পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঘুদেব স্বয়লঙ্কার ভট্টাচাৰ্য্য t ૭8 ] রঘুনন্দন রাজা । ১৮৫৩ খৃষ্টাব্যে অপুত্রক অবস্থায় তাহার মৃত্যু হওয়ায় এবং রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারিত্বে দাবি করিতে পারে এরূপ আত্মীয়তনয়ের অভাবে, অপর কাহার ৪ উপর শাসনভার সমর্পণ না করিয়া তৎকালীন গবৰ্ণর জেনারেল বাহাদুর নিঃশবে ঐ বিস্তীর্ণ রাজ্য কোম্পানীর রাজ্যভুক্ত করিয়া লইলেন। রঘুদেব, ১ দিনসংগ্রহ নামক একখান জ্যোতিগ্ৰন্থরচলিত। ২ মিথিলাবাসী জনৈক পণ্ডিত। বিশ্বেখর মিশ্রের পুত্র এবং অচ্যুত ঠস্কুরের দৌহিত্র। ইনি বিরুদাবলী নামে একখানি গ্রন্থ রচনা করেন । রঘুদেব স্যায়ালঙ্কার ভট্টাচাৰ্য্য, নবদ্বীপবাসী জনৈক বিখ্যাত পণ্ডিত । ইনি নবদ্বীপের মু প্রসিদ্ধ পণ্ডিত ভবানন্দ সিদ্ধান্তবাগীশের তৃতীয় কি চতুর্থ পুরুষ অধস্তন বংশধর হইবেন । শিরোমণিকৃত নঞ বাদের “নএ বাদবিবেচন” নামক টীকা রচনাকালে রঘুদেব গুস্থারম্ভে স্বীয় পরিচয় এইরূপে লিপিবদ্ধ করিয়াছেন---

  • শিবং প্রণম্য তৎপশ্চাত্তকবাগীশ্বযু গুরুম। ক্রিয়তে রঘুদেবেন নঞোহর্থঙ্ক বিবেচনম্ ॥” এই শ্লোকে রঘুদেব স্বীয় গুরু তর্কবাগীশকে বন্দনাপুৰ্ব্বক গ্রন্থের স্বচনা করিয়াছিলেন । এই তর্কবাগীশ তৎকালীন নবদ্বীপ প্রসিদ্ধ প্রধান নৈয়ায়িক ও গ্রন্থকার হরিপ্লাম তর্কবাগীশ হইবেন । গ্রন্থের শেষে তিনি বলিতেছেন,—

“অত্র হুক্তং দুরুত্ত্বং ব যৎকিঞ্চিৎ জল্পিতং ময়।। তৎসৰ্ব্বং জগদীশস্ত প্রীত্যর্থমিত্যনিন্দিতম্। রঘুদেবকৃতগ্রস্থালোকনেন মনীষিণঃ। অধ্যাপয়ন্তু সন্তোযৈনঞ বাদমবিবাদতঃ ॥” এতদ্বারা স্পষ্টই বুঝা যাইতেছে যে, তিনি জগদীশের প্রীতির জন্য এই গ্রন্থ রচনা করিয়াছেন । জগদীশের উপাধি তর্কালঙ্কার ছিল ; সুতরাং উক্ত ছুইটী শ্লোকে দুই জন গুরুকেই লক্ষ্য করা হইয়াছে, তাছা সহজেই অসুমিত হয় । সম্ভবতঃ রঘুদেব প্রথমে হরিরামের নিকট ও পরে জগদীশের নিকট গুiয়শাস্ত্র অধ্যয়ন করিয়! থাকিবেন। তিনি যে জগদীশের ছাত্রসমুহের সমসাময়িক ছিলেন তাহাতে কোন সন্দেহ নাই। তাহার পদার্থখগুনবিবরণ’ নামে রঘুনাথশিরোমণিকুত পদার্থতত্বের ব্যাখ্য। ১৬৪১ শকে অর্থাৎ ১৭১৯ খৃষ্টাব্দে রচিত হইয়াছিল । এতদ্ভিন্ন রঘুদেব গঙ্গেশোপাধ্যায়কৃত তথ্যচিস্তামণির গুড়ার্থ ভৰদীপিকা নায়ী একখানি ব্যাথ্যাপুস্তিকা, মহুধি কণাদের বৈশেষিক স্বত্রের কণাদস্থ ত্রব্যাখ্যান নামে টীকা ও দ্রব্যসারসংগ্ৰহ নামে কল্পখানি গ্রন্থ রচনা করেন । তাহার তত্ত্বচিস্তামণিব্যাখ্যা গ্রন্থের অংশরূপে তিনি অসুমিতি, পরামর্শবিচার, অবয়বগ্রন্থ, আকাঙ্ক্ষাবাদ, আখ্যাতবাদটিপ্পনী ( রঘুনাথকৃত অাখ্যাতবাঙ্গের টীকা ), ঈশ্বরবাদ, উপসৰ্গদ্যোতকত্ববিচার, কারণবাদার্থ, কাৰ্য্যকারণভাববিচার, চিত্ররূপবাদ, জ্ঞানদ্বয়বাদ, জ্ঞানলক্ষণবিচার, তর্কবিচার, দও কারণতবিচার, ধর্মিতাবম্বেদক প্রভ্যাসভিনিরূপণ, নঞর্থবাদটিল্পনী বা নঞ বাটিপ্পনী নবননিৰ্ম্মাণ, নানার্থবাদ নিরুক্তিপ্রকাশ, নিশ্চয়ত্ত্বনিরুক্তি, নিশ্চয়বাদ, পক্ষত, প্রতিযোগিহ্বানকারশতাবিচার, প্রতিযোগিঞ্জালস্য হেতুত্বখণ্ডনম, মনোবাদ, লক্ষণাবাদ, লৌকিক বিষয়তাবাদ, বিশিষ্টবৈশিষ্ট্যবোধবিচার, বিশিষ্টবৈশিষ্ট্য- -. বাদ, বিশিষ্টবৈশিষ্ট্যাবগাছিবাদার্থ, বিষয়তাবাদ, সামগ্রীবাদ, স্মৃতিসংস্কারবিচার প্রভূতি বহুবিধ টকা প্রণয়ন করিয়া বিশেষ প্রসিন্ধিলাভ করিয়tিছন । ঐ টীকাগুলি নৈয়ায়িক জগতে রঘুদেবী নামে পরিচিত। রঘু দৈবজ্ঞ, চিন্তামণিপীযুষধারাব্যাখ্য' নামী মুহূর্তচিন্তামণির টীক। প্রণেতা । রঘুদ্র (ত্রি) শীঘ্ৰগমনকারী, দ্রুতযায়ী। “মনবে মানবস্ততে রঘুদ্রবঃ” ( ঋত্ব ১১৪•8 ) রঘুক্রবঃ ক্ষিপ্ৰং গচ্ছন্ত্য? ( যায়ণ) রঘুনন্দন, শ্রীচৈতন্তের অনুচর ভক্ত এবং হুসেনশাহ বাদগাহের প্রধান চিকিৎসক শ্ৰীখণ্ডবাসী বৈদ্যবংশীয় মুকুগের একমাত্র পুত্র। বৈষ্ণবসমাজে রঘুনন্টনের স্থান অতি উচ্চে ; কেন না শ্ৰীগৌরাঙ্গ একদা এই রঘুননানকে কোলে গষ্টয়া পুত্র বলিয়। সম্বোধন করিয়াছিলেন ও আদর করিয়া ইহঁর গলায় পুষ্পমাল পরাইয়া দিয়াছিলেন। যথা—শ্ৰীৰূপকৃত পছে— “লীলাদ্রোহিমহা প্রভুর্যমপি ভো ক্রোড়ে নিধায়াত্মনে, ভক্ত যুয়মিমং মমেতি নিগদন জানিধ্বমেবাত্মজম্। কণ্ঠে প্রাগ্রঘুনন্দনং স্ৰজমদাং স্বায়াং স্বয়ং কাত্তনে, ভালে ঘস্ত চ চন্দনং প্রতিনভস্তং রূপং নমাম্যহং ।” এইজন্যই রঘুনন্দনের প্রণামশ্লোক নিম্নলিখিত রূপে গ্রথিত হইয়াছে, যথা— "মুকুন্দজনয়ে নিত্যং ব্ৰজকন্দৰ্পরূপিণে। গোরপ্রেম প্ৰদায়ৈব গোরপুত্রায় তে নমঃ ॥” রঘুনন্দনের প্রতি মহাপ্রভূর এত রূপানিদর্শন কেন ? কারণ এই যে, রঘুনননের স্তায় ভক্ত বড় বিরল, রঘুনন্দনের কৃষ্ণভক্তিতে মহাপ্ৰভু তৎপ্রতি বিশেষ প্রীত হইয়াছিলেন । কথিত আছে যে, পাঁচ বৎসর বয়স হইতেই রঘুনন্দনের চিত্তে कृषभatभब्र सेनम्न रुग्न, ठ५न रुहेtफहे डिनि छख् ।। ४भsब्रिद्ध মহিমলেশগ্রন্থে লিখিত আছে--