পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भॉल [ ७०१ ] শাল - * পূৰ্ব্বে পঞ্জাবের বহু স্থানে শাল প্রস্তুত হইত, কিন্তু তৎপর হইতে কাশ্মীরই শালনিৰ্ম্মাণের প্রসিদ্ধ স্থল বলিয়া খ্যাত হইয়াছে। ১৮১৯ খৃঃ অঃ কাশ্মীরে ভয়ানক দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হয় । সেই চুর্ভিক্ষের তাড়নায় শালকরগণ কাশ্মীর ভ্যাগ করিয়া অমৃতসর, নুরপুর, দীননগর, ত্ৰিলোকনাথ, জালালপুর, লুধিয়ানা প্রভৃষ্টি বিবিধ স্থানে যাইয়া আশ্রয় গ্রহণ করে। এখনও এই সকল স্থানে বহু পরিমাণে শাল প্রস্তুত হইয়া থাকে। পঞ্জাবে যে সকল শাল বোন হয়, তন্মধ্যে অমৃতসরী শালই সৰ্ব্ব শ্রেষ্ঠ । কিন্তু কাশ্মীর শালের সহিত অমৃতসরীর তুলনা হয় না । ইহার প্রধান কারণ এই যে পঞ্জাবী শালকরের তেমন পশমসংগ্রহে অসমর্থ, দ্বিতীয়তঃ কাশ্মীরে যেমন রং হয়, অমৃতসরে যেরূপ রং • ফলে না। কেহ কেহ বলেন, কাশ্মীরের জলের কোন বিশিষ্ট রাসায়নিক গুণেই এইরূপ ভাল রং ফলিয়া থাকে । শাগনিৰ্ম্মাণ সম্বন্ধে কোন কথা বলিবার পূৰ্ব্বে শালের উপাদান পশমের কথাই অগ্ৰে উল্লেখ কর প্রয়োজন । উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের ভিন্ন ভিন্ন ছাগ বিশেষের লোমই শালের উপাদান। তিব্বতে ও স্পিতি নামক স্থানে এক ছাগ আছে। এই সকল ছাগেল লোম সংগ্ৰহ করিয়া তন্দ্বীরাই শাল নিৰ্ম্মিত হয়। ম্পিতির ছাগলোম অপেক্ষ তিববতদেশীয় ছাগলের লোমই অধিকতর ডৎকৃষ্ট । কাশ্মীরে লাদক বিভাগে শালের পশমের জন্ত ছাগ পালন করা হয়। এই সকল ছাগ দুই শ্রেণীতে বিভক্ত । এক প্রকারের ছাগের আকার খুব বড়, ইহাদের বড় বড় শৃঙ্গ আছে, ইহার রাপপু নামে খ্যাত। ক্ষুদ্র জাতীয় ছাগগুলি তিলু নামে অভিহিত। এই সকল ছাগ পাৰ্ব্বত্য প্রদেশে দেখতে পাওয়া যায় । তিব্বতের সুব্রা, জাগঙ্কর, এবং রাকচু গভূতি স্থানেও এই সকল ছাগ যথেষ্ট দেখিতে পাওয়া যায়। অধুনা রুকণ নগর নামক স্থানেই সাধারণতঃ উত্তম পশম সংগৃহীত হয়। খোতানের দক্ষিণ অঞ্চলও উত্তম পশমের জন্ত বিখ্যাত। বৎসরের মধ্যে একবার মাত্র পশম সংগ্ৰহ করা হয় । এই সকল ছাগের সকল লোমই পশম নহে। ঘাড়ের ও নিম্ন ভাগের ( ৰক্ষ ও পেটে ) পশমই শাল নিৰ্ম্মাণের উপাদান । মোটা মোট লোমগুলি হইতে স্বগুলোম স্ব শুঞ্জ করিয়া শালকরদের নিকট রপ্তানী করা হষ্টয় থাকে । মোট লোমে কম্বলাদি প্রস্তুত হয় । তিব্বত হইতে পশম কাশ্মীর, নুরপুর, অমৃতসর, লাহোর, লুধিয়ানা, অম্বালা, শতদ্রু তটবর্তী রায়পুর ও নেপালে প্রেরিত হইয়া থাকে । উত্তম পশম “লেন” নামে অভিহিত, সাধারণ পশম “বাল” নামে খ্যাত । কাশ্মীরে পূৰ্ব্বে ২৮ জানায় এক এক সের পশম বিক্রীত হইত। লাদক হইতে কাশ্মীরে প্রতি বর্ষে প্রায় তিন হাজার মণ পশম আমদানী হইয়া থাকে। প্রত্যেক ছাগ হইতে প্রতি বৎসর প্রায় অৰ্দ্ধসের পশম পাওয়া যায়। লাদকে প্রায় ৮• • • • ছাগ পালন করা হয়। প্রত্যেক ছাগলের মূল্য চারি টাকা । এক কাশ্মীরেই প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা মৃত্যুর শাল প্রস্তুত হইয়া থাকে। সিন্ধু ও সাইফুক নদীর মধ্যবর্তী উচ্চস্থানসমূহেও পশমের উপযোগী ছাগ পালন করা হয় । - শালনিৰ্ম্মাণের পূর্বে পশম পরিষ্কৃত করিতে হয়। স্ট্রীলোকেরাই সাধারণতঃ পশম পরিষ্কার করে । সাধারণতঃ ময়দার সহিত পশম মিশাইয়া পেষা হইয়া থাকে। অতঃপর পশমগুলি ঝাড়িয়া লইলেই উহ! পরিষ্কৃত হয় । ইহার পরে পশম হইতে চুলগুলি বাছিয়া ফেলা হয় । চুল মাছিয়া ফেলা খুব সময়সাপেক্ষ ; বিশুদ্ধ পশমে প্রস্তুত শালাদির মূল্যও অত্যন্ত অধিক। অতঃপর চরকার সাহায্যে পশমগুলিকে সুত্রে পরিণত করিয়া তাহ রং করা হইয়া থাকে। সাদা বিশুদ্ধ পশম সুত্রের অৰ্দ্ধসেরের মূল্য ৪০ চল্লিশ টাকার কম নহে । একরঙ্গ শাল তাতে প্রস্তুত হইয়া থাকে । কিন্তু নানা বঙ্গে চিত্রিত শাল স্থচ দিয়া বোন হয় । যে শাল সকল তাতে প্রস্তুত হয়, সেই সকল শাল তিলিবালী, তিলিকার, কানিকার বা বিনেট নামে খ্যাত। স্বচকাৰ্য্যে শালগুলি সাধারণতঃ অমলীকর নামে অভিহিত । এতদ্ব্যতীত দোশাল, রুমাল, জামীওয়ার প্রভৃতি নামে শালের আরও প্রকার ভেদ আছে। জামীওয়ার গুলি বিবিধ বর্ণে বিচিত্রিত। শালের কিনার। ( পাড় ) নিৰ্ম্মাণেও এক বিপুল ব্যবসায় চলিতেছে। কালিকার, ও অমলীকর শালে স্বতন্ত্রভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তাতে কন্ধ প্রভূত প্রস্তুত করিয়া উহ। আবার জুড়িয়া সেলাই করিয়া দেওয়া হয়। এই শ্রেণীর শাল কাশ্মীরে যথেষ্ট প্রস্তুত হছয়া থাকে । শাল প্রস্তুত করার সময়ে বিবিধ শ্রেণীর লোক কার্য্যে নিযুক্ত হইয়া থাকে। যথা নকাশ, তার গুরু, এবং তালিম গুরু ইত্যাদি। নকশি শালের নমুনা দেখাইয়া থাকেন। তারা গুরু রং ও রঙ্গিন স্বত্রাদির পরিমাণ নির্দেশ করেন। তালম গুরু এই সকল বিষয় সাঙ্কেতিক ভাবে লিখিয়া তাতদের তাতে প্রদান করেন, তাহার তদনুসারে শাল বয়ন করিয়া থাকে। শালমিৰ্ম্মাণের জন্ত যে কাষ্ঠস্থটা ব্যবহৃত হয়, উছা তোঞ্জী নামে খ্যাত। এই তোঙ্গীতে চারি গ্রেণ ওজন পরিমিত রঙ্গিন পুত্র জড়ান থাকে । দোশাল। —দোশাল বিবিধ প্রকার দেখিতে পাওয়া যায় । সাদ দোশাল বা 'খালি মাটনি”, রঙ্গিন পাড়দার, বা “চার বাগান", মধ্যস্থলে ফুলদার বা চাদদার, কুঞ্জদার। যে শালের ইই