. शिवभूढ ইংরাজগণের নিকট যেন সৰ্ব্বদাই মুক্ত থাকে। গোলাপ সিংহও প্রত্যুত্তরে জানাইলেন, ইহা সৰ্ব্বতোভাবে অসম্ভব। দুৰ্দ্ধৰ খালসা সৈন্তের উপর আধিপত্য ৰিস্তার তাহার ক্ষমতার বর্হিভূত । r বলা বাহুল্য যে, এরূপ চুক্তি খালসা-দলের জাম্বে মনোমত হইল না। তাছার পুনরায় প্রতিহিংসা-সাধনের জন্ত শতক্র উত্তীর্ণ হইল এবং ইংরাজদিগকে ঐ স্থপৃঢ় প্রদেশ হইতে সমরে আহবান করিবার মানসে তাহারা সোহ্রাওন অধিকার করিল এবং আপনাদের অবস্থান সুদৃঢ় করিবার জন্ত তাহারা ঐ স্থান প্রাকার ও পরিখাদি স্বার সুরক্ষিত করিয়া তদুপরি ৬৭টা তোপ সাঙ্গাইল । ঐ সময়ে শিখদলে সেনাসংখ্যাও নিতান্ত কম ছিল না। তাeারা সোত্ৰাওন রণভূমে অতুল বিক্রম, অসীম সাহস ও • অসামান্ত ক্ষিপ্রকারিত। প্রদর্শন করিয়াছিল । সোত্ৰাওনা রণক্ষেত্রে সর্দার তেজসিংহ খালসা সৈম্ভের পরিচালক হইলেন, লালসিংহ স্বীয় দলবল লইয়া নদীর উত্তরে অবস্থিতি করিতেছিলেন। তিনি এই সুযোগে শিখ-সেনার গতি বিধি ইংরাজশিবিরে গোপনে প্রেরণ করেন । বৃথা স্বজাতির বিশ্বাসঘাতকতায় বীরস্থদয় খালসাসৈন্য অকাতরে জীবন বিসর্জন করিতে প্রস্তুত দেখিয়া বহুদশী বৃদ্ধ সর্দার শ্যাম সিংহ আতরী ইংরাজহস্তে শিখসৈষ্ঠের উচ্ছেদ অবশুম্ভাবী দেখিয়া সেনাদলের মধ্যে ঘোষণা দিলেন যে, মাতৃভূমির মঙ্গলের জন্ত জাতীয় শক্রর সমরে শু্যাম সিংহ যুদ্ধ করিবেন এবং গুরু গোবিন্দের পবিত্র আত্মার শাস্তি ও খালসার গৌরবের জন্ত তিনি ধরাশায়ী হইবেন । • * ,ফব্রুয়ারী, উভয় দল সোত্ৰাওন রণক্ষেত্রে অগ্রসর হইল। শিখ-সেনাপতি তেজলিংক ও বৃদ্ধ খাম সিংহ খালসাদিগকে ধীরোচিত ৰাক্যে উৎসাহিত করিয়া রণরঙ্গে মন্ত হইলেন। ইংরাঞ্জের গোলায় তেজসিংহ আহত ও শু্যামসিংহ নিহত হইলেন । যুদ্ধে ইংরাজের জয় হইল । উক্ত বর্ষে ১১ই ফেব্রুয়ারী তারিখে, ইংরাজদল সদপে কপুর আক্রমণ ও অধিকার করিলেন। ঐ যুদ্ধে শিখগণ ইংরাeহস্তে পয়াজিত হইলেন । দলীপ সিংহ ভারত-প্রতিনিধিকে সন্মান প্রদর্শনার্থ লুলিয়ানীতে আসিয়া সাক্ষাৎ করলেন। ইংরাজ প্রান্তনিধির পরামর্শ অনুসারে লাহোরে ল’iস্ত্র শিখসেনার প্রবেশ নিবারণের জন্য ইংরাজ সেনা-রক্ষার ব্যবস্থা হইল। প্রকায়াস্তরে ঐ সেনাদল ২-এ ফেব্রুয়ারী লাহোর দখল করিয়া আপনাদের প্রভূত্ব বিস্তার কঠিল । ৯ই মার্চ ইংরাজ লাহোরপতির সহিত সন্ধি করিলেন। মহাৰাজ দ্বীপ সিংহের অভিভাবিক রূপে স্বাণী ঝিনানই রাজকাঞ্চ পরিচালন করিত্বে লাগিলেন। রাজমন্ত্রী লালসিংহ কাশ্মী" | ( அடி ) শিখযুদ্ধ -ایم-جی.پی....م য়ের শিখ-শাসনকৰ্ত্ত শেখ ইমান উদ্দীনের সস্থিত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন বলিয়। ইংরাজ-রাজপুরুষের বিচারে বারাণসীধামে নিৰ্ব্বালিত হইলেন। উক্ত বর্ষের ১৬এ ডিসেম্বর ঐ সন্ধির অনুকূলে জার tधकüी अकि°ब जांच ब्रिड श्ब्र ! डोहॉप्ङ ९२ छन *िथ८अङl ইংরাজকেই দেশের প্রকৃত অধিপতি বলিয়৷ স্বীকার করেন। লালসিংহেল্প নিৰ্ব্বাসন রাণী ঝিঙ্গলের মনোমত হইল না । oयभिटक अक्षांयणशांबी हे९ब्रांtअब्र निकछे २७हे छिtनश्वग्न धेङ्गम् ঘৃণাঞ্জনক সন্ধিপত্রে স্বাক্ষর করিয়া শিখসর্দারগণ মনে মনে ইংরাজের প্রতি বিদ্বেষ ভাব পোষণ করিতে লাগিলেন । লাহোর রাজদরবারেও ইংরাজ বিরুদ্ধে নানারূপ বিপ্লব সংঘটিও হইতে লাগিল । ১৮৪৮ খৃষ্টাব্দে বসত্ত্বকালে মূলস্তানে দেওয়ান মূলরাজের অত্যাচার চরম সীম৷ অতিক্রম করে । লাহোর দরবার এই কারণে তাহাকে পদচ্যুত করিয়া সর্দার কানাই সিংহকে তৎপদেনিযুক্ত করেন। তাহাতে মূগরাজ ইংরাজের উপর চটিয়া যান। কেন না, তৎকালে ইংরাজ রেসিডেন্টই লাহোর-দরবারে পরামর্শদাতা ; মূলরাজ ঐ সময়ে শিখসর্দারগণকে ডাকাইয়া ইংরাজের প্রভুত্বের কথা বলিয়। শিখজাতির ক্ষুব্ধ হৃদয় জাগাইয়। দ্বিলেন। ২০ এপ্রিল ১৮৪৮ খৃঃ, লর্দার কানাই সিংহকে ৰন্দী এবং তান-এগনিউ ও লেফ টানাণ্ট এণ্ডারসনকে নিহত করিয়া যুদ্ধ ঘোষত ছইল। প্রথমেই মে মাসে দেয়াগাজি খায় একটা যুদ্ধ ঘটে। ঐ যুদ্ধে বিদ্রোহী দল পরাজিত হয় । অনস্তর ১৮ই জুন চন্দ্রভাগ তীরস্থ কেনের নগরে মূলরাজ যে যুদ্ধ করেন, তাহাতেও তাহার পরাজয় ঘটে । এই সুত্রে ১লা জুলাই সদাশম গ্রামের যুদ্ধে ইংরাজের জয় লাভ হয় । ৪ঠা সেপ্টেম্বর মুলতান অবরোধের পর ১২ই তারিখে ইংরাজ উক্ত দুর্গ ও নগর বিদ্রোহীদিগের হস্ত হইতে কাড়িয়া লন । এই স্থলে আরও কএকটা খণ্ড যুদ্ধ হয় । অবশেষে ১৮৪৯ খৃষ্টাব্দে ৩রা জানুয়ারী মূলরাজ ধৃত হইয়া যাবজীবন কারাবাসে নিক্ষিপ্ত হন । এরূপ খণ্ড খণ্ড যুদ্ধ করিয়া শিখলৈষ্ঠের আশা তৃপ্ত হইল । তাeারা ইংরাজদিগকে পঞ্জাব হইতে তাড়াইতে সচেষ্ট হইল ও ক্রমাগত ছিদ্রান্বেষণ করিতে লাগিল । ছত্রসিংহ দোস্ত মহম্মদকে পেশাবর ছাড়িয়া দিতে স্বীকৃত হইয়। তাছাকে e তাহার এাতা সুলতান মহম্মদকে সপক্ষে আনায়ন করিলেন । এইরূপে শিখ ও আফগান সৈন্ত একত্র হইল। এদিকে চঞ্জভাগার দক্ষিণকুলে রামনগরে শেয়সিংহকে সদলে সমবেত দেখিয়া ইংরাজ সেনাপতি লর্ড গাফ, ২৮এ ডিসেম্বর ১৮৪৮ খৃঃ, ইংরাজবাহিনী লইয়। রামনগরে উপনীত হইলেন । এই যুদ্ধে শের
পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৩৮৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।