পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৫৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* दैश्वर्थ চারি জন শিষ্যও আবির্ভূত হইয়াছিলেন। শিবোপাসকু সম্প্রদায় প্রবর্তক। ठेख झहे शनि निगाणित्रि श्हेrङ श्मैिौकृड हछ cष “णकूनैौश” শিবেরই আবির্ভাব বিশেষ। কায়াবরোহণে তিনি আবির্ভূত হন, খরোদার দাতয় তালুকের অন্তর্গত কারণ নামক স্থানই কায়বরোহণের আধুনিক নাম। লকুলীশের চারিজন শিষ্য দ্বারা চারিট শৈব সম্প্রদায় প্রবর্তিত হয়। কেহ কেহ বলেন, ৯৪৩ খৃঃ অস্বে মুনিনাথ চিলুক লকুলীশের অবতাররূপে মহিমুরে জন্মগ্রহণ করেন, এবং তাহা হইতেই লকুলাশ পাশুপত সম্প্রদায়ের উৎপত্তি হয়। যাহা হউক লকুলীশ অবতারসম্বন্ধে ব্ৰহ্মা গুপুরাণ ওলিঙ্গপুরাণে কিছু কিছু আভাস দেখিতে পাওয়া যায়। লিঙ্গপুরাণ হইতে এস্থলে এ সম্বন্ধে কিয়দংশ উদ্ধৃত করা যাইতেছে যথা— “অষ্টাবিংশে পুনঃ প্রাপ্তে পরিবর্তে ক্রমাগতে ॥ পরাশরস্তুতঃ শ্ৰীমান বিষ্ণু লোকপিতামহঃ । যদা ভবিষ্যতি ব্যাসে নাম দ্বৈপায়নঃ প্ৰভুঃ ॥ তদ। ষষ্ঠেন চাংশেন কৃষ্ণঃ পুরষসত্তমঃ । বসুদেবাদ যদুশ্রেষ্ঠে বাসুদেবো ভবিষ্যতি ॥ তদাপ্যহং ভবিষ্যামি যোগাত্মা যোগমায়য়া । লোকবিস্ময়নার্থায় ব্রহ্মচারিশরীরকঃ ॥ শ্মশানে মৃতমুৎস্থঠং দৃষ্ট কায়মনামকম্। ব্রাহ্মণানাং হিতার্থায় প্রবিষ্টে যোগমায়য় ॥ দিব্যাং মেরুগুহাং পুণ্যং ত্বয়া সাৰ্দ্ধং চ বিষ্ণুণ। ভবিষ্যামি তদ ব্ৰহ্ম লকুলী নাম নামতঃ ॥ ১২৯ ৷ কায়াবতার ইত্যেবং সিদ্ধক্ষেত্ৰং চ বৈ তদা । ভবিষ্যতি সুবিখ্যাতং যাবস্তুমি ধরিষতি ॥ তত্ৰাপি মম তে পুত্র ভবিষ্যন্তি তপস্বিনঃ ॥ কুশিকশ্চৈব গৰ্গশ্চ মিত্রঃ কেীরুষ্য এব চ। যোগাত্মানো মহাত্মানে ব্রাহ্মণ বেদপারগঃ ॥ প্রাপ্য মাছেশ্বরং যোগং বিমলাহ রেতসঃ। রুদ্রলোকং গমিষ্যস্তি পুনরাবৃত্তিছন্নভম্। এতে পুপ্তপতাঃ সিদ্ধ ভয়োজুমিতকিগ্ৰন্থ ।" লিঙ্গপুরাণ ২৪ অঃ ১১৪-১৩৩ শ্লোকঃ সুতরাং লিঙ্গপুরাণামুসারে জানা যায় যে লকুলী মহাদেবের তষ্টবিংশ বা শেষাবতার। লিঙ্গপুরাণের এই বৃত্তাস্তের সহিত পূৰ্ব্বোল্লিখিত শিলালিপির কিঞ্চিৎ অনৈক্যে থাকিলেও মূলতঃ একত্ব আছে। কুৰ্ম্মপুরাণেও মহাদেবের লকুলীশ্বর অব চারের নামোল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়। কুৰ্ম্মপুরাণেও উক্ত শিষ্য চতুষ্টয়ের মামোল্লেখ আছে । ইহার চারিট ( &&సి • ) শৈব রাজপুতনার স্থানে স্থানে লকুলীশমূৰ্ত্তি দেখিতে রাজপুতনা ব্যতীত নৰ্ম্মদাতটবর্তী মাদ্ধাত নামক স্থানেও একটা লকুলীশমূৰ্ত্তি ধিরাজিত আছে । দক্ষিণ ভারতে কোনও সময়ে লকুলীশ মূর্তির পূজা হইত। বলগামী নামক স্থানট লকুলীশ আরাধনার কেন্দ্রস্থানরূপে পরিগণিত ছিল। মহিমুরের কালামুখ শৈবগণ সম্ভবতঃ লকুলীশ উপাসক ছিলেন। ইহার “লকুলগেমসময়” নামক সিদ্ধান্তগ্রন্থ মানিয়া চলেন । মহিমুরের দক্ষিণ কেদারেশ্বর শিবমন্দির অতি প্রসিদ্ধ। এই শিবু, মন্দিরের গুরুবংশের গুরু প্রণালিকায় জানা যায় যে, কোড়িয় মঠে অনেক সুপণ্ডিত গুরু ছিলেন । প্রথম গুরুর নাম কেদারশক্তি । ইহার শিষ্যের নাম শ্ৰীকণ্ঠ । সম্ভবতঃ এই শ্ৰীকণ্ঠই বেদান্তসুত্রের এক ভাষ্যগ্রন্থ প্রণয়ন করেন । এই ভাষ্য গ্রস্থ খানি শ্রীকণ্ঠভাষ্য নামে খ্যাত। উহা স্ত্রীরামানুজ সিদ্ধান্তের ছায় বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ-সিদ্ধান্তময়। শ্ৰীকণ্ঠের শিষ্যের নাম সোমেশ্বর তৎশিষ্য গৌতম, তৎশিষ্য বামাশক্তি, তৎশিষ্য জ্ঞানশক্তি । বলগামীতে অনেক গুলি শিলালিপি প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে। এই সকল শিলালিপিতে কোড়িয়া মঠের গুরুগণের বিদ্যাবত্তার যথেষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়। ইহার এক খানি শিলালিপিতে লিখিত আছে, সোমেশ্বর লকুলসিদ্ধান্তের বিকাশ সাধন করিয়াছিলেন । অপর এক খানি শিলালিপিতে প্রথমেই লকুলীশ মহাদেবের বন্দন আছে। গুরুপাদ বামশক্তি সম্বন্ধেও এক খানি শিলালিপি দৃষ্ট হয়, তাহাতে লিখিত আছে, ইনি ব্যাকরণে পাণিনির স্থায়, রাজনীতিতে শ্ৰীভূষণাচার্য্যের স্থায়, নাটকালঙ্কারে ভরত মুনির স্থায়, কাব্যে মুবন্ধুর স্থায় এবং সিদ্ধান্তে লকুলীশ্বরের ষ্ঠায় সুপণ্ডিত ছিলেন। লকুলাগমসিদ্ধান্তে ইনি অতীব স্বদক্ষ ছিলেন বলিয়। অপর এক খানি শিলালিপিতে লিখিত আছে। দক্ষিণ কেদারেশ্বরের মন্দিরের আচাৰ্য্যগণ যে লকুলীশ উপাসক ছিলেন, এই সকল শিলালিপি দ্বারা তাহ স্পষ্টতঃই প্রতীয়মান হয় । যদিও পুরাণে লকুলীশ মগদেবের অবতার বলিয়া বর্ণিত হইয়াছেন, কিন্তু তিনি যে মামুষের আকার গ্রহণ করিয়া মানুষের ন্তায় বিচরণ করিতেন, ইহারও প্রমাণ পাওয়া যায়। দক্ষিণাত্যের মুনিনাথ চিলুক লকুলীশের অবতার বলিয়া খাত। সৰ্ব্বদর্শনসংগ্রহকার লকুলীশ দর্শনের স্বচনায় লিথিয়াছেন—“তৰ্ভুক্তং ভগবত ল(ন)কুলীশেন” হেমাবতী শিলালিপি পাঠে জানা যায় যে মুনিনাথ চিল্প,কই লকুলসিদ্ধান্ত ও লকুলাগমের শিক্ষক। কোড়িয়-মঠের গুরুগণ পাতঞ্জলোক্ত যোগশিক্ষা প্রদান করিত্তেম । সুতরাং লকুল সিদ্ধান্তযোগসংমিশ্রিত । এই নিমিত্তই লঙ্কুলীণ পাশুপত-দর্শনে পাশুপতযোগের যথেষ্ট পরিচয় পাওয়া ধায়।