রাজকন্ত। যশোধাপ্পা বা সুভদ্রার পাণিগ্রহণ করেন । [ বুদ্ধ দেখ। ] যে শাক্যবংশে শাক্যসংহ জন্ম ১২শ করেন, সেই ঐক্ষুক বংশধরগণ কিরূপে শাক্য নামে প্রথিত হইয়া বিস্তার লাভ করিয়াছিলেন, তাহার সংক্ষেপ্ত বিবরণ বৌদ্ধ গ্রন্থাবলী মধ্যে লিথিত আছে। ঐ সকল গ্রন্থ পাঠ করলে প্রবর্ধিত শাক্য জাতির সংখ্যা ও তাছাদের প্রভাব এবং বৌদ্ধমতে তাহাধের বিরাগ ও আমুরঞ্জির যথাযথ ইতিহাস সংগ্ৰহ করিতে পারা যায় । তিব্বত দেশীয় দুব.বা বিনয়পিটক গ্রন্থে লিখিত আছে যে, বারাণসীপতি মহেশ্বর সেনের বংশধরগণ কুশীনগর ও পোতলে রাজত্ব করিতেন। ঐ বংশে পোতল নামে এক রাজা ছিলেন,
পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/২৮১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।