শ্মশান •পণ্ডিতগণ শ্মশানশন্ধের নিরুক্তি করিয়াছেন যে, শ্ম-শব্দে শব এবং শান-শৰে শয়ন ; প্রলয়কালে মহাভূতলমূহও যেস্থলে শবম্বরূপে শয়ন করে, তাহাকে শ্মশান বলা যায়।
- শব্দেন শবঃ প্রোক্তঃ শামঃ শয়নমুচ্যতে। নিৰ্ব্বপস্তি শ্মশানার্থং মুনে শব্দার্থকোবিদাঃ ॥ মহাস্ত্যপি চ ভূতানি প্রলয়ে সমুপস্থিতে । শেরতেছত্র শবা ভূত্বা শ্মশানত্ত্ব ততো ভবেৎ।।" স্কন্দপুরাণের কাশীখণ্ডে বারাণসীক্ষেত্র মহাশ্মশান ও মুক্তিক্ষেত্র বলিয়া নির্দিষ্ট হইয়াছে, যথা –
- বারাণসীতি বিখ্যাত রুদ্রাবাস ইতি দ্বিজাঃ । মহাশ্মশানমিত্যেবং প্রোক্তমানন্দকাননং।” (কাশীখণ্ড ২৯অঃ) বরাড়পুরাণে উক্ত হইয়াছে যে, শ্মশানে প্রবেশ করি:ল প্রায়শ্চিত্তাৰ্ছ হইতে হয়। শ্মশান হইতে প্রত্যাগত চইয়া কিংবা অক্সাতাবস্থায় কোনরূপ বিষ্ণুমূৰ্ত্তি স্পর্শ করিলে গৃঞ্জ ও শৃগাল যোনিতে জন্মগ্রহণ করিয়া যথাক্রমে সপ্ত ও চতুর্দশবর্ষ পর্যন্ত নরমাংসভোজী হইয়া পৃথিবীতে অবস্থান এবং তাঁহার পর পিশাচরূপ ধারণপূর্বক ত্রিংশদ্বর্ষ পর্যাস্ত উচ্ছিষ্ট পুতিগন্ধযুক্ত মৃতদেহ ভক্ষণ করিতে হয় । এস্থলে প্রশ্ন হইতে পারে যে, শ্মশান যদি এতই পাপস্থান হয় তবে দেবাদিদেব মঙ্গদেব তথায় কেন নিয়ত বাস করেন ? ইহা সত্য বটে, কিন্তু উক্ত বরাহপুরাণ হইতেই জানা যায় যে, বালবৃদ্ধবনিতার সহিত ত্রিপুরাসুরকে বধ করায় সাতিশয় পাপগ্ৰস্ত হইয়া শিবকেও বিষ্ণুর উপদেশে পাপক্ষালনার্থ শ্মশানবাসী হইতে হইয়াছে। যথা—
“তত্ব বিষ্ণে প্রসাদেন ময় তৎ ত্রিপুরং হতং। নিহত দানবাস্তত্র গভিণাশ্চ নিপতিতঃ ॥ বালবৃদ্ধ হত্যস্তত্র বিক্রন্তে দিশে দশ। তস্ত পাপস্ত দোষেণ ন শক্লোমি বিচেষ্টতুম্ ॥ প্রনঃযোগমায়শ্চ নষ্টৈশ্বৰ্য্যশ্চ মাধব । কিং ময়া বিপ্রকর্তব্যমেনোহবন্থেন মাধব ॥ বিঞ্চে তত্ত্বেন মে ক্রহি শোধনং পাপনাশনং । যেন বৈ কৃতমাত্রেণ শীঘ্ৰং মুচ্যেত কিস্বিষাৎ ॥ ততস্তস্ত বচঃ শ্রীত্বা শঙ্করস্ত যশস্বিন: । তৎপাপশোধনার্থীয় ময়াবাসং প্রভাষিতং শ্মশানং সমলে রুদ্র পুতিকে ব্ৰণগন্ধিকঃ । স্বয়ং তিষ্ঠতি বৈ তত্র মমুজ বিগতস্পৃহাঃ । তত্ৰ গৃহ কপালানি রম তত্ৰৈৰ শঙ্কর। তত্ৰ বৰ্ষসহস্রাণি দিবাছোব দৃঢ়ব্ৰতঃ ॥ ততো ভক্ষ মাংসানি পাপক্ষয়চিকীক। হিংস্তমাননি ভোজ্যানি যে চ ভোজ্যাস্তব প্রিয়াঃ ॥ [ سطو& ] শ্মশানকালিকা - এবং সৰ্ব্বৈৰ্গণৈঃ সৰ্দ্ধং রম তত্র সুনিশ্চিতঃ । পূর্ণে বর্ষসহস্ৰে তু স্থিত্বা ত্বং সমলে পুনঃ ॥ এষ্যসি স্বাশ্রমং পুণ্যং গৌতমন্ত মহামুনেঃ। তত্ৰ জ্ঞাগুলি চাত্মনং আশ্রমে বিধিসংস্থিতে ॥ প্রসাদাৎ গেীতমশ্লথ ভৰিত গভকিৰিব।" ( বরাহপু ) দেবাদিদেব মহাদেব বালবৃদ্ধগভিণী প্রভৃতির সহিত ত্রিপুরপুরী বিধ্বংস করণানন্তুর পাপভরে সাতিশয় ব্যতিব্যস্ত ও কিংকৰ্ত্তব্য বিমূঢ় হইয়া পাপক্ষালন মানসে শ্ৰীবিষ্ণুর নিকট পরামর্শ জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলিলেন, হে রুদ্র ! তুমি দিব্য সহস্ৰ বৎসর পর্যন্ত সমল অর্থাৎ মন্থয্যের অনীল্পিত নানাবিধ পুতিগন্ধযুক্ত শ্মশানে বৃকপাল ধারণপূর্বক স্বগণের সহিত বাস করিয়া পরে মহর্ষি গৌতমের আশ্রমে আসবে, তদনন্তর তাহার প্রসাদে তুমি এই দারুণ পাপ হইতে মুক্ত কষ্টতে পায়িবে। t শ্মশান প্রবিষ্ট ব্যক্তির প্রায়শ্চিত্ত্ব যথা,– শ্বশানে প্রবেশ করিলে কৃতসংস্কার ও বিষ্ণুপরায়ণ হইয়া পঞ্চদশ দিবস পর্য্যন্ত প্রতিদিন একবার মাত্র পানীয় পান করিয়া কুশাস্তরণে উদ্ধশয়নে অবস্থান করিতে হইবে এবং তৎকালে প্রত্যহ প্রাতে পঞ্চগব্য পানেরও ব্যবস্থা নিদিষ্ট আছে। তস্থাদিতে উল্লিখিত হইয়াছে, শ্মশান শক্তিমন্থসিদ্ধির একটা প্রধান স্থান, এই স্থানে শবাসন হইয়া শক্তিমন্ত্রের সাধন করিলে অচিরাৎ সিদ্ধি লাভ হয়। ঐ সকল তন্ত্রোক্ত মারণ বশীকরণ প্রভৃতি কাৰ্য্যে শ্মশানমূত্তিক ও সিন্দুরাদি প্রয়োজন হইয়া থাকে। আয়ুৰ্ব্বেদশাস্ত্রে বর্ণিত আছে যে, ঔষধ প্রস্তুত করণার্থ শ্মশান ভূমিতে উৎপন্ন কোন দ্রব্যজাত গ্রহণ করিবে না। শশানকালিকা (স্ত্রী ) শ্মশানস্ত কালিকা। কালিকা বিশেষ, শ্মশানকালী। তন্ত্রশাস্ত্রে কালিকা দেবীর ভদ্রকালী, গুহাকালী ও শশ্নানকালী প্রভৃতি নাম ভেদ আছে। সাধক এই সকল কালিকা দেবীর উপাসনা করিলে অচিরে সিদ্ধিলাভ করেন। তন্ত্রসারে ই হার মন্ত্র ও পূজাদির বিষয় এইরূপ লিখিত আছে— শুশান কালীর একাদশাক্ষর মন্ত্ৰ— “বাণী মায়াং ততো লক্ষ্মীং কামবীজমন্তঃ পরম্। কালিকে সংপুটত্বেন চতুষ্কং বীজমালিখেৎ। ” একাদশার্ণ দেবেশি চতুৰ্ব্বৰ্গপ্রদারিনী।” ( তন্ত্রসার ) थै डों द्वै ब्रैौ रुणिएक क्लौ च झै $' अशांनकालैौञ्च এই একাদশাক্ষর মন্ত্র, এই মন্ত্রে উক্ত দেবীর পূজা করিলে দেবী সাধককে ধৰ্ম্ম, অর্থ, কাম, ও মোক্ষ এই চতুৰ্ব্বৰ্গ প্রদান করিয়া থাকেন । এই দেবীর পূজাকালে যন্ত্র অঙ্কিত করি পূজা করিতে হয়। এই বন্ধ যথা—প্রথমে অষ্টদল পদ্ম অঙ্কিত করিয়া তৰাহে