শিলাহার বৃক্ষ, চলিত পাথরকুচি, পাথরচুর। (রত্নমালা) (ক্ল) ২ প্রস্তরভেদক অস্ত্র, যে অস্ত্র দ্বারা শিলাভেদ করা যায়। ৩ কর-জ্যোড়ি পাষাণভেদ। শিলাময় (ত্রি ) শিল বিকারে ময়ট, নিৰ্ম্মিত দ্রব্য । শিলামল (পুং ) শিলায়াঃ মলঃ শিলানির্যাস, শিলাজতু। শিলাযপ (পুং) বিশ্বামিত্রের পুত্রভেদ। (ভারত অনুশাসনপৰ্ব্ব) শিলারম্ভ ( স্ত্রী ) শিলেৰ দৃঢ় রম্ভ। কাষ্ঠকদলী । ( রাজনি" ) শিলারস (পুং) স্বনামখ্যাত খনিজ গন্ধদ্রব্য বিশেষ, চলিত শিলারস। গুণ-কটু, স্বাছ, স্নিগ্ধ ; শুক্র ও কাস্তিবদ্ধক, বলকর, সুস্বরঞ্জনক, স্বেদ, কুষ্ঠ, জ্বর, দাহ ও গ্রহদোষনিবারক । ইছা শোধন করিয়া ব্যবহার করিতে হয়। শিলারস মধুরাদ্ধা, ভাবনা দিলে বিশুদ্ধ হয়, এইরূপ ঘূতের সহিত কুঙ্কুম, কুঙ্কুমের সহিত অগুরু, গোমূত্রের সহিত গ্রন্থিপর্ণ, মধু জলের সহিত মধুরিকা এবং তগুলোদকের সহিত তেজপত্র এই সকল দ্রব্যে শিলারস ভাবনা দিলে বিশুদ্ধ হয়। বিশুদ্ধ শিলারসই উক্ত গুণযুক্ত । ( ভাবপ্রকাশ ) শিলালিন (পূ) জনৈক নটস্বত্রপ্রণেতা। (পাণিনি ৪৩১১-) শিলালিপি ( স্ত্রী ) প্রস্তরে উৎকীর্ণলিপি । (Inscription) । শিলাবন্ধ (স্ত্রী) শিলেব কঠিনে বধো যন্তাঃ। ঔষধ দ্রব্য বিশেষ, হিনী শিলাবাক৷ পয্যায় শিলজ, শৈলবল্কল, শৈলগৰ্ভাহব। শিলাত্বক, শ্বেতা । গুণ-শীতল, কৃচ্ছ, স্বাদু, মেহ, মুত্ররোধ, অশ্বরী, শূল, জর ও পিত্তনাশক। ( রাল্পনি” ) শিলাবহ (পুং ) জনপদবিশেষ। ২ ঐ জনপদবাসী। স্থিয়াং টাপ, ৩ নদীভেদ। শিলাবৃষ্টি ( ) , শিলাবর্ষণ। তুষারপাত। ২ শত্রর প্রতি প্রস্তরদি নিক্ষেপ । শিলাবেশ্মন (রা) শিতানৰ্ম্মিত বেশ্ন। গ্রস্তরগৃহ, শিগা নিৰ্ম্মিত গৃহ । শিলাব্যাধি (পুং ) শিলায়া ব্যাধিরিব। শিশজতু। (ত্রিকা” ) শিলাশস্ত্র (রা) শিলানিৰ্ম্মিত অস্ত্র। শিলাসন ( ক্লী ) শিলা আসনং যন্ত। শৈলেয়। ( শস্বরত্না” ) ২ গ্রস্তরনিৰ্ম্মিত আসন । শিলাসার ( ক্লী ) শিলাবৎ সারে যত্র। ১ লৌহ । ( হেম } শিলাস্থি ক্লেী) যে অস্থিখ.ওর উপরিভাগে মস্তক অবস্থিত। (Petrous bone ) শিলাস্তুস্তু (পুং ) শিলায়াঃ স্তম্ভঃ। পাথরের থাম, প্রস্তরস্তন্ত । শিলাস্বেদ (পুং ) শিশয়া; স্বেদঃ । শিলাঞ্জতু। শিলাহার, লাম্বাই উপকূলস্থ কোঙ্কণ রাজ্যের একটি সামন্ত শিলাবিকার, প্রস্তর [* 8२२ ] শিলাহার রাজবংশ। কালে এই শাখা দুই ভাগে বিভক্ত হইয়া উত্তরঞ্জ দক্ষিণ কোঙ্কণে স্বতন্ত্ৰ ভাবে রাজ্য শাসন করিতে থাকেন। কিরূপে এই রাজবংশের অভু্যদ্বয় হয়, তদ্বিযয়ে সম্যক্ কোন ইতিহাস অবগত হওয়া যায় না। শিলালিপি হইতে জানা যায় যে জীমূতবাহন এই বংশের প্রতিষ্ঠাষ্টা । ইনি শাপভ্রষ্ট বিদ্যাধর, গরুড় নাগভক্ষণে প্রবৃত্ত হইলে বামুকী তাহার ভয়ে প্রত্যহু শৈল বা শিলাখণ্ডোপরি একটা সপ ব্লাথিয়া যাইডেন। একজ শঙ্খচূড়কে ঐরুপে শিলাতলে রক্ষিত দেখিয়া জীমূতবাহন স্বয়ং তথায় বাইয়া উপবেশন করেন। গরুড় তাহার প্রার্থনায় সর্পকে পরিত্যাগ করিয়া তাহাকেই উদরন্থ করিলেন, কেবল মন্তকট ভক্ষণ করিলেন না। তখন শোকবিহবল জীমূতবাঞ্চনপল্লী সেই স্থলে আসিয়া গরুড়কে বিস্তর কাকুতি মিনতি কয়িত্তে লাগিলেম, তাহার ੋੜ তুষ্ট হইয়া গরুড় জীমূতবাহনকে পুনর্জীবন স্বান করিলেন, তদবধি তাহার শৈলাহার বা শিলাহার নাম হয় । উপরের কিংবদন্তী যাহাই হউক না কেন, এই রাজবংশে যে বিদ্যমান ছিলেন, তাহাদের মন্ত্রিবর্গের নামই তাছার প্রমাণ । মহারাষ্ট্র জাতির মধ্যেও শেলর নামে একটা বংশোপাধি দৃষ্ট হয়, অধিকসস্তব, ঐ শেলর বংশের কোন শাখা সামন্তরাজরূপে অধিষ্ঠিত হইয় শেলর শব্দটী সংস্কৃতে শৈলহার রূপে রূপান্তরিত করিয়া থাকিবেন। R সুবিখ্যাত সম্রাটু নৌশেরবান ( ৪৩১-৫৭৮ খৃঃ) যখন পারস্তসিংহাসনে অধিষ্ঠিত, তখন পশ্চিম ভারতোপকূলে পারস্তবাসিগণের বাণিজ্যপ্রভাব অপ্রতিহত। ৬৩৮ খৃষ্টাব্দে আরবজাতি কর্তৃক শেষু-শাসনীয় রাজ যে জদেজার্দ রাজ্যভ্রষ্ট হইলে বহুসংখ্যক পারসিক ঠান। উপকূলে আসিয়া যাদব রাণার রাজ্যে আশ্রয়লাভ করেন। মুসলমান ইতিহাসোত্ত এই যাদব রাণ সম্ভবতঃ সঞ্জনের যাদববংশীয় কোন সামন্তরাজ হইবেন । পারস্ত আক্রমণের অব্যবহিত পরেই আরবগণ কয়েকবার ঠান প্রভৃতি পশ্চিম ভারতোপকুল লুণ্ঠন করিয়া যান। খলিফা ওমার ( ৬৩৪-৬৪৩ ) আরবীয়গণকে এরূপ অষ্টায় উপদ্রব করিতে নিষেধ করিয়াছেন। যদি এই হিন্দু মুসলমান সংঘর্ষেন্ন সময় শিলাহার-রাজগণ লব্ধপ্রতিষ্ঠ হইতেন তাহা হইলে অবশুই ভাৰ্গদের ইতিহাসে এই রাজবংশের কোন না কোন স্মৃতি পাওয়া যাইত । শিললিপি হইতে আমর, জানিতে পারি যে, দক্ষিণ কোঙ্কণাৰীশ্বর সণফুল্ল রাষ্ট্রকূটয়াজ ধনকৃষ্ণের সামস্ত ছিলেন । সম্রাটু তাহাকে সহপৰ্ব্বত হইতে সমুদ্রকুল পৰ্য্যস্ত স্থান দান করেন । রাজা সণফুল্ল সম্ভবতঃ ৭৭০-৭৮৩ খৃষ্টাব্দের মধ্যে বিদ্যমান ছিলেন । অতঃপর এই বংশে তৎপুত্ৰ ধৰ্ম্মিয়ত্ব রাঙ্গ হন। তৎপুত্র ক্রমে
পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৪১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।