পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঘুজী ভোঁসলে [ পক্ষে ঘোরতর যুদ্ধ চলিতে থাকে। ঐ সময় ইংরাজ গৰমেন্টের মধ্যস্থতায় উভয়ের বিবাদ মিটিয়া যায় এবং সিন্যেরাজ এখানকার সামন্তরাজকে রাঘবগড় নগর, দুর্গ ও তৎপার্শ্ববৰ্ত্তী লক্ষটাকী আয়ের ভূসম্পত্তি ছাড়িয়া দেন। ১৮৪৩ খৃষ্টাব্দে উক্ত রাজসরকারে গৃহবিবাদ উপস্থিত হওয়ায় ইংরাজ রাজ নুতন বন্দোবস্ত করেন ; তদনুসারে উক্ত জায়গীর তদ্বংশায় বিজয়সিংহ, ছত্রশাল ও অঞ্জিতসিংহ নামক তিন অংশীদারের মধ্যে বিভক্ত কইয়া যায় । অজিতসিংহের উত্তরাধিকারী রাজা জয়মঙ্গলসিংহের অংশে ১২০ খানি গ্রাম আছে, উহার বাধিক আয় ২৪০-১২ টাকা। রঘুগড়ের সামন্তরাজের অংশে ৮৮ খানি গ্রাম এবং গুণার দক্ষিণবী অপর রাজার অধিকারে জঙ্গল-মহ লই অধিক । ২ উক্ত সামস্ত রাজ্যের প্রধান নগর । একটি শাখার উপর স্থাপিত । অক্ষাe শ্রাঘি• ৭৭.১৫ পুং । এখানকার প্রাচীন দুর্গ ভাবস্থায় পতিত হইলে ও ১৯শ শতাদের প্রায়ন্তে উহা দৌলত রাও সিন্দে পরিচালি ও মরাঠা-সেনার বিরুদ্ধে নগররক্ষা করিতে সমর্থ হহয়ছিল । মোগলসম্রাট শাহজছানের রাজত্বকালে কেচি শাখার চৌহান রাজপুতবংশীয় লালসি’হ নামক জনৈক পাৰ্ব্বতী নদীর ২৪-২৬ উঃ এবং ব্যক্তি কত্ত্বক এই নগর স্থাপিত হয়। তদবধি এখানকার সর্দারবংশ কেচিশাখার দলপতি বা গোষ্ঠীপতিরূপে গণ্য হইয়। প্তাসিতেছেন । রঘুজ (ত্রি) রঘু-জন-ড । শাস্ত্রগামী বড়বাজাত । “আৰ্যন্তি রঘুজা ইব স্থানাং” ( ঋক্ ৯৮৬১ ) রঘুণ: রঘু: শীঘ্ৰগ বড়বা তত্ত্ব জাতা: (সায়ণ) ২ রঘুবংশজাতমাত্র । చిలి ] রঘুজী ভোঁসলে (১ম), জনৈক মহারাষ্ট্র সেনাপতি। ১৭ ৪৪ খৃঃাস্কে তিনি মহারাষ্ট্র-দলের সেনা-সাহেব-সুবাপদে উন্নীত হন। র্তাহার কার্য্যদক্ষতা, সাহস ও বীরত্বে প্রাত হষ্টয়া পেশ বা তাহাকে বেরার ও নাগপুর প্রদেশ দান করেন। । সেই সনদ বলে ১৭৪০ খৃষ্টাব্দে তিনি বেরার ও নাগপুরের । প্রথম রাজ হইয়াছিলেন। | পেশ বা বাজীরা ৪ ও বক্ৰী রঘুজী ভোঁসলের অভূদিয়কালে মহারাষ্ট্র রাজ্যে ঘোর শাসনবিশৃঙ্খলা ও রাষ্ট্রবিপ্লব উপস্থিত হয়। দুৰ্ব্বলচিত্ত ও শাসনদওপরিচালনে অক্ষম সাতারাধিপত্তি রামরাজ ঐ সময়ে মহারাষ্ট্র-সিংহাসনে সমাসীন থাকিলেও প্রকৃতপক্ষে পেশব ও রঘুী উভয়েই রাজ্যের পরিচালক ও নেভ ছিলেন। সচিব প্রধান বাঙ্গীরা ৪ ও সেনাপতি প্রধান রঘুঙ্গা তাছাকে রাজ্যচ্যুত করিয়া সুৰ্ব্বগ্রাস করিতে ষড়যন্ত্র । | | i ΧΙV ・ 。 @8 রঘুজী ভোঁসলে - করিলেন । তদুদ্দেশুসিদ্ধির নিমিত্ত র্তাহার। আপনাদের প্রভুকে বঞ্চন করিয়া তাহার রাজ্য উভয়ে বনোবস্ত মত বিভাগ করিয়া লষ্টলেন। তদনুসারে পেশব প্রাচীন রাজধানী পুণায় থাকিয় মহারাষ্ট্ৰীয়ের অধিকৃত সমগ্র পশ্চিম-প্রদেশ এবং নাগপুরে বসিয়া রঘুঙ্গী সমগ্র পুর্বাংশ শাসন করিতে লাগিলেন। দুরদৃষ্টবশতঃ রামরাজ সাতারা-দুর্গেই বনী রছিলেন। পেশবা বাজীরা ওকে স্বনামে মহারাষ্ট্রীয় শাসনদও পরিচালিত করিতে দেখিয়া, প্রতিদ্বন্দ্বী রঘুনাথের ঈর্ষ বাড়িয়া উঠিল । তিনি পেশবার অধীনতা স্বীকার করিলেন না । এই সুত্রে পুণ ও নাগপুর মহারাষ্ট্রীয় দল দুষ্টট স্বতন্ত্র অভিধা প্রাপ্ত হইয়াছিল। [ পেশবা, ভোস্লে ও নাগপুর দেখ। ] রঘুন্ধীর পিতামহ পাশ্বজী সাতারা-প্রাপ্তবৰ্ত্তী একজন সামান্ত অশ্বারোহী সেনানায়ক ছিলেন। মহারাষ্ট্রকেশরী শিলাঞ্জীর পেীর শাহজা তাহার রণপাণ্ডিত্যে মোহিত হহয় তাহাকে বক্সীর পদে নিয়োজিত করেন । তাহার পিতা বিম্বস্ত্রী মচারাষ্ট্র-কল্পসংগ্ৰহাৰ্থ অগ্রসর হইয় অযোধ্য প্রদেশে নিহত অমুকম্পায় তিনিষ্ট পৈতৃক সম্পত্ত্বির অধিকারী হইয়াছিলেন । ঐতিহাসিকগণ তাহার উওরাধিকারিত্ব সম্বন্ধে নানা মত প্রকাশ করিয়া থাকেন। কেহ কেহ বলেন, পশ্বিল্পীর পুঞ্জ ঞ্জীবিত থাকিতেই, শাহজার অনুগ্রহে পাশ্বজীর ভ্রাতা রঘুজ বেরার সম্পত্তি লাভ করেন। রঘুঞ্জী রাজা শাহজার শালীপতি-ভাই ছিলেন । বুর্হানপুর, নাগপুর, বেরার প্রভৃতি শব্দে রঘুঞ্জীর বীরত্ব কাহিনী বিবুত হওয়ায় এখানে আর লিখিত হুইল না । ১৭৪৯ বা ১৭৫৩ খৃষ্টাব্দে ঠাহীর মৃত্যু সময়ে তিনি পুত্ৰ জানোজীকে নিজ রাজ্য দান করিয়ু যান। জানোজী ১৭৭২ খৃষ্টাব্দে স্বীয় কনিষ্ঠ মধুঞ্জীর পুত্র রঘুঞ্জ ভোসলে ২য়কে উত্তরধিকারী নিৰ্ব্বাচন কারণে, সমগ্র সম্পওির শাসনভার মধুঞ্জার উপর ন্যস্ত হয় । এই সময়ে মধুজীর অগ্রজ সামোজা আপনার BBBSBBBBB BBEB BKBB DDS KB BBBS BBB যুদ্ধে মধুঞ্জীর চস্তে তদবধি ৩য় রঘুজা, পৰ্য্যন্ত নাগপুর ও বেবারের অধিকার মধুঞ্জীর বংশপরম্পরায় ভ্রাতার মধ্যে , বিরোধ উপস্থিত হয় ১৭৭৫ খৃঃাকে সামোচী নিহত হন । চলিয়া আদিয়াছে । রঘুজী ভোঁসলে (২য়), অভিভাবক ও পিতা মধুীর রাজ্য শাসনের পর ১৭৮৮ খুষ্টাপে তিনি স্বায়ু জ্যেষ্ঠ তাত-প্রদত্ত নাগপুর-সিংহাসন লাভ করেন । ১৮১৬ খৃষ্টাব্দের ২২শে মার্চ তাহার দেহা স্তর ঘটে । রঘুজ ভোসলে (৩য়) বেরার রাজ্যের শেষ মহারাষ্ট্র