পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৩৫২

% . শাহরিয়ার রঞ্জনের মৃত্যুর পর আনন্দ দেব রাজপদে অধিষ্ঠিত হন। এই সময়েও শাহর্মীর মন্ধিত্ব করেন । ক্রমে ক্রমে শাহুমীর এবং তাহার পরিঞ্জনবর্গের আধিপত্য দিন দিন বুদ্ধি পাইতে থাকে। প্রজাগণও শাহুর্মীরের প্রতি অনুরক্ত হইয় উঠে। ইহাতে শাহমীরের পরিজনগণের প্রতি সন্দিগ্ধ হইয়া রাজা উহাদিগকে রাজসভায় আসিতে নিষেধ করেন। এই নিষেধের ফল বিষময় হইয়৷ উঠে। শামীর বিদ্রোহী হইয়া দাড়াইলেন, কতকগুলি সৈন্ত সামস্ত লষ্টয় কাশ্মীরের উপত্যকার যুদ্ধার্থে প্রস্তুত কইলেন, রাজার বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারিগণ ও সৈন্তাগণ শাহমীরের সঙ্কিত যোগ দিলেন, এই অসম্ভাবিত ব্যাপার দেখিয়া রাজার হৃদয় একেবারে ভাঙ্গিয়া গেল। হৃৎপিণ্ডের পীড়ায় ১৩২৭ খৃষ্টাবে বিধবা পত্নীকে রাগিয়া মানবলীগ সংবরণ করিলেন। কএক বৎসর রাজপত্নী | কেীলদেবী শাছমীরের অঙ্কলক্ষ্মী হইয়া মুসলমান ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিলেন। শ}ছমীর এইরূপে কাশ্মীরের রাজসিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত ছষ্টলেন । কেীলদেীর বিবাহের ঘটনা অনেকেই অলীক বলিয়া প্রকাশ করিয়াছেন। জনৈক ঐতিহাসিক লিথিয়াছেন, দুবৃত্ত মীরশাহ যখন কৌলদেবীর সতীত্ব নষ্ট করিতে - ...[ * 6 e ] আসিয়াছিল, তখন তিনি কতকগুলি দাসী সহ শামীরের | নিকট উপস্থিত হন এবং উহাকে পামর, পাষণ্ড, অকৃতজ্ঞ,নরাধম, ' বিশ্বাসঘাতক বলিয়৷ গালি দিতে দিতে স্বীয় বক্ষে ছুরিকাঘাত করিয়া সতী রমণী তন্মণ্ডেই প্রাণ পরিত্যাগ করেন । এই ঘটনার পরে শাহ্মীর সুলতান সামসুদ্দীন উপাধি গ্রহণ করিয়া ১৩৪১ খৃষ্টাবে কাশ্মীরের রাজসিংহাসন গ্রহণ করেন । ১৩৪৪ খৃষ্টাব্দে ই হার মৃত্যুর পরে ই হার পুত্র জমসীদ ই হার উত্তরাধিকারী হইলেন । শাহর, মধ্য প্রদেশের নিমার জেলার অন্তর্গত খাওয়া তই শিলের একটী সহর । শাহরিয়ার, সম্রাট জাহাঙ্গীরের কনিষ্ঠ পুত্র। শের আফগান খার ঔরসে নুরজাহান বেগমের যে কষ্ঠ হয়, সেই কষ্ঠার সহিত ইষ্টার বিবাহ হইয়াছিল। ১৬২৭ খৃঃ অন্ধে জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর পরে শাহরিয়ার লাহোর হইতে আসিয়া কোষাগার দখল করেন এবং সৈন্ত সামন্ত সংগ্ৰহ করিয়া উজীর আসফ থাকে আক্রমণ করিতে প্রবৃত্ত হয়েন। আসফ, খ সুলতান খসরুর পুত্র দেওয়ার বকস্ ওরফে বলাকীকে কারামুক্ত করিয়া রাজপদে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন। এই যুদ্ধে শাহরিয়ার পরাস্ত ও কারা নিক্ষেপ্ত হন, অবশেষে ইষ্টার চক্ষু নষ্ট করা হয় । শাহ জহান ১৬২৮ খৃষ্টাব্দের ৪ঠা ফেব্রুয়ারী রাজসিংহানে অধিরুঢ় হইয় ইহাকে, দাবার বক্সৰে এৰং দানিয়ালের দুই পুত্র তৈমুর ও হোশঙ্ককে নিহত করেন । শাহস্থজ - শাহ রুক মীর্জা, তৈমুরবংশীয়, ইহার পিতার নাম ইব্রামি মির্জা। বাক্সনের শাসনকৰ্ত্ত মীর্জ সোলেমান ইহার পিতামহ ছিলেন। ১৫৭৫ थुटेॉएक, हेनि हेहीब्र निष्ठांभश्रु সিংহাসনচ্যুত করিয়া তাঙ্গর সিংহাসনে অধিরূঢ় এবং দশ বৎসর কাল রাজ্যশাসন করেন। ১৫৮৫ খৃষ্টাৰো আবদুল্ল খাঁ। उँछदद् मिछ **ांझrम हेहfक ८म* झहेtङ बिठाक्लिड করেন। শাহরুক পলায়নপুৰ্ব্বক ভারতবর্ষে আসিয়া উপস্থিত হন। সম্রাট আকবর ইহাকে আশ্রয় দান ও স্বীয় কল্প দান করেন । ১৫৯৩ খৃষ্টাব্দে শাহরুকৃ আকবরের কন্স। শাকরেস্লেশা বেগমকে বিবাহ করিয়া পঞ্চ হাজারী আমীরের পদ প্রাপ্ত হন। জীগঙ্গীরের সময়ে ইনি সপ্তহাজারী পদে উন্নীত ছষ্টয়াছিলেন। ১৬২৭ খৃষ্টাৰে উজ্জয়িনীতে ইহার মৃত্যু হয়। শাহ সদর, একজন স্ববিখ্যাত পীর। আরব হইতে ইনি সিন্ধুদেশে আসিয়া ছিলেন। এখানে অনেকে ইহার ধৰ্ম্মমত গ্ৰহণ করেন । শিবিস্থান পৰ্ব্বতের পাদদেশে এখনও ইষ্ঠায় সমাধি কাছে। এই স্থানটী সিন্ধু প্রদেশের লকী গ্রামের অতি নিকট । পারস্তাধিপতি নাজীর শাহ ইছার পরম ভক্ত ছিলেন। নাজী বলকে ইনি স্বরে দর্শন দিয়া গুপ্তধনের কথা বলিয়৷ দিয়াছিলেন । নাজীর স্বপ্লাদেশানুসারে নির্দিষ্ট স্থানে ধন প্রাপ্ত হন এবং এই পীর সাহেবের পরম ভক্ত হন। সিন্ধু প্রদেশে এখন যে সকল সৈয়দবংশীয় ব্যক্তিগণ নাজীর সৈয়দ নামে অভিহিত হন, তাহারা ইহীরই বুঃশায়। ইমাম আলি নকির বংশ হইতে এই বংশ উদ্ভূত। “শকি" শব্দ “নকি" শব্দেরই রূপান্তর বা অপভ্রংশ। শাহ সরফউদ্দীন, একজন পীর। ১৩৩৯ খৃঃ অক্টে ইনি লোকান্তর প্রাপ্ত হন । বিহারে এখনও ই হার সমাধি আছে । মুসলমানগণ এই সমাধি দর্শন করিয়া থাকেন। ইহার মৃত তারিখে প্রতিবযে এই দরগার সমীপে ইহার স্মরণার্থ মেলা হইয়া থাকে। এই মেলায় প্রতিবর্ষে প্রায় ৫৮• • • লোক উপস্থিত হইয়া থাকে। ইহার অপর নাম সেখ শরীফ । বহলোল লোদীর পুত্র সম্রাট, সেকেন্দর শাহ ১৪৯৫ খৃঃ অন্ধে ইহার সমাধি দর্শন করেন। শাহ সুজা, কাবুলের আক্ষদশাহ আবদালীর পৌত্র, তৈমুর শাহের কনিষ্ঠ পুত্র। ১৮১২ খৃঃ অন্ধে ইহার ভ্রাতা ইহঁকে কাশ্মীরে প্রেরণ করিয়া কারারুদ্ধ করেন । রণজিৎসিংহ ইহঁকে কারামুক্ত করিয়া ছিলেন । ১৮৩৯ খৃঃ অব্দে ৮ইমে বৃটিশ গবর্ণমেন্ট ইস্থাকে কাবুলের সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৮৪২ খৃঃ অব্দে ইহার ভ্রাতু-পুত্র ইহাকে নিহত করেন। ইনি ইহার আত্মজীবনী লিথিয়ছিলেন, তাহা এলিয়াটিক সোসাইটর পত্রিকায় প্রকাশিত হইয়াছে।