ծար হয়, কিন্তু নিৰ্ম্মাতাদের নাম এই সকল মন্দিরে দেখিতে পাওয়া, যার না। ১৬৩৩ সম্বতে স্ববিখ্যাত মানসিংহ এই পৰ্ব্বতপৃষ্ঠে একটী শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন । অতঃপর ১৮৭৭ সম্বৎ পৰ্য্যস্ত এই পৰ্ব্বতে অনেকগুলি শিবমন্দির বিনির্শিত হইছে। গুবিখ্যাত চীনদেশীয় পরিব্রাজক হিউয়েনসিয়ং শৈবগণের কীৰ্ত্তিকলাপের অনেক পরিচয় তদীয় তীর্থভ্রমণগ্রন্থে লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন। তিনি ৬৪৫ খৃঃ আৰো এদেশ হইতে প্রস্থ্যাবৰ্ত্তন করেন এবং কাশী, কান্তকুজ, করাচী, মালাবার, কান্দাহার প্রভৃতি বহুল স্থানে শিব ও শিবমন্দির দেখিতে পান। তন্মধ্যে কয়েক স্থানে পাশুপত নামক বিভূতিসংযুক্ত এক শৈব সম্প্রদায়ও তাহার দৃষ্টিগোচর হইয়াছিল। এই সকল সম্প্রদায়ের বিবরণ অতঃপর বিবুত হইবে । • হিউয়েনসিয়ং বলেন, “আমি কাশীধামে গিয়া সুত্র কুড়িটা শিবমন্দির সম্প্রদর্শন করিয়াছি। কোন এক মন্দিরে সর্বাবয়বসম্পন্ন পিত্তলময় নুনাধিক ছয়ষী হন্ত পরিমিত সুদীর্ঘ একটা শিবমূর্ত সন্মশন করিয়া বিক্ষিত হইয়াছিলাম। এই মূৰিটা প্রসন্ন গম্ভীর, দেখিলে ভয় ও ভক্তির উদ্রেক হয়। উহা অতীব ७fन्नैौन रुहेरगs श्रांभांब निरु न्डनद१ @डिडांड इहेण ।” পরাক্রাস্ত গুপ্তধৃপতিগণ খৃষ্টীয় চতুর্থ শতাব্দী হইতে রাজত্ব করেন। তাছার শিবভক্ত ছিলেন। তাছাদের প্রচলিত মুদ্রায় বুধ, ত্রিশূল ও সিংহবাহিনী প্রভৃতি অঙ্কিত ছিল। খৃষ্টীয় চতুর্থ শতাব্দীতেও সৌরাষ্ট্রীয় রাজাদের মুদ্রাতে বৃষ ত্রিশুলাদি অঙ্কিত দেখিতে পাওয়া যায়। বিক্ৰমাদিত্য সম্বন্ধীয় বহুল আখ্যানে শিব ও শিবশক্তিসম্বন্ধীয় বহুল প্রসঙ্গ পরিলক্ষিত হয়। শক, জাট, হ্রণ প্রভৃতি জাতীয় লোকের খৃষ্টাব্দের পূর্ব হইতেই শিবোপাসক ছিল । উহাদের নৃপতিগণের মুদ্রায় শিব, বৃষ ও ত্রিশূলাদি চিহ্ন অঙ্কিত। দাক্ষিণাত্যের পাণ্ড্য ও চোল বংশীয় ভূপতিগণ খৃষ্টজন্মের বহুপূৰ্ব্বে বহুল শিবমন্দির ও শিব প্রতিষ্ঠা করিয়া শৈব প্রভাব বিস্তার করিয়াছিলেন। শাক্য মুনির জন্মের বহুপূৰ্ব্বে এদেশে শিৰোপাসনা প্রচলিত ছিল। বুদ্ধদেবের প্রায় সমসাময়িক বৌদ্ধগ্রন্থেও শিবব্রহ্মাদির নামোল্লেখ আছে । গৌড়ের পালরাজগণ অনেকে বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বী থাকিলেও গুteাদের মধ্যেও শৈব প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। ভাগলপুর হইতে আবিষ্কৃত নারায়ণপালের তাম্রশাসনে বর্ণিত হইয়াছে যে, তিনি পাশুপতদিগের তৃপ্তার্থ একটা বৃহৎ শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি শিবভট্টারকের পূজাবলিচক্কলয়নৰ কৰ্ম্মান্তর্থং এবং পাশুপত আচার্যাদিগের শয়নাসনগ্নান প্রত্যয়ভৈষজপরিষ্কারাদ্যৰ্থং” উক্ত বানপত্রে যথেষ্ট ভূমিদান করিয়াছিলেন। খৃষ্টীয় ১০ম শতাদের ΧΧ 38p [ tea l শৈব" প্রারম্ভে নারায়ণপালের অভু্যদয় । সেই সময় হইতেই এদেশে শৈব পাণ্ডপগুীিগের প্রস্ত ৰ বিস্তৃত হইয়াছিল বলা যাইতে পারে। কেবল তার স্তবর্ষ বলিয়া ময় শৈবপ্রভাব ভারতবর্ষ অতিক্রম कञ्चिब्र दिtनt*७ विशृङ श्हेग्राहिण। cदनूफ़ैौशtनद्र अरुशैउ श्त्रिणांछ হিন্দুদের একট প্রসিদ্ধ তীর্থস্থান। অস্থাপি শৈব ও শাক্তগণ এই তীর্থে গমন করিয়া থাকেন । বালি ও ধবদ্বীপে বহুপ্রাচীন সময়েও হিন্দুদের যাতায়াত ছিল। এই দুই দ্বীপেও শিবাদি হিন্দু প্রতিমা দেখিতে পাওয়া যায়। যবদ্বীপের অন্তর্গত প্রজনন নামক স্থানে দুই শতাধিক দেবমন্দির বর্তমান। এস্থলে শিব গণেশ দুর্গ ও সুর্য প্রভৃতির পিত্তল ও পাষাণময় প্রতিমা দেখিতে পাওয়া যায়।. বালিদ্বীপে শিবোপাসনা সমধিক প্রচলিত । ভারতবর্ষের দাক্ষিণাত্যেই শৈবগণের সমধিক প্রাচুর্ভাৰ । এতদ্ব্যতীত উত্তর ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলেও বহুল শিবোপাসক আছেন । শৈবগণের বহুল শিবমন্ত্র আছে, যথা—একাক্ষর মন্ত্র rcही,” लाभद्र भज़ “ख छू नः” हैशंद्र मांभ भूङ्काअध्न भज़ । कडूরক্ষর মন্ত্ৰ "ওঁহুংফটু” ইহার নাম চগুমন্ত্র। পঞ্চাক্ষর মন্ত্র “নমঃ শিবায়" ষড়ক্ষর মন্ত্র “ওঁ নমঃ শিবায়" এইরূপ বিশাক্ষর পর্যন্ত মন্ত্ৰ দেখিতে পাওয়া যায়। শৈবগণ বিভূতিলেপন, ত্রিপুও, তিলক ও রুদ্রাক্ষধারণ সবিশেষ প্রয়োজনীয় বলিয়া মনে করেন। যোগসার গ্রন্থে লিখিত আছে— “শিখায়াং হস্তয়ো কণ্ঠে কর্ণয়ে শাপি যো নয় । রুদ্রাহ্মং ধারয়েন্তক্তা শিবলোকমবাপ্পয়াৎ।" অর্থাৎ শিখাতে হস্তদ্বয়ে কণ্ঠে এবং কর্ণযুগলে যে মনুষ্য ভক্তি পুৰ্ব্বক রুদ্রাক্ষ ধারণ করেন, তিনি শিবলোক প্রাপ্ত হন । শৈবগণ সম্বি সেবন ইষ্টসাধনার একট অঙ্গ বলিয়া গণ্য করেন। সাধকগণ ধ্যান ও শুদ্ধিপূর্বক সম্বিদ পুত করিয়া হর্ষপুলকিত দেহে উহ! পান করেন। শৈবের জল মিশ্রিত বিজয় ( সিদ্ধি) ও বিজয়া-ধুম পানেরও পক্ষপাতী। প্রাণতোষিণীতে ইহার শাস্ত্রীয় প্রমাণ উদ্ধৃত দেখিতে পাওয়া যায়। বঙ্গদেশে যদিও ব্রাহ্মণগণের মধ্যে অনেকই শিবপূজা করিয়া থাকেন, কিন্তু দাক্ষিণাত্যের দ্যায় এদেশে শৈবপ্রভাব পরিলক্ষিত, হয় না। দক্ষিণাত্যে অনেক প্রকার শৈব সম্প্রদায় দেখিতে পাওয়া যায়। তন্মধ্যে অভেদ, অধ্ব, অনাস্থ, অণু, অন্তর, আদি ভেদ, গুণ, ক্রিয়, মানসপণ, নিগুণ,নুন, উৰ্দ্ধ, শুদ্ধ ও যোগ এই কয়েক সম্প্রদায়ের নামই সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। দাক্ষিণাত্যে শিব মন্দিরাদিতে সাধারণতঃ শিবলিঙ্গই প্রতিমারূপে পূজিত হয়েন । তথায় শত শত শিব মন্দির দেখিতে পাওয়া যায়। বোম্বাই অপেক্ষ মাম্রাজেই শৈবদিগের সংখ্যা অধিক বলিয়া নিৰ্দ্ধারিত হইয়াছে। মাজাজে প্রতি বৎসরে
পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৫৫৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।