পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাঘ্ৰ ثعلة 't ६२ ] ব্যাঘ্র " গমনের প্রধান কারণ, অমিয়ূৰী খলিয় আপনার সহিত গমন করিব, কারণ বিরহকৃত অসহনীয় আয়াস আমি সহ করিতে পারিব না। এই স্থলে নায়ক নায়িকাকে মৃদ্বী বলিয়া তাহার সচিত গমন জযুক্ত বলিয়াছিল, কিন্তু নায়িকা হেতু দ্বারা ঐ মৃঙ্গতাই তাছার গমনের প্রধান কারণ বলায়, সৌকর্য দ্বারায় কর্যের বিরুদ্ধ হওয়ায় এখানে ব্যাঘাত অলঙ্কার হইল ।

  • অত্র নায়কেন নায়িকামৃত্বেং সহগমনাভাবহেতুত্বেনোক্তং, নায়িকয় চ প্রত্যুত সহগমনে ততোহপি সৌকর্ঘ্যেণ হেতুতয়োপন্তস্তম্ (সাহিত্যদ” ১• পরি" ) - ব্যাবারন (ক্লী ৷ জলসিঞ্চন কাৰ্য্য। (কাত্যায়ন শ্রেী” ৮৫২ ) ব্যায় (পুং) ব্যাজিস্রতীতি বি-জা স্ত্রী-ক। স্বনামখ্যাত চতুষ্পদ জন্তু বিশেষ, চলিত বাঘ। পৰ্য্যায়—শাৰ্দ্দল, দ্বীপী, পৃদাকু, বনশ্ব, চিত্রক, পু গুরীক, হিংস্র পশু, ব্যাড়, হিংস্ৰক, হিংসারু, শ্বাপদ, পঞ্চনখ, বাল, গুহাশয়, তীক্ষ দংষ্ট্র, ভীরু, নখায়ুধ । ইহার

মাংসগুণ-অর্শঃ, প্রমেহ, জঠয়াময় ও জড়তাৰ্নাশক, ( রাজনি” ) 4r ব্যাঘ্ৰ, সিংহ প্রভৃতি প্রসহন জাতীয় জন্তু। অগ্নি পুরাণে লিখিত আছে যে, কগুপপত্নী দংষ্ট্রার গর্ভে ব্যাঘ্ৰ, সিংহ প্রভৃতি উৎ পন্ন হয় । “দংষ্ট্র ভঙ্গনয়ৎ পুত্রা ব্যাম্রলিংহাংশ্চ ভাবিনী। স্বপিনশ্চ মুতাস্তস্ত ব্যালাপ্তাশ্চামিষপ্রিয়l: " ( বহির্গাপুরাণ কাশুপীয় বংশনামাধ্যায় ) এই স্বনাম প্রসিদ্ধ চতুষ্পদ জন্তু স্তন্যপায়ী, এবং অতিশয় হিংস্র ও মাংসাশী বলিয়া পরিচিত। উদরে ক্ষুধা না থাকিলেও | চহারা সম্মুখের শিকার না মারিয়া ছাড়ে না। শুনা যায়, ইহার গোমেষাদি, এমন কি, মহুধাদিগকেও অন্তর্কিত ভাবে আক্রমণ করিয়া মুখে করিয়া গভীর জঙ্গলে লইয়া যায় এখং তথায় তাহার প্রাণপায়ু বহির্গত হইলে তাহাকে আহার করে। একটা মনুষ্য ; বা পশু একবারে আহার করিতে অশক্ত হইলে ইহার অবশিষ্ট । গলিত শবদেহ দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিন পর্যাস্ত আচার করে । । আমাদের দেশে বিড়ালের যেমন ইন্দুর ধরিয়া ক্রীড়া করিতে করিতে নিহত করে, ব্যান্ত্রেরাও সেইরূপ শিকার লষ্টয়া বনমধ্যে : ছড়ির স্বয়ং দূরে সরিয়া যায়। ঐ সময়ে শিকার যদি পলাইতে চেষ্টা পায়, তাহা হইলে ইহার দূর হইতে লাফ দিয় তাহার উপর আসিয় পড়ে এবং তfহাঁকে কামড়াইয়া বা থাবার আঘাতে নিজ্জিত করিয়া পুনরায় সক্লিয়া দাড়ায় । এইরূপ ক্রীড়া কালে ইহার বিশেষ আনন্দ প্রকাশ করিয়া থাকে। ব্যাঘ্র কর্তৃক আক্রাস্ত অনেক লোক এইরূপ অবস্থায় বাম্বের कएड ह्छेtड, পরিত্রাণ পাইবার আশায় বনভূমিস্থ বৃক্ষণদিতে আরোহণ করিয়া গুগল"পাইয়াছে। " | | বটে, কিন্তু তাহার শিকার লইয়া ক্রীড়া ও আমোদ এবং বিড়ালের সহিত বাঘের আকৃতিগত সাদৃশু লক্ষ্য করিয়া আমাদের দেশের লোকের বিড়ালকে “বাঘের মালী” বলিয়া থাকে। প্রাণিতত্ত্ববিদগণও এই একই কারণে সিংহ, ব্যাক্স, গোবাঘ, বিড়াল প্রভৃতিকে পশুজাতির Feis শাখার অন্তর্নিবিষ্ট করিয়াছেন। তাছাদের মতে, ব্যাঘ্রগণ Felida; জাতির Feline শ্রেণীভুক্ত। চিতাবাঘ গুলি ঐ জাতির অন্ত একটি শাখা (Fef Pardus ) বলিয়া পরিগণিত ; কিন্তু নেকড়ে-বাঘ জাতি Canidae অর্থাৎ কুকুর জাতির অস্তভূক্ত। কেন না, দস্ত ও মুখের আকৃতি বিশেষভাবে লক্ষ্য করলে উগদিগকে স্বভাবতঃই কুকুর জাতীয় অবয়ব ৰিশিষ্ট বলিয়া উপলব্ধি হয় । - ঐ ব্যাঘ্র জাতি, সমগ্রভারতের অর্থাৎ কুমারিক অন্তরীপ হইতে হিমাচল শ্রেণীর ৭ হাজার ফিট উচ্চ পৰ্য্যস্ত বিভিন্ন স্থানের বনজঙ্গলে বাস করে । ব্ৰহ্মরাজ্য, মলয় প্রায়োদ্বীপ, পশ্চিম এসিয়া থও ও আফ্রিকা মহাদেশের বনজঙ্গলে, অথবা শর বা তৃণাচ্ছাদিত নদীতীরে যেখানে অন্তান্ত ক্ষুদ্র পশুর জলপান করিতে আসিবার সম্ভাবনা আছে, সেইরূপ স্থানে ইহাদিগকে সাধারণতঃ বিচরণ করিতে দেথা যায় । - স্থানবিশেষের জলবায়ুর তারতম্য হেতু ব্যাক্স জাতিরও আকৃতিগত অনেক বৈষম্য ঘটিয়া থাকে। এই কারণে আমরা বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রকারের বাস্ত্রও দেখিতে পাই । বাঙ্গালার পাৰ্ব্বত জঙ্গলে যে বৃহদাকার ব্যাঘ্র সৃষ্টিগোচর হয়, তাহ য়ুরোài footsofWroń foot, Royal Bengal tiger Rita Jrs এরূপ দীর্ঘকায় ও বলিষ্ঠ ব্যাঘ্র জগতের আর কোথাও দেখা যায় না । ষ্টকার প্রায় ১২ ফুট পৰ্য্যস্ত লম্ব হইয়া থাকে । সুন্দরবন যায়ী কাঠুরিয়াগণের মুখে ইহাদের হিংসা-প্রকৃতির অদ্ভুত অদ্ভুত গল্প শুনা যায়। পশ্চিম-বাঙ্গালার এবং মধ্যভারতের পাৰ্ব্বত্য-বনভূমে এতাদৃশ দীর্ঘাকার ব্যাস্ত্র দেখা যায় বাঙ্গালার বাঘের দ্যা হিংসা প্রকু তিক মহে । স্বন্দরবনের বড় বাঘ (Tigris reguis ) ও পশ্চিম ৰাঙ্গালার মধ্যমাকৃতি গো-বাঘ গুল যাহা যুরোপীয় শিকারীর ভাষায় Bafius-tiger নামে পরিচিত, তাছাই ভারতীয় বিভিন্ন জাতির ভাষায় স্বতন্ত্র অভিধt প্রাপ্ত হইয়াছে । উত্তরপশ্চিমভারতে বাঙ্গালার বাঘ ও বাঘিনীগুলি শের ও শেরণী নামে প্রখ্যাত । অন্তত্ব পাটারত-বাধা বা গো বাঘ , হিন্দুস্থানের স্বানে স্থানে শেলা-বাব ; মহারাষ্ট্রে কুহাগ বা পটিৰাধ ; বুন্দেল খও ও মধ্যভারতের দিকে মাহয়। ভাগলপুরের পাৰ্ব্বঞ্জ্যএদেশে ভুৎ গোরখপুরে নোঙ্গাচর ; তেলগু ও তামিল পুলি,