শিরাবেধ স্কন্ধপঞ্জি –স্কন্ধসন্ধির উদ্ধদেশে যে ১৬৪ শিরা আছে, তন্মধ্যে গ্রীব দেশের ৫৬টা শিয়ার মধ্যে কণ্ঠনালীর দুই ধারের শিরা মাতৃকা ৮টা, নীল জুইটা, মন্ত দুই, কুকাটিকা মৰ্ম্মে তুই এবং বিধুর মৰ্ম্মে দুই-লর্ক সমেত এই ১৬টি শিরা বিদ্ধ করা অঙ্কুচিত। হনুদ্বয়ের উভয় পার্শ্বে ৰে ৮টা করিয়া শিরা আছে, তাহার মধ্যে জুইটা করিয়া ৪ট শিরা বিদ্ধ করিতে নাই। জিহাদেশে ৩৬টা শির আছে, তন্মধ্যে জিহবার অধোভাগস্থ ১৬টী শিরার মধ্যে রসবাহিনী ইটা, ও বাগ বাহিনী ২টা শিব বিদ্ধ করা বিধেয় নহে । নাসিকার ২৪ট শিরা আছে, ইহার মধ্যে নাসিকার নিকটবৰ্ত্তী ৪টা, এবং তাছার নিকটস্থ তালুদেশের একটা শিরা আবেধ্য । চক্ষুতে ৩৮ট শিরা আছে, তন্মধ্যে অপাঙ্গের দুইটা শিল্পী বিদ্ধ করিতে নাই। কর্ণদ্বয়ে দশটা শিরা আছে, তন্মধ্যে শধাবাহিনী এক একটী শিরা অবেধ্য। নাসাদেশে ২৪, দুই চক্ষুতে ৩৬, ও ললাটদেশে সৰ্ব্ব সমেত ৬-টা শিরা আছে, তন্মধ্যে আবৰ্ত্ত নামক মৰ্ম্মের সমীপে কেশরাজির নিকটস্থ ৪টা শির বিদ্ধ করিতে নাই। আবৰ্ত্ত নামক মৰ্ম্মগত এক একট, স্থপনী নামক মৰ্ম্মস্থিত একটী এবং শঙ্খ দেশস্থ ১০ট শিরার মধ্যে শঙ্খসন্ধিগত এক একট শিরা বিদ্ধ করিতে নাই। মূৰ্দ্ধদেশে যে ১২ট শিরা আছে, তাছার মধ্যে উৎক্ষেপ নামক মৰ্ম্মগত দুইট, প্রত্যেক সীমান্তের এক একটা এবং অধিপতি মর্শের একটা শির আবেধ্য । অজ্ঞ চিকিৎসক এই সকল আবেধ্য শিরা যদি বিদ্ধ করে, তাহা হইলে নানা প্রকার পীড়া এবং মৃত্যু পৰ্য্যন্তও হইতে পারে। মুতরাং বিশেষ বিবেচনা করিয়া ধীরতার সহিত বিদ্ধ করা বিধেয়। যে কল, শিরা অবেধ্য অথবা যাহা বেধ্য হইলেও অযন্ত্রিত অর্থাৎ যন্ত্র দ্বারা যাহা বন্ধন করা হয় নাই, এবং যন্ত্রবদ্ধ হইলেও যাহা তাহাকে ভেদ করিয়া উঠিতে পারে না, সেইরূপ শিয়াও বিদ্ধ করিতে নাই । অতি শীত ও গরম কালে কিংবা প্রৰল বায়ু প্রবাহিত হইতে থাকিলে, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হইলে শিরা বিদ্ধ করিতে নাই। বর্ষাকালে মেঘশুষ্ঠ সময়ে, গ্রীষ্মে শীতল সময়ে এবং হেমন্ত কালে মধ্যাহ্ন সময়ে শরা বিদ্ধ করিতে হয়। শিয়া ধিদ্ধ করিতে হইলে রোগীকে যঞ্জিত করিয়া শিরাবেধ করিতে হয়। যঞ্জিত করিবার উপায় এই যে যখন শিরা বিদ্ধ করা হয়,তখন রোগীকে অরতুি অর্থাৎ কনিষ্ঠাঙ্গুর অগ্রভাগ পৰ্য্যস্ত এক হস্ত পরিমিত উচ্চ মাসনে স্বৰ্য্যাভিমুখে বসাইতে হয়। তৎকালে রোগীর উরুদ্বয় আকুঞ্চিত থাকিবে, জাম্বলদ্ধিদ্বয়ের উপরিভাগে হুইট কমুই রাখিতে হয় এবং হস্ত দ্বয়ের অঙ্গুলিসমূহ মুষ্টিবদ্ধ করিয়া গলদেশের দুই পার্ষে রাখিতে হইবে। একটা বন্ধন XX [ 8° S ] > * > শিরাবেধ রজ্জর দুই ধার গলদেশের সেই ফুইট মুষ্টির উপর দিয়া পশ্চাভাগে ফেলিয়। রাখিতে হইবে। অন্য এক ব্যক্তি রোগীর পশ্চাদ্ভাগে বসিয়া স্বীয় বাম হস্ত দ্বারা উত্তান ভাবে সেই দুইটা রচ্ছ প্রান্ত ধারণ করিয়া থাকিবেন, এবং দক্ষিণ হস্ত দ্বারা সেই বেধ্য শিরাটীর পীড়ন ও পৃষ্ঠদেশ মৰ্দ্দন করিবেন। বেধ্য শিয়াটা পীড়ন করিলে তাহা স্পষ্ট প্রকাশিত হইয় উঠে, এবং পৃষ্ঠদেশ মর্দন করিলে শোণিত সম্যকৃরূপে নিৰ্গত হয়। তৎকালে রোগী নিজের মুখ বায়ুপূর্ণ করিয়া রাখিবে। যতক্ষণ শিরাবেধ কার্য। সম্পন্ন না হয়, ততক্ষণ শ্বাস প্রশ্বাস ত্যাগ করা বিধেয় নহে। যে সকল শিরার মুখ শরীরের ভিতর দিকে, সেই সকল শিল্পী ব্যতীত মস্তকের শিরা সকল বিদ্ধ করিতে হইলে রোগীকে উক্ত রূপে যঞ্জিত করা বিধেয় । পাদের শিরা ৰিদ্ধ করিতে হষ্টলে যে পাদের শিরা বিদ্ধ করিতে হইবে, সেই পাদ সমতল স্থানে স্থির ভাবে রাখিয়৷ দিবে। অন্ত পদ ঈষৎ সঙ্কুচিত ভাবে উচ্চ করিয়া রাখিবে, পরে বেধ্য পাদের হাটুর নীচে রজ্জ বন্ধনপুৰ্ব্বক হস্ত দ্বারা সেই পাদের গুল ফদেশ পীড়ন করিতে হইবে, এবং বেঞ্চ স্থানের ৪ আঙ্গুল উপরে পূৰ্বোক্ত বস্ত্র-বন্ধলাদির মধ্যে কোন একটা বিধিয়া সেই শিরা বিদ্ধ করিবে । হাতের উপরিভাগের শিরা বিদ্ধ করিতে হইলে দুই হাতেরই অঙ্গুলি সমূহ মুষ্টি বদ্ধ করিয়া রোগী স্বচ্ছন্নভাবে পূৰ্ব্বোক্ত রূপে আসনে উপবিষ্ট হইবে এবং চিকিৎসক তাহার কুপর সন্ধির নিম্নে ও প্রকোষ্ঠে পূৰ্ব্ববর্ণিত প্রক্রিয়ায় বন্ধন করিয় তাহার শিরা বিদ্ধ করিৰেন । গৃধ,সী ও বিশ্বাচী নামক বাতব্যাধিতে হাটু সঙ্কুচিত করিয়৷ শ্রোণী, পৃষ্ঠ ও স্কন্ধ দেশের শিরা বিদ্ধ করিতে হইলে পৃষ্ঠদেশ উন্নত ও আয়ত এবং মুখ অবনত করিয়া শিল্প বিন্ধু করিতে হয়। হৃদয় ও বক্ষঃস্থলের শিরা বিদ্ধ করিতে হইলে ৰক্ষঃস্থল বিস্তারিত, মস্তক উন্নত ও শীর সঙ্কুচিত করিয়া উপবেশন করতে হয়। পাশ্বদ্বয়ের শিরা বিদ্ধ করিতে হইলে রোগী ফুই হাতের উপর জোর দিয়া অবস্থান করিবে। মেঢ়, দেশের শিরা বিধিতে হইলে মেঢ়, অবনত করিয়া রাখবে। জিহবায় অধোদেশের শিরা বিদ্ধ করিতে হইলে জিহবার অগ্রভাগ উন্ধে উন্নত করিয়া উৰ্দ্ধস্থিত দন্তপংক্তি দ্বারা তাহাকে চাপিয়া ধরিতে হয় । তালুদেশ বা দস্ত মুলের শিরা বিদ্ধ করতে হইলে মুখ অতিশয় বাদন করিয়া থাকিতে হয় । শিরাৰেধ করিলে যদি মুহূৰ্ত্তকাল রক্তস্রাব হইল্পী আৰু বদ্ধ इझेब्रा यांग्न, उांश इहेtण डाइ! शदिक इहेंब्राप्झ जनिष्ठ श्रहेरद । কুমুমফুল পীড়ন করিলে জগ্রে যেমন পীতবর্ণ স্লাৰ হয়,
পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৪০৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।