পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৪০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিরোরোগ [ • 8०१ ] শিরেীরোগ বিধেয়। বড়বিদূতৈল ও কুমারীভৈল এই রোগে বিশেষ উপকারী, বড়ম্বিন্দু তৈলের নস্ত ও তাহ মস্তকে মর্দন করিলে সকল প্রকার শিরোরোগই আগু প্রশমিত হয়। ক্ষয় জন্য শিরোরোগে ক্ষয় নাশের নিমিত্ত বৃংহণক্রিয়, পানে ও মস্তে স্থত ব্যবহার এবং বাতন্ন মধুর দ্রব্য সাধিত ঘৃত প্রয়োগ করিবে। কৃমি জন্য শিরোরোগে ত্রিকটু, নাটাকরঞ্জ ও শজিন বীজ গোমুত্র স্বtল্প পেষণ করিয়া সন্ত গ্ৰহণ করিবে। গুড়ের সহিত স্থত ও ঘূতপূর (পূৰ্ব ) ভক্ষণ, দুগ্ধ ও ঘৃত পান এবং নস্তপ্রয়োগ, দুগ্ধ দ্বারা তিল পেষণ করিয়া তস্থায় বা জীবনীয়গণ স্বারা স্বেদ প্রদান, অথবা ভৃঙ্গরাজের রস ও ছাগদুগ্ধ সমপরিমাণে গ্রহণ করিয়া রৌদ্রোক্তাপে উষ্ণ করিয়া তত্ত্বারা নস্ত গ্রহণ করিলে সূৰ্য্যাবর্তয়োগ প্রশমিত হয় । অৰ্দ্ধাবভেদক রোগে প্রথমে স্নিগ্ধ স্বেদ, পরে বিরেচনম্বারা শরীর শোষণ এবং ধূম প্রয়োগ করিয়া স্নিগ্ধ ও উঞ্চ দ্রব্য ভোজন করিলে বিশেষ উপকার হয়। বিড়ঙ্গ ও কৃষ্ণতিল সমভাবে পেষণ করিয়া প্রলেপ দিলে বা তদ্বারা নস্ত গ্রহণ করিলে অদ্ধাবভেদক রোগ নষ্ট হয় । স্বৰ্য্যাবৰ্ত্ত ও অৰ্দ্ধাবভেদক রোগে চিনিসংযুক্ত দুগু, নারিকেল জল, শীতল জল বা স্কৃত নাসিকা দ্বারা পান করিলে তৎক্ষণাৎ উপকার হয় । অনস্তবতরোগে স্বৰ্য্যাবর্ত প্ৰশমক ক্রিয় ও শিরাবেধ দ্বারা রকমোক্ষণ করিবে এবং বায়ু ও পিত্তনাশক ক্রিয় করাও বিধেয় । পথ্যাদি কাথও বিশেষ উপকারী । ধারহরিদ্র, হরিদ্র, মঞ্জিষ্ঠা, নিম্ব, বেণার মূল ও পদ্মকাষ্ঠ এই সকল সমভাগে পেষণ করিয়া মস্তকে প্রলেপ দিলে শঙ্খক রো, প্রশমত হয় । শীতল জল পরিষেচন, শীতল দুগ্ধ সেবন, এবং ক্ষী বৃক্ষের কন্ধ দ্বারা প্রলেপ দিলে সকল প্রকার শিরোরোগ প্রশমিত হয়। যষ্টিমধু একমাষা, বিষ উছার চারি ভাগের এক ভাগ, এই উভয় চূর্ণ অতি স্বশ্ন করিয়া সর্ষপ প্রমাণ নাসারদ্ধে প্রদান, আদ্র গুক্তিচুর্ণ ও নিশাদলচুর্ণ একত্র মিলিত করিয়া লইয়। তাহার ঘ্রাণ লইলে সকল প্রকার শিরোরোগ আশু প্রশমিত হয় । ( ভাবপ্র” শিরোরোগাধি” ) ভৈষজ্যরত্নাবলীতে শিরোরোগাধিকারে ইহার চিকিৎসার বিষয় এইরূপ " কথিত হইয়াছে-বাতিক শিরোরোগে মেহস্বেদ, নন্ত, বায়ুনাশক অন্নপান ও প্রলেপ ব্যবস্থা করা উচিত। কুড় ও এরও মূল এই উভয় দ্রব্য অথবা কেবল মোচকম ফুল কাজিতে বাটয় প্রলেপ দিলে আশু শিরোরোগ প্রশমিত হয়। মস্তক সদৃশ আয়ত ৮ আঙ্গল উন্নত একটা চৰ্ম্ম বেষ্টন দ্বার রোগীর মস্তক বেষ্টিত করিয়া ঐ বস্তির নিম্নে মস্তকের উপরি ভাগে মাধ কলাই বাটিয়া প্রলেপ দিবে। পরে ঈষতৃষ্ণ তৈল দ্বারা ঐ চৰ্ম্মবস্তি পুর্ণ করিবে, যতক্ষণ স্বাস্থালাভ না হয়,ততক্ষণ বস্তিধারণ কর্তব্য। ৪ জও বা একপ্রহর কাল বস্তি ধারণ করিয়া নিশ্চলভাবে উপবিষ্ট থাকা উচিত। ইহাতে বায়ুজনিত শিরোরোগ, মস্তক কম্পন, , হয়, মগু, চক্ষু ও কর্ণের পীড়া প্রশমিত হয়। পৈত্তিক শিরঃপীড়ায় দ্বত, দুগ্ধ, জলসেচন, শীতল প্রলেপ, নস্ত, জীবনীয়গণের সহিত সিদ্ধ ঘৃত ও পিত্তনাশক অন্নপান প্রয়োগ করিতে হয়। * কঙ্কজে লঙ্ঘন, স্বেদ, রুক্ষোঞ্চ পাচন, ও তীক্ষ কবল বিশেষ উপকাৰী। অনন্তমূল, কুড়, উৎপল ও যষ্ঠমধু এই সকল দ্রব্য কাজিতে বাটিয়া ঘৃত ও তৈলের সহিত প্রলেপ দিলে সুধাবৰ্ত্ত ও অৰ্দ্ধভেদ দূর হয়। হুড়হুত্বের বীজ হুড়হুড়ের রসে পেষণ করিয়া প্রলেপ দিলে স্বৰ্য্যাবর্ত ও অৰ্দ্ধাবভেদকের বেদমা নিবারণ হয়। সূৰ্য্যাবর্তে নস্তাদি প্রদান করিয়া ও গুড়ের সহিত স্থত এবং স্কৃত সংযুক্ত পিষ্টক ভোজন করাইবে । ইহাতে শিরা বিদ্ধ করিয়া রক্তমোক্ষণ ও দুগ্ধোখ স্কৃতের নস্য বিশেষ উপকারী। প্রত্যহ বৰক্ষার ও ঘৃত ভোজন এবং মধ্যে মধ্যে তন্দ্বারা বিরেচনে বিশেষ উপকার হয়। সে দিলিপত্রয়স ২ সের, নবনীত ১ সের, ও অপাঙ্গবীজ ২ পল একত্র পাক করিবে । ইহার নস্য গ্রহণ করিলে স্বৰ্য্যাবর্তরোগ আগু প্রশমিত হয় । দশমূলের কাথে ঘূত ও সৈন্ধব প্রক্ষেপ দিয়া তাছার নস্য গ্রহণ করিলেও ইহাতে বিশেষ উপকার হয়। শিরীষ মুলের ছাল ও মূলার বীজ বচ ও পিপুল নস্যে প্রযুক্ত হইলে উক্ত রোগের উপশম হয়। বাতনাশক দ্রব্যের সহিত শশকাদির মাংস সিদ্ধ করিয়া সৈন্ধব-লবণের সহিত ব্যথাস্থানে প্রলেপ দিলেও ঐ মাংস রস পাস কৰিলে ইহা প্রশমিত হয় । ভৃঙ্গয়াজের রস ১ তোলা ও ছাগদুগ্ধ ২ তোলা একত্র মিশ্রিত করিয়া রৌদ্রে উত্তগু করিবে । পরে ইহার নস্য গ্রহণ করিলে শিরোরোগ আণ্ড विनप्टे श्ग्र । নিস্তুষ কৃষ্ণতিল ও জটামাংসী পেষণ করিয়া মধু ও সৈন্ধুধের সহিত মিশ্রিত করিয়া মস্তকে প্রলেপ দিলে অৰ্দ্ধাবভেদক নিবারিত হয়। বিড়ঙ্গ ও কৃষ্ণতিল একত্র বাটিয়া উষ্ণজলে গুলিয়া মস্য লইলে বা দগ্ধ চুল্লীর মৃত্তিকাচুর্ণ ও মরিচচূর্ণ সমানাংশে মিশ্রিত করিয়া নস্য গ্রহণ করিলেও ইহা আশু প্রশমিত হয় । অনস্তবাতে শিরাবেথ, বাতপিত্তঘ্ন আচারাদি এবং সুর্য্যাবর্তের স্থায় চিকিৎসা কর্তব্য। শঙ্খক নামক শিরোরোগে স্বেদ ক্রিয়া ভিন্ন স্বৰ্য্যাবৰ্ত্তোক্ত সকল ক্রিয় এবং দুগ্ধোথ ঘুতের নস্য ও পান ৰাবস্থের। শম্বকরোগে শতমূলী, নিস্তব কৃঞ্চতিল, ঘটমধু, নীলোৎপল, দুৰ্ব্ব ও পুনর্ণব এই সকল বাটিয়া মস্তকে প্রলেপ এবং শীতল জল ও দুগ্ধ দ্বারা মাথা ধোয়া বিধেয় । বট, অশ্বথ প্রভৃতি ক্ষীরবৃক্ষের ছাল বাটিয়া মস্তকে প্রলেপ দিলেও