পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রক্তগষপ [ ১২৩ ] 3. রক্তসষপ অপেক্ষাঙ্কত দীর্ঘাকৃতির রাই ( B, Nigra )গুলিরও ঐরূপ স্বতন্ত্র নাম আছে। হিন্দী-রাই, কালীরাই, তাঁরা, তারামার, লাহি,বাগারসী রাই, জগ রাই, আগল-রাই, ঘোড়ারাই, মকৃড়। রাই ইত্যাদি ; বাঙ্গালী-রাইসরিষা ; গুজরাত—রাই, কালী রাই, বোম্বাই-রাই, সর্ষণ, তামিল-কদখে; তেলগু-অবলো অবলী, কণাড়ী—বিলেন্সশিবে, কড়ি-সশিবে ; সংস্কৃত-সর্ষপ ; পারস্ত—সর্ষফ ; আরব—থাৰ্মল বা খদাল ; সিঙ্গাপুর— গণরা, চীন—কিদিংসাই ; ইংরাজী—Black বা True Mustard ; Fristi–Moutarde Noire ; Gif-Mustort Seussamen ; offil–Senapa 8 পর্তুগাল—Mastarda ; মহারাষ্ট্র-কাল-মহুরী, সারষা ; কলিঙ্গ-লাসি-বাই। সমগ্র ভারতবর্ষ, পশ্চিম মিশর ও মধ্য আফ্রিকা এবং পূৰ্ব্বে চীনসাম্রাজ্যের প্রায় সকল স্থানেই এই গাছ জন্মিতে দেখা যায়। রুধিয়ার দক্ষিণ ও কাম্পায় হ্রদ তীরবর্তী লোণ। জমিতে ইহা প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হইয়া থাকে। যুরোপের সৰ্ব্বস্থানেই বন্য অবস্থtয় শেষোক্ত শ্রেণীর সরিষাগাছ জন্মে, উত্তরাংশে আদৌ দেখা যায় না। থিওফ্রাষ্টাস, দি ওকোরাইদিস ও প্লিনি প্রভৃতি সরিষা বীজের উল্লেখ করিয়াছেন। খৃষ্টীয় ত্রয়োদশ শতান্ধে যুরোপে খাদ্যদ্রব্যরূপে ইহার ৰিষ্কৃত চাষ হয়। তথায় ১৬৬৩ খৃষ্টাব্দে ইহার বীজতৈলের উপকারিত সাধারণের গোচরীভূত করা হইয়াছিল। শ্বেত সরিষা অপেক্ষ বাঙ্গালায় রাই সরিষার চাষই অধিক হইয়া থাকে। মানভূমে মাশ্বিন কাৰ্ত্তিক মাসে শুষ্ক জমির উপর সরিষা বীজ ছড়াইয়৷ দেওয়া হয় এবং মাঘ ফানে কাটা হইয় থাকে। কখন কখন মটর, মহরি, গম, যব প্রভূতির সহিত একত্র ইহার চাষ করিতে দেখা যায়। কটক জেলায় লোণ সারযুক্ত জন্মিতে চাষ দেওয়া হয়। জলপাইগুড়িতে অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাসে বপন করা হয়। পরে চৈত্র ও বৈশাখে পাকিলে কাটিয়া জানিয়া বীজ ঝাড়িয়া লয়, পঙ্কধাজে ষে তৈল প্রস্তুত হয়,তদ্বারা ব্যঞ্জনাদি রন্ধন করা হইয় থার্কে । কঁাচ পাতা সড় সড়ী বাধিয়া লোকে খায়। কখন কখন ঐ কাচা গাছ খড়ের পরিবর্তে গবাদিকে খাওয়ান হইয়া থাকে। প্রত্যেক বীজকোযে ১৫ হইতে ২০ট ছোট ছোট কাল স্বান থাকে । ঐ দান৷ বাটিয়া অথবা আস্ত উৰুগু তৈলে বা স্বত্তে ফোড়ন দিয়া ব্যঞ্জনাদি রন্ধন করা হয় । সরিষার তৈলে শাক ও মৎস্তাদি ভাজিয়া খাইতে মুম্বাদ লাগে । শুষ্ক রাই চূর্ণ জলে গুলিয়া অন্তান্ত তরকারীর সহিত খাইতে স্থতার ও a বাল ঝাল লাগে , মাংসতক্ষণকালে রাই বিশেষ সুখপ্রদ । সুন্দালন রক্ত সংহন্ত হইলে অথবা আক্ষেপিক (epasmodic ), HfMRI ( neuralgic) s II Ew (rheumatic) পীড়া বা বেদনাসমূহে ইহার প্রলেপ বিশেষ şvizii i sfaș avilă (Cerebro-spinal ) Flytă *śītī; for-4 woln (depressing influence) at জন্মাইয়া ইহা সামান্ত বমনকারক ঔষধরূপে প্রয়োগ করা যাইতে পারে। লজিনাছালে অথবা লগুনের সস্থিত একত্র বাটিয়া ত্বকের উপর প্রলেপ দিলে সরিষার কার্য্যকারিতাশক্তি বৃদ্ধি করে। সামান্ত পরিমাণে রাই অথবা রাইচুর্ণ ভক্ষণ করিলে অগ্নিশক্তি বৃদ্ধি করে। অজীর্ণরোগে দুষ্ট মল রুদ্ধ হইয়া পেটের গ্লানি উপস্থিত হইলে বিরেচকরূপে কখন কখন রাইচুর্ণ অথবা কতকগুলি গোট সরিষা সেবন করিতে দেওয়া হইয় থাকে । এই বীজ হইতে শতকরা ২৩ ভাগ খাটি তৈল পাওয়া যায়। উহাতে গ্নিপিরাইডস ষ্টেরিক, ওলিইক্‌, ইরুসিক্ ও ত্ৰাসিক এসিড, মিশ্রিত আছে। ব্রাসিক ও ওলিইক্ প্রায় একত্রই থাকে। ইহা গন্ধহীন, শুষ্ক হয় না ও o° ফা’ উত্ত্বাপে জমিয়া যায় । জলে তৈল সিদ্ধ করিলে পরিষ্কৃত ব্যৰহারোপ যোগী তৈল প্রস্তুত হইয়া থাকে। বিস্তৃত বিবরণ সর্ষপ শব্যে দ্রষ্টব্য। ] পরিষ্কৃত তৈল বেদনাস্থালে মৰ্দ্দন করিলে তেজোবৰ্দ্ধক (stimulant) করে এবং কখন কখন প্রত্যুত্তেজক (counterirritant ) অর্থাৎ ক্লিষ্টার জন্ত গাত্রদাহের প্রশমনকারক । চৰ্ম্মরোগনাশক বলিয়া সাধারণে মানের পুৰ্ব্বে সরিসার তৈল মৰ্দ্দন করিয়া থাকে । আয়ুৰ্ব্বেদশাস্ত্রে অভিহিত হইয়াছে যে, ঘৃভস্তক্ষণ অপেক্ষা তৈল মর্দন করিলে আট গুণ অধিক বলাধান করে। কপূর সহযোগে সর্ষপ তৈল মদন করিলে চৌরঙ্গী বাত, অম্লশূলাদি বেদনার উপশম হইয়া থাকে। বালকদিগের বুকে ছঙ্গি বসিলে কপুরযোগে তৈল মালিস করিলে অনেক উপকার দশে। উদ্ধ গ শ্লেষ্মায় লবণ যোগে উত্তপ্ত সরিষার তৈল পদ তগে, কণ্ঠে, বক্ষে, দুইব্লগে ও নাস! দণ্ডে মালিস করিলে এক রাত্রের মধ্যেই উদ্ধগশ্লেষ্মা বা ছদি কমিয়া যায়। শ্লেষ্মাধিক্য হেতু বালকদিগের বায়ুনীর প্রদাহে উত্তপ্ত তৈল মদনে বিশেষ ফলদর্শে । ইনফ্লুদুয়েঞ্জ জ্বরে উষ্ণ জলে গাদ ধৌত করাইয়ী পদতলে তপ্ত তৈল মদন করিলে আগু ফল পাওয়া যায়। নাসারদ্ধে, স্বল্পপরিমাণে তৈল লাগাইলে ধীরে ধীরে ছর্দি ক্ষরণ হইতে থাকে। সরিষার ব্রিষ্টার দিয়া গান্ধ চৰ্ম্ম লাল হইলেই তাছা উঠাইয় ফেলা উচিত, নচেৎ পীড়াদায়ক ফোস্ক উৎপন্ন হইয় গত (ulcer) উৎপাদন করিতে পারে। চক্ষে ভৈল লাগাইলে জল কাটিয়া উদ্ধগ