শ্যামরাজ্য এই হ্রদগর্তে মিশিয়াছে। এই হ্রদের পরিধি প্রায় ২• লিগ, এবং এখানে প্রচুর পরিমাণে মৎস্ত পাওয়া যায়। : খাম রাজ্যের সম অক্ষাংশবন্ত্রী এলিয়ার অন্তান্ত দেশেও যেরূপ ঋতু প্রবল, এখানেও তদনুরূপ ঋতুবিপর্যায় ঘটিয়া থাকে। সাধারণতঃ দক্ষিণপ্তামরাজ্যে বর্ষ ও গ্রীষ্মের প্রাচুর্ভাবই অধিক। জ্যৈষ্ঠমাস হইতে আশ্বিন মাসের মাঝামাঝি এখানে প্রবল বর্ষাই श्हेब्र थाप्रु, अछ गर्भाग्न झाँक्रम यौग्न अश्शुरु श्छ। ७थएन দক্ষিণপশ্চিম এবং গ্রীষ্মের সময় উত্তরপূৰ্ব্ব মসুম বায়ু বহে। বাঞ্চক রাজধানীতে ডিসেম্বর ও জানুয়ারী মাসে জলবায়ুর তাপ ••• হইত্বে ৪৩ ফারণটুি হয় এবং মার্চ ৪ এপ্রিল মাসে প্রচণ্ড হুর্য্যের তাপে এখানকার আবহাওয়া এরূপ উষ্ণভাব ধারণ করে যে বায়ুমান যন্ত্রের তাপরেখা ৮৬*হইতে ৯৪° পর্যন্ত উঠিয় থাকে। উত্তরে পলিময় বিস্তৃত গ্রাস্তরের জলবায়ু সমুদ্রকুলের স্থায় শৈত্য ভাবাপন্ন, যেন বাসস্তী সমীরণ মৃদ্ধ মন্দ ছিল্লোলে সেই স্থানে অবাধে প্রবাহিত হুইতেছে। গভীর জঙ্গলাবৃত উপত্যকাদির আবহাওয়া বড়ই কদৰ্য্য। এখানে ম্যালেরিয়া জরের অধিক প্রাদুর্ভাব ; ঐ জর প্রাণনাশক। এখানে খনিজ পদার্থের মধ্যে লৌহ, টিন, স্বর্ণ, দস্তা ও রসাপ্রন পাওয়া যায়। স্থানবাসীরা ঐ সকল দ্রব্য সংগ্ৰহ করিয়া আপনাদের আবশুকীয় গৃহোপকরণাদি প্রস্তুত করিয়া লয়। এতদ্ভিন্ন পদ্মরাগ (চুনি ) ও নীলা নামক মণি এই রাজ্যের প্রধান আদরের বস্তু। শাস্তিবন (চণ্টিাকুন বা চাণ্টাবুড়ি ) পৰ্ব্বতের উপত্যকাভূমিতে ঐ সকল মূল্যবান প্রস্তুর অল্পবিস্তর পাওয়া যায়। পশ্চিম দেশভাগে চুণা পাথরের বিস্তৃত গিরিশ্রেণী বিদ্যমান। সমুদ্রতীরে ও মেকলঙ, নদীতীরে স্বৰ্য্যোহ্বাপে শুকাইয়৷ রন্ধনোপযোগী লবণ প্রস্তুত হইয়া থাকে। সকল প্রকার চাগের মধ্যে এখানকার ইক্ষুর চাই বলবানু। এসিয়ার অন্ত কোন রাজ্যে ইছাপেক্ষা অধিক ইক্ষুর চাস নাই। এখান হইতে ইক্ষুর চিনি যুরোপের নানা স্থানে রপ্তানী হইয়া থাকে। উচ্চ ভূমিতে প্রচুর তুলার চাস হয় ; কিন্তু যে সকল স্থান বস্তার জলে ডুবিয়া যায়, সেখানে তুলা আদৌ উৎপন্ন হয় ন। উৎপন্ন তুলায় দেশীয় কাপাস বস্ত্রাদি প্রস্তুত হয় এবং তাহার কতকাংশ চীনরাজ্যে প্রেরিত হইয়া থাকে। চালাবাড়ি প্রদেশে কাল মরিচের চাস আছে, উহা দেশীয় ভাষায় প্রিকথৈ নামে খ্যাত। তামাকের চাসও আছে। সকলেই ঐ তামাক ব্যবহার করে। বনভাগে মন্থয্যের ব্যবহারোপযোগী মানারূপ কাষ্ঠ ও নানা প্রকার বনজাত দ্রব্য পাওয়া যায়। ঐ সকলের মধ্যে শাল, শ্বেত ও রক্ত চন্দন, বকম কাঠ, দারুচিনি, গদ, গাম্বোজ প্রভৃতি প্রধান। চতুষ্পদ প্রাণীর মধ্যে হস্তী, বৃষ, মহিষ, ব্যাস, গণ্ডার ও х» >8雳 [ &సిలి ] শ্যামরাজ্য অন্যান্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বস্ত প্রাণী নিবিড় জঙ্গলদেশে বিচরণ করিতে ফুেখা যায়। - চাণ্টাবুড়ীর লোকের মুকৌশলে হাতী ধরিয়া বিক্রয় করে। লাও ও কম্বোজ প্রদেশভাগেও বিস্তর হস্তী পাওয়া যায়। এখানকার অর্থগুলি ক্ষুদ্রকায়, টাটুঘোড়া (Poly) বলিয়া প্রসিদ্ধ, ইহাদের উচ্চতা অশ্বমানের ১৩ হাতের অধিক হয় না। এখানে ময়ুর, ঈগল প্রভৃতি বৃহৎকায় পক্ষী এবং মুনার সুন্দর ক্ষুদ্রকায় পক্ষী দেখিতে পাওয়া যায়। ফিলিপাইন ও মলয়প্রায়োদ্বীপে এবং ঘবদ্বীপেওঐ সকল পক্ষী বিদ্ধমান আছে। হ্যামবাণীর আকৃতি ও প্রকৃতিতে অনেকটা ব্ৰহ্ম বা কম্বোজবাসীর অনুরূপ। প্রকৃত পক্ষে এরূপ মিশ্রিত গঠনবিশিষ্ট জাতি বাঙ্গালার পূৰ্ব্বাংশ হইতে চীনসাম্রাজ্য পৰ্য্যস্ত বিস্তৃত আছে। চীনৰালী অপেক্ষা ইহারা আকৃতিতে ক্ষুদ্র এবং মলয়বালী অপেক্ষ কিছু বড়। গুমিরাজ্যে প্রধানতঃ চারিট মূল জাতি ও তিনটী বস্ত জাতির বাস আছে। ঐ জাতিগুলি নিম্নোক্ত नांष्म विङख १५|-ञांनेि शंभ दl cछ्फ़े-8५, शां७ वां दफ़् থৈ, কম্বোজীয় ও মালয় এই চারিট প্রধান ও সভ্য জাতি এবং করেঙ্গ, চোঙ্গ ও লাবাগণ বন্ত বৰ্ব্বর জাতি বলিয়া গণ্য। ইহাদের মধ্যে ভাষাগত অনেক পার্থক্য দৃষ্ট হয় ; আচার ব্যবহার ও সামাজিক নিয়মেরও যথেষ্ট বৈসাদৃশু আছে। মুল হাম জাতিই এখানকার রাজ্যেশ্বর। খামরাজ্যের রাজা এই জাতি হইতে নিৰ্ব্বাচিত । ই হার প্রায় অক্ষা” ৭” হইতে ২০° উত্তর এবং বঙ্গোপসাগরকুল হইতে ১-২” পূৰ্ব্ব দ্রাঘিমা পর্যন্ত বিস্তৃতস্থানে ছড়াইয়া আছেন। মেনাম্ নদী প্রবাহিত উৰ্ব্বর ভূখণ্ডে ইহারাই আধিপত্য বিস্তার করিয়া আছে। এই খাম জাতির উত্তরে ও পূৰ্ব্বে মেকংনদীতট পর্যন্ত বিস্তৃত স্থানে লাও জাতির বাস। এই বিস্তৃত ভূখণ্ড খণ্ড খণ্ড সামন্ত রাজ্যে বিভক্ত। তত্তদুপ্রদেশের সামন্তগণ তামরাজকে কর দিয়া থাকেন। তামোপসাগরের পূৰ্ব্বোপকূলবর্তী খামরাজ্যে কম্বোজগণের ' বাস আছে । শাস্তিবন বা চাণ্টাবন প্রদেশের পূর্বদিশ্বৰ্ত্তী পাৰ্ব্বত্য প্রদেশে ও খামোপসাগরের পুৰ্ব্বকুলে চোঙ্গ নামক বন্য জাতির বাস আছে। ইহাদের উত্তরে কোরঙ্গগণ এবং মেনাম ও মর্তবান নদীর মধ্যবর্তী পাৰ্ব্বত্য অধিতাকার লাবাগণ বাস করে। ইহাদের প্রকৃতি বস্ত ও ভীষণ। ভারতের সমতলক্ষেত্রবাসী সুসভ্য ও সুশিক্ষিত হিন্দু সম্প্রদায়ের সহিত কোল, ভীল শবর প্রভৃতি অসত্যদিগের যেরূপ সম্বন্ধ ; শুাম, লাও বা কম্বোজ জাতির সহিত উপরি উক্ত জাতিত্রয়ের ঠিক সেইরূপ সম্বন্ধ বিদ্যমান আছে। ঐ সকল বস্ত জাতির একটি স্বতন্ত্র ভাষা আছে। মোটামুটি ক এক প্রকার শিল্পবিস্কায় ইহার বেশ পটু, কিন্তু
পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৫৯৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।