পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রসায়নবিজ্ঞান [ లిeరి ] রসায়নবিজ্ঞান লোহমখুর এবং বৃক্ষবিশেষের দগ্ধাঙ্গার তাছাতে মিশান হইয়া থাকে । অন্ধমূষাযন্ত্র--ভুষের ছাই ২ ভাগ, উইয়ের মাটী এক ভাগ, মণ্ডুর ১ ভাগ, শ্বেত প্রস্তরচুর্ণ ১ ভাগ, ছাগদুগ্ধ ২ ভাগ, এবং মঙ্গুষ্যের কেশ স্বল্পপরিমাণে একত্র মর্দন করিয়া গোস্তনের স্থায় আকৃতিবিশিষ্ট এক প্রকার পাত্র প্রস্তুত করিতে হয়, ইছারই নাম মুম্বা। মূষা শুষ্ক হইলে তাহার মধ্যে পারাদি পদার্থ রাখিয়া অপর একটা মুম্বা তাহার উপর উপুড় করিয়া চাপা দিবে এবং উভয়ের সংযোগস্থল মুম্বানিৰ্ম্মাণের উপাদান দ্বারা উত্তমরূপে লেপন করিবে। ইহাকে অন্ধমুম্বা যন্ত্ৰ কহে। ইহাকে আবার কেহ কেহ বজ্ৰমুম্বা ? বলিয়া থাকেন। “কৃষ্ণ রক্ত চ পীতা চ শুক্লবৰ্ণ চ মুষ্টিক । আত্মা শ্রেষ্ঠ কনিষ্ঠা চ মধ্যম। মধ্যম। মত ॥ দন্ধধান্ততুষ্যেপেতা মুত্তিকা কোষ্ঠকারিক । বক্রনাগকৃতে বাপি শস্ততে মুরসুন্দরি ॥ গেীর দগ্ধ তুষা দগ্ধা দগ্ধ বক্সী কমৃত্তিক । অজাখানাং মলং দগ্ধং দগ্ধ মুৎ কৃষ্ণতাং গত ॥ বাসকস্ত চ পত্রাণি বল্মাকস্য মৃদ সহ। পেধয়েদগ্নিতোয়েন অনেন বজ্ৰতাং গতমূ। মৰ্দ্দয়েং তেন বন্ধীয়াদবক্রনালং চ কোষ্ঠকম্। গেীর দগ্ধা তুষা দগ্ধ দগ্ধ বল্লীক মৃত্তিক ॥ চিরমঙ্গারকঃ কিট্টং বজ্রেণাপি ন ভিস্ততে । দগ্ধাঙ্গারস্য ষড়ভাগ ভাগৈক কৃষ্ণমৃত্তিক। ॥ চিরমঙ্গারক কিট্রং বঞ্জমূৰ্য প্রকীৰ্ত্তিতা। তুষদগ্ধসমা দগ্ধস্মৃত্তিক চতুরংশিক । ক্লৰ্ম্মপাষাণসংযুক্ত বজ্ৰমুম্বা প্রকাৰ্ত্তিতা ॥ প্রকাশচান্ধমূষ চ প্রকৃতিদ্বিবিধ স্থত । প্রকাশমুষ দেবেশি শরাবাকারসংযুক্ত। দ্রব্যনিৰ্ব্বাহণে স চ বৈদিকৈঃ সুপ্রশস্যতে । অন্ধমূষা তু কৰ্ত্তব্য গেস্তিনাকারসন্নিভা। পিধানকসমাযুক্ত কিঞ্চিত্নত্তানমস্তকা ৷ পত্রলেপে তথা রঙ্গে দ্বন্দ্বমেলাপকে তথা । সৈব ছিদ্রান্বিত মন্দ গম্ভীর সারণোচিত ॥ মোচক্ষারস্য ভাগে দ্বে ইষ্টকাংশসমন্বিতে । মৃস্থাগাস্তারতম্ভ্যর্থমুত্তম বরবর্ণিনি ॥” (রসার্ণব) বিদ্যাধরধক্স—একটী স্থালীতে পারদ রাখিয় তাহার উপর আর একটা জলপূর্ণ স্থালী বসাইবে এবং উভয়ের সংযোগস্থল মাটি দিয়া লেপন করিবে । পরে ঐ দুইটী স্থালী উকুনে ৰঙ্গাইয়৷ পাচ প্রহর কাল জাল দিতে হইবে। উপরের হাড়ীর छण शब्रभ झ्हेरणहे छांश cकणिब्रl शूनब्राग्न उँशtङ नैोऊण छण দিবে। এইরূপ করিলে নীচের হাড়ীর পারদ ক্রমশঃ উপরের হাড়ীর তলদেশে সংলগ্ন হইবে । পাক শেষে উভয় হাড়ীর সংযোগ খুলিয়া উপরের হাড়ীর তলদেশ হইতে পারদ গ্রহণ করিবে । পারদের উৰ্দ্ধ-পাত্তন ক্রিয়ায় এই যন্ত্র ব্যবহৃত হয় । “মথ স্থাল্যাং রসং ক্ষিগু, নিদধাত্তযুখোপরি। স্থালীমূৰ্দ্ধমুখীং সম্যক নিরুধ্য মৃদুমৃংস্নয় ॥ উৰ্দ্ধস্থাল্যাং জলং ক্ষিপ্ত চুলামারোপ্য যত্নতঃ। অধস্তাজ্জালয়েদগ্নিং যাবৎ প্রহরপঞ্চকম্। স্বাঙ্গশীতং ততো যন্ত্রাগ্রত্নীয়াত্রসমুত্তমম্। বিদ্যাধরাভিধং যন্থমেতত্তজ জ্ঞৈরুদাহৃতম্।”(ভাবপ্ল" পূৰ্ব্বখ") রসরত্নসমুচ্চয়ে ইহাই হিঙ্গুলাকৃষ্টিবিদ্যাধরযন্ত্র নামে কথিত इझेब्रॉ८छ् । ভূধরযন্ত্র—একটা জলপূর্ণ হাড়ী গৰ্ত্তমধ্যে বসাইয়া জার একটা ইাড়ীর ভিতরে ঔষধ লিপ্ত করিয়া সেই হাড়ীটী তাহার উপর উপুড় করিয়া দিয়া সংযোগস্থল মাটর লেপন্থার উত্তমরূপে রুদ্ধ করিবে । পরে উপরের হাড়ীতে উপয় হইতে অগ্নির তাপ দিলে, সেই হাড়ীর ঔষধ নীচের জলপূর্ণ হাড়ীতে ক্রমশঃ পতিত হয় । ইহা পারদের অধঃপতনক্রিয়া সম্পন্ন করিতে বিশেষ অবিশুক । ভাবুপ্রকাশে অল্পবিধ ভূধরযন্ত্রের উল্লেখ আছে,—মুষামধ্যে পারদ স্থাপন করিয়া ঐ মূষ বালুক দ্বারা আচ্ছাদিত করিবে । পরে তাহার চতুর্দিকে ঘুটে সাজাহয়৷ অগ্নিযোগে পোড়াইবে । ‘বালুকাভিঃ সমস্তাঙ্গং গর্তে মু্যাং রসান্বিতাং। দীপ্তোপলৈঃ সংবৃণুয়াদৃযন্ত্ৰং ভূধরনাম কম, ॥” (ভাবপ্র- ) বালুকীযন্ত্র-একটা হাড়ীতে কবচৗযন্ত্র অর্থাৎ ঔষধপুর্ণ ও মৃত্তিকালিপ্ত একটা বোতল বসাইয়া সেই বোতলের গলদেশ পর্যন্ত ডুবিয়া থাকে এইরূপ ভাবে হাড়ীট বালুকাপুর্ণ করিতে হস্থবে। পরে সেই হাড়াটা উনানে বসাইয়া নিদিষ্টকাল পর্য্যস্ত ঐ কাচকুপিকাস্থ ঔষধ জাল দিয়া পাক করবে। এই যন্ত্র রসসিদূর, মকরধ্বজ প্রভৃতি ঔষধ প্রস্ততকালে ব্যবহৃত হয় । রসরত্নসমুচ্চয়ে লিখিত হহয়ছে,-একটা লম্বা গল। কাচপাত্র মৃদবস্ত্র দ্বারা লেপন করিয়া তাহাতে পারদাদি ঔষধ রাথিয় বিতস্তি প্রমাণ গভীর একটা ভাওে ঐ কাচ পাত্র তিন ভাগ বালুক পুর্ণ করিয়া রাথিতে হইবে ; পরে তদুপরে অপর একটা ভাও উণ্টইয়। চাপা দিয়া তাহার মুখসন্ধি মৃত্তিক দ্বারা লেপ দিবে। অনস্তর ঐ পাত্র চুল্লীতে রাখিয়। তৃণ দিয়া জাল দিতে হয়, যতক্ষণ ভাণ্ডের উপরে রক্ষিত লঙ্কেত তৃণটা দগ্ধ না হয়, ততক্ষণ পাক কল্পিবে।