পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

החש [ २१७ } וורוס “হত্ব চাৰং মণ্ডুকমেব চ।.পূত্রহত্যাব্রতং চরেৎ ” (মনু ১১১৩২) পুত্রহত্যাক্তং শূদ্রবিট্‌ক্ষত্ৰিয়ৰধইত্যুপপাতক প্রায়শ্চিতং - ( কুকে । ) ইহাঙ্গের মস্তক ও কণ্ঠদেশ মেটে হরিতাভ নীলবর্ণ, কপাল ঈষৎ রক্তবর্ণ, গ্ৰীবা স্কন্ধ ও উদর পাংগুবৰ্ণ, পুচ্ছমূল ও পুচ্ছ গীতাত গাঢ় নীলবর্ণ, পক্ষম্বর ও তাহার দীর্ষপালক সমুদায় ফিকে নীপবর্ণ, পুচ্ছ গোড়ায় পুঞ্জ ও শেষ দিকে বিস্তৃত, পদদ্বয় লোহিতাণ্ড পীতবর্ণ, চঞ্চু ধুসরবর্ণ, চক্ষের পাত - পীতবর্ণ। ইহাদের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৩ ইঞ্চ । এই পক্ষী তারতবর্ষের সর্বত্র দেখিতে পাওয়া যায়। যুরোপে ও এসিয়ার অস্তান্তস্থানে নীলকণ্ঠজাতীয় নানারূপ পক্ষী বিচরণ করে । 党 ভারতবর্ষীয় নীলকণ্ঠপক্ষী গভীর অরণ্যে থাকে না । ইহারা জঙ্গলের প্রাস্তভাগে, গুল্মবনে, উদ্যানে, শস্তক্ষেত্রে, নিবরাদির নিকটে এবং গ্রামের চতুর্দিকে দৃষ্ট হয়। ইহারা সচরাচর উচ্চ বৃক্ষেয় চূড়ায় স্বভাৰসিদ্ধ কর কর্ শব্দ এবং মৃত্য করিতে করিতে চারিদিকে কীটপতঙ্গাদি খুজিতে থাকে। ভূমিতে কোন সজীব কীটপতঙ্গাদি দেখিবামাত্র তৎক্ষণাৎ সেই স্থানে উড়িয়া গিয়া তাহাকে ধরিয়া ফেলে, পুনৰ্ব্বার পূৰ্ব্বস্থানে বসিয়া নুতন কীটাদি অন্বেষণ করে। দেশীয় লোক চৌম্বর ফাঁদে জীবন্ত ঘুরঘুরে বাধিয়া ইহাদের বসিবার স্থানের নিকট রাখিয়া দেয় । চাষপক্ষী সেই স্থানে একবার বসিলে নিঃসন্দেহ ঘুরঘুরে দেখিতে পায় এবং র্যাদে পড়ে। বর্ষার প্রারম্ভে বৃক্ষের কোটরে, ভগ্ন প্রাচীরের ফাটলে অথবা প্রাচীন দেবমন্দিরাদির গাত্রে বাস করিয়া একবারে ৩৪টা শুভ্রবর্ণ ডিম্ব প্রসব করে। এই সময় ইহারা অতিশয় কলহপ্রিয় ও ক্রুদ্ধস্বভাব হইয় পড়ে। তৈলঙ্গভাষায় এই পক্ষীকে পালুপিত্ত অর্থাৎ দুগ্ধপার্থী বলে । তৈলঙ্গীদের বিশ্বাস স্বল্পপয়া গাভীকে ঘাসের সহিত চাষপক্ষী অর্থাৎ পালুপিণ্ডপার্থীর পালক খাওয়াইলে গাভীর অধিক দুগ্ধ হয় । বরাহমিহিরের মতে—যাত্রাকালে চাষপক্ষী উত্তরদিকে থাকিলে কাৰ্য্যসিদ্ধি, অপরাধুে ঐ পক্ষী মকুলের সহিত বামদিকে থাকিলে শুভ, দৃষ্টির অগ্রভাগে পাপপ্রদ এবং পূৰ্ব্বাহ্লে যাত্রাতুল্য গ্রাহ হইবে। (বৃহৎস ৮৬২৩-৪৩) জাবার চাষপক্ষী রথের ধরজে বসিলে যুবরাজের অমঙ্গল হয় । ( বৃহৎসংহিতা ৪৮৬২ ) চাস (পুং ) চাষ পৃষোদরাদিত্বাং সত্বং । ১ চাষপক্ষী । ২ ইক্ষু বিশেষ । ( দেশজ ) ৩ কৃষিকৰ্ম্ম, ভূমিকৰ্ষণ। WI \ుసి চাসকমান, বোম্বাই প্রেসিডেন্সির জন্তর্গত পুণাজেলাখ একটা áाब । हेही उँीमांननैौब्र डेश्वग्न जबहिउ ७य९ cथम नाभक স্থান হইতে ৬ মাইল উত্তরপশ্চিম । ইহাঙ্গ লোকসংখ্যা ২২•• । পেশবাদিগের সময়ে এইস্থান প্রগিজি জাভ করে। বালজি ৰাজিরাওর ক্ষষ্ঠ ক্ষঙ্কিণীৰাই এখালে কত্রকট অট্টালিঙ্ক ও উৎকৃষ্ট ঘাট এবং মহাদেৰের এক সুন্দর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। সেই লিঙ্গ সোমেশ্বর নামে বিখ্যাত । মন্সিরটা নানা প্রকার কারুকার্য্যে খচিত এবং ইৰায় আমুসঙ্গিক অন্যান্ত মওপ ও গ্রস্তরনিৰ্ম্মিত দীপমালা ইহার শোভা জারো বৃদ্ধি করিতেছে। চাসমূখোর (পারসীজ) চক্ষুলজ্জাহীন। “কুচক্রী চাসম্খোর চোকলাখার হয়” ( শ্ৰীধৰ্ম্মমঙ্গল ॥১১ ) চাসা, উড়িষ্যার এক কৃষিজীবী জাতি। অনেকে অনুমান করেন এই জাতীয়ের অনাৰ্য্য, ক্রমে হিন্দুসমাজে প্রবেশ লাভ করিয়াছে। ইহার চারি শ্রেণীতে বিভক্ত। যথা—ওড়চাষা ৰা মুণ্ডিচাল, বেনাতিয়া, চুফুলিয়া ও মুকুলিয়া। প্রত্যেক শাখার মধ্যে আবার কাণ্ডপ ও শালঋষি গোত্র প্রচলিত। চুকুলিয়া শ্রেণীর চাসাগণ সংখ্যায় অল্প এবং সমুদ্রকুলে লবণ প্রস্তুত করে। ইহাদের মধ্যে স্বগোত্রে বিবাহ হয় না । অপর শ্রেণীর সংখ্যা অত্যন্ত অধিক । উড়িষ্যায় সমাজবন্ধন বাঙ্গালা অপেক্ষ শিথিল ছিল বলিয়া অনেক অনার্য্য জাতি এই চাসাদিগের দলভূক্ত হইয়া যায়। এদিকে ধনশালী চাসাগণ স্বয়ং লাঙ্গল ও কৃষিকাৰ্য্যাদি পরিত্যাগ করিয়া মহান্তি উপাধিগ্রহণপূৰ্ব্বক নিয়শ্রেণীর কায়স্থ মধ্যে পরিগণিত হইবার চেষ্টায় আছে। ইহাদের মধ্যে বাল্যবিবাহ ও বয়স্থের বিবাহ উভয়ই প্রচলিত। বাল্যবিবাহই অধিক গৌরবাহ। আট বা নয় বর্ষে কল্পায় বিবাহ দিয়া যৌবনপ্রাপ্তি পৰ্য্যন্ত তাহাকে স্বামীর কাছে যাইতে দেয় না । বহুবিবাহের বিশেষ বাধা নাই। তবে স্ত্রী বন্ধ্যা ন হইলে দরিত্রতানিবন্ধন অনেকেই দ্বিতীয় বিবাহ করে না। চালাদিগের মধ্যে বিধবাবিবাহ প্রচলিত অাছে। বিধবা সচরাচর দেবরকে বিবাহ করে, দেবর না থাকিলে ইচ্ছামত অপর স্বামী গ্রহণ করিতে পারে । বিধবার বিবাহে আচারাদি নাই। দক্ষিণহস্তের পরিবর্তে বামহস্ত দ্বারা পাণিগ্রহণ কাৰ্য্য সমাধা হয়। স্বামী অসতী স্ত্রীকে পরিত্যাগ করিতে পারে। এরূপ স্থলে পঞ্চামৃত ও জ্ঞাতিদিগের নিকট তাহার বিচার হয়। বিচারে স্ত্রী অসতী স্থির হইলে স্বামী এক বৎসরের খোরাকী দিয়া তাহাকে পরিত্যাগ করে। পরিত্যক্ত স্ত্রী বিধবাবিবাহের নিয়মে আবার বিবাহ করিতে পারে।