শিরাবেধ সেইরূপ শিরা বিদ্ধ করিলে দূষিত রক্ত সৰ্ব্বাগ্রে নিঃস্থত হইয়া থাকে। মূৰ্ছিত, অত্যন্ত ভীত, শ্রাস্ত ও ভূষিত এই সকল ব্যক্তির শির বিদ্ধ করিলে তাছা হইতে সম্যকৃরূপে রক্ত নিঃস্থত হয় না এবং ষে শিরা বন্ধন করিলেও দেহের উপরি ভাগে লক্ষিত না হয়, সেই শিরা হইতেও শোণিত উপযুক্ত পরিমাণে নিৰ্গত হয় ম{। শিরাবেধ সমাকৃরূপে না হইলে পুনরায় বিদ্ধ করা উচিত। ক্ষীণ, বহুদোষবিশিষ্ট, ও মূৰ্ছিত ব্যক্তির শিরা ৰে দিন প্রথম বিদ্ধ করা হয়, সেই দিনই অপরাহুে অথবা তৃতীয় দিবসে পুনরায় বিদ্ধ করা উচিত। শিরাবেধ করিয়া দূষিত রক্ত সমস্তই নিঃসারণ করা উচিত নহে, কারণ অধিক রক্তস্রাব হইলে অনিষ্ট ঘটিবার সম্ভাবন, সুতরাং অবশিষ্ট যে দূষিত রক্ত থাকিবে, সংশমন ঔষধ প্রয়োগ করিয়া তাছার শোধন করা আবগুক । বহু দোষগ্রস্ত পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির শোণিত স্রাব করিতে হইলে উদ্ধ মাত্রায় ১ প্রস্থ পরিমাণে রক্ত মোক্ষণ করা যাইতে পারে। র্তাহার অধিক রক্ত স্রাব হইলে অনিষ্ঠের সম্ভাবনা । শিরাবেধের বিংশতি প্রকার দোষ বর্ণিত হইয়াছে ;—যথা ১ ছুর্বিদ্ধ, ২ অতিবিদ্ধ, ৩ কুঞ্চিত, ৪ পিচ্ছিত, ও কুটিত, ৬ অপশ্রুত, ৭ অত্যুদীর্ণ, ৮ অন্তে অভিছত, ৯ পরিশুষ্ক, ১- কুণিত, ১১ বেপিত, ১২ অমুখিত বিদ্ধ, ১৩ শস্ত্রহত, ১৪ তির্যাগ বিদ্ধ, ১৫ অবিদ্ধ, ১৬ অব্যাধ্য, ১৭ বিদ্রুত, ১৮ ধেমুক, ১৯ পুন:পুনর্বিদ্ধ, ২• শিরা, স্বায়ু, অস্থি, সন্ধি ও মৰ্ম্মস্থলে বিদ্ধ। এই ২• প্রকার শিরাবেধ দুষণীয়। ইহাদের লক্ষণ— ১—সুহ্ম অস্ত্রে শিরাবেধ করিলে যদি সম্যকৃরূপে রক্ত নিৰ্গত না হয়, এবং বেদন ও শৌথ হয়, তাহা হইলে তাহাকে দুর্বিদ্ধ কহে । ২, ৩—উপযুক্ত পরিমাণের অধিক বিদ্ধ হইলে যদি রক্ত দেহের অভ্যস্তরে প্রবেশ করে, অথবা অধিক পরিমাণে রক্ত নির্গত হয়, তাহ হইলে তাহাকে অতিবিদ্ধ ও কুঞ্চিত কহে । ৪-কুণ্ঠ শস্ত্র ( ভোতা অস্ত্র ) দ্বারা বিদ্ধ করিলে সেই স্থান উত্তমরূপে বিদ্ধ হইতে ন পারিয়া ফুলিয়া উঠিলে তাহা পিচ্ছিত নামে কথিত হয় । ৫-শস্ত্রের অগ্রভাগ দ্বারা অত্যন্ত গভীর ভাবে পুনঃ পুনঃ বিদ্ধ করিলে তাহাকে কুটিত কহে । ৬—শীত, ভয় ও মুছা প্রভৃতি কারণে শোণিত শ্রাব না হইলে তাহাকে অপক্রত কহে । ৭—তীক্ষ ও বৃহৎ মুখবিশিষ্ট অস্ত্রে বেশী বিদ্ধ করিলে তাহ অত্যুদীর্ণ নামে অভিহিত হয় । [ 8०२ ] •म्ञ्ज्ञ...=.T.... - ৮–অল্প পরিমাণে রক্ত নিঃসারিত হইলে তাহ অবিদ্ধ, ৯– শিরাষেধ অন্নরক্ত বিশিষ্ট ব্যক্তির বিদ্ধস্থান বায়ুপূর্ণ হইলে তাহ পরিগুহ্ম, ४०-अब्र ५क ब्रद्ध बाश्ब्रि इश्ब्रां बिक झांम क्रांब्रिछाप्* बिहिब्र হইলে তাছা কুটিত,১১-১২—অনুপযুক্ত স্থলে শিরা ৰন্ধন কৰিলে কম্পন হইতে থাকে এবং তজ্জন্ত শ্রাব বদ্ধ হইয়া যায়, এই রূপ ভাৰে শিল্পাবেধ হইলে তাহাকে ৰেপিত ও অমুখিতৰিঙ্ক ৰলে । २७-लिब्रा झिछ रुहेद्र! अठिब्रिङ ब्रख् वांब cश्छू श्रधनानि শক্তিলোপ হইলে তাছাকে শস্ত্রছত কহে। ১৪-যে স্থলে তিৰ্য্যৰু ভাবে বিদ্ধ করার অস্ত্রক্রিয়া সম্যকৃরূপে সিদ্ধ না হয়, তাহাকে তির্যাক্বিদ্ধ, ১৪ অযত্নের সহিত শস্ত্র দ্বারা পুনঃ পুনঃ বহু বার বিদ্ধ হইলে তাহাকে অপবিষ্ক, ১৬—শস্ত্র দ্বার ছেদনের অনুপযুক্ত হইলে তাহাকে অব্যাধ্য, ১৯—অনৰস্থিত ভাবে অর্থাৎ অভ্যস্ত তাড়াতাড়ি বিদ্ধ করিলে তাহা বিক্রত, ১৮-বেধ্যস্থান অনেকবার অবঘটিত অর্থাৎ রগড়াইয়া বারংবার শস্ত্রপাত এবং তাহ হইতে অধিক পরিমাণে শোণিত নিঃস্থত হইলে তাহাকে ধেনুক কহে । ১৯—সুক্ষ অস্ত্র স্বারা অনেক বার বিদ্ধ করিলে বিদ্ধস্থানে অনেক ছিদ্র হয় এবং তাঁহাকে পুনঃপুনঃ বিদ্ধ কহে । ২•—স্বায়ু, অস্থি, শিরা, সন্ধি ও মৰ্ম্মস্থল বিদ্ধ হইলে উৎকট বেদন, শোথ, অঙ্গবৈকল্য, কিংবা মৃত্যু হইতে পারে। এইরূপ ২• প্রকার শিরাবেধ দুষণীয় বলিয়া অভিহিত হইয়াছে। শিরাসকল সৰ্ব্বদাই চঞ্চল, ইহারা মৎস্তের স্থায় সৰ্ব্বদাই পরিবর্তিত হইতেছে। এই জন্ত শিরা সম্বন্ধে বিশেষ অভিজ্ঞতা লাভ না করিয়; শিরাবেধ করা আকর্তব্য / শির বিদ্ধ করিলে ব্যাধি যত শীঘ্র প্রশমিত হয়, স্নেহ ও লেপনাদি দ্বারা তত শীঘ্ৰ ফল পাওয়া যায় না। চিকিৎসাশাস্ত্রে শল্যতন্ত্রের মধ্যে শিরাবেধছ সৰ্ব্বপ্রধান। রোগ বিশেষে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে শিরা বিদ্ধ করিতে হয়। তাছার বিষয় এইরূপ লিখিত আছে; পাদদাহ, পাদহর্ষ,অৰবাহক, বিসর্প, বাতরক্ত, বাতকণ্টক, বিচর্চিকা, ও পাদধারী প্রভৃতি রোগে ক্ষিপ্ৰ নামক মৰ্ম্মের উপরিভাগে দুই অঙ্গুলি অস্তরে ব্রাহমুখ নামক অস্ত্রদ্বার শিরা বিদ্ধ করবে। ক্রোইকশৰ, খঞ্জ ও পঙ্গু এই তিন প্রকার বাতব্যাধিতে গুলফদেশের ৪ আঙ্গুল উপরি জঙ্ঘার শির বিদ্ধ করতে হয়। অপচী রোগে ইন্দ্রবস্তির দুই আঙ্গুল অধোভাগে, গৃধ্রী পীড়ায় জামু সন্ধির চারিধারে চার অঙ্গুলি উপরে বা নীচে শিরা বিদ্ধ করিতে হয়। গলগণ্ডরোগে উরুমুলের শিরা বিদ্ধ করা আবগুক । প্লীহারোগে বাম বাহুর কুপর সন্ধির ভিতরে কিংৰ কনিষ্ঠ ও অনামিকার মধ্যস্থলে শিরা বিদ্ধ করিতে হয় । যকৃৎ, কক্ষোঘর, শ্বাস ও কাসরোগে দক্ষিণ বছর কুপর সন্ধির অভ্যন্তরে অথৰ
পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৪০৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।