) 3-లి [ א):f শিখ ' अब्रदांtग्न भधष्ठिश्ठ ब्रहिण, रुिछ ॐशब्र कूणसङ्ग छझाँ পণ্ডিতের আচরণে শিখগণ ক্রমশঃই বিরক্ত ও উত্তেজিত হইতে লাগিল । রাণী ৰিন্দন কোষাধ্যক্ষ লালসিছে আসক্ত এবং ঐ লালসিংহ সর্দার জবাহির সিংহকে গোপনে অর্থ সাহায্য স্বারা উত্তেজিত করিতেছেন জানিতে পারিং জল্লা পণ্ডিত একদিন রাণীকে উদ্দেশ করিয়া কুবাক্য প্রয়োগ করেন। খালসসৈন্ত সেই কথা শুনিয়া রাজবংশের অৰমাননা জ্ঞানে পণ্ডিত ও হীরাংিহের উপর বিলক্ষণ চটিয়া উঠিল । তাহারা প্রকাগুতঃ জবাহিরের পক্ষ অবলম্বন করিয়া জল্লা পণ্ডিতকে তাহাদের সমক্ষে উপস্থিত করিতে হীরাসিংহকে অনুরোধ করিল। হীরাসিংহ তখন প্রমাদ গণিলেন । পলায়ন ভিন্ন উপায় নাই দেখিয়৷ তিনি জল্লাপণ্ডিতকে সঙ্গে লইয়। জম্বু অভিমুখে যাত্রা করিলেন। শিথসৈন্ত সর্দার জবাহির সিংহকে প্রধান মন্ত্রিপদ দান করিয়া হীরাসিংহের পশ্চাদ্ধাবিত হইল। ২১এ ডিসেম্বর ১৮৪৪ খৃষ্টাৰে হীরাসিংহ ও পণ্ডিত জল্লা খালসা হন্তে নিহত কইলেন। জবাহির সিংহ তাহাদের ছিন্নমুণ্ড লইয়া মহোল্লাসে রাজধানীতে প্রবেশ করিলেন । সর্দার জবাহির ও কোষাধ্যক্ষ লালসিংহ এখন লাহোরের সৰ্ব্বেসৰ্ব্ব হইলেন। র্তাহার প্রথমেই রাজতোষাখানা হইতে অর্থ লইয়া খালসা সেনার মনস্তুষ্ট করিলেন, তাছাতে তাহারা পরিতুষ্ট হইয়া জন্তু আক্রমণ করিতে সন্মত হইল। তদনুসারে শুমিসিংহ আতরীবালা, ফতেসিংহ মান প্রভৃতি খালসা নায়কগণ যুদ্ধযাত্রা করিলেন। জম্বুর যুদ্ধে মানসর্দার নিহত হইলেন। এট ঘটনায় খালসা সেনাদল বিশেষভাৰে উত্তেজিত হইবে ও তাহার সর্বনাশ করিবে জানিয়া, রাজা গোলাপসিংহ স্বয়ং সেনাদলের সম্মুখে আসিয়া বৃদ্ধ সর্দারের মৃত্যু জন্ত শোক প্রকাশ -করিলেন এবং ঠাহার অজ্ঞাতসারে এই দুর্ঘটনা ঘটিয়াছে বলিয়৷ মনোবেদন জানাইলেন । ১৮৪৫ খৃষ্টাৰে এপ্রিলমীসে খালসাদল রাজা গোলাপসিংহকে লাহোর দরবারে আনিয়া উপস্থিত করিল। তখন জবাহির সিংহ রাজাকে রাণীর সম্মুখে লইয়া গেলেন, রাণী তাহাকে উজীরপদ গ্রহণ করিতে প্রার্থনা করিলেন । জবাহির সিংহ এবিষয়ে অমুমোদন করিলেন না। সাধারণের আগ্রহে পুনরায় ১৪ই মে তারিখে জবাহির সিংহকে উজীরপদে প্রতিষ্ঠিত করা হইল। গোলাপসিংহ ৬৮ লক্ষ টাকা জরিমান ও স্বচেংসিংহের সম্পত্তি রাজদরবারে দান করিয়া অব্যাহতি পাইলেন। উক্ত বর্ষে রাজা পেশোরীসিংহ লাহোর দরবারে আসিয়া রাণী কর্তৃক সমাদৃত হইলেন। জবারি ইহাতে বিলক্ষণ চটিয়া ধান এবং তাছার সছিত অসদ্ব্যবহার করেন । এই XX Stు সমরে কোন কোন সেনাদল তাহাকে উজীয়ের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করিলেও তিনি খালগা সৈন্তের আগ্রহে লাহোর পরিত্যাগ করিয়া চলিলেন । আটক নগরে আলিয়াই তিনি পাঠানগণের সাহায্যে কুর্গ অধিকার করিয়া আপনাকে মহারাজ বলিয়৷ ঘোষণা করিলেন এবং কাবুলরাজ দোন্ত মহম্মদ খার সাহায্য লাভের আশায় তাহাকে পত্র লিখিলেন । জবাছির সিংহ এই ব্যাপারে উদ্ধত পেশোর সিংহকে ইহজগৎ হইতে অপসারিত করিতে মনস্থ করিলেন। তদঃসারে লাহোর হইতে সর্দার ছত্রসিংহ ও ফতেখ। তিবনা সদলে আটক আক্রমণার্থ প্রেরিত হইলেন। তাছাদের শঠতায় পেশোরাসিংহ ধুত, কারানিক্ষিপ্ত ও নিহত হইলেন । এই ঘটনায় খালদা সেনাদল উজীরের উপর বিরক্ত হইলেন। সেনা পঞ্চায়ং অবিলম্বে জবাহির সিংহক তাহীদের সম্মুখে আসিবার জন্য অনুরোধ জানাইল। উজীর প্রমাদ গণিলেন, খালসা সেনার হস্তে তিনি আপনার শেষ দিন সমুপস্থিত হইয়াছে বুঝিয়া ইতস্ততঃ করিতে লাগিলেন। সেনাদল আশ্বাস বাক্যে র্তাহাকে বাহিরে আনাইলেন । র্তfহার ক্রোড়ে ছস্তিপুষ্ঠে বালক মহারাজ দলীপসিংহও আনীত হইয়াছিল । তিনি আসিলেই সেনাদল তাহাকে ঘিরিয়া ফেলিল এবং বালকরাজকে র্তাহার ক্রোড় হইতে ছিনাইয়া লইয়। তাহাকে তদণ্ডেই শমনসদনে প্রেরণ করিল, ২১এ সেপ্টেম্বর ১৮৪৫ । এইরূপে খালসা সৈন্ত পেশোর সিংহের হত্যাব্যাপারের প্রতিশোধ লইল । রাণী ভ্রাতৃহত্যায় বিশেষ শোকার্ত হইয়া পড়িলে র্তাংরি আদেশে রাজ্যের শক্রফুল নিহত হইল। সাধারণের ইচ্ছায়ু রাণী ঝিনান বালক মহারাজের প্রতিনিধি হইলেন এবং দেওয়ান দীননাথ, ভাই রামসিংহ ও লালসংহ মিশের সহযোগে তিনি রাজকাৰ্য্য পর্যালোচনা করিতে লাগিলেন, কিন্তু ৰাস্তবিক পক্ষে রাজ্যের মূলশক্তি সেনাবিভাগের পঞ্চায়ত হন্তেই ন্যস্ত ছিল। তাছার রাজ। গোলাপসিংহের হস্তে মঞ্জিত্ব দান করিতে প্রস্তুত হইলেন। বিবেচক রাজ ব্যাপার গুরুতর বুঝয়। সরিয়া পড়িলেন । এই সময়ে পেশাবর হইতে খুদালসিংহের ভ্রাতা সর্দার তেজসিংহ লাহোরে আসিয়া উপনীত হইলেন। সকলে তাহাকেই মন্ত্ৰী করিতে কছিলেন। কিন্তু তিনিও এই উচ্চপদ গ্রহণ করিলেন না। তখন রাণী পাঁচ খণ্ড কাগজে পাঁচজন নেতার নাম লিথিয়া অদৃষ্ট পরীক্ষা করিতে কহিলেন। মহারাজ দলীপকে দিয়৷ কাগজ তোলা হইল। প্রথম পত্রেই লালসিংহের নাম উঠিল, খালস দল তাঙ্কাকে মন্ত্রিপদ দিতে চাছিলেন না, তখন রাণী বাধ্য হইয়। স্বয়ং রাজকাৰ্য্য চালাইতে লাগিলেন । তেজসিংহ
পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৩৮৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।