পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৫৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শৈব মহাভারতের শান্তিপর্কে সাংখ্য, যোগ, পাঞ্চয়ার, বেদ ( আরণ্যক ) ও পাশুপত এই পাচ প্রক্ষার তত্বের উল্লেখ আছে । হীরামভুজ বলেন, দক্ষিণ ভারতের কালামুখগণ লগুড়ী ধারণ করেন। সম্ভবতঃ ইহার লকুলীশের অমুকরণেই সম্প্রদায়ের চিহ্ন স্বরূপ লগুড় ব্যবহার করিতেন। দক্ষিণ ভারতে “গগন শিব” নামে এক শৈবসম্প্রদায় আছেন । ইহার লকুলীশ সম্প্রদায়ভুক্ত নহেন। ইহাদের সিদ্ধান্তের নাম লকুলশিবসিদ্ধান্ত অর্থব শিবসিদ্ধান্ত । দক্ষিণ ভারতের লকুলীশসম্প্রদায় দুই ভাগে বিভক্ত। প্রাচীন ও নব্য। লকুলীশ সিদ্ধাস্তবিলোপের আশঙ্কার লকুলীশ নাথ মুনি চিরক রূপে অবতার গ্রহণ করিয়া যে সিদ্ধান্ত প্রচার করেন, দক্ষিণ ভারতে উহাই নব্য লকুলীশসিদ্ধান্ত নামে খ্যাত। আমরা ইতঃপূৰ্ব্বে বলিয়াছি যে সৰ্ব্বদর্শনসংগ্রহে নকুলীশপাশুপতদর্শন, রসেশ্বরদর্শন, প্রত্যভিজ্ঞদর্শন ও শৈবদর্শন ভেদে শৈব সম্প্রদায়ের চারি_প্রকার দর্শন প্রচলিত । [ প্রাগুক্ত তিন খানি দর্শনের সার মৰ্ম্ম তত্তৎশৰো দ্রষ্টব্য। ] এস্থলে শৈব দর্শনের সংক্ষিপ্ত সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা যাইতেছে। এই দর্শনের মতে শিবই পরমতত্ত্ব পরমেশ্বর, জীনগণ “পগু” বলিয়া অভিহিত। শৈবের বলেন, পরমেশ্বর কৰ্ম্মাদ সাপেক্ষ কৰ্ত্ত । পরমেশ্বর জীবের কৰ্ম্মাদির অনুরূপ ফল প্রদান করেন। পরমেশ্বর একদিকে যেমন আমাদের জ্ঞানেন্দ্রিয় ও কৰ্ম্মেন্দ্রিয় প্রদান করিয়াছেন, অপর দিকে আবার তদনুরূপ বিষয়েরও স্বষ্টি করিয়াছেন। তিনি কেবল তদীয় ইচ্ছার উপরে জগৎ পরিচালনের ভার সংলগ্ন রাখেন নাই। এ জগতেও জীবগণের অবস্থার নানা প্রকার বৈচিত্র পরিলক্ষিত হইতেছে, সুতরাং শ্ৰীভগবান যে কৰ্ম্মসাপেক্ষ কর্ত, এই সিদ্ধান্তই যুক্তি সঙ্গত । - এইরূপ কৰ্ম্মসাপেক্ষ কর্তৃত্ব স্বীকৃত হইলেও পরমেশ্বরের স্বতন্ত্র কর্তৃত্বের কোনও বাধা হয় না । অন্ত কর্তৃক আদিষ্ট না হষ্টয় যিনি স্বেচ্ছায় কাৰ্য্য সম্পাদন করেন, তিনিই স্বতন্ত্র কর্তা ; পরমেশ্বর আপন কর্তৃত্বে এই জগৎ স্মৃষ্টি করিতেছেন । ই হার বলেন, কাৰ্য্যমাত্রই সকর্তৃক, এই জগৎ কাৰ্য্য, ইহার একজন সচেতন কর্তা আছেন, তিনিই পরমেশ্বর । যিনি নিৰ্ম্মাত তিনি শরীরী, সুতরাং এই জগন্নিৰ্ম্মাত৷ ঈশ্বরও শরীরবান। কিন্তু প্রাক্কত শরীর যেমন বহুল দোষময়, ঈশ্বরের শরীর সেরূপ নহে, উহা পঞ্চমন্ত্রাত্মক। ট্রশন, তৎপুরুষ, অঘোর, বামদেব ও সদ্যোজাত এই পাঁচটা মন্ত্র যথাক্রমে ঈশ্বরের মস্তক, বদন, হৃদয়, গুন্থ ও পাদস্বরূপ। ঈশ্বর সর্বজ্ঞ ও সৰ্ব্বশক্তিমান । - [ هو&& ] শৈবগব পতি, পশু ও পাশ ভেদে পদার্থ তিন প্রকার। ভগবান শিবই পতি, দীক্ষাদি উপায়ই শিৰত্ব প্রাপ্তি সাধন । পশু পদার্থ জীবাত্মা । জীবাত্মা মহৎ ক্ষেত্ৰজ্ঞাদি পদবাচ্য, দহদিতির সর্ব ব্যাপক, নিত্য, অপরিচ্ছিন্ন, জ্ঞেয়, ও কর্তাস্বরূপ । কিন্তু জীব মান । পাশ পদার্থ—মল, কৰ্ম্ম, মায় ও রোধশক্তিভেদে চারি প্রকার। স্বাভাবিক অশুচির নামই মল। মল বৃক্ষশক্তি ও ক্রিয়াশক্তিকে আচ্ছাদিত করিয়া রাখে । ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মেয় মাম কৰ্ম্ম । প্রণয়াবস্থাতে যাহাতে কাৰ্য্য সকল লীন হয় এবং পুনৰ্ব্বার ऋठेिरुitण शांशं इहेtङ खे९°ग्न श्छ, ठांशंब्र मांभ मांब्रl । शूझषগতিরোধক যে পাশ উহাই রোধশক্তি নামে অভিহিত হয় । জীবের নাম পশু পদার্থ-ইহা তিন প্রকার, বিজ্ঞানকল, প্রলয়াকল ও সকল । একমাত্ৰ মল স্বরূপ পাশযুক্ত জীবকে বিজ্ঞানকল কহে। মন ও কৰ্ম্মরূপ পাশদ্বয়যুক্ত জীব প্রলয়াকল নামে অভিহিত । মল কৰ্ম্ম ও মায়াবদ্ধ জীবকে সকল কহে । সমাপ্ত কলুষ ও অসমাপ্ত কলুষ ভেদে বিজ্ঞানকল জীব দ্বিবিধ। তন্মধ্যে সমাপ্তকলুষ বিজ্ঞানকল জীবকে পরমেশ্বর অনুগ্রহ করিয়া অনন্ত স্বক্ষ, একনের, শিবোত্তম ত্রিমূৰ্ত্তিক ঐকণ্ঠ এবং শিথওঁ এই কয়েকট বিপ্তেশ্বর পদে নিযুক্ত করেন । অসমাপ্ত কলুষদিগকে তিনি মন্ত্রেখর করেন। এই মন্ত্র সপ্তকোটি প্রলয়াকল জীবও দ্বিবিধ, পঙ্কপাশদ্বয় ও অপৰূপাশদ্বয় পঙ্ক পাশস্বয় মুক্তিপদ প্রাপ্ত হয়, অপক পাশস্বয়কে পুর্যটুক দেহধারণ করিয়া স্বকৰ্ম্মামুসারে তির্যাঙ মনুষ্যাদি বিভিন্ন যোনিতে জন্ম গ্রহণ করিতে হয় । মল বুদ্ধি অহঙ্কার ও চিত্তস্বরূপ অন্তঃকরণ, ভোগসাধন কলা কাল, নিয়তি, বিস্তা রাগ, প্রকৃতি ও গুণ এই সপ্ত তত্ত্ব । পৃথিবী জল তেজ বায়ু ও আকাশ এই পঞ্চভূত। এই পঞ্চভূত্তের কারণ স্বরূপ পঞ্চভূতাত্মা, চক্ষুরাদি পাচট জ্ঞানেজিয়, বাগাদি পাচট কৰ্ম্মেন্দ্রিয়, সাকল্যে একত্রিংশ তত্বাত্মক সুক্ষ্ম দেহকে পুর্যাক্টক দেহ কহে । এই অপব্ধ পাশদ্বয় জীবের মধ্যে যাহাঁদের প্রশস্ত পুণ্য আছে, মহেশ্বর অনস্ত, তাহাদিগের প্রতি অনুগ্রহ করির তাছাদিগকে পৃথিবীপতিত্ব পদ প্রদান করেন। . সকল স্বরূপ জীবও দ্বিবিধ, পঙ্ক কলুষ ও অপক কলুষ ইহাদের মধ্যে পঙ্কফলুষ জীবদিগকে মহেশ্বর করুণা করিয়া মন্ত্রেখর পদ প্রদান করেন। মন্ত্রেখর মণ্ডল্যাদি ভেদে একশত আঠার। অপঙ্ককলুষগণ সংসারকুপে নিক্ষিপ্ত হয়। ইহাই শৈবদর্শনের সংক্ষিপ্ত সিদ্ধাস্তু । { লিঙ্গ, শিব, শাক্ত প্রভৃতি শব্দে অপরাপর বিবরণ দ্রষ্টব্য। ] শৈবগব (পুং ) শিবগুর গোত্রাপত্য। (আখত্রে ১২১২৫ )