শিরাবেধ [ 8° - ) শিরাবেধ শিরাজাল (পুং ) নেত্র শুরুভাগস্থ চক্ষুরোগ। ইহার লক্ষণযে নেত্ররোগে শুক্লমগুল জালের ক্ষায় সছিদ্র, কঠিন, কিঞ্চিৎ লোহিতবর্ণ শিরাজালে পরিবেষ্টিত হইয়া ধিন্দুমাত্র মাংসোচ্ছ্বর ছয়, তাহীকে শিরাজাল কহে । ( ভাবপ্রকাশ নেত্ররোগাধি” ) শিরাপত্র (পুং ) শিরাযুক্তং পরং যস্য। ১ হিৰাল বৃক্ষ, হেঁতালগাছ । ( প্লাজনি" ) ২ কপিখ, কল্পবেল। ( শকাচ” ) শিরাপ্রহর্ষ (পুং) সৰ্ব্বগত চক্ষুরোগ। ইহার লক্ষণ— *মোহাৎ শিরোৎপাত উপেক্ষিতত্ত্ব জায়ভ রোগং সশিরাপ্রহর্ষ; ॥” ( মাধবনি” নেত্রয়োগাধি” ) শিরোৎপাতরোগী যদি মোহবশতঃ উপযুক্তরূপে চিকিৎলিত না হয়, তাহা হইলে তাহার শিরা প্রহর্ষরোগ হয়। চক্ষুর শিরাজাল কখন বেদনাযুক্ত, কখন বা বেদনাধীন এবং কখন রক্তবর্ণ, কখন বা বিকৃত বর্ণ বিশিষ্ট হইলে তাহাকে শিল্পোৎপাত কহে । এই নেত্ৰ পহর্ষরোগে রোগীর চক্ষু অতিশয় রক্তবর্ণ ও অতিশয় শ্রাববিশিষ্ট হয় এবং তাছার দর্শনশক্তির অভাব হইয়া থাকে । ( মাধবনি” নেত্ররোগাধি” ) শিরাফল (পুং ) নারিকেল বৃক্ষ । ( শবচ' ) শিরামলক (পুং ) স্বনামখ্যাত বৃক্ষ, চলিত শির আমলা। শিরামোক্ষ (পুং ) রশুমোক্ষণ, জোকধরাণ । (নকুলচি ১৪ ) শিরায়াম (পুং ) শিরার প্রসরণবৎ পীড়া । ( মাধবনি" ) শিরায়ু (পুং) ভয়ক । ( রাজান) শিরাল ( ক্লী) শিরা সন্তি অস্ত (প্রাণিস্থাদাতে লজন্ততরস্যাং । প। ৫২৯৬) ইতি লচ। ১ কৰ্ম্মরঙ্গ, কামরাঙ্গা । ( শাচ ) (ত্রি ) ২ শিরাযুক্ত, শিরাবিশিষ্ট । • “আপিঙ্গরুক্ষোৰ্দ্ধশিল্পস্য বালৈঃ শিরালজঙ্ঘৈগিরিকুটদম্নৈঃ ॥” ( ভটি ২৩০ ) শিয়ালক (পুং ) শিরাল ইব কন্। অস্থিভঙ্গ বৃক্ষ, চলিত হাড়ভাঙ্গা । ( শব্দচ" ) স্বার্থে কন্। শিরাল শব্দার্থ। শিরালপত্র (পুং ) তালবৃক্ষভেদ, চলিত তেড়েট গাছ। ইহার পত্রে উত্তম পুথি লেখা হয়, এবং উই তালপত্র অপেক্ষ বহুদিনস্থায়ী হয় । শিরাবৃত্ত (রা) সীসক। ( রাজনি" ) শিরাবেধ (পুং ) শোণিত জঙ্ক দুষ্ট রোগসমূংে শিরার বেধন, রক্তমোক্ষণ । দুষ্ট শোণিত শরীরে অবস্থিত থাকিলে নানা প্রকার পীড়া হয়, এই জন্ত শিরাবদ্ধ করিয়া র ধ্রুমোক্ষণ করা বিধেয় । মুশ্রুত প্রভৃতি বৈষ্ণুক গ্রন্থে ইহার বিশেষ বিধান বিস্তৃত আছে। অতি সংক্ষিপ্ত ভাবে তাকার বিষয় আলোচিত হইল। চিকিৎসাশাস্ত্রে অভিজ্ঞ বৈষ্ঠ কোন শিরা বেধা, এবং কোন শিরা অবেধ্য তাহা প্রথমে বিশেষ রূপে পরীক্ষা করিয়া তবে শিল্পাবেধ করিবেন। বিশেষ সাবধানতার সহিষ্ণ শিরাখেধ করা কর্তব্য, নচেৎ ইহাতে বিবিধ প্রকার পীড়া হইতে পারে। শিরাবেধের বিধি ও নিষেধ -বালকের ধাতু অসম্পূর্ণ এবং বৃদ্ধের ধাতু ক্ষীণ, সুতরাং ইহুদিগের শিরাবেধ করা আমুচিত। রুক্ষ ও ধাতুক্ষীণ ধ্যক্তিগণের বায়ুরোগ উৎপন্ন হইবার সম্ভব । ভীরু লোক স্বভাবতঃ তমোবহুল ও রক্তদর্শনে মুস্থিত হইতে পারে, পরিশ্রমকাতর ব্যক্তিসমূহের অতিরিক্ত রক্ত মোক্ষণ হইয়। শরীর বিনষ্ট হইতে পারে, স্ত্রীসংসর্গ হেতু ক্ষীণ ও উন্মত্ত লোকদিগের বায়ুর প্রকোপ হইতে পারে, মণ্ডপানে মত্ত জনসমূহের অধিক মুছা হইতে পারে; এই সকল কারণে উক্ত ব্যক্তিসমূহের শিরাবেধ অঞ্চৰ্ত্তব্য। ইহা ভিন্ন যাহার বন্তি অর্থাৎ বমি করিয়াছে, বিরিক্ত, বিরেচন দ্বারা যাহাঁদের কোষ্ঠ পরিষ্কৃভ, ইঠাদের শিরাবেধ করিলে বায়ু প্রকোপ হইতে পারে। ধাতুক্ষয় জন্ত ক্ষীণ, অর্থাৎ যাহাধের ধাতুক্ষয় হইয়াছে, তাহদের এবং গর্ভিণীদিগের শরীর বিনষ্ট হইতে পারে, সুতরাং ইহাদেরও শিরাবেধ করিতে নাই । কাস ও যক্ষ্মরোগী, জীর্ণ জরও্যস্ত, আক্ষেপ ও পক্ষাঘাতরোগী, উপবাসী,মূচ্ছিত ও পিপাসিত ব্যক্তির শিরাবেধ অকৰ্ত্তব্য। বিশেষ বিধ—পূৰ্ব্বে বলিয়াছি যে বালক ও বৃদ্ধ প্রভৃতির শিরাবেধ করা ৰিধেয় নহে । কিন্তু বিদ্বেীপসর্গে অর্থাৎ যাহাধের সপাদির দংশন হেতু শরীরে বিষ প্রবেশ করিয়াছে, তাহাম্বের নিশ্চয় প্রাণ নাশের সস্তাবনা, সুতরাং উক্ত নিষেধ থাকিলেও ইহাদের শিরাবেধ কৰ্ত্তব্য। প্রথমে বেধ ও অবেধ্য শিয়া স্থির কবিয়া শিরাবেধ করা কর্তব্য । অবেধ্য শিরা-হস্ত ও পদে প্রত্যেকে এক এক শত করিয়া শিরা আছে, ইহাদের মধ্যে জলধর শিরা এক, ডবী নামক মৰ্ম্ম স্থানের দুই, লোহিত্যক্ষ নামক মৰ্ম্ম স্থানের একট, এইরূপে চারি হস্ত ও পদের ১৬টা শিরা বিদ্ধ করতে নাই । পৃষ্ঠ, উদ্বর ও বক্ষস্থলে ৩২টা শিরা বিদ্ধ করিতে নাই । ঐ স্থলে বিটপ ও কটক তরুণনামক দুইটী মৰ্ম্মে ৮ট। প্রত্যেক পাদে যে ৮টা করিয়া শিরা আছে, তন্মধ্যে উৰ্দ্ধগামিনী , ছুই, পাশ্বসন্ধি দুই, মেরু দণ্ডের দুই পার্থে যে ২৪টা শিরা আছে, তন্মধ্যে উদ্ধগামিনী" নামক শিৱ ৪ ; উদরের ২৪ট শিরার মধ্যে লিঙ্গদেশে রোমরাঙ্গির দুই পাখে ২টা করিয়া ৪। বক্ষে যে ৪•ট শিরা আছে, তন্মধ্যে হৃদয়দেশের দুইট করিয়া ৪ট এবং গুনরোহিত, অপলাপ ও অপস্তম্ভ নামক মৰ্ম্মের ২টা করিয়া ৬ট, এইরূপে পৃষ্ঠ, উদয় ও বক্ষঃস্থলের সর্বসমেত এই ৩২টা শিরা বিদ্ধ করিতে নাই। : -
পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৪০২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।