ব্যাধি জনস্তরূপোহনস্তস্ৰজিতমহা ভয়াপছ । " চতুরস্রোগভারাত্মা বিদিশে ব্যাদিশে দশ ॥” (বিষ্ণুর সহস্ৰনাম) ব্যাদীর্ঘ (ত্রি ) অতি দীর্ঘ। o “স্কন্ধকেশে রক্তখামঃ কম্বুগ্ৰীবো ব্যাদীর্ঘাস্তঃ। শূর কুর; শ্রেষ্ঠে মন্ত্রী চেঃস্বামী বায়ামী চ ॥” 4. ( বৃহৎসংহিতা ৬৯২৭ ) বi"দীর্ণ ( ত্রি) বিশেষরূপে চের । বীদার্ণাস্য (পুং ) সংহ। . ব্যাদেশ (পুং ) বিশেষ আদেশ।
- ব্যাদেশঃ সৰ্ব্বযোধানামদৈব ক্রিয়তামিল্লাহ (রা• ৫৮১।৫৪) ব্যাধ (পুং ) বিধাতি মৃগাদী বাধ ( স্তাদ্বাধেতি। পা ৩১.৪১) ইতি-ণ। মৃগহিংসকজাতি, মৃগবধব্যবসায়ী জাতি, চলিত শিকারী । পৰ্য্যায়—মৃগবধাঙ্গীব, মৃগয়ু লুব্ধক, মৃগাধিং, দ্রোহাট, মৃগজীবন, বলপাংগুন । ( শম্বরত্না” )
ব্ৰহ্মবৈবর্তপুরাণে এই জাতির উৎপত্তি বিবরণ এইরূপ লিখিত আছে যে, সৰ্ব্বস্বিপত্নীতে ক্ষত্ৰিয়ের ঔরসে এই জাতির উৎপওি হয়। নাপিত হইতে গোপকণ্ঠাতে সৰ্ব্বস্ব জাতি হইয়াছে। “লাপিতাদেগাপকায়াং সৰ্ব্বস্বী তন্ত ঘোষিতি । ক্ষত্রাদ্বভূব বাধশ্চ বলবান মৃগছিংসক ॥” (ব্রহ্মবৈবৰ্ত্তপু০ ব্রহ্মখণ্ড ১• অঃ ) “বিদ্ধ মৃগী ব্যাধশিলীমুখেন মৃগোহপি তৎকাতরবীক্ষণেন । অশ্বন পরিত্যজ্য গতব্যথা সা মৃগস্ত জীবাবধিরাবিরাসীৎ ॥”(উদ্ভট) ২ ষ্ট । ( মেদিনী ) ৩ শবর, নীচজাতি । বাধক (পুং ) ব্যাধ স্বার্থে কন্। ব্যাধশব্দার্থ। ব্যাধভাত (পুং ) বাধাদ্ভীত: । ১ মৃগ । ( শব্দচন্দ্রিক ) ( ত্রি ) ২ ব্যাধ তইতে ভীত । বাধাম (পুং ) বজ্র । ( হেম ) ব্যাধি ( পুং ) বিবিধা আপয়ে হস্মাৎ যন্থা বি আ-ধ (উপসর্গে ঘো: কি: । পী ৩ ৯২ ) ইতি কি। রোগ, পীড়া, হিনী--- ধৈমারী। "পুরুষদুঃখসংযোগাঃ ব্যাধয়ঃ ।” (সুশ্রুত সুলস্থা” ) পুরুষে দুঃখযোগ হইলে তাঁহাকে ব্যাধি কহে। পুরুষ যে ৫:প অনুভব করে, তাহাক্ট ব্যাধিপদবাচ্য ; এষ্ট ব্যাধি দুই প্রকার, শারীর ও মানস । বায়ু, পিত্ত ও শ্লেষ্মার বিষমতা নিবন্ধন শারীরব্যাধি এবং কাম, ক্রোধ, লোভ ও মোহাদি নিবন্ধন মানসপ্যাধি । e শরীর ও মন এই উভয়ই ব্যাধিসমূহের ও ক্লারোগ্যের আশ্রয় স্থাম । বাসু, পিত্ত ও কফ এই তিনটা শারীর দোষ এবং রজঃ 粤、 ও তমঃ এই দুইটা মানস দোষ বলিয়৷ অভিহিত হইয়াছে। উক্ত | 1 بياع ] ব্যাধি বায়ু পিত্তাদি দোষ কুপিত হইয়া শারীরিক ব্যাধি এবং রজঃ ও তমোদোষে মানসিক ব্যাধি উৎপন্ন হইয়া থাকে। বলি, হোম ও স্বস্ত্যয়নাদি দৈব আশ্রয় এবং সংশোধন ও সংশমনাদিযুক্তিআশ্রয় এই উভয় দ্বারা বাতাদি দোষের শাস্তি এবং জ্ঞান, বিজ্ঞান, ধৈর্য্য, স্মৃতি ও সমাধিদ্বারা মানস ব্যাধির শাস্তি হষ্টয়া থাকে । নিজ, আগন্তু ও মানসভেদে ব্যাধি তিন প্রকার। শরীরস্থিত বায়ু, পিত্ত ও শ্লেষ্মা এক্ট দোষত্রয়জনিত যে ব্যাধি উৎপন্ন হয়, তাহার নাম নিজ অর্থাৎ ঘোষজ। যে ব্যাধি ভূত, বিষ, অগ্নি ও অভিঘাতাদি কারণে উৎপন্ন হয়, তাহার নাম আগন্তু । আর অভীষ্ট পদার্থের অপ্রাপ্তি এবং অনিষ্টের প্রাপ্তিবশতঃ যে রোগ হয়, তাহাকে মানসব্যাধি কহে । o এষ্ট তিন প্রকার ব্যাধির মধ্যে মানসব্যাধি শান্তির জল্প বুদ্ধিমান ব্যক্তি হিতাহিত বিবেচনাপুৰ্ব্বক লোভ, ক্রোধ ও মোহ প্রভৃতি পরিত্যাগ করিয়া অস্থিতজমক ধৰ্ম্মার্থক্যমের অসেবন এবং হিতজনক ধৰ্ম্মার্থকামের নিষেধণ করিবেন। যেহেতু ইহলোকে ধৰ্ম্ম, অর্থ ও কাম ব্যতীত মানসিক o দুঃখ সম্পাদনের কোন কারণ নাই। সুতরাং হিতজনক ধৰ্ম্মার্থকামের সেবা, তদ্বিষয়ক জ্ঞানশালী বুদ্ধগণের নিকট উপদেশ গ্রহণ এবং আত্মজ্ঞান, দেশজ্ঞান, কালজ্ঞান, বলঞ্জাম ও শক্তিজ্ঞান বিষয়ে মনোযোগী হওয়া আবশ্যক। ধৰ্ম্মার্থকামের অনুষ্ঠান, ধাৰ্ম্মিকলোকের অমুসরণ এবং আত্মাদির বিজ্ঞান এই সকল মানস ব্যাধির ঔষধ বলিয়া অভিহিত হইয়াছে । শাখা, মৰ্ম্ম, অস্থিযুদ্ধ এবং কোষ্ঠ এই চারি প্রকার শরীরাবয়বকে রোগমার্গ বা রোগের স্থান কহে । এই রোগমার্গ ত্ৰিবিধ, বাহরোগমার্গ, মধ্যমরোগ মার্গ ও আভ্যন্তর রোগমগ। রক্তাদি ধাতুসমূহ ও তুক্ এই কgএকটা অবয়বের নাম শাখা । শাখাকে বাহরোগ্রমাগ কহে, অর্থাৎ এই স্থানে যে সকল রোগ হয়, তাহ বাহরোগ নামে অভিহিত । বস্তি, হৃদয় ও মস্তকাদি ১০৭টা মৰ্ম্ম এবং অস্থির সংযোগ স্থান সকল অস্থিসন্ধি এই মৰ্ম্ম ও অস্থিসন্ধি নিবদ্ধ স্নায়ু, কওর প্রভৃতি শরীর মধ্যে, মহানিম, আমাশয় ও পঞ্চাশয় এই সকল শব্দ এক পৰ্য্যায়ক, ইছারাই কোষ্ঠ নামে অভিহিত। এই কোষ্ঠষ্ট আভ্যন্তর রোগমার্গ। শারীর ব্যাধি আবার বায়ু, পিত্ত, কফ ও আগন্তু কারণ ভেদে চারি প্রকার। যথা—বাতজ, পিত্তঞ্জ, কফজ ও আগন্তুজ । আগন্তব্যাধির কারণ-নখাঘাত, দস্তাঘাত,লগুড়াদির ফুভিঘাত, অভিষজ্ঞ অর্থাৎ গ্রহারাদির আবেশ বা কামাদির আবেশ, অভিচার (স্তেনাদি যজ্ঞ দ্বারা নিরপরাধের মারণ) অভিশাপ, তাড়ন, বন্ধনু, ব্যধন, পীড়ন, রজুবন্ধন, শস্ত্র, বজ্র ও ভূতোপসৰ্গ g