ঐনিধাসাচাৰ্য্য [ ७१४' ] শ্ৰীনিবাসাচার্য্য বিস্তারিলা প্রভু তাহী মনের আনন্দে ॥ শ্ৰীনিবাস বায়ুরূপে গ্রন্থ মেধ লই। शहेग्न। आँहेगl cउँइ गज्रन कम्नि । G ব্রজগিরি মধ্য হইতে গ্রন্থ মেঘ জানি । গৌড়দেশে কৃষি সিঞ্চে দিয়া প্রেমপাণি ॥ কলি রবি তাপে দগ্ধ জীব শস্তগণ । কৃষ্ণপ্রেমামৃত বৃষ্টে পাইল জীবন ॥” এই গ্রন্থসমূহের রসাস্বাদনের নিমিত্ত প্রত্যহই যাজিগ্রামে ভক্তজনতা হইত, দূরদেশ হইতে বৈষ্ণবছাত্ৰগণ আগমন করিয়া এস্থাধ্যয়ন করিত। খ্ৰীনিবাস প্রেমভক্তির সকলকে গুনাইতেন, এবং বিশদরূপে বুঝাইতেন ; এইরূপ কৰ্ম্ম ও জ্ঞানের প্রভাব ভক্তির সুধাসঙ্গীতের তরঙ্গপ্রবাছে উপাসক সমাজ হইতে স্বরে প্রস্থিত হইল। তাহার নিজের সাধনভজন ও ভাব আরও অদ্ভুত। যথা কর্ণামৃতে— “প্রেমামৃতে ডুবি রহে রাত্রি আর দিনে ॥ সংখ্যা করি হরিনাম লয় গ্রহরেক। গ্রন্থ দরশনে যায় আয় প্রহরেক ॥ রাধাকৃষ্ণ গোবিন্দ কীৰ্ত্তন দুই নাম। স্মরণ বিলাস প্রেমে ভালে অবিরাম ॥ চণ্ডীদাস বিদ্যাপতি শ্ৰীগীত গোবিন্দ । রায়ের নাটক গ্রন্থ গান পরানন্দ ॥ রজনীতে ভক্ত সঙ্গে পরে রাসবিলাস । গান শিক্ষা দিল ভক্তি প্রেমের উল্লাস ॥ দিনে শালগ্রামসেবা তুলসীসেৰন । পরম ভক্তিতে করে জলের সিঞ্চন । রাধাকৃষ্ণ ধ্যান মন্ত্র নাম দোছাকার । এই মত স্মরণলীলা স্থতি সৰ্ব্বকাল ॥ গৌর গুণগান প্রভু নিত্যানন্দ গুণ। এই মত দিবারাত্র উপজে করুণ ॥” পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, শ্ৰীনিবাস আচার্য্যের দুইটি সহধৰ্ম্মিণী ছিলেন,—একের নাম দ্রৌপদী, ইনি বিবাহের সময়ে ঈশ্বরী নামে অভিহিত হইয়াছিলেন। অপরার নাম শ্ৰীমতী গৌরাঙ্গপ্রিয়া। কর্ণানন্দে লিখিত আছে, ঐনিবাস আচাৰ্য্য প্ৰভুত্ব তিন পুত্র যথা শ্ৰীবৃন্দাবন আচাৰ্য্য,রাধাকৃষ্ণ আচার্ষ্য এবং গীতগোবিন্দ আচাৰ্য্য। ও তিনটী কম্ভ কস্তাদের নাম হেমলতা, কৃষ্ণপ্রিয় ও কাঞ্চনলতিক। ইহারা সকলেই শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্য প্রভূর নিকট দীক্ষামন্ত্র গ্রহণ করিয়াছিলেন। খ্ৰীনিবাসের শিষ্য রামকৃষ্ণ চট্টরাজের পুত্র গোপীজনবল্লভ চট্টরাজের সহিত হেমলতা দেবীর এবং অপর শিষ্য কুমুদ চট্টরাঙ্গের সহিত কৃষ্ণুপ্রিয় দেবীর বিবাহ হয়। সারসিদ্ধাস্তু | শ্ৰীনিবাসের দুই ঘরণী। কোন ঘরণীর গর্ডে কাছার জন্ম কর্ণাননো তা লিখিত হয় নাই। কর্ণাননাপ্রণেতা ৰন্ধনমন দাস হেমলত ঠাকুরাণীর ভ্রাতুষ্পুত্র সুবলচন্দ্র ঠাকুরের শিবা। তিনি ১৫২৯শকে এই গ্রন্থ লিখিয়াছিলেন। সুতরাং আচাৰ্যা প্রভুর বংশাবলী সম্বন্ধে তাহার যথেষ্ট জানা ছিল। কিন্তু এই . গ্রন্থে জামরা উক্ত প্রশ্নের কোনও উত্তর দেখিতে পাই না। এই গ্ৰন্থখানি শ্ৰীনিবাসের শিষ্য প্রশিষ্যগণের সুবিস্তৃত তালিকা। ঐনিবাস আচাৰ্য্যের পৌত্র গতিগোবিলোর পুত্র রাধামোহন গোস্বামী। রাধামোহন কর্ণানন্দকারের অনেক গীত স্বকৃত পদাযুতসমুদ্রে উদ্ভূত করিয়াছেন। খ্ৰীনিবাসের জন্মভূমি চাখঙ্গিগ্রাম বহুদিন হুইল গঙ্গাগর্ভে চিরবিশ্রাম লইয়াছেন। এই গ্রামে বহু বিগ্রহ ছিলেন। সেই সকল বিগ্রহ স্থানান্তরে নীত হইয়াছেন। বনবিষ্ণুপুর, বুদ্ধাইপাড়া ও মালিহাট গ্রামে আচাৰ্য্যপ্রভুবংশু গোস্বামিগণের বর্তমান বাস । ইহার উপশাখাদি সৈয়দাবাদ, বোরাকুলি, ফরিদপুর, মণ্ডলগ্রাম, গোসাঞিগ্রাম, গোয়াস, ইসলামপুর, দেউলগ্রাম ও সোণারদি প্রভৃতি গ্রামে বাস করিতেছেন । চট্টরাজবংশু এক শাখা আটিয়ায় বন্দ্য কাওয়ালজানী গ্রামে বাস করিতেছেন। ই হারা চক্ৰবৰ্ত্তী বলিয়া অভিহিত হুইলেও চট্টরাজবংশীয়। পরমগৌরভক্ত অনন্তরাম চট্টরাজ রাঢ়দেশ হইতে পুৰ্ব্বাঞ্চলে গমন করেন । লক্ষ্মীনারায়ণ চট্টরাজ পরম তপস্বী ছিলেন। র্তাহার অসীম প্রভাব দর্শনে মুকুন্কিশোর চক্ৰবৰ্ত্তী তাছাকে কন্যা ও বিষয় সম্পত্তি দান করেন । এই সময়ের পর হইতে ই হারা চক্রবর্তী নামে পরিচিত। লক্ষ্মীনারায়ণের সেবিত গোবিন্যজীউ এখনও । তদীয় বংশধরগণ দ্বারা সেবিত হইতেছেন। কাহারও কাছারও ধারণা পূৰ্ব্বদেশীয় এই শাখ বৈষ্ণবসমাজে সুপ্রসিদ্ধ ষটু চক্ৰবৰ্ত্তার কোন চক্ৰবৰ্ত্তীর বংশধর, কিন্তু তাহ ভ্ৰম । শ্ৰীনিবাস জাচার্য্য প্রভুর শাখার মধ্যে ঘটু চক্রবর্তীর নাম সবিশেষ উল্লেখ C१[१] । शर्थi “শ্ৰীদাসগোকুলাননেী হামদাসস্তথৈব চ। ঐব্যাস শ্ৰীগোবিন-ঐরামচরণস্তথা। বটু চক্রবর্জিনঃ খ্যাত ভক্তিগ্রস্থানুশীলনাঃ। নিস্তারিতাখিলজনাঃ কৃঙবৈষ্ণবসেৰনাঃ।” শ্ৰীগোপাল চক্রবর্তী ও ঐরঘুনাথ চক্রবর্তী শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্য প্রভুর খপ্তর। ইহারাও প্রভূর মন্ত্ৰশিষ্য। শুীমদাস ও রামচরণ শ্ৰীগোপাল চক্রবর্তীর পুত্র, ই হারা উভয়েই ঘটু চক্ৰবৰ্ত্তার জন্তুগীত। রামচরণ চক্রবর্তী ফুদেশ হইতে ফরিদপুরে গমন করিয়া অসংখ্য শিষ্য করেন। তীব্যাসাচার্ধ বীরহান্ধীরের ভবনে পাঠক ছিলেন। ইনি বিষ্ণুপুরবাসী। ইয়াসু ও গোকুলানঙ্গ
পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৬৮০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।