-سسسه مطالعه শেওনী নাগপুরের বিস্তীর্ণ প্রান্তর। জেলার উত্তর ও পশ্চিমে লক্ষ্মণদোম ও শিওনী নামক সুবিস্তৃত অধিত্যক ভূমি এবং তাছাদের মধ্যভাগস্থ উপত্যকাভূমি ; পূৰ্ব্বাংশে একমাত্ৰ বেণগঙ্গা নদীর পাৰ্ব্বত্য অববাহিক প্রদেশ ও তাহার মধ্যস্থ উচ্চভূমি मृहे হয়।. শিওনী ও লক্ষণাদোন অধিত্যকা সমুদ্র হইতে ১৮••— ২• • • ফিটু উচ্চ। বেণগঙ্গাই এখানকার প্রধান নদী। ঐ নদী কুরাইঘাটের নিকটে নাগপুরের কিছু পূৰ্ব্বে দক্ষিণপূর্বাভিমুখী হুইয়া বালাঘাট ও শেওনীর সীমারূপে চলিয়া গিয়াছে। হীরী ও সাগর নামক শাখানদীদ্বয় দক্ষিণকুল হইতে এবং থেলী, বিজন ও থানবার বামকুল হইতে ইহার কলেবর নিরস্তর পুষ্ট , করিয়া থাকে। এতদ্ভিন্ন তীমার ও শের নামক নদীদ্বয় উত্তরভিমুখে অগ্রসর হইয়৷ নৰ্ম্মদায় মিলিত হইয়াছে এবং জেলার পশ্চিমে শেওনী মধ্যে পেচ নামক নদী প্রবাহিত। সোনাই ডোঙ্গরী নগরের নিকটে নাগপুর ও জবলপুর রাস্ত কোর নদী অতিক্রম করিয়াছে। এই স্থানে নদীবক্ষে একটা সুন্দর প্রস্তরনিৰ্ম্মিত সেতু বিদ্যমান আছে । এই জেলার নানা স্থানে লোহ পাওয়া যায়, কিন্তু একমাত্র পিপাবাণীর নিকটস্থ জুতাম নামক স্থানে লৌহের কারখানা স্থাপিত আছে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নদীস্রোতে স্বর্ণরেণু প্রবাহিত হইয়া আইসে। স্থানীয় লোঙ্গিরিয়া ও মুণ্ডিয়া নামক জাতির বালি ধুইয়া ঐ সোণ সংগ্ৰহ করে । এই পৰ্ব্বত প্রধান দেশের দক্ষিণে Crystalline rock ofesa statą metamorphic rock, gneisa s micaceous ugust ও পুৰ্ব্বে স্ফটিক ও trap নামক প্রস্তর স্তর পাওয়া যায়। উত্তরেও laterite প্রস্তরের বিস্তীর্ণস্তর আছে। ঐ বিস্তীর্ণ অধিত্যকাদেশের মধ্যে মধ্যে যে সকল উপত্যকভূমি নয়নগোচর হয়, তাহার সকল গুলিই সমধিক উৰ্ব্বর নহে। যেখানে কাল মাটি দৃষ্ট হয় সেই স্থানে চাসবাস সুবিধাজনক বটে, কিন্তু যেখানে চূণমিশ্রিত কর্দম বা জলার নিকট বাধসমূহ বিরাজিত, সেই সকল স্থানে আদৌ কোনরূপ শস্তাদি উৎপন্ন হয় না। জেলার দক্ষিণে উন্নত পাৰ্ব্বতাদেশে যে খণ্ড থও বালুকাময় উপত্যক আছে, তাহাতে শস্তাদি যথেষ্ট উৎপন্ন হইয়া থাকে। এখানে পূৰ্ব্বে শাল ও সেগুণের বিস্তৃত বন ছিল । জালানি কাষ্ঠের ও পোড়া কয়লার জন্ত পুরাতন শাল গাছ গুলি নষ্ট হুইয়া গিয়াছে । ইংরাজরাজের বনবিভাগের আইন প্রবর্তিত হইলে, এখানে শালগাছ রক্ষার ব্যবস্থ হয়। ঐ সময় হইতে যে সকল গাছ রক্ষিত হইয়াছে, তাহাতে আদেী সায় হয় নাই। বেণগঙ্গার তীরেও চারা সেগুণ গাছের বন দৃষ্ট হয়। সোনাবাণীর নিকটে বিস্তৃত বাঁশ বন আছে। [ &8రి 1. শেওনী এই স্থানের প্রাচীন কোন ইতিহাস পাওয়া যায় না। পুরাণ বর্ণিত রাজা বিদ্ধাশক্তি বিন্ধ্যাদ্রি প্রদেশে রাজত্ব করিতেন । অধিকসম্ভব, তত্ত্বংশধরগণ সাতপুরার অধিজ্যক দেশেও শাসন বিস্তার করিয়াছিলেন। খৃষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীতে রাষ্ট্রকুট, চালুক্য প্রভৃতি কয়েকটী বিজেতৃ-রাজবংশ এখানে রাজ্য বিস্তার করেন, তাহা অঞ্জণ্টা গুহামন্দিরের রাশিচক্র-গুহার শিলালিপি এবং শেওনীতে প্রাপ্ত কতকগুলি তাম্রফলক হইতে প্রমাণিত হইতেছে। কিন্তু এখানকার প্রকৃত ইতিহাস গড় মওলাধিপতি রাজা সংগ্রাম শাহের রাজ্যকাল হইতে গণনা করা যায়। - রাজা সংগ্রাম শাহ ১৫৩০ খৃষ্টাব্দে স্বীয় ভুজবলে ৫২ট সামন্ত সর্দারের অধিকৃত প্রদেশ আপনার শাসনভুক্ত করেন। তন্মধ্যে ঘনশোর, চৌরী ও দোঙ্গরতাল নামক প্রদেশত্রয় বর্তমান জেলার অধিকাংশ স্থান লইয়া গঠিত ছিল। প্রায় দুই শতাব্দ পরে ঐ বংশের রাজা বরেন্দ্র শী মণ্ডলার রাজদ্রোন্থনিবারণ করার সাহায্যের পুরস্কার স্বরূপ দেওগড়পতি রাজা ভক্ত বঙ্গলকে উক্ত স্থানএর প্রদান করেন। রাজা ভক্তবলদ নব প্রাপ্ত শেওনী রাজ্যের মুশাসন জষ্ঠ নিজ আত্মীয় রাজা রামসিংহকে তৎপ্রদেশের শাসনভার দিয়াছিলেন। রাজ রামসিংহই এখানকার ছাপর নগরে একটা দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করাইয়া তথায় রাজপাট স্থাপন করিয়াছিলেন । ইহার কিছু পরে, রাজা ভক্ত বলন্দ রাজ্যবৃদ্ধিবাসনায় উদ্দীপ্ত হইয়া সেনাবল বৃদ্ধি করিতে উদ্যোগী হন। এই সময়ে তাজ গ নামক একজন মুসলমান বীরের সহিত র্তাহার মিত্রত হয়। প্লাজার সাহায্য পাইয়! তাজখ ভাওরা জেলার অন্তর্গত সানগড়ী প্রদেশ অধিকার করিয়া লন । ১৭৪৩ খৃষ্টাব্দে নাগপুররাজ রঘুজী ভোসলে দেওগড়ের রাজাকে পরাজিত করিয়া তাহাদের রাজশক্তি খৰ্ব্ব করেন ; কিন্তু তাজখার পুত্র মহম্মদ খা নাগপুরপতিকে রাজ্যাধিকারী বলিয়া স্বীকার করেন নাই । তিনি সানগড়ীতে থাকিয়া উপর্যপরি ৩ বৎসর কাল মহারাষ্ট্র-সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিয়াছিলেন। নাগপুররাজ তাহার এই অসাধারণ বীরত্বে মুগ্ধ হইয়া বলির পাঠান যে, যদি তিনি সাগড়ী ছাড়িয়া দেন, তাহা হইলে তৎপরিবর্তে র্তাহাকে শেওনী জেলা অৰ্পণ করা হইবে। মহম্মদ খ। এই প্রস্তাবে সন্মত হইলে, রঘুজ তাছাকে দেওয়ান উপাধি দিয়া ছাপরায় প্রেরণ করেন । তদনুসারে তিনি ছাপরায় যাইয়। শিওনী শাসন করিতে থাকেন। এই সময়ে বিশেষ কোন কার্য্যোপলক্ষে দেওয়ান মহম্মদথাকে নাগপুর-রাজধানীতে যাইতে হয়। সেই সুযোগে মগুলারাজ
পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৫৪৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।