শ্যামানমদ ] ۹ در[ শ্যামানন্দ এই বর্ণনার সহিত ভক্তিরত্নাকারের বর্ণমায় একত্ব আছে। "এ গ্রামের অধিকারী খামাদালী মাত । T রসিকমঙ্গলুকার রোহিণীর রম্যতা ও বৈভবসম্বন্ধে সবিশেষ বিবরণ , সেই হৈতে সেবার করিল নিয়ােজিত৷ দিয়াছেন। এখানে রাজধানীতে গড় ছিল। সেই গড় বেড়িয়া লোকালয় ছিল। যাহা হউক রসিকানন্মের আদেশে তাহার পত্নী ইচ্চাদেবী थुभिनिमग्न निक3 मङ्ग5श्° रुब्रिग्न ॐांभ शांगैौ नांrम थTांठ হইলেন । কিয়ংকাল রসিকানন্দের গৃহে অবস্থান করিয়া শুiমাননা পুরুষোত্তমে যাইতে মনন করিলেন। রসিকানন্দও তাহার সঙ্গে চলিলেন । উভয়ে পথিমধ্যে চাকলিয়া গ্রামে উপস্থিত হইলেন । চাকলিয়। গ্রামে মহাযোগী দামোদর গোসাইর বাস। দামোদর সৰ্ব্ব শাস্ত্রে সুপণ্ডিত ছিলেন । গুমানন্দ ও রসিকানদের সঙ্গে দামোদর জ্ঞান ও যোগের আলাপ করিয়া স্বকীয় বিদ্যাগৰ্ব্ব প্রকাশ করিতে লাগিলেন। কিন্তু শুামানদের মুখে ভক্তিতত্বের বিচার শুনিয়া দামোদর পরাস্ত হইলে রসিকানন্দ তখন দামোদরকে শু্যামানন্দের শিক্ষক হইতে অনুরোধ করেন। দামোদর তাহাতে স্বীকৃত হইয়া বললেন, আমি ইহার কিছু ঐশ্বৰ্য্য দেখিতে বাসনা করি। দামোদরের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হইল। হামানন্দকে তিনি যত্নের সহিত আপন আলয়ে স্থান দিলেন । দামোদর এক দিবস থৰ্ব্ব নদীতটে একট রম্য কাননে বসিয়া ধ্যানস্থ হইলেন। তিনি শুামসুন্দরের রূপ দেখিতে পাইলেন। আরও দেখিলেন, শু্যামাননা শ্যামসুনারের প্রিয় রূপে তাহার বাম পার্শ্বে অবস্থিত । অতঃপর দামোদর শুামানদের নিকট দীক্ষাগ্রহণ করেন। এইস্থলে আরও কিয়ৎকাল থাকিয়! শুমাননা পুরুষোত্তমে গমন করেন । আবার খ্ৰীবৃন্দাবনে গমন করিয়াছিলেন বলিয়াও রসিকমঙ্গলে লিখিত আছে। এই সময়ে রসিকাননাও বৃন্দাবনে গিয়াছিলেন। ব্রজধামে উভয়ের মিলন হয়। তথা দর্শনাদির পর আবার উভয়েই একত্র উৎকলে ভক্তিপ্রচারের জন্য প্রত্যাগমন করেন। এবার নাগপুরের পথে উভয়ে সেগলাতে উপনীত হইলেন । এখানে বিষ্ণুদাস নামক একজন ধনী সবংশে তাহার শিষ্য হইল । বিষ্ণুদাস রসময়দাস নামে খ্যাত হইলেন। তথা হইতে উভয়েই রোহিণীতে আগমন করিয়া হরিনামের তরঙ্গ তুলিলেন, চারিদিকে ভক্তির ৰম্ভ। প্রবাহিত করিতে আরম্ভ করিলেন । অতঃপর শুীমানন্দদ্বারা শ্ৰীগোপীবল্লভ বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত হন। যে গ্রামে ঐগোপীবল্লভ বিগ্রহ সংস্থাপিত, শুামানন্দ সেই গ্রাম খানিকে গোপীবল্লভপুর নামে অভিহিত করেন। রসিকানন্দের পত্নী শুাম দাসীর উপরে এই পাটের সেবার ভার অর্পণ করিয়া ভক্তিধৰ্ম্মপ্রচারার্থ রসিকানলাকে লইয়া শুামাননা বাহির হইলেন। ११ गिमिषग्ण-' XX Y ®® উদাসীন রসিক সে আমার সঙ্গেতে । নিরবধি ভ্ৰমি যেন জীব উদ্ধারিতে।” এই সময় হইতে রশিকারী ও শুীমানন্দ উৎকলের উত্তরাঞ্চলে প্রেমভক্তি প্রচারের জন্ত গ্রামে গ্রামে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন । এ সম্বন্ধে তাহার শিষ্য রসিকানন্দ তাহার পরম সহায় হইয়াছিলেন। খামানন্দ রসিকানন্দের উপরে যে ব্রতভার অর্পণ করেন, রসিকমঙ্গলের নিম্ন লিখিত কতিপয় ছত্রে তাহ সুস্পষ্ট রূপে অভিব্যক্ত হইয়াছে
- এক দিন রসিকেরে কহে শুমানন্দে । আমারে এক ভিক্ষা দেহ মনের অনিলো । এই ভিক্ষণ সব জীবে কর পরিত্রাণ ।
সবাকারে দেহ হরেকৃষ্ণ রাম নাম ॥ ব্ৰহ্ম ক্ষেত্রী বৈশ্ব শূদ্র যত যত জন । চওtল পুঙ্কশ আদি আছে যত জন ॥ সবাকারে কর কৃষ্ণপ্রেমভক্তি দান । তোমা স্থানে এই ভিক্ষা মাগিনু নিদান। কিবা রাজা কিবা প্রজা কিবা সাধুজন। কিবা শিশু কিবা বৃদ্ধ কিবা স্ত্রীগণ ॥ সব স্থানে আপনি ফিরিবে নিরস্তর। হরিনাম গ্রহণ করাবে ঘরে ঘর ॥* সিদ্ধ পুরুষ খামানদের এই মহান আদেশ অচিরেই অক্ষরে অক্ষরে মহাসত্যে পরিণত হইল। উৎকলের ধনী দরিদ্র মহৎ ক্ষুদ্র রাজা প্রজা বালক বৃদ্ধ সহস্ৰ সহস্ৰ লোকের হৃদয়ের স্তরে স্তরে হরিনামের মহাধন্ত প্রবেশ করিল, সকলেই বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিল। অচিরেই শ্রামানদের জীবনব্ৰত সংপূর্ণ হইয়া উঠিল। চারিদিকে হরিনামের করোল উখিত হইতে ' লাগিল, প্রেমভক্তির তরঙ্গপ্রবাহে সমস্ত উৎকল আকুলিত হইয়া উঠিল । গ্রামানন্দ উৎকলৈ ও মেদিনীপুরে সহস্ৰ সহস্ৰ মহোৎসব করেন । এই সকল মহোৎসবের কোন কোন মহোৎসবে মুসলমানগণও যোগদান করিতেন। মেদিনীপুরের জালস্ গল্পে খামানদের শুভাগমনে এক বিশাল মহোৎসব হয়, ইহাতে মেদিনীপুরের মুবাও যোগদান করিয়াছিলেন। মুসলমান মুৰেদার এই মহোৎসবের সকল ব্যয় বহন করিয়াছিলেন যথা— "ামাননা স্থানে কহে সেই সে যবন। মহোৎসব কর এথা গুন মহাজন ॥ সকল সম্ভার দিব কিছু নাছি স্থায় । হিন্দু অধিকারী সৰ কল্পিৰ বিদায় ।