শ্যামানন্দ
- —o
"মীদের সর্দার ছিলেন। তিনি সম্পুটের কথা শুনিয়া উহ। ধনরত্বপূর্ণ বলিয়া মনে করেন এবং সদিগণ সহ রাত্রিকালে এই সম্পূট অপহরণ করেন। কিন্তু সম্পূট খুলিয়া দেখলেন উহা গ্রন্থে পরিপূর্ণ। গ্রন্থরাজীদর্শনেই তাছার মন পবিত্র হইল। তিমি স্বামীকে খুজিয়া*আনিতে আদেশ করিলেন। এদিকে শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্য, নরোত্তম ও শ্যামানন্দ প্রভৃতি জাগিয়া দেখিলেন, গ্রন্থসম্পট অপহৃত হইয়াছে। ইংতে তাহার শোকে অধীর হইয়া পড়িলেন। চারিদিকে অন্বেষণ করিতে লাগিলেন। এই সময়ে কোনও এক ব্যক্তি শ্ৰীনিবাসকে গ্রন্থদুরির সন্ধান বলিয়া দিল। শ্ৰীনিবাস নরোত্তমকে বলিলেন, “তুমি শুমানন্দ সহ খেতরি চলিয়া যাও, লোকনাথ প্রভুর আজ্ঞা পালন কুর, খামানদকে মুসঙ্গিসাথে অধিকার পথে উৎকলে পাঠাইও । গ্রন্থ প্রাপ্ত হইলে অবিলম্বে তোমাদিগকে সংবাদ জানাইল। আমি গ্রন্থের অনুসন্ধানে এখানে রছিলাম।” | নরোত্তম ও শুীমাননা যথাসময়ে খেতরিতে পহুছিলেন । কিয়দিন পরে নরোত্তম অতীব কষ্টের সহিত শুীমাননাকে উৎকলে প্রেরণ করিতে উষ্ঠত হইলেন । অর্থ ও লোকাদি সঙ্গে দিয়া নরোত্তম ও মরোত্তমশিবা রাজা সত্তোষ পদ্মাতট পর্য্যন্ত শুামাননের সঙ্গে আসিলেন। শুামানন্দ নৌকাযোগে পদ্ম পার হইয়া কাটোয়ার পড়ছিলেন। অতঃপরে নবদ্বীপ ও শাস্তিপুর দর্শন করিয়া তিনি অম্বিকানগরে উপস্থিত হইলেন। অশ্বিকাতে শ্ৰীগৌরনিত্যনন্দ মূৰ্ত্তি সন্দর্শনে খামানন্দ বিহ্বল হইয়া রোদন করিতে লাগিলেন । এই সময়ে অম্বিকার পাটে কীৰ্ত্তনমহী মহোৎসব হইতে ছিল । শুীমাননা কিয়ংকাল শ্ৰীপাটে শ্ৰীগুরু দর্শন করিয়া উৎকলে যাত্রা করিলেন । যথা ভক্তিরত্নাকরে “ঐছে কত কহে শুনি দুরিকানন্দন। ’ উৎকলে চলয়ে চিন্তি শ্ৰীগুরুচরণ ॥ নিরস্তর নিতাই চৈতন্য গুণ গায়। আপনি হইয়া মত্ত সভারে মাতায় ॥ গুমানন্দে দেখি মহা পাষণ্ডীর গণ। আপনি মানয়ে ধনু মাগয়ে শরণ ॥* এই রূপে পথে পথে শুমানন্দ সহস্ৰ সংস্ৰ লোককে গৌরনিত্যানন্দভক্ত বৈষ্ণব করিয়া উৎকলে ভক্তির প্রবল তরঙ্গ তুলিয়াছিলেন। গুণমাননা প্রথমে দণ্ডেশ্বর পরে তথা হইতে ধীরেন্দায় যাইয় প্রীনিৰাস আচাৰ্য্যকে পৌছ সংবাদ জানাইলেন। বীর হাম্বির শুiমানদের গুণের কথা শুনিয়া তাহাকে দেখিবার জন্য উৎকণ্ঠিত হইয়াছিলেন, কিন্তু তাহার সে আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ • কুইয়াছিল। কিনা, জানা যায় না। যুtছা হউক, হামাননোর উৎকলে প্রত্যাবর্তন সম্বন্ধে যে [ نلاند ] האבחזקתוא विषङ्ग१ खऊिङ्गज़ॉरुन्न अंश् गिषिङः श्रॆष्नांश् ५थitम एठइ। উদ্ধৃত করা যাইতেছে — “পূৰ্ব্বে ব্রজ হৈতে আসি ঐগোঁড়মগুলে। অধিক হইয়া শীঘ্ৰ চলিল৷ উৎকলে ॥ छन्नाडूमि मर७श्रृंद्र शांटञ्चन शांrभtडं । প্রকাশিয়া প্রেমভক্তি চলে রোহিণীতে ॥ মল্লভূমি মধ্যতে রয়ণী নামে গ্রাম। গ্রাম পাশে নদী সে সুবর্ণল্লেখ নাম ॥. তথায় সুবর্ণরেখা উত্তরবাহিনী : অশেষ জীবের মহাকলুবনাশিনী। রয়ণী নিকটে বারায়িত নামে গ্রাম। : নিকটে ডোলঙ্গ নদী তীরে রম্যস্থান ॥* এই বারায়িত একটি প্রাচীন স্থান, প্রবাদ এখানে শ্রীরামচঞ্জ রামেশ্বর শিব সংস্থাপন করেন। রয়নী গ্রামে অচ্যুত নামে শিষ্ট করণবংশীয় একজন স্বপ্রসিদ্ধ ভূম্যধিকারী ছিলেন। খামানন্দের প্রসিদ্ধ ও প্রধান শিষ্য রসিক মুরারি ইহারই পুত্র। যথা— “রয়নী গ্রামে প্রসিদ্ধ অচ্যুততনয়। ঐরসিকানন্দ শ্ৰীমুরারি নাম স্বয় ॥” রসিকানন্দ বাল্যকালেই বহু শাস্ত্রাধ্যয়ন করিয়া ভগবস্তুক্ত হইয়াছিলেন। তিনি কিছুদিন ঘণ্টাশিলা (ঘাটশিল্পী) গ্রামে নির্জনে বসিয়া ভগবদ্বারাধনা করিতেন। এই স্থানে বসিয়া এক দিবস তিনি মনে মনে ভাবিতে ছিলেন, “আমি গুরু কোথা পাইব”? শ্ৰীভগবান্ দয়া করিয়া দৈববাণীতে তাহাকে জানাইলেন, শুামানন্দ তোমার গুরু হইবেন, এখানেই তুমি তাছার সাক্ষাৎ পাইবে । ফলতঃ যথাসময়ে গুণমানন্দ আগমন করিয়া' তাহাকে দীক্ষা প্রদান করিলেন । রসিকমঙ্গলে রয়ণী গ্রামট রোহিণী নামে বর্ণিত হইয়াছে। যথা— "উড়িষ্যাতে আছয়ে যে মল্লভূমি নাম। : তার মধ্যে রোহিণী নগর অনুপাম ॥ " কটক সমান গ্রাম সৰ্ব্ব লোকে জানে - সুবর্ণরেখার তটে অতি পুণ্য স্থানে । ডোলঙ্গ বলিয়া মদী গ্রামের সমীপে । গঙ্গোদক হেন জল অতি রসকুপে । রোহিণী নিকটে বিরাজিত মহাস্থান। যাতে রাম লক্ষ্মণ সীতা কৈল বিশ্রাম ॥ দুয়াদশ লিঙ্গ রামেশ্বর শঙ্কুবর। রঘুবংশ কুলচন্দ্র পূজিলা বিস্তর । উত্তরবাহিনী ধারা সুবর্ণরেখায়। বারি লইতে কোটি লোক আইলে তথায়'।”